Thursday, December 29, 2011

বুদবুদের আমি

বুদবুদের আমি
একবার ভেসে উঠে মিলিয়ে যায়
হাসির মত ভোর বেলা, পোঁচ মত, বৃন্ত মত
বুদবুদের গায়ে যেরকম
বুঝে নিলে অসমাপ্ত গল্পের মোহ
বিড়ালটা লেজ নাড়ছিল
লেজ নাড়ছিল
লক্ষ বছর হলো একটা একটা স্তর
একেকটা ঘুমের দরোজা, মাথার কাছে, পায়ের কাছে শিরায় শেকড়ে
তন্ময়, আগুনের স্মৃতিবাহী লাল বৃন্ত পোঁচ
ঝুর ঝুর ধূলার তিরপলে
আমি তো জমা হই। আলো জ্বেলে পাউরুটি
মাইলের পর মাইল
আলোর নিচে
অন্ধকারে কেরোসিনে জলপাইয়ে উল্টে দেই টুকরা টুকরা পাউরুটি
রঙ আর বোঁটার কথা বলো। তখন থেকে ফিরে দেখো
খুলে রেখে চলে যাও একটা একটা স্তন
বুদবুদের সুরে। হঠাৎ হিংস্র রাগে দরোজা লাগাই
লিপস্টিক
একটা গলিত কালো কশেরুকা
হিঁচড়ে টেনে জ্বালিয়ে দেই পিষ্টনের প্রাণের ভিতর
কতদিন জমা করা ঘুম
হঠাৎ ভেসে ওঠা বিশ্লিষ্ট দেখা, বুদবুদের হাসির মতো
হারিয়ে যাওয়ার মতো, বলো হাইহিল, কখন গিয়েছিলে হ্রদের কিনারে
নষ্ট টিভি পর্দায়
নিজের ছায়া দেখে অল্প অল্প ভয় করে

Wednesday, December 21, 2011

দুইটা লেখা

সম্নিলকি ১৩
----------------

কত দূর থেকে আসে একেকটা বরফের দাগ
মনে হয় মিলে মিশে আছি
ভোতা আর দীর্ঘ প্রস্তুতি
অনেক নিচে মাটির ভিতর, পলক ফেলছি না, সোজা সাপ্টা বলে দিচ্ছি না

একা একা শুয়ে থাকি মেঝের উপর
একটা তন্তু নেমে আসে। জানালা ফেঁপে গেছে পানি জমে জমে

কারো কথা মনে আসে না। ভয়ঙ্কর খেলায় কাঁপতে থাকি আমি
একস্তুপ কাপড় – সব সময় ক্যালেন্ডারে দাগানো যায় না
দশক দিয়ে মাপা যায় না, যুক্তি দেখে হো হো করে হাসে
ঠোঁটের কোণা বেয়ে গড়িয়ে নামে কথার জগতে

একটা লম্বা মোম ছুরি দিয়ে চার ভাগ করি
সূতা জাপটে ঠান্ডা হওয়া উৎসমুকূল
আগুন কত আপেক্ষিক ... ... বা চলে যাই সোজা সাপটার কাছে
আমার যে সাপ আছে, ওকে জাপটে বড় হচ্ছে কাচের বাক্স দিন রাত
বড় হচ্ছে – কত দ্রুত ছায়া সরে গেলো
চকিতে মনে হলো জানালার ফ্রেম

|
|
|
------------------
তিনতলার বারান্দায়
------------------

তিনতলার বারান্দা কিছু খালি বোতল পরে আছে
কাগজের গ্লাস, ছেড়া ফিল্টার

ঠিক তার নিচের বারান্দা দরোজা খুলে মেয়েটি বেরোলো
গোলাপের মতো লাল, শূন্য টব – ঠিক তার নিচতলায় একটা হেলানো শাবল

বোতলগুলির উপর
মেয়েটার পিঠে, শাবলে
ধাক্কা খেয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে চিকন মেয়েলি স্বরের মতো
মেয়েলি স্বরে ডাকছে কে যেন
রেলিং ধরে
ফ্ল্যাটের চাবি ফেলে দিচ্ছে নিচে

Sunday, December 18, 2011

এখনো সর্বনাম

খসড়া

নিউট্রিনো

অপ্রয়োজনীয় শিষ্টাচারে জড়িয়ে আছে
অবতল স্মৃতি। চয়িতের সত্য চিতের
ভিজে ছাদের ওপর ছোট্ট পায়ের ছাপ
গুটি গুটি... কয়েক।
মাটির ঠিক ওপর দেবে যাওয়া পাঁচ আঙুল।
বন্ধুত্বের সংজ্ঞার মতো পারমাণবিক। ছাপওয়ালা
ছোট গর্ত, চিতের ছাদে... মুঠো দেড়েক।
আণুবীক্ষণিক। আশ্চর্য্য আশঙ্কায় ভর্তি হয়ে আছে।

বৃষ্টিজল জমা হয় ওতে বেশ, দেখা যায়...

নিউট্রিনো যদি

বিধাতার মত সে উত্তিষ্ঠত বৃদ্ধের কি নিরাময় প্রার্থনা করা যায়?
চিত্রার্তের প্রাপ্য জলজ, চিতের ছাদের আঙুল
জলে ভুল, (আরে না না, ফুল ওটা ফুল হবে)
বেশ ভাসে দেখা যায়।
ভাসছে ফুল। মা এর মত লাল ফুল।
সদ্য অ-সিজারীয় শিশুর আওয়াজের
ধূসর জলে, ফলে।

একেবারে শেষ ঘাটের পিছল জল থই থই
লাল জল।

নিউট্রিনো যদি আলোর

আশ্রয়হীন সে বট দাঁড়িয়ে।
দাঁড়, দাঁড়ি।
অসমাপ্ত বাক্যালাপ হেতু মুখ নাড়ে।আবহাওয়া খোঁজে।
অনুকূল/প্রতিকূল।
পুরাণ, বেদসমূহ, শাশ্বত, স্বল্পাধিক।

নিউট্রিনো যদি আলোর চেয়ে

নীরব সোচ্চারে
ছায়াহীন অন্ধকারে কঠিন কিছু মুখ বলছে।
and the quote begins,
"ক র তে হ বে ক র তে হ বে, হ বেই..."
হ্রস্ব ই এর এ দীর্ঘতায়
প্রদোষগ্রস্তের ঈশ্বরেচ্ছার জলছাপ উঠে আসে, আশেপাশে
মুঠোদেড়েক।

নিউট্রিনো যদি আলোর চেয়ে
বেশি গতিশীল কণা হয়। তাহলেও
স্ফটিক করোটি মিথ্যাবাচন কবে?
উগাণ্ডা বা মেরুগর্তে
...
হবে হবে, এও হবে, টবে।আহা গাছ যেরকম
বট বা গাঁদা, ল্যাডিল্যাস, নিদেন,
শী্তকালীন।

পুনশ্চঃ পাঁচিলের এপ্রান্ত থেকে দেখা
ওপ্রান্তের কেবল ঝুলে থাকা পাঁচটি আঙুল।

ওইখানে
গাছগুলি দাঁড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখানে এখনো প্রবল
তীব্র উহাদের ছায়া পড়ে,
কম্পমান, প্রলম্বিত।
উহারা মাটির নিম্নে তাহার চেয়ে বেশি,
যত উপড়ে, ওপরে।।

Sunday, December 11, 2011

মর্গ থেকে







aajanma pratibeshi alok kaku, sri alok chaudhuri amri hospital theke chole gelen. taarpar aami saaraadin pg hospital-er morgue-er saamne daaNrhiye... ei pratham...beshi kichu balaar nei... paribishhayee holo naa... bodhoy kabitaa-o holo naa... emanki dhikkaar-o dite paaren ei niye kabitaa lekhaar cheshhTaa naamak dhrishhTataay.

Sunday, November 20, 2011

কবিতা

রেখো মা দাশে’রে মনে
সান্যালেও কিছু মনে রেখো
ঠাসবুনোটের দেশে ঘোড়ারুগী
আলগাচরিত এক ফেঁসো
।।.....................।।


সর্বনাম ব্যবহারে উদ্দেশ আসে, উদ্দিষ্টের সাথে কথা । বারতা । আর ডায়ালগ কবিতার পরিপন্থী – এই ধরণের কথা হয়, হয়েছিল একদা আশিতে । বারোটা বাজে আর আমি তুই বলি, তুমি বলি, ব্যবহার করব না করব না করেও আপনিতে পৌঁছে একটু হাঁপিয়ে জল খাই, ইতস্তত করি, প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাল্কা চুলকে নিই ক্রিয়াপদে ঘুঙ্গুর বাজে । বন্ধুরা অনেকে সোজা কবিতা লেখার কথা বলেছিল – সৌমেন, রেণুপদ – আমি কঠিন কবিতা কাকে বলে বুঝি না ওরা সেটা সোজা করে বোঝাতে পারেনি—বেশি নয়, ৩-৪ বছরে টোটাল ঘন্টা দশেক এইসব নিয়ে কথা হয়েছে , এরি মাঝে সিমলিপালে বরফ পড়লো, জাপানে ভূমিকম্প আর নবাবগঞ্জে সেলিম আলির মূর্তি হল – পাখিরা মূর্তি নিয়ে যে কোন বাছবিচার করবে না সেটা জানলেও আশা ছিল, হাজার হোক পক্ষীবিদ তো —
পাখি বলতেই মনে পড়ল—ভাবপ্রবণতা, রবিন রঙের অস্বীকার
অ্যান্ড ডিনায়াল লিডস টু ডিপ্রেশান

অবসাদ

অবসাদ একটি জাঢ্য
অবস্থা
আর গতিহীন কোন কিছুই
প্রতারিত হতে জানে না
এমন কী তা স্বাস্থ্যকর হলেও

হাল্কা হেমন্ত নামে
শীতলতাকে চামড়া পরাতে পরাতে
ভাবি
বাতাসে যে আবেশ থাকবে এ’কথা কেউ কেন জানায়নি
আবেশ যে বাতাস মাত্র এ যদিও জানা ছিল
হাওয়ার আঙ্গিক নিয়ে মাথাব্যথাই
আমাদের খোঁড়া করে তুলল


তার পর অবয়ব তৈরী হয়
অবসাদের
আর অবসাদ এমন অবস্থাপন্ন
জাঢ্যের কারণে
প্রভাবিত হতে ভুলে যায়
ভয় পেতে ভুলে যায় ।

টনটন ফসলে ঢেকে যায় নৌকো
ডুবে যায় আত্মনিগ্রহে
-----------------

আর্যনীলদা, উৎসাহ পেলাম প্রচুর । ক্যানাপে -- একটি স্ন্যাক্স -- ক্র্যাকার বা টোস্ট-এর ওপর ক্যাভিয়ার, চীজ এই সব দিয়ে তৈরী করা-- পারী'তে অ্যাপিটাইজার হিসেবে খুব ব্যবহ্রিত হয় । ইন ফ্যাক্ট গোটা ফরাসী দেশে । ওয়াইন খাওয়ার জন্য খুব ভাল ।
নীলাব্জ তাহলে তৈরী হচ্ছি তোমার পারী যাত্রার । সঞ্চিতা, অকুন্ঠ কৃতজ্ঞতা । শুভ্র, কবিতার শিরোনাম নিয়ে তোর সতেজ, দৃপ্ত উত্তর তোর জাত চেনায় -- তুই পেরিয়ে যাবি সব্বাইকে এই ভবিষ্যবাণী করলাম । রুণা, তুই ছেড়ে আপনি ধরিলেন ! ই-কী ! ডিমোশান করেন ক্যান ?

Tuesday, November 15, 2011

এস হে

এস হে
লাবণ্য চেনানো পেরেক
ঘাস ফুলের মত ব্রেক
যে দৃশ্য আমাকে দেখেনি
তার ছায়া ঝুলে আছে
পেড়ে নাও
ছবি করে নাও
ভৌত উটের পাশে
কাঠচাঁপা গাছখানি নিভৃতি পাক

--
এই গান, মহাশূন্যের ওপার থেকে, এই সব ইন্দ্রানুগত ভেসে আসে ধরা ও ধরণী ত্বরা ও তরণী প্রাক মার্কনী –র‍্যাঁবো, রবি, বারীন – মাতাল, সোনা, হাশিস । নেশা যখন ইন্দ্রিয় পেরিয়ে যায় – বরিশাল থেকে আমিনাবাদ অব্দি হলুদ জলে ওঠে প্রবাহ – যে হলুদ নির্বানের নয়, গর্ভাবস্থা নয়, সুবর্ণাভ গতিচিহ্ন নয় – এক ফেলে আসা ডিকশানের ঘোর ও তার ব্রীড়া ... স্পষ্টত । ট্রামলাইন আমাদের সাবালক হতে দিল না । সমস্ত এসো হে, সমস্ত চিল বরাবর ।
--
অতিক্রম একটি অভ্যাস মাত্র – এই ভাবে ভাবতে পারলে সোজা হয়ে আসে দিনকাল । না বুঝেই নিজেকে পেরিয়ে গিয়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখা যায় – কী ভাবে ঈষৎ ঝুঁকে এগিয়ে আসছি, থেমে অগ্রাহ্য করছি, খিস্তি করছি, ভুলে যেতে চাইছি অতিক্রান্ত রাস্তা ... অধিকন্তু ... সময় পেরিয়ে যাচ্ছে ... আর একটি বৈশাখের জন্য দাবদাহের জন্য গলে যাচ্ছে বিচি ... আহবানকারী গান হয়ে উঠছে ... জন্মাতে ভুলে যাচ্ছি, মরতে ভুলে যাচ্ছি ... গাঢ় মৃন্ময় হয়ে যাচ্ছি ... বৃষ্টি ফিরে যাচ্ছে ... না ভিজিয়ে, না ভিজে ।

Monday, November 7, 2011

ব্লেডলিখিত সত্তাচিহ্ন

২৫

চকিত শরীর থেকে দূরে গিয়ে দেখো
শব্দগুলো জড়ো হয়ে আছে
খাতার পিছনে ভাঙা অভ্যেসের জড়তামাখা
ম্লান গাভী, কুয়াশার কাচ একটানা বয়সের দিকে চেয়ে
তোমারই বয়সী শব্দ নষ্ট কোষ
নগ্ন কলা পেরেকের ঝকঝকে বুননে
নির্মাণ হয়েছে পথ ঔজ্জ্বল্য উদাসে
অথচ সেইসব বইয়ের দোকানে দামি বই
না-ঘুম রাত পার করে অপেক্ষা করত
শহর ফাঁকা হয়ে কোনও হঠাৎ গানের রোববার
মেয়েরাও তো দাঁড়াতো বলো,
এখন ক্যালেন্ডারের পাতা দ্রুত পড়তে থাকে
এই পাতিলেবু বিকেলে, সময়টা ভোগ্য
তার অবিন্যাসে সঁপে দেওয়া
নিজের কীটনাশক স্নায়ুকে তুমি
কতটা দোষ দিতে পারো?

এখন কিসে বিশ্বাস করো?
রেকর্ড-প্লেয়ার-গ্রুভ বাবার দুপুর?
ছড়ানো বাড়িটা থেকে দূরে বসে
সতীনাথ মুখার্জি ভালো লাগে কেন?
কমে আসা স্পেস চিহ্ন, ঘন সন্নবাঁধা
ডাক্তারি রিপোর্ট ছাড়া না কাঁপা স্পন্দন নিয়ে
লেখা কোন দিকে চলেছে?

Sunday, November 6, 2011

ব্লেডলিখিত সত্তাচিহ্ন

শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়


১৭

নিশপিশ করে ওঠে বন্ধুত্ব ভাঙা কাচ
স্তব্ধ মিনারের দিকে সহজ ঔজ্জ্বল্য
আমরা ভেদ করতে পারিনা
অনচ্ছ হলুদ আভা ছন্দ ঠিকরে
ধেবড়ে গেছে ভাষার দেয়ালে –
অথচ কত সহজে লিখে ফেলা যেত
কেমিস্ট্রি বইয়ের ফাঁকে লাল পাতা
শুকনো ঝরা ব্লেড
সম্ভাবনাময় শিরা
আমিতো এড়িয়ে গেছি, বলো,
কতদিন তোমাদের সঙ্গে নিশ্চিন্তে বসে
বারান্দায় পরিব্যাপ্ত কফি
মাথা নামিয়ে বসে থাকা পার্কে কোথায় যায়?
এইসব সরু লাইন নিভৃত কুকুর হয়ে
নীলিমা ঔদাস্যে কাকে চায়?
এই দীর্ঘ দুপুর, ভিজে বালিতে গা ডুবিয়ে থাকা?

১৮


অথচ যেটা চেয়েছি সেটা পাথরের উপরে
ধাপ ভেঙে উঠে গেলে
শ্যাওলা ও জল ভাঙা নৈঃশব্দ্যে
পৃথিবীর স্পর্শের বাইরে
তবু আমাদের হাতে একটা বই
এই জায়গাটার কোনও ইতিহাস নেই গাছ ছাড়া
পুরনো বলতে কোনও দিগ্বিজয়ী রাজা
বা তার পুরনো সংগ্রহশালার সামনে বসে
শিহরন? অবশিষ্ট নেই
চোখেমুখে জল ঝাপটা
কুয়াশার ব্লেডরংবিলাসী জল

২০

অথচ লেখাগুলোর নরম হওয়ার কথা ছিলনা
এই সময়ের রোদ সে তো টানটান প্রতিশ্রুতি
– ছাদে লেপ উত্তাপে দিচ্ছে মা –
ডিসেম্বর তো জড়ানো থাকে মজ্জার স্টিলে
অনুতরঙ্গের সবুজ সময় উচ্ছ্বাসে
তারপর কী? মরুটিলার ওপর
আক্রমণ করে বেঁটে স্পোর্টসকারের ঝাঁক?
কাঁকড়া বিছে ডুবে যায় বালিতে?
বালি তো শরীর, জেদি লাল পাথর কতদিন
জাগিয়ে রাখে প্রতিরোধ?
পাখির শিকারি ঠোঁট থেকে ঠিকরে পড়ে মাংস
থ্যাঁতলানো লেখা, ম্লান রক্তিম

মুখ ঘুরিয়ে নেবে বলো, ঠিক যেভাবে
বৃদ্ধ মানুষের বিকেলের পার্কে বসে থাকা?


২১

দৌড়চ্ছি ইঁটের গলি
লাল গতিহীন প্রস্তরতা একটু পরে মিশে যাবে
স্থির বৃষ্টি থেমে থাকা পানা থকথক পুকুর
হাত ডুবিয়ে লেগে গেছে সবুজ চূর্ণ অথচ
কলেজ যাওয়া আটকে নেই
পূর্ণিমার আঁশ ও একটু শহরে গিটার নিয়ে
প্রতিভাবান মঞ্চে আলোকিত
আমরা অকস্মাত ঢুকে গেছি সেদিন চৈত্রমাস
দূরে তেপান্তর গানটাই কি নচিকেতা?
ফিরে এলে মিথ্যা ও অসীমের মাঝে আর্তনাদের
রেশের মত জেগে আছে পাড়াটা
তখনও কাঁপছে চামড়া, নির্গত শব্দগুচ্ছ
ফিরবেনা জেনে নির্মিত হয়েছে
একটা পার্ক, কেন্দ্রে






২২

এভাবে নিজেদের কী ফিসফিস করি?
শাসকদল নিস্পৃহ মৃতদেহ ফেলে গেলে
শহুরে বন্ধুরা বিশ্বাস করেনা?
জমাট হাওয়ার পাশে শীতল তো আমি চাইনি
শুধু হাড় আঙুলে নিজস্ব বাঁক নিলে
হাত নিজে থেকে কিছু আঁকড়াতে চায়...
সামনে প্রস্তর নির্মাণে একটানা ক্ষয়

বুকের ভিতরে শুকনো রাস্তা আঁচড়ে
কুকুরদিন কী পায়?






২৩

সেই প্রস্তরতা খুঁজি এখন কোথাও
শীতের গায়ে জমাট পালকের স্তূপ হয়ে আছে
দূরের শহর... হয়ত শব্দটাকেই প্রিয় ঋতু মনে হয়
প্রিয়তা কোথায় যায়? এখন এই অক্টোবরে
ভেসে যাওয়া দেশে পুরনো গান শুনে
কেই বা রোদ্দুর?



২৪

তবুও সেইসব রাস্তাগুলো সহজে ভেঙে দিতে পারোনা
পাশ কাটানো নোংরায় দাঁড়াতে বলিনা, সামঞ্জস্যপূর্ণ,
যখনকার যেমন, পার্কে পেশাদার মালির মধ্যেই তো ছায়া!
ঢুকে যাও, প্যাকেটের মশলা কৌটয় স্বাভাবিক।
এইসব আয়নায় পারদ ওঠেনা
কেউ কি বলল?
অথচ পাথর ছিল
সমুদ্রের নুন লেগে পিছল মাতৃভাষা
একবারই মুখ থুবড়ে রক্ত শ্যাওলা মাখামাখি
উঠে এসেছিলে ঘরে, পতনকালে কি
আঁকড়ানো পাথরটা ছেড়ে দিতে পারতে?
শিথিলতা ঘষটে সহজেই এসে যেত
শ্রুতি-দর্শ-স্পর্শহীনতা
কে ছিল তখন?
আঁচড় ছাড়া রাতই কি প্রস্তরতা?
ঠিক কি কারণে ফিরেছিলে?
এই বালি ধর্ম ব্লেডের ওপরে
অতিদ্রুত চলে যাওয়া শোণিত ধারালো সাপ
কেন চেনোনা?

আজেবাজে কিছু মস্কো-রা

(বেশ কিছুদিন লিখি না-- হাতে মর্চে, ভাবনার জন্য সময়ও পাচ্ছি না -- তবু লিখতে ইচ্ছে করল -- আর্যনীলদা পারী থেকে ঘুরে এল -- আমার কাছে এই এক শহর -- একমাত্র শহর যেখানে আমরা দুজনেই ঘুরেছি ট্যুরিস্ট হিসেবে । আমি বউ বাচ্চা সমেত, আর্যনীলদা স্বাধীনতা সমেত)

দৃশ্য ভাবায় না
যেখানে ভাব ছিল না
সেখানে দাঁড়ালাম দেখলাম
দৃশ্য একটা স্টীয়ারিং মাত্র
ফলে সব এলোমেলো লাগে
দেখি
বার্তা ঘাড় থেকে ঝেড়ে হেঁটে যাচ্ছে কথা

১০ বছর আগেকার পারীকে
ভাবতে ভাবতে আর্যনীলকে জিগ্যেস করি
নোতরদামের ঝোপের চড়াইগুলো কী এখনো
উড়ছে
জর্জ ক্লুনির মত দেখতে গৃহহীন
কী এখনো তাদের খাইয়ে দেয়
আইফেল টাওয়ারের পূবদিকের বাড়িগুলোর
বারান্দায় ঝুলন্ত টব থেকে লতা
আর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়কার
জলীয় ওয়াইনে দারচিনি দিয়ে ফুটিয়ে নেবার অভ্যাস

পারীতে তখন বেশ গরম ছিল
সীজনেও
চলাচল বেশী ছিল
সময় যেভাবে সময়কে অতিক্রম করে
অবস্থান যে ভাবে নিরুপায়
ঘাড় গুঁজে থাকে
সেভাবে কাফে ভরে ছিল ক্যানাপে
মমার্তের ক্যারুসেল বন্ধ ছিল
ক্যামেরুণী ছোকরারা সুতোর তাবিজ বাঁধছিল
ভার্সাইয়ের ট্রেনে কাক ভিড় করেছিল
আমাদের চলাচল পাক্কা ট্যুরিস্টের মত ছিল
নীল মোরামের ওপর ঘুড়ির মুখোশ পড়ে ছিল
ঘুড়ি উড়ছিল

পায়রাদের সাথে পাল্লা দিয়ে
ছোটা ইমামবাড়ার উল্টোদিকের
সূর্যাস্তকে ডিসটর্ট করে
ঘুড়িটি সত্য
আমি সত্যের কাছে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম
উড়ে যাওয়া—শুধু এক জরুরী অবস্থা
সাতাত্তুরে মানুষেরা জানে
ব্যবস্থা ছাড়া কোন অবস্থাই
সত্য নয়
সময়, অবস্থান
ঘুড়ি
কথা

পারীতে লেখা কবিতা - মপার্নাস

আচমকা টান পড়েছিলো জলমগ্ন ছিপে
আর কোথাকার মাছ এখন কোথায়
জীবনের কোথায় কি ঘটেছিলো সব তো জানা যায় না
শুধু বয়সকালের বুরুশটান এক সেজানের কথা বলছে
যার মিহির প্রয়োজন এখন কম সময় কম
সঠিক রঙ অভিব্যক্তি পরিমিতি চায় মোটা ঘষাটান
রঙ্গঝর্নার অনর্গল এক কুলকুচি ভূদৃশ্যের পেছন যে মা প্রকৃতি
তার বেয়াদপ রঙ্গিন ছেলে

অনুশাসন তবু থেকে যাচ্ছে
পরাজয়
টেকনিক ছেড়ে দিলে কি থাকে ছায়াবাদীদের বুর্জোয়া ছবিতে
একমাত্র গিয়ামোঁ ছাড়া
প্রজন্মের পর প্রজন্ম অধিবাস্তব কবিতা
ব্যকরণ ভাষা নিয়ে কিছুই করেনি
মাইল মাইল খুঁজে রু কাম্পেন-প্রেমিয়েরের মুখে আমি
যে রাস্তায় ৫২ বছর আগে মিশেল পোয়াকার তার শেষ ছুট
গুলি খাওয়া শেষ রীল
তাবৎ পরীক্ষার পরেও নবতরঙ্গ গোদার একটা গোদা গল্প বলে
নিয়মভাঙার নিরাপদ আস্তানা অপরাধপ্রবণতা
রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার
বিধি আছে থাকবে
আমার গণিত তার অভিকর্ষ খুঁজে পাবে
পায়

Thursday, October 13, 2011

স্মৃতিলেখা - আরো

আসক্তি এক ঝুলন্ত অবস্থাকে চায়
ক্যান্টিলিভার -
যার শেষে কেউ নেই
সন্ধ্যার কাঠামো বোর্খায় কালো
শুধু মুখের দেদীপ্যমানা
প্রকাশিত
যে বারান্দা
গড়াতে গড়াতে
বনের মজ্জাকে নীল স্প্রুসকে কালোর দীপ্তিতে একাকী
যোগাযোগ ব্যবস্থা এভাবেই পুনরুজ্জীবিত
যখন সব ঘরে বিদ্যুত আসছে
এমনকি তুলসীতলায়
পিলিয়ন রাইডার হচ্ছে রীনা ব্রাউন
আর এই অসমাপ্ত পথ যদি না শেষ হয়
যদি বাংলা গানের ধারাবাহিকতা
এসে বলে - গভীরে যাও
আরো গভীরে যাও
তবে কেমন হতো বলোতো ?
তবুও কি ক্যান্টিলিভার জঙ্গলে এনে দিতো অসমাপ্ত ?
তবুও কি এ বাড়ির সব ঘরে সারাক্ষণ
শতজল ঝর্ণার ধ্বনি প্রবাহিত ?
আর আমরা কলেজ স্ট্রীটে
বিমূর্তের প্রকাশনালয়ে
সারাদুপুর লাইন দিয়ে
কিনে নিতাম অনুপমের মানে বই ?

স্মৃতিলেখা - শুরুটা

একদিন চা করছি
তখন যে ভোর হলো
সেখানে সব গাছ পোড়া পোড়া
তার যে ধোঁয়া ভিজে ভিজে
নামান্তরে কুয়াশা
তার লিপিবদ্ধ চিরে আমার পেছনের বাগানে
একটা মা-হরিণ এসেছিলো সঙ্গে তার পাঁচ মেয়ে
তারা কেন এসেছিলো সে তোমাকে বলতে পারবোনা
কেউই পারবেনা

আমার কি মনে হলো সেটাই বলি ?
... ... ...

Saturday, September 24, 2011

arekTi choTo lekha

দূর কোনো ভিতর জেনে আমার সেই কবে
থালাভরা শামুক বসে আছে
খুলছিনা . . .
আসো ঝিল দেখি। কিন্নর, এমনকি বেড়া তুলনা করে বলি, আমায় যখন ডাকা হলো
পলেস্তারায় রঙ শুকালো

কেউ নাই
বিমানের খেলা দেখতে গেছে
ভুট্টাক্ষেতে জেটের ছায়ায়
বেড়ার পর বেড়া শুঁকে দেখলো গোয়েন্দা পুলিশ
তেমন কেউ নাই, গোয়েন্দা জানালো
খামারবাড়ির আকাশ কি শাদা
টিলার ঢাল ধরে পাতা ঝরেছে
কলের শব্দ। অন্ধ বৃদ্ধা। আর বড় রাস্তায় চিলের মতো নেমে আসে এলুমিনিয়াম

কেন আসি ... আসলে তো টানেনা কিছুই
জমজ ঘুলঘুলি, একেকটা অনুক্ত আকার, একেকটা পিছে ফেলা
টিলায় বলেছিল
আমায় বলেছে হারিয়ে আছো তুমি এইটাই পাপ
গাছ বোনো
কাপড় মেলে দাও। কুকুরগুলি নতুন লোক শুঁকে শুঁকে দেখে
আমাদের শামুক ঠান্ডা হচ্ছে

Tuesday, September 20, 2011

ডুয়েল

প্রেক্ষাপটে মিছিল


সম্মিলিত ধ্বনিতরঙ্গ


জীবন


মৃত্যু


কোলাহল


ক্রিয়ারা অসমানতা চাইছে প্রতিক্রিয়ার কাছে



ক্রমশঃ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি



বিষণ্ণ এন্ড্রোমিডা প্রমিত প্রক্ষেপে নিজেকে সামিল করে অনায়াসে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে মানুষী সত্তার প্রতিকৃতি



স্বয়ং হাত পা মেলে


প্রতিষ্ঠিত হয় স্বতন্ত্র মাত্রাবোধে



ওই দেখো পথ আছে কিন্তু হাঁটে না প্রত্যেকটা পথ নিজেকে ভাঙে ঠিক যেখানে এসে একটা স্থিতি খুঁজছিলাম



টুকরোরা উড়ে যায় হাওয়ায়


যেকোনো টুকরো বেছে হাওয়ামহলে জেগে ওঠে হাঁটাপথ


জানো, কংক্রিট কোনো দরিয়া গড়েনি কোনোদিন



প্রত্যেকটা মোড়ে সারি সারি মন্ত্রসম্ভাবনা। জল সার মাটি কুপোনো কর্ষণযোগ্যতা



ডুয়েলের আহ্বানে ক্লান্ত লাগে আজকাল



তোমার মতামতের অবস্থান কোথায়? কোন বিন্দুতে স্থির হয়ে আছো হে?



আমি


সূচনায়


পরবর্তী অধ্যায়


সূচনা কোনো ইতিবৃত্ত নয়


পরম্পরা রেখে রেখে নিজেকে বিন্যস্ত করার ঝোঁক



স্নায়ুতন্ত্রের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে


প্রেম


আয়না


চাঁদ


ত্রিনয়নী বিভ্রম



উদাসীন জলাবর্তের সূক্ষ্ম তন্তুরা জট পাকিয়ে আবসার্ডিটির চেহারায়



পূর্বনির্ধারিত জলতল সরে গেলে


জেগে ওঠে সমবাহু ত্রিভুজের কৌণিক অবস্থান


প্রতিটা বাহুর মান ধরে রাখে


প্রত্যেকটা কোণের অভিমান



কৌণিক মাপ আর মাপের অভাব নিয়ে তুমি প্রশ্ন তুলতেই পারো। চাঁদের ছায়া যদি ঢেকে ফেলে আস্ত চাঁদের মুখ আমি ফিরে যাবো না ইতিহাসে



পূর্বকথন হেঁটে যাবে নির্মোহে


লক্ষ্যহীন জ্যোতির্বলয়


হয়ত কোনো একদিন


খুঁজে নেবে নিজেকে


Monday, September 19, 2011

    বিবমিষা
     
কাচের শার্সিতে তিনটি
আঁচড়ের দাগ পড়েছে।
পাশাপাশি।
স মা ন্ত রা ল
বলা যায়,
মানে লো্ক, যারা বিজ্ঞান টিজ্ঞান, বোঝে টোঝে
তারা অমন কিছু একটা বলবে আশা করাই যায়।
কাচের বাকি অংশ উজ্জ্বল মসৃণ। ঐ তিনটি
স ম বে গী
রেখা বাদ দিলে- সে অংশগুলি সূক্ষ্ম ধূসর।
প্রতিসরিত আলো ভোঁতা করে।
      
         
মাটির নিচে থাকাকালীন, লোক
অদৃশ্য হয়ে থাকে।গাছ যখন পর্যাপ্ত ওঠে,
সে মাটির উপরের বাহুল্যবোধে বর্জিত
অগ্নিমুণ্ড থেকে পৃথক তো বটে।
দৃশ্যমান। উল্লাস দিয়ে আনন্দমুখ ঢেকে
দেওয়ার পক্ষে বেমানান। যখন তখন
গরদে নিস্পৃহ বৃষ্টিদাগের মতো ফুটে থাকে।
দোকানের সাজখোপের মাপজোপকারী মিস্ত্রী’র
মতো, প্রথামত, প্রথম যাকে দেখলে ম্যানিকিন
(মতান্তরে কুইন)বলে ভুল হয়; হয়েছেও হতে পারে
কাচের ও প্রান্তে সে ভাপ ছাড়ে ধূসর, নষ্ট। গো্পন নথির
মাংসপোড়া গন্ধের মতো স্পষ্ট। কিন্তু সে অস্পষ্ট আঁচড়ে
আঙুল চালানো হলে,
তিনটে লাইন-
হবে কি আঁচড়ের
স ম কা লী ন?
      
নিরুপদ্রপ বিচারপতির
স্থিরকৃ্ত্য দেখে এ মনে হয় যে,
আমার প্রোথিতযশা বিনয়
নিদর্শনসম্বৃদ্ধ ঐতিহাসিকতা। খুলে এলে,
(মতান্তরে গেলে)দেখা যায়, তুষের ভাপ।
কর্পূরেরও হতে পারে। সে গরাদের লম্বা সারির
মাঝমধ্যে আমার গলে না যাওয়া ফাঁক।
লোহার দণ্ডে আঙুল টানলে আঁচড় হবে কি?
         
জানাশো্না মধ্যেকার বিস্ফো্রণে
হঠাহঠা চমকে যেতে হয় আজকাল।
নিদারুণ চ ম ক। দীর্ঘ ঈ-কারের প্রশ্বাসিত,
যে ম ন, খু------ব, সেরকম। শুধু এই নয়,
যে কোন কিছুই হয়ে যেতে বা দিতে পারেঃ টেনে
নিতে পারে ধূসর দীর্ঘায়িত দাগ—
এখন,

ভিতরে তো আঁচড় কাটা যায় না...

Wednesday, September 14, 2011

চয়িত ফুল

গোলাপের লাল।
গোলাপের মেরুন রংটা না।
আমি যথাসময়ে কলম খুঁজে পাই
স্নিগ্ধভাবে গান খুঁজে পাচ্ছিল গোলাপের লাল

খুব করে সতেজ যে ডানাটা
সেটা বঙ্কিমতায় কাঁপা
স্পষ্ট করে গল্প খুঁজে পাচ্ছিল হৃৎস্পন্দন

দুপুরে শুটিং ইউনিটে বহু লোক জমেছিল।

*** *** ***

এইভাবে খুচরোরা রোদ বিলিয়ে দেওয়া
রোদ হাসি তামাশা
একটা রোদ একটা কবিতা অনুবাদ করল
আরো এক তার পিছু পিছু
কৌশলে বেঁকে যাওয়া মূখ
খুব সবল ভাবে স্নিগ্ধতা বুকে ঘাই মারল

*** *** ***

আমি আর আমি নিয়ে কবিতা লিখবনা তাই
সেই মোটরবাইক অনুবাদ করতে পারবনা

অনেকটা সার্জেন্টের মত তার পোশাকও
বিদেশী সার্জেন্টের মত চামড়া নির্মিত
তুমিকি মহিলা পুলিশ ছিলে?

মহিলা সার্জেন্ট এত কোমলতায় কিভাবে
না আগলে রাখলে এত কোমলতায়
বয়স কি নির্বাপিত হয়না?

*** *** ***

নাহ বহু বিবশ রজনী দিন
আমি একটা প্রেম সেরে
উঠেছি এখনো হাত থেকে
রক্তের দাগ গেলনা তাই
প্রশ্বাস এতটা ধুসর

প্রশ্বাসে ঢেকে যাওয়া দরজা তাই
উত্তর দিতে পারিনা পারিনা
একটা ধুসর প্লেটে নিয়ত
খাদ্য জমা হয়
হাতঘড়ি জমা হয়
পুরানা থেকে নতুন

*** *** ***
কিরকম যেন ক্লাসরুম বুড়ো মানুষেরা
মানুষীরা অতটা বুড়ো নয় তবে আইবুড়ো
না হলে মানস নির্মিত হলোনা সেখান
থেকে উঠে এলে ক্যানো তুমি
মধুসুদন তুমি মধুসুদনের চয়িত ফুল?

*** *** ***

এর বেশি লেখা হলোনা ঠিকঠাক অনুবাদ করতে গ্যালে বলতে হত শষ্য ঘাস ফুল একটা রান্নাঘরে লাল গেঞ্জী পরা রাধুনে লোকটা তার বৈশিষ্ঠ্যের কারণে কার্ত্তিকে লাস্যময়ী গলার কাছে বাঁধা থেকে যায় নাকি গর্জায় কোন স্পন্দনে কৌশল হলো রূপা নির্মিত আংটি থেকে সরায়েছ যে মূখ

কেউ সরাল না কতিপয় কাক দাঁড়কাক এলো উড়ে উড়ে টিভি চ্যানেলের ফাঁকে স্তব্ধ করো স্তব্ধ করো যত বাক প্রতিমাকে বিদ্ধ করো দুপুরে যদি ঘর থেকে যায় খালি কারো কোনো অসুবিধা তাতে?

নয় নয় শূণ্য তাতে নষ্ট নয় স্নিগ্ধ মানসিক সুর এসে মিলে গ্যালে ঢিলা দেয়া যায় তাতে রক্তকরবীর রাজা তুমি ইষৎ তারে তারে কয়টুকরা হয়ে নৃশংস ভাবে ঝুলছ

*** *** ***

কোনো কথা নেই লাল বালতি ভরা
চয়িত ফুল নাই আশ্বাস তোমার
বুকের উপরে আছড়ে উঠতে পারে
তীক্ষ্ণ চোখে দেখা না গেলে না গেলে না
মুক্তি নাই হাসপাতালে হাত
কামড়ে মর কেন
চয়িত ফুল?

Tuesday, September 13, 2011

নতুন শহর

এক

ঘরের কোণে পড়ে থাকা একটি কালো প্লাষ্টিক ব্যাগ
আমাকে গভীরতা শেখায়
ভিতরে পচতে থাকে প্রিয় - প্রিয় স্বাদ, প্রিয় বর্ণ
প্রতিফলন শুষে নেয় তবু
কালো ব্যাগ চকচক করে
নতুন শহরে ময়লা ফেলার দিন কবে?
আমি সোমবারের অভ্যস্ত হাতে গুটিয়ে
নিয়ে গিয়ে দেখি এখানে দিনরাত
ফেলা যায় অতীতের প্রয়োজন
কালো ব্যাগ গুটিয়ে যাচ্ছে
ভিতরের ধাতব ময়লা চাকা
কুঁকড়ে দিচ্ছে প্রিয় স্বাদ, প্রিয় বর্ণ
আমার উপলব্ধি হয় প্রিয়ের গুটিয়ে যাওয়া দেখাই
গভীরতার সঠিক পরিমাপ শেখায়

ভাবতে থাকি আমাদের শোকের রঙ কালো নয় কেন!
বা তীর চিহ্নের ব্যবহার শুরু কবে থেকে
শোকার্ত মানুষ কদিন ময়লা ফেলতে ভুলে যায়
এদের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টায়
আমার খাতায় আসংখ্য তীর এঁকে শোকার্তকে দেখাই
ও জিজ্ঞেস করে তোমার খাতার উত্তর দিক কোনটা?
আমি উপলব্ধি করি শোক এক প্রতিবর্ত ক্রিয়া মাত্র
প্লাষ্টিক ব্যাগটি যে কোন রঙের হতে পারত
এখনো কিছু মানুষ দৃষ্টিনন্দন নিয়ে ভাবে, শোক নিয়ে ভাবে
আমি ভাবি প্রচলিত অভ্যাস
নতুন শহরে ময়লা ফেলার কোন নির্দিষ্ট দিন নেই
তবু সোমবারই কালো ব্যাগটির গুটিয়ে যাওয়া
দেখতে আমি তীর চিহ্নটি অনুসরণ করি
ময়লা ফেলতে বাকি সবাই দৃঢ় পায়ে আসে
-------------------------------------------------------------------------------

দুই

দূর শহর কখন আপন হয়ে ওঠে
কখন তুমি হাততালি দিতে শুরু কর – একসাথে,
ওদের সাথে যারা বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখে গাছ আর মাটি
আর ফুল - চেনা রঙের, কিন্তু তুমি নাম জানো না
নতুন ওরা তোমায় শিখিয়ে নেবে ফুলের নাম
তুমি আপন হয়ে উঠবে, হাততালি দেবে
সময় দেওয়া বাগানে এককোণে দুলতে দুলতে
আমি তোমাকে হাততালি দেওয়া শেখাতে থাকি
প্রতীক্ষা - প্রতীক্ষা আর পর্যবেক্ষণ
হাততালি এক ব্যবহার
হাততালির ব্যবহার

নতুন শহরে বিমর্ষ মানুষেরা অন্যরকম
অথবা এখানে বিমর্ষ কেউ নেই
যারা হেঁটে যায় যন্ত্রে, অবলম্বনে
তারা হাঁটতে হাঁটতে কি ভাবে?
যন্ত্র, অবলম্বন, নাকি হেঁটে যেতে পারাটাই!
ওরা যদি আসলেই কিছু না ভাবে
তাহলে কেন তাকিয়ে দেখে না রাস্তার ধারে জানালার
গাঢ় বাদামী গোলাপগুলি মাঝে মাঝেই পাল্টে যায়
কিংবা ওরা দেখে
গোলাপের পাতার ভিতর দিয়ে একটা বড় পর্দা
জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে আছে

মুখের ভাব পরতে পারি না
চোখের ভাষা ও বিরক্তি সম্পর্কিত প্রবাদ বাক্যও
মনে রাখার জন্য আমি বিমর্ষ মানুষ
খুঁজতে বেরিয়ে দেখি নতুন শহরে
বিমর্ষ মানুষেরা অন্যরকম
বিমর্ষ হবার কারণ গুলোও অন্যরকম
আমি তোমায় বোঝাতে থাকি
হাততালি এক ব্যবহার
বিমর্ষ থেকে হাততালি কেবল ব্যবহারই করা যায়
-------------------------------------------------------------------------------

তিন

রেকাবের উপরে রাণী ঘুরছে টেবিল থেকে টেবিলে
আমি রাণীর মুখটা দেখছি মোটা কাঁচের অন্যদিকে
লোকটা আবার একটা নোট গোল করে রাখল গ্লাসে
ও কি জানত
বিলম্ব কখনও কখনও নির্ধারক ভূমিকা নেয়!

টেবিলের লোকগুলির রসিকতাবোধ নিয়ে ভাবি
সব নোটেরই অভ্যন্তরে মুড়িয়ে যাবার প্রবণতা থাকে
পিৎজার দোকানটিতে ছয়টি পাতা উলটে
এক অন্তর্গত উপলব্ধিতে বলে উঠি
পছন্দ বেশী থাকা ভালো নয়!
লোকটি দাঁড়িয়ে আছে
হয়ত আমার রসিকতাবোধ নিয়ে ভাবছে
রেকাবির উপর রাণীর দিকে তাকিয়ে বলি
এখানে সব পছন্দের ভিত্তির দশটাই তো উপাদান!

লোকটিকে দেখে বিরক্ত মানুষের বিষয়ে শেখা উপদেশগুলি
একটাও মনে করতে পারছি না
আরও কিছুটা সময় কিনতে চাইছি
আমি ষোল আর পঁচিশের পার্থক্য জানতে চাইলাম
ও রাণীর মুখটা আস্তে আস্তে ঘোরাচ্ছে
যে উপাদানগুলি চাই না মনে মনে তার একটা তালিকা তৈরী করে
আমি ওকে আটাত্তর নম্বরটা আনতে বলি
উপস্থাপনা ও রসিকতাবোধের মিথোজীবিতা নিয়ে ভাবা
রাণীর মাথায় কি মুকুট ছিল?

রাণীদের মাথায় মুকুট থাকাটা শুক্রবার সন্ধ্যার খবর হতে পারে না
কেউ মুখের দিকে তাকিয়ে ফরমাশ ভা্লোবাসে
কেউবা বাড়ির অভ্যাস ঝালিয়ে সম্মতি চায় উপাদানের
লোকটির এসব চেনা, তাই ও রেকাবে মনোনিবেশ করে
গ্লাসের ভিতর রাণীর মুখটা ঘুরিয়ে দেয় অজান্তে
আমার প্রশ্নের উত্তরে জানায়
মুকুট বিষয়ে ওর বিশেষ কিছু জানা নেই এখনো

ও মুখের দিকে তাকিয়ে আছে
আমি সময় কিনছি
বিলম্ব এখনও মাঝে মাঝে রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে
----------------------------------------------------------------------------------

চার

গাড়ী থেকে কুকুর নামিয়ে নিচ্ছে মালকিন – কুকুর মনে করছে সে পথ দেখাচ্ছে
মালকিন চলেছে ওই পথে যেদিকে তার বন্ধুরা এগিয়েছে
কুকুরটি মনে হয় আয়না দেখতে জানে
বারান্দায় আমি বাইরের তাপমাত্রা মাপছি
সব ফুল অচেনা ফলতঃ গ্রীষ্মের শেষ আজানাই থেকে যাচ্ছে!
এখন সময় বলে কিছু হয় না, তাই অসময়ও তার গুরুত্ব হারিয়েছে ব্যবহারহীনতায়
মালকিন বলার পিছনে আমার ভিতর কিছু মধ্যবিত্ত বোধ কাজ করে
বোঝাতে থাকি গাড়ী থেকে যারা নেমে আসে
তাদের কোন ক্লাস না থাকতেও পারে –
আমারও একটা গাড়ী রাখার জায়গা আছে
কি রঙ ভালোবাসো তুমি?
আমি গ্যারাজের ভিতর রঙের পরামর্শ চাই
লোকটি তাকিয়ে আছে – ও জানে হাসিমুখে থাকা কখন জরুরী
কিছু কিছু পুরুষ এখনও আয়না ভালোবাসে

আমি বারান্দায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে
ক্রমশঃ মধ্যবিত্ত বোধ কাটিয়ে উঠছি
একটা চেয়ার টেনে নিই – কিছু ফুলের নাম জেনে নিতে হবে
আমার কাছে এদেশের কোন গ্রীষ্ম নেই
তাই ফলের সাথে ঋতু মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধহীন থেকেছে
সমুদ্রের জল ঠাণ্ডা নয় এমন জায়গায় ছুটিতে যাই
কখনও ভাবি নি কুকুর পোষার কথা
স্টেশনের লোকটা কম্বলের উপরে কুকুর রেখে ভিক্ষা করে
কুকুরটা মনে হয় কোনদিন গাড়ী চাপে নি
ওর মধ্যে কি বিত্ত বোধ কাজ করে?
ও জানে মালিককে ও ভিক্ষা করতে সাহায্য করছে
মালিক কি জানে কুকুরের বিত্তবোধ?
মালিক বললে আমার ভিতর কোন বোধ কাজ করে না
একেই কি শূন্যতা বলে!
যদি কেউ ইচ্ছেমত ছুটি নিতে পারে তাহলে সে কতটা স্বাধীন?

আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে কুকুর শূন্যতা বোধ করলে সে কি করে
যদি তার মালিকও শূন্যতায় ঢুকতে চায়
তাহলে কি ওদের বন্ধন দৃঢ় হয়!
বন্ধনের একক কি?
মালকিন বন্ধন ছাড়লে কুকুর ভাবে পথ দেখাচ্ছে
অথচ ওদের কারও চোখেই শূন্যতা নেই

আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
শূন্যতা বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে উঠি
নীচের দিকে তাকিয়ে

Monday, September 12, 2011

-১১-

১১

“ওই ছোট দ্বীপে যদি যাও – আকাশ পাখি খাঁচা
সব ভুলে যাবে। চেনা শলাকাগুলো আলাদা করে গাঁথা লাগবেনা”

জ্যোৎস্নায়, চুরুটের গন্ধে পোকা এলো
পাতা ঝরছে
এক মনে কত লোক ডাকলে চলে আসে
ঘুরপথ, দরোজা ভেঙে ঢোকে
গয়না খুলে গয়না পরানো

তোমার বাড়ি বদলের দিন কোথায় ছিলে তুমি। কাঁচা হাতের লেখাগুলি
কাগজ ভেবে আঁটি বাঁধলাম
দেরাজ সরালাম
সুগন্ধি শিশি, ছুরি, টোস্টার, আরো নানান কুণ্ডলি . . .

বলে লাভ নাই। চায়ের কাপ হাত পিছলে একাকার
সিরামিক ও মেঝে। শত মুছলেও আনাচে কানাচে কিছু বিন্দু থেকে যাবে
হোক রঙ, হোক পায়ে বিঁধবার কলি, নতুন ভাড়াটে জানবেই
ভ্রমণ নিজেকে পর করে. . .
বৃথাই বেড়ানো
কীসের কথা বলো
বড় হচ্ছে কার পরের কর্পুর – আকাশ পাখি খাঁচা – হাত পিছলে কেন, কোথাও পৌছতে কেন
ধরা গেলে, সরে গেলে, চলে যায় না, দাঁড়িয়ে থাকে
না চাইলে অনর্থক ওই সন্ন্যস
দ্বীপের আগে ভাবতে লাগে পানি
বোকার মত আমি প্রতিটা শব্দ নিয়ে যাই ফিতার শুরুতে বার বার
সারা রাত পোকা আসে, চুরুটের গন্ধে, না চুরুটের আলোয়
আমাদের মনে পড়ে – তুমি কতবার ঘৃণা লুকিয়েছো
নিদ্রাবয়ানে সব ফাঁস হয়ে যায়, ভুল কথা, তখনো রোধ কাজ করে
ফুলকার অনন্যোপায় তট
ফিরে যাওয়া বালুকুণ্ডলি – তুমি দেয়ালে কান পাতো
নানা গয়না আছে – দুল, চুড়ি, আয়ন, জ্যোৎস্না, ভুলে থাকা
আমরা দুইজন পাতা ঝরা দেখি। ভুলে থাকি

Friday, September 9, 2011

কামড়

ধ্বনি জ্বলে আপেল বাগানে
নিরাময় হয়ে ওঠা সেই সব ধ্বনি
আকরিক তামা
তামার খনিতে গজিয়ে ওঠা কৃষ্ণতুলসী
ফলের মজ্জার দিকে তাক করে
গান ও রণন
ফলশ্রুতি
খুনী নেমে আসে
ফল ও শ্রুতির প্রতি
নির্মোহ

তার কামড়ের গঠন
উদাসীন
--
ঘুমাও, ধাক্কা দিও না
জল পড়ে যাচ্ছে বাথরুমে
বাইরে বৃষ্টি পড়ছে
খুনীর পায়ের ছাপ স্থগিত রয়েছে
আমাদের হাতের মত নির্মোহ ছাপ
জল উপচে উঠছে বাথরুমে
বাইরে আলো সাঁতরাচ্ছে
কেউ আসে নি, কেউ আসবেও না
ও শুধু ঘুম ধাক্কা দিচ্ছে দরজায়
এ ছাড়া আর কিছুই থাকার কথা ছিল না
এ ছাড়া আর কিছুই থাকে না

প্রতীক এসে ঘুরে গিয়েছে সন্ধ্যেয়
কামড়ের শব্দটুকু পড়ে আছে
দুধের গেলাসে
--
আছি, তাই সমস্যা রয়েছে – গতিপথ, ভবঘুরে, ট্যারচা শহরে টনটনে ফুল—টার্মিনালে ঘুমন্ত বেহালাবাদকের মুখে চ্যাপলিন গোঁফ আর ছায়া – আর ছায়া – সমাধানের প্রকোপে তিরতির – একরত্তি । এসময় ভারী মোক্ষম হয়ে ওঠে দুপুর, পায়ে পায়ে জলের দিকে এগিয়ে যাওয়া বেড়ালের স্বপ্ন, বেড়ালের স্বপ্ন থেকে পালিয়ে যাওয়া মাছ । আর ভাবতে খারাপ লাগে এই বিজনের মধ্যেও হস্তক্ষেপ হয়ে আছি, সমস্যাসমেত ।

যেভাবে থাকতে চাইনি – জলে অবসর ছুঁড়ে দিল কেউ—নড়বড়ে আলো –সর হয়ে ওঠে গতিপথ । গতিরা কোথায় যায় ? আকারের পাশে বসাবার মত প্রকার – প্রকারের অন্তর্স্থলে ঘন হয়ে ওঠা ভেদ, সমাধান ।

আছি তাই সমাধান নেই বা সমাধান আছে তাই আমি নেই –

যেভাবে থাকতে পারা যায় –ঈষৎ গণিতে, ঈষৎ প্রামাণ্য—বাকীটুকুর জন্য বরফ ঠেলতে ঠেলতে জমাট হয়ে ওঠা ছায়ার – কার্পণ্য জমে, অভিব্যক্তি, কুয়াশা, স্পন্দন – এই এক্ষুনি বৃষ্টি পড়ছে অবতল আয়নায়, কাল বৃষ্টি পড়েছিল উত্তলে ।

না থাকার যুক্তি নেই—বেড়াতে গেছে – রাণাঘাট লোকালে – মদনপুর, শিমুরালি, চাকদা, পায়রাডাঙ্গা—গীর্জার চুড়ো থেকে দেখা আমবাগান আর ফলসাগাছের ডালে লালশিরা – মুল্যাঁরুজের উইন্ডমিলের পাশে স্ট্রোবিং গোলাপি আলোয় গোপাল গিফট শপ । যুক্তি ভাবে ডন কিহো, আপদ শ্বাপদ, আর যুক্তিহীন আমি সরে পড়ি পিগালের বিবিধ অন্তরে । এভাবে ভাবতে পারা যায় –ট্রামলাইন দেখলেই গলা সুড়সুড় করে আর ধোঁয়াটে দারচিনির গন্ধ ঘুরে বেড়ায় হাতঘড়ি, বেল্টে, স্কার্টের হেমে –ছায়ার চোখের থেকে ধার করা আলোয় ধুয়ে ফেলি চোখ – রবি ঠাকুরের মত আমার চোখও গোলাপি গোপাল হয়ে ওঠে ।

গিফটশপ

তৃষ্ণা বসে আছে – ওইখানে যাও – পোঙাটি মারাও।

বার টেন্ডার, ধর্মেও নয়, সাম্যেও নয়, আমি জিরাফের খুলির ভেতর থেকে চাইছি নীল ছাপ আমার নীল অন্তঃস্থলে হলুদ হয়ে উঠছে স্নেহ, পদার্থ ও ক্রমে ভাসমান সাইকেল । দেরী নয়, হারপুন ছোঁড়ো । আর কিছু পরে চাঁদ ফুঁড়ে চলে যাবে স্পৃহা—বর্মসমেত । রুটি আর হালুয়া হাতে জেগে উঠবে শহর । সমস্যা । সমাধান । কামড় ।

Thursday, September 1, 2011

পরিবিষয়ী কবিতা


পরিবিষয়ী কবিতা

২৮ আগাস্ট ২০১১
১) ভিজে
আমিহীন হতে চায় আয়না-বিমুখ তুই কোথায়? যেই এলি এক ঘর আমিত্ব গড়াগড়ি। তোকে পেতে দেব রাস্তার মত অজস্র ঘর বাড়ি। একটু দাঁড়া দেখে আসি কোন বিকেল হয়েছে দোকানে, এখানে দাড়ি কেটে গেছে কিছু বিপ্লবী আর সেলুনে রেখেছে নোটবই। ছোঁবোনা কাপড় তোয়ালে, ব্লেডগুলো সব ঘাড়ের কাছেই ঘোরাঘুরি, তুই আর একটু কিছু দাঁড়া। আমি চারদিক এই মই বাঁধা দেবতারা সব উঠেছেন, সিমেন্টে আর সেন্টিমেন্টে স্টোনচিপ দিয়ে গেঁথেছেন। আকাশ থেকে স্লিপ খেয়ে যদি দেবতারা এসে পড়ে? ছুটে আয় এই এদিকে আমার গাড়ির সীটেই ফেলে রাখ তোর মাথা। আমার শরীরে দেখ তোর মতো কেউ নেই আর কত্থাও তাই বারবার সেই ঘেরাটোপ তুলি গ্রীনরুমে ফেলি নিঃশ্বাস। বয়সের কাছে হেরে গিয়ে কিছু পাথর হয়েছে পুরনো, যে রেলিঙেই তোকে ঝুলিয়ে রাখুক জল পড়ে এই কাঁধে।
৩১ আগস্ট ২০১১
২) টবের মাটিতে
আমার প্রেমিকার মাথা কেটে কেউ আমার টবে পুঁতে রাখে তার মানসিক কিছু তার আমি কেটেছি বিগত অনেক জন্ম-মৃত্যু আগে। আমি হাউহাউ করে ফুল ফুটে ওঠা কান্নাকাটির মরশুমে দেখি সব ভালোবাসা তিন কোনা অথবা চার। আমার সিলিঙে গ্যালাক্সি ভাঙা তারা ছটফট করে উজ্জ্বলতায় পাশের তারাকে চাপে আড়চোখে মাপে। আমি মুখ গুঁজে শুলে পিঠে খসে পড়ে অগ্নিপিন্ড। জানলার দিকে তাকিয়ে সেই টব।
অনুপম রায়

Wednesday, August 24, 2011

সম্নিলকি ১০

১০.

হয়তো এমন আরো পাড়া আছে
দূরে ঠেললে হারিয়ে যায়, অব্যবহিত
যদি সহজ হতাম, চোখে পড়তো না, বা আমার এই ঘুঁটে তোলা বোকা বোকা সিঁড়ি
আরো সময় নিয়ে, সাজেদার শুকনা খোসায়
নিরিখে, বা যে আলো আলো না
সাজেদার মরে পড়ে থাকা
কাচি আর ধারের মধ্যে একটা কীলক আনো নিরীহকে পেতে
যদি সেই কেন্দ্র প্রিয় না হতো
যদি সিঁড়িঘরে সিঁড়ি ভাবতে, খোসা ছিড়তে
এমন ছিড়তে যেন আগে হাত ভাঙা ছিল। দূর বলে দেখতে পাও নাই

একটা সাদা কাগজে ধূলার নামে যা যা জমে – তন্তু, ভাঙা লোম, মৃত চামড়া
ওই শ্লথ আরেক অপেক্ষার ক্রম। দিন কেন, কেন লক্ষ্য আর যোগাযোগ এক করে ভাবা
রেণু, স্ফুলিংগ, ফলশ্রুতি। ঝড়ের শুরুতে বিজলি চলে যায়
যুক্তি যেমন। আর এদের ছাড়া অব্যবহিত চিঠি – ফিরে আসে অন্য কারো খামে
ভাবে প্রাণ
ছিপের দিকে অপলক

তবে কেউ কেউ অন্য কথা বলে
নখ কাটে
বা হয়তো একই কথা, শুধু দেয়ালে বহু আঁচড় পড়ছে। টোপ গেলায় সে ক্লান্তি নাই
চাপা আনন্দে লতাগুল্ম খুঁজি পানির ভিতর

কত কত লোকের সমান একেকটা স্নায়ু
ভেবে পাইনা, ঠিক কারা কথা বলে
আসলেই কি সহজ হতে পারি, নাকি অন্য কিছু
পর্দার কিনারগুলো তন্ন তন্ন করে প্রক্ষেপের বাইরে যেতে চাই
নাকি উৎস একটা মিথ ?
যেমন সাপ কিছুই ভাল শুনতে পায়না, তবু তাকে ঘিরে কি অদ্ভুত লিরিক গড়ে ওঠে
সুর হলো আত্মা, দুলুনি তার মঠ – সাপ বা সাপুড়ে এসব ভাবছে না, বাকিরা ভাবছে
দ্বৈতাদ্বৈতের অপেরা
ঘর ভাঙা ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করো, সে বলবে – যে কাউকে বদলে নেয়া যায় যে কাউকে দিয়ে

Friday, August 12, 2011

ব্লেডলিখিত সত্ত্বাচিহ্ন



পাবো এই বিশ্বাসটা থেকেই তো বেরিয়ে পড়া
দীর্ঘ শ্বাসাঘাতপ্রিয় এই প্রস্তরতা ঘিরে
কখনও পুড়ে যাওয়া অফিসবাড়িতে না মেলা মেয়ের মায়ের
ঘুরে বেড়ানো রেলস্টেশান
কখনও সিদ্ধার্থ বা শ্রীচৈতন্য
এরপর তীক্ষ্ণ আমিষ স্টিলের চাদর কে আকাশ বলে ডেকে উঠলে
রিভেট থেকে পেরেকের ঠিকরে ওঠা
উত্তাপের বশম্বদ কালো পাখি
নীল ধ্যাবড়া শিখার তাড়না পেয়ে কোথায় যে যায়!
আমাদের এইসব হ্রস্বদেহী সুরের খোলস
এদের কি গান বলা যাবে?

এরপরই একধরণের ভাষাহীনতার শব্দ ওঠে
পুরনো সমুদ্র থেকে যারা জ্বরের জাহাজে
ফিরে এসেছিল সঙ্গে ভারি ফল
রোগা মেয়েদের দীর্ঘশ্বাস
তাদেরই শরীরে আজ ধাতব আকাশ
একটানা রোদ লেগে ঝলসে উঠছে
পুরনো পাড়া নতুন তৈরি হওয়া চলাচল
এভাবেই বিকেলবিহীন দিন সিল্ক পুড়িয়ে চলে

আসলে বুকের ভিতরে একটা ব্লেড
দেবদূতের ফেলে যাওয়া পালক

অথচ তোমার রংচটা কোবাল্ট নীল
সাইকেল কোথাও চড়া সুর ধরে
একটানা বিলাবল বাঁধা থাকে বিকেল পর্যন্ত
এই যে উত্তাপ এই যে দ্বায়িত্ব পালন
লম্বা বৃষ্টিহীন মাঠে আঠালো সোনালি পর্দার ওপর
যে লোকটা দাঁড়িয়ে রইল তাকে কী বলবে?


১০

নির্মাণ করে নিয়েছি চলন
উদাসীনতার ফাঁকে ইলেকট্রনিক গান
দমকা টিয়াপাখি
কখনও কি স্পষ্ট হাওয়া দেয়?
দিক নির্দেশক কোনও ধুলো?
এইসব রাস্তাগুলো দিয়ে চিন্তা নিয়ে হাঁটা যায় না
অবরোহন বিঁধে থাকে পায়ে
চকিতে ফেরার পর মনে হয় খেলাগুলো আর নেই
ডাঙায় ফেলে রাখা নৌকা তারা
তাহলে কী বাকি আছে?
একটানা শব্দগুচ্ছ ক্ষয়াটে সাক্ষ্য দেয়
এইসব রাস্তা কি আমি চিনি?
বাড়ি তো সহজ উপমা
তবু চলন্ত ট্রেনে মাছি দেখলে
একধরণের কষ্ট হয়, চাক চিনে ফিরতে পারবে তো?
কেই বা পারে? এলোমেলো ধুলো ঝাড়তে গিয়ে
ফেরত যাওয়ার ব্যাগ তৈরি হয়ে যায়,
মাটি ও বীজহীনতা টানটান প্রস্তুত
এই ছিলার গায়ে ফেরা তো হলুদ কোনও সার্বজনিক ফুল
বিনীত সংঘাতে যাবে,
তার আগে ট্রেনে ঘুমন্ত মাথা লেখে
নেমে যেন বৃষ্টি হয়



১১

এইভাবে কবিতাগুলো প্রতিদিন সবুজ ডেলা হয়ে উঠতে চায়
প্রবল মেঘলা ভোরে নিভৃত বেড়াল এসে শুঁকে দেখবে

অথচ আমি তো শুকনো জঙ্গলের সামনে এখন
পাতায় পিছলে যায় রোদ রৌদ্র
কীটহীন ডালের অণ্বয়ে কোনও মাংসলতা নেই

আমাকে নতুন কোনও দেশ দেবে
এই উৎসবের নৈঃশব্দ্য?

শুষ্কতা কি নিঃশব্দ হয়?
ক্রমশ ধুলোর কাছে কর্কশ ব্যকরণ
হাতে পায়ে শুকনো কাটার দাগ
টুকরো রক্ত আমাকে কীকরে দেবে
সদ্য কলেজে যাওয়া মেয়েদের
চুলে খুশকি রোধক শ্যাম্পুর খোলামেলা ভাষা?

১২

পুরনো সজলতা আসলে পেপার ওয়েটে বন্দি গাছপালা
তীব্রভাবে ভেঙে ফেললেও তাদের স্পর্শ করা যায়না
ভাঙা কাচে মোড়া বিকেলগুলো পল্লবিত শিরায়
নতুন শহরে শীতল পাথর?
এখানে রাস্তাগুলো এলোমেলো হয়না কখনও
সামান্য স্খলনহেতু নিজে ছিন্ন হয়ে গেলে
রক্তাক্ত তালুর গায়ে বয়সের সন্ধি মুছে যায়
এ হাত কি চলন চায়?
চলমানতা কাকে বলব
ছোট দৃশ্যে আটকে থাকা গ্রীষ্মকালীন
সকালের খাঁ খাঁ পার্ক

নাকি স্পেস চিহ্নের গা বেয়ে
লেখায় চুঁইয়ে ঢোকা
শিখ তরুণের প্রভাতি চুল বাঁধা?

Thursday, August 11, 2011

ডুবোপাহাড়ের লগবুক

দূরে টর্চ জ্বলে
দূরে ছাই ওড়ে
টর্চের আলোয় বোঝা যায়
দূরে নিমগ্ন হয়েছে কথোপকথন
টর্চের আলোয় শোনা যায়
ক্রমিক হয়ে এসেছে বৃষ্টি
টর্চের আলো ভিজে যায়

মুখ মুছে ফেলি

বাতাসপ্রতিমা, এই আমি, এই আমার ঘটনা, আক্রান্ত গোধূলি, ক্ষণ, পর্ব ও পর্বের অতিরিক্ত ক্রমাটে গড়নে ক্ষারচিহ্ন, প্রার্থনা, মনে রাখা সংক্রান্ত জটিলতা ।

আর এই আমার চলে যাওয়ার স্টাইল—যা নিয়ে ভাবার অবসর অন্য কেউ পাবে ।

পাবে, ঘটমান বারে
সূর্যমুখী মদ স্যাক্সোফোন
প্রতিভা, কৃতিত্ব
বাথরুম সংলগ্ন প্রমা
যার নিত্যবসর
মুখ গুঁজে মুখস্থ করে
হেরে যাওয়ার পদ্ধতি

দূরে টর্চ জ্বলে
দূরে ধাবমান মুখ
মুখের সারির মাঝে
নীলরঙ্গা ডুবন্ত জাহাজ
বন্দর হারিয়ে যাওয়ার স্মৃতি, আফশোস
এ সমস্ত
টর্চের আলোয় দেখা যায়

বাতাসপ্রতিমা, আমার নিরক্ষর হাতে মানানসই হয়ে আছে ভার, অভিকর্ষ। নীচে জাল নেই-- ট্রাপিজের দিকে ঊড়ে যেতে যেতে এই আড়ষ্টতা মায়াময় লাগে ।

--
এরপর সম্পূর্ণ নিরস্ত্র করে দেয়া হয় তোমাকে । ছুটির দুপুর হাতে ধরিয়ে তোমার ওপর লেলিয়ে দেয়া হয় সিলেবাস সমেত স্কুলবাস । আর সমস্ত যৌনতামাতৃক কারখানা দু’মিনিট শোকাভিনয়ের পর অভ্যাসমত ফের ঝুলে পড়ে সিলিং ফ্যানে, আংটায় ।

ভেবে দেখেছি, যে কোন দাবীই ভ্রমণ
বাড়ায়, নিজেও জংলী হাওয়াই প’রে
ঘোরে মেট্রোর তৃতীয় লাইনে, দড়িতে, আংটায়, কশেরুকায়
পৃথিবীর সমস্ত সরণীতে সৌন্দর্য হাঁটে আর আমাদের
বয়স বেড়ে যায়
দড়ি, আংটা, কশেরুকা সব জীর্ণ হয়
লেনিনসরণীর মোড়ে ঘড়ঘড় করে ওঠে
রেডিও, রেডিওতে—সলিল, রেডিওতে-- অন্তবিহীন

যখন চরাচর শূন্য হয়ে আছে, কোন স্মৃতি আর খুঁজে পাচ্ছে না তোমায় -- তখন বরফ পড়ে, বরফের ওপর লাল জুতোর ছাপ প্রকট হয়ে ওঠে – কচি ও চপল, স্থানে স্থানে অগভীর সেই সব দাগ – একা নেকড়ের মত মোহময়, দিন শেষের বিরক্তির মত করুণাময় ।

--
ওখানে আগুন জ্বলছে । ক্রমে স্থির হচ্ছে রাত । থিতু হচ্ছে । আমাদের সুখী হাতে শূন্যতা ভালো মানায়। ওখানে শূন্যতা জ্বলছে, সবুজ বর্ষাতি, কটু ধোঁয়া
আমাদের প্রাকৃতিক হাতে ভালো মানায় সখ্যতা

পর্দার ওপারে
কেউ পায়চারী করে
আমার স্মৃতির মত
ওটা আমি নই
আমার সন্দেহ
প্রকৃতি সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য
জানে না
ফলে কোন সখ্যই স্বচ্ছন্দ নয়

ওখানে আগুন জ্বলছে । ক্রমে উদ্বায়ী হচ্ছে রাত । প্রেরণা হয়ে উঠছে । আমাদের বিক্ষত হাতে প্রেরণা ভালো মানায় । ওখানে প্রেরণা জ্বলছে, নীল বর্ষাতি, কটু ধোঁয়া । পর্দার ওপারের ছায়া তিরতির কাঁপছে
শূণ্যতায় হাত সেঁকছে ।

এ সমস্তই এক সিনিকের কথা
যে জানে
গভীরতা একটি খাদ মাত্র
উঠে আসার এক মাত্র পথ আরো নীচে
গভীরতরতায়
--
মেয়ে হ’লে দু’ডজন নাকছাবি দিয়ে
বলতে পারতাম
পরিস দু’খানি
বাকি গুলো হারিয়ে ফেলিস হলুদ কলুদ বনে
--
শূন্য চোখ সমেত বদ্ধপরিকর সূঁচ
অণুসরণ করে খড়ের গাদাকে
তার প্রেরণাও রাত
শেষের এক সিগনাল মাত্র
আর প্রেরণার ব্যক্তিগত
সূঁচ আপ্রাণ হারিয়ে ফেলে নিজেকে
পাহাড়ে, সৈকতে, বাথরুমে, ঠা ঠা হাসিতে
নাক ফোটাবার নিমিত্তে
আর কিছুই পড়ে থাকে না ।
--
নিদ্রাতুর হেঁটে যায় উট
স্বাচ্ছন্দ্য পেরিয়ে যাওয়া
সেই সব হাঁটা
হলুদ কলুদ বনে আমাদের কলকব্জাগুলো
বেড়ে ওঠে
আফশোসহীন, প্রেরণার আতিশয্যহীন
এই সব আপাত পূর্ণতার মধ্যে
জনসমাগম হয়
বসতির গন্ধ ছেয়ে যায়
কাঁটায়, লেবুর ফুলে
প্রাকৃতিক সমস্ত টানাপোড়েনের মধ্যে
পাতা পোড়ে
উদ্বায়ী পাতা
--
এর পরেও কী একটা মন্থরতা প্রাপ্য হয়ে উঠবেনা – আমাদের
পরিবেশগামী মানুষেরা জলে নামে
পরিচ্ছন্ন জানু ও বাহু তাহাদের
পরিচ্ছন্ন তাহাদের অবকাশ

দূরে টর্চের আলোয় দেখা যায়
মেট্রোর তৃতীয় লাইন
আর একজন তৃতীয় কাউকে খুঁজছে
সুড়ং-ট্রেনের মত
দ্বি-স্তন প্রাণীদের জানা
পৃথিবীর তাবৎ প্রেরণা তৃতীয়
শাবকের কাজে লাগে
--

--
বাঁকের কাছে এলে সব সরল হয়ে ওঠে
অনিশ্চয়তা বলে কিছু বোধ হয় না
বিলুপ্তির দিকে বাড়িয়ে রাখা হাত
বুঝতে পারে – গাঢ়তম অন্ধকারও হারিয়ে
যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়
টর্চের আলো ভারী হয়ে আসে
হুড়মুড় করে ছুটে আসে
প্রতীয়মান সরলরাস্তার ওপর
দ্বিধা জমে
স্বচ্ছন্দ দ্বিধা
--
এই এক বর্জনের আভা
যার অনুরক্ত হয়ে ওঠে ছায়া
জমে জমে
গড়ে ওঠা বেড়াল

আত্মনিগ্রহের মত সরল ও অনুকম্পাহীন
অজস্র আনুগত্য ভেসে উঠছে
জলে
আঁশটে গন্ধে ভরে যাচ্ছে তটরেখা
দৃশ্যের দিকে গুঁড়ি মেরে এগিয়ে যাচ্ছে ছায়া

আমাদের অতিক্রম করছে
আমাদের বোকাটে বিস্ময়
--
কাল ছিল
আজ অবাধ হয়ে আসে
যেন ভারী প্রযত্নময় এই আজ
নির্দিষ্ট ও উচ্চগ্রামে
সশব্দে সংকেতের মধ্যে ঢুকে যায়
এই সব তাপে ঋদ্ধ ও চিন্তাশীল
আমাদের ছায়া
উটের ছায়ার তলে জিরিয়ে নিচ্ছে
পুষ্ট ও টসটসে হয়ে উঠছে

--
পিন্টো বলে – cut the crap man !—এই প্রতীক নিয়ে আদেক্লাপনা তোর আর গেল না । টর্চের আলো কিসের প্রতীক ? উট কী ? এত ডিপ্রেশান কেন ? আত্মহত্যা কেন ? মেট্রোর থার্ড লাইন ?
পিন্টো, ভাষাটাই তো লোগোসেন্ট্রিক । প্রতীককে শেষ করে দিলে শুধু ধ্বনি – সঙ্গীতমাত্র । সঙ্গীত এই মুহূর্তে চাইছি না । আর প্রতীককে আলগা করে দিচ্ছি । টর্চের আলো কখনো স্মৃতি, কখনো বিক্ষিপ্ত বোধ, কখনো ইন্সটিটিউশানের নির্দেশ, কখনো একেকটা মুড, অবস্থা, অবস্থান, রিপু – ভেবে দেখেছিস—কোন রিপু কখন প্রবল শুধু তার ওপর ভিত্তি করে চোখ পড়ে বিভিন্ন স্থানে । কখনো টর্চের আলো শুধুই টর্চের আলো ।
উট ? উট একেকটা জার্নির আগে কুঁজে চর্বি জমা করে – দেহের সবচাইতে এফিসিয়েন্ট এনার্জি সোর্স – জার্নি চলে, না খেয়ে না দেয়ে চর্বি ভাঙ্গে -- ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড, ট্রাইগ্লিসারাইড মেশে রক্তে-- পৌঁছে যায় পেশীতে, যকৃতে সেখানে গিয়ে আবার ভাঙ্গে বিটা-অক্সিডেশান -- উটের কী ডায়াবেটিস হয় না ? এত এফিসিয়েন্ট মাইটোকন্ড্রিয়া ? গন্তব্যে এসে আবার নতুন করে রসদ, চর্বি ।
পিন্টো, ৩ বছরের ইনকিউবেশানের পর ব্র্যাকেটশহর লেখা । সবটা সোর্স শেষ হয়নি । নতুন পথে বেরোবার আগে শেষ করে ফেলতে চাই । এও তো আত্মহত্যাই । যাতে আবার প্রথম থেকে অন্য কিছু শুরু করা যায় ।

কাল ছিল
আজ অবাধ হয়ে আসে
ডুবোপাহাড়ের লগবুক
মুখ তুলে দেখে—আবার নিবিষ্ট হয়
মাংসে, চেটে শাদা করে নিজ হাড়, হাড়ের পৃষ্ঠা

কার্যত কোন দয়া নেই
ঘনীভূত হয়েছে প্রখর
বিশ্লেষিত জানালাসকল
সেই সব সূর্যের দিকে হেঁটে যায়
আলগা, হিংস্র সেই হাঁটা
টানাপোড়েনের চিহ্নমাত্র ছাড়া
--
বিরুদ্ধতার দিকে যখন আমাদের রিট্রিট এগিয়ে
যায় নিস্তব্ধতাকে ছুঁয়ে বোঝার চেষ্টা
করে শিশুরা সেই ডাইড্যাক্টিক স্পর্শের
মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে থাকে নিতান্ত এক
শিক্ষণীয় পরিখা আদুরে ও আমন্ত্রণকারী
এই ডামাডোলের মধ্যে যাকে গোঙ্গানির
শব্দ বলে ভ্রম হওয়া আশ্চর্যের
নয় সে এক মাংসরঙ্গা বেলুনের
এলোপাথাড় বেলো
যার ওপর টর্চের আলো পড়েনি
যার ওপর টর্চের আলো পিছিয়ে আসছে
--
কেন্দ্র এক চ্যুতি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল
জলের কাছে ডুবো জাহাজের প্রতীকের কাছে
স্থির ও মাংসল সেই চ্যুতি
যা কেন্দ্রকে ভুলিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট ফলে
দৃষ্টির মধ্যে বানচাল হয়ে ওঠে দৃশ্য
তীরের কাছে এসে ফিরে যায়
প্রতীকের জল্পনাগুলি
ডুবোজাহাজের বিকল্প ডাইভ

Wednesday, August 10, 2011

ব্লেডলিখিত সত্ত্বাচিহ্ন

ব্লেডলিখিত সত্ত্বাচিহ্ন


নিজে কি প্রস্তুত আছো এই ভাঙন সংক্রান্তে
এই শীত ও পাহাড়কামী মানুষের কোন বনিবনার সূত্র
ধরে তুমি এখানে এসেছো
তোমার লেখার ভাষায় জড়িয়ে আছে
ফিকে হয়ে আসা আঙুলের দাগ
বইয়ের পাতাগুলোয়
পুরনো পেজমার্ক ধরে এগিয়ে আসা কোনও আকস্মিক দিনেতিহাস
তিন বা চার মাত্রিক ছবি নয় আসলে ধ্রুপদী রীতির গায়ে দুমাত্রা লেগে থাকে
তোমার ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাওয়া পিছনের টান
অথচ নুন ছাড়া আর কিছু নেই ছাল উঠে যাওয়া আঙুলে
অথচ শুধু মাথা নীচু করে বসে থাকা ছাড়া আর কোনও শব্দ নেই পাশে
তবু এই ধাক্কা
ওই তো দূরে কেউ মেলার কথা বলল বলে
শিরা থেকে ১৫ বছর খসিয়ে দেওয়া সহজ, বলো
প্রশ্ন কোথায় নিয়ে যাবে তোমায়
উত্তর কোথায় নিয়ে ফেলবে এই ওঠাপড়ার বাজারে
শুধু অভিযোগের আর না-ভালো লাগার কাহনে
তুমি কেন বারবার হাঁটু ধরে ঝুঁকে নিশ্বাস নিচ্ছ দৌড়
কে বা কারা এখানে শুধু ভারি বুটের আওয়াজ দিনেরাতে
এখানে শুধু লাল ট্র্যাক ঘিরে থাকে সমস্ত রাস্তা
প্রতিটা মোড়ে লোকে কাউকে না চেনার গায়ে লিখে রাখছে সংখ্যা
যেসব চলাকে তুমি হালকা ভাবো তাদের শরীরে সংখ্যা
কার্ড ও যৌনতাবাহী মেয়েদের দিকে ঘুরে আসে বারবার
অথচ তোমার শুধু ছাল উঠে যাওয়ার গতরে নুন
তোমার হাতে কোনও বই নেই
মেট্রো স্টেশনের ফাঁকা বুকশপের গায়ে শুধু সংখ্যা ও কুহক কাপ
ছেলেমেয়েরা আসে
ছাত্রছাত্রী
সংখ্যা
অভিযোগ তুমি চেটে দেখেছো বলো
কথা থেমে গেলেও কোনও তাপ আসেনা
শব্দ চটে যাওয়া পুরনো পাতা তুমি কীইবা দিতে পারো
এখানে অক্ষর মানে ভাঙা কিছু যতিচিহ্ন
শুধু উজ্জ্বল সংখ্যার কাছে মাথা নামিয়ে বসে থাকো
তুমি কি প্রস্তুত ছিলে না
কেনই বা ছিলেনা
অভিযোগ ছাড়া আর কিই বা থাকতে পারে তোমার সংখ্যাহীনতার বিরুদ্ধে
মাথা নীচু করে দেখ বিশ্বাসী বইয়ের পাতা থেকে কীভাবে
উঁচু হয়ে ওঠে বুনো কুকুর
তাদের শিকার
ভাঙা স্তব্ধতার কাচ গায়ে লাগিয়ে নিয়েছে শীত
আর তুমি কি জানতেনা এই রাস্তাটা চমকপ্রদ নয়
বাতাসকাটা
কাচ ও পাথরকাটা
কুয়াশার শরীরে উঁচু হয়ে থাকা দুর্গ
অপ্রত্যাশিত আক্রমণে বারবার সামলাতে থাকা
চোয়াল নেমে আসবেই
দাগ ও আঁচড়
সেই কবে থেকে জাগারাতের পিঁপড়ে এসে জানান দিয়ে গেছে মাংসলতা
মাংস ও নুনের পাহাড়ে গাঁথা ব্লেড
আসলে জানা ও বোঝার মাঝখানে থাকে একটা পায়ে চলা রাস্তা
এলোপায়ে ভুকে যাওয়া পেরেককে কি বলে
কথা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার মাঝখানে
শুধু দাঁড়িয়ে থাকে বছরগুচ্ছ
যারা এখন মেলার মাঠ থেকে বাড়ি ঢুকলো
পুরনো বন্ধুরা যারা মদ খুলে বসেছে
কিম্বা যে ব্যস্ততার গায়ে সংখ্যা লিখে রেখেছে
তাদের একজনও কেউ দাঁড়িয়ে নেই এখানে
তোমার ভিতরে কেউ মরে যেতেও আসেনা
অথচ লেখার শরীরে ফিরে আসা থাকে
লেখা কী
বিষণ্ণতার চিঠিপত্র নাকি দুটো শরতের মাঝখানে
কুয়াশায় দাঁড়িয়ে থাকা একাকী লোকটা




নিজেকে বলি আরও হিংস্র হয়ে ওঠো
গতবছর যাদের সঙ্গে খারাপ ছিলে
এবছর যাদের সঙ্গে আরেকটু নিম্নগামী স্বেদ
জিভে ব্লেড কে রেখেছে?
প্রতিদিন পায়ে জড়িয়ে উঠেছে লতানে রোদ
মাথা নামানো সকাল নয় বরং ঝকঝকে দুপুরগুলো
সারিবদ্ধ কীটনাশকের সামনে ম্নেলে রেখেছে বই
পাতার পর পাতা শুধু বন্ধুদের না লেখা অনুপস্থিতি
তুমি কি অন্য দিকে যাবে
পছন্দ মত বাসের পাশে অনায়াস নেমে যাওয়া স্টপ
আরেকটু গেলেই গলি গ্রীষ্ম আসার আগে কুকুর ধরার গাড়ি
আর্তনাদ খালি করে চলে গেছে
তুমি দেখ বেঁচে যাওয়া সন্ত্রস্ত জানোয়ার
তার কম্পন
প্রতিদিন বাবার কথা মনে হয়?
আয়নার সামনে অফিস যাওয়ার অনিচ্ছা
না দেখার অভ্যেসে বুড়িয়ে গেল



রুখে দেওয়ার কথা কি ঝাপসা হয়ে গেছে?
নিজে বসেছো স্বর্ণাভ পাথরে
সামান্য রক্তের ছাপ
মধ্যযুগের গায়ে কারা উপুড় করে দিয়ে গেছে দারিদ্র্য
কোথায় থাকবে তুমি ডিসেম্বরতাড়িত?
সামনে কেউ অযথা মুখ খুললে কি তোমার নৈশঃব্দ্য
তার চোয়াল তুবড়ে দিতে পারে আজও?
নিজের শরীরে দাগ, ক্ষত বরাবর উঠেছে বিশ্রামরেখা
কতদূর ভিজে ও শুকনো পাতা ঢেকে দিয়ে গেছে ঘুম
কতদূর চোখ নামানোর মত ভঙ্গি দিয়ে গোপন করেছো
কবুল করা ভুল সমর্পণ
এবং তোমার যোগ ছিঁড়ে গেছে
রক্ত শিরা তন্তুর সঙ্গে
আকুল জ্যোৎস্নার পথে থকথকে জামরুল পাতার
প্রগাঢ় সবুজের সঙ্গে
কী আছে এখন এই দীর্ঘ দুপুরের দেশে?
শুধু কাচ ভেঙ্গে রাস্তা রক্ত হবে
পাথর ছোঁড় না?

Sunday, August 7, 2011

স্মৃতিলেখা




কৌরব ১১৩-র জন্য লেখা চাইছি

সুধীজন! এই ব্লগের সমস্ত সদস্যকে আগামী বইমেলায় প্রকাশিতব্য কৌরব ১১৩ নম্বর সংখ্যার "পরিবিষয়ী" কবিতা অংশের জন্য বেশ কিছু কবিতা [এই ব্লগে লেখা ও তার বাইরে] যত্ন করে একটা word file- য়ে লিখে এবং পাশাপাশি pdf করে আমাকে অক্টবরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করছি। গত কয়েকমাসে এই ব্লগে অসম্ভব ভালো, সুন্দর, অভিনব, অভিজাত, সৃষ্টিশীল ও মননঋদ্ধ কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এর জন্য সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইলো।

Friday, August 5, 2011



খুব একটা দেখা গেলো না, অথচ মনে হলো চেনা
ওবাড়ির ফটোএলবাম, ঝাপসা, আশির দশকের
সমুদ্রতটে যাবার রাস্তা বাঁধা হয়নি, – একটা এলাচের শিশি খুলতে খুলতে বলছিল
এত এত দুপুরবেলা, শুধু পাশের বাড়ির গানটির মত ঘুরতে থাকে মাথার ভিতর
স্পষ্ট শোনা গেলো না . . .
অথচ একটি সুর বেছে নিতে হবে
নতুন কিছু না, তবু কত আলাদা লাগে এই কেন্দ্রপ্রিয়তার ফাঁদ
হয়তো আমার ভিতর এমন অনেক মনস্তাপ আছে
যাদের আমি বুদ্ধিমান ভাবছি, অন্তর্লিন কোয়া খুলতে চাচ্ছি না ভেঙে
একা তো অনেক ভিড় ছাড়া বাড়ে না
ঘুরে যায় জানালা বন্ধ হবার লং প্লে যেমন, বহু দূর থেকে
কত দিন ধরে
তার পিঠ উলটে দেয়ার গভীর নিত্যতা
আমাকে পেয়ে বসে
আমিও সেই যমজ বলতে চাই – যার জন্মসাল আলাদা
যন্ত্রের মধ্যমায় সুরের অমিলগুলো এঘর থেকে ওঘরে যার মিল ধরে ছিল, কেউ কেউ টের পায়
বাগান করে
তবু ফিরে আসে জানালার অপবাদ
কোথায় কোথায় ছিল ফাঁকা বাঁকগুলি, মনে হতো যে গায় তার গায়ে লাগে না

একটা চোখের মিথ দৃষ্টিচক্র, তাকে ঘিরে আরেকটা, খুব ধীরে বহির্মুখী প্রতিবৃত্তে
চোখ জেনে চলেছে সে’ই অন্তিম শাসন বারণ
ঘুড্ডি আর মাঞ্জার খেলা
যেন কিছু কিছু গতি কেবল নির্দয়তা একমুখী করে তুলতে পারে
যখন কিনারাও গোল, চোখের দুপাশে অলক্ষ্য ছুরি গুটিয়ে রাখে
আমি স্থুল হয়ে উঠতে পারি না – রোদছাতার নকশা কাটা বাল্ব, মানিব্যাগ, ছোট ছোট বেঞ্চ, বিপক্ষ

স্পষ্ট করে একটা বেহালার ভূগোল শিখছি
বাইরে থেকে দেখলে ম্যাপ অনেক রকমের হয় – ছবিনির্ভর, শব্দনির্ভর, তরঙ্গনির্ভর
সুতরাং নিজের নাম খোদাই করার প্রবৃত্তি হাস্যকর লাগে না
পেয়ে বসা নিত্যতার পাল, হাওয়া তার সন্দেহ
ইনসমনিয়া কাটিয়ে ওঠে পুরানো শহরের নদী, আমাকে আবার চিনে ফেলে
গভীর করে এড়াতে চাই একটা ডাকঘরের ছায়া
একটা ইটের বাড়ি, ভৌতিক শব্দের জন্য কুখ্যাত ছিল। কয়েকধাপ সিঁড়ির পর দরোজা। বেসমেন্ট সিল করা

বরং পড়শির কথা হোক। একজোড়া তিতির দেখেছিলাম হাসপাতালের পুকুরের ধারে
কি অদ্ভুত লম্বা লম্বা শোবার ঘর
দেখা আর কথা দুই তার
একটা বিষপোকা ওদের ফাঁকে আটকে গেলে গান হয়
সুর বসে, তার আগে না। কোয়ার সমীকরণ থেকে খুব সহজে বাদ দেয়া যায় দিকভ্রান্তির মতো ওই ফটোএলবাম
তবু দাঁড়িয়ে আছে পাশের বাসায়
টের পাচ্ছি, দু’পাশ থেকে চেপে ধরা পুরানো ভারি ভারি ভ্রমণকাহিনী
দেখলে মনে হয় যেকোনো মুহূর্তে তাকগুলো ভেঙে পড়বে দেয়াল থেকে

Thursday, August 4, 2011

সাদা কালো
খুলি
তুষারবামনের চোখ

আকাশকাটা ধোঁয়ার রাস্তায়
দিক্ ভেদকরে জীবন্ত খুলি।

ক্ষণেক আবছায়া পারিপার্শিক
শিক

তরিবজো্রজুলুম টলে।
ইনিয়ে বিনিয়ে অকুস্থলে, ছলেবলে
শুকিয়ে ল্যাক্রিম্যাল। হানো
জো্র হরিণীজাল, শেষ মুখোশের পর-
বলগাহীন দাঁতের কুলুপখোলা পায়রা ওড়ানো।

সপ্রতিভ ভ্রুক্ষেপ মানে গোপন শোক
নির্মোক লেখে-

দীর্ঘযাম, নিমেষ কাম

সন্ধ্যার ইতিহাস।।

-সর্বজয়া
JOSEPH K

Why was he standing there?
at the back..
relaxed…
..with a sack.

The eyes closed, with denizen of dreams
red, blue, white ice,
 icecreams

people looked behind,

he forward.

vain attack
 standing at the back?

And then the assassin told
'…… i ,
body without a coffin,
my daughter died, while being taught a scene
a sight of Artaud, or, no, may be,
 Bond... '

and i waited for cavil-
warning
nor velodram,
no track

he stood,
silent
Aback,
san the sack.

-Sharbajayaa