বিবমিষা
১
কাচের শার্সিতে তিনটি
আঁচড়ের দাগ পড়েছে।
পাশাপাশি।
স মা ন্ত রা ল
বলা যায়,
মানে লো্ক, যারা বিজ্ঞান টিজ্ঞান, বোঝে টোঝে
তারা অমন কিছু একটা বলবে আশা করাই যায়।
কাচের বাকি অংশ উজ্জ্বল মসৃণ। ঐ তিনটি
স ম বে গী
রেখা বাদ দিলে- সে অংশগুলি সূক্ষ্ম ধূসর।
প্রতিসরিত আলো ভোঁতা করে।
২
মাটির নিচে থাকাকালীন, লোক
অদৃশ্য হয়ে থাকে।গাছ যখন পর্যাপ্ত ওঠে,
সে মাটির উপরের বাহুল্যবোধে বর্জিত
অগ্নিমুণ্ড থেকে পৃথক তো বটে।
দৃশ্যমান। উল্লাস দিয়ে আনন্দমুখ ঢেকে
দেওয়ার পক্ষে বেমানান। যখন তখন
গরদে নিস্পৃহ বৃষ্টিদাগের মতো ফুটে থাকে।
দোকানের সাজখোপের মাপজোপকারী মিস্ত্রী’র
মতো, প্রথামত, প্রথম যাকে দেখলে ম্যানিকিন
(মতান্তরে কুইন)বলে ভুল হয়; হয়েছেও হতে পারে।
কাচের ও প্রান্তে সে ভাপ ছাড়ে ধূসর, নষ্ট। গো্পন নথির
মাংসপোড়া গন্ধের মতো স্পষ্ট। কিন্তু সে অস্পষ্ট আঁচড়ে
আঙুল চালানো হলে,
তিনটে লাইন-
হবে কি আঁচড়ের
স ম কা লী ন?
৩
নিরুপদ্রপ বিচারপতির
স্থিরকৃ্ত্য দেখে এ মনে হয় যে,
আমার প্রোথিতযশা বিনয়
নিদর্শনসম্বৃদ্ধ ঐতিহাসিকতা। খুলে এলে,
(মতান্তরে গেলে)দেখা যায়, তুষের ভাপ।
কর্পূরেরও হতে পারে। সে গরাদের লম্বা সারির
মাঝমধ্যে আমার গলে না যাওয়া ফাঁক।
লোহার দণ্ডে আঙুল টানলে আঁচড় হবে কি?
৪
জানাশো্না মধ্যেকার বিস্ফো্রণে
হঠাৎ হঠাৎ চমকে যেতে হয় আজকাল।
নিদারুণ চ ম ক। দীর্ঘ ঈ-কারের প্রশ্বাসিত,
যে ম ন, খু------ব, সেরকম। শুধু এই নয়,
যে কোন কিছুই হয়ে যেতে বা দিতে পারেঃ টেনে
নিতে পারে ধূসর দীর্ঘায়িত দাগ—
এখন,
ভিতরে তো আঁচড় কাটা যায় না...
ভিতরে তো আঁচড় কাটা যায় না...
Fantastic ! saarthak poribishoyee bole mone holo...shesh line-Taar ki proyojon chhilo ? aami bujhte paarchhi naa... but khub bhaalo laaglo
ReplyDeleteBy the way তুঁষ না তুষ ? আমি ঠিক জানি না । দ্বিতীয়টা সঠিক মনে হয় ।
ReplyDeleteআমারো মনে হয় শেষ লাইনটা বাদ দেওয়াই ভালো। গোটা কবিতাটা একটি সার্থক পরিবিষয়ী কবিতা হয়েছে। একেবারে নতুন কবি হিসেবে বলতে হবে দারুণ লেখা। শয়ে শরে কবি আছেন যাঁরা এইভাবে লেখা তো পরের কথা, ভাবতেই পারেন না।
ReplyDeletedhonyabaad Sabya, Aryanil Da. ha tush, banaan thik kore edit kore dilaam... sattyi i sesh line ta na dile i bhalo hoto...
ReplyDeletelekhar samay mone hoyechhilo...
একেবারে ফ্রেস টাটকা মনে হল
ReplyDeleteদারুন লাগলো, আচঁড়ে বার বার ভাবনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া - চমৎকার - যেন নানা ভাবে দেখা হচ্ছে। নানা কনটেক্সট থেকে...
ReplyDeleteভালো লেগেছে। যদিও শুরুতে একটু হোঁচট খেয়েছিলাম বেশি কথা বলার জন্য। পরে ধরণটা বুঝে যাই। তবে নতুন কবিকে এই কথাটা স্মরণ করাতে চাইব কবিতার পাঠক সাধারণত বেশি কথা পছন্দ করেনা। ফলে এই ধরণের শুরু হলে (ধরা যাক "কাচের শার্শিতে তিনটি দাগ পড়েছে। পাশাপাশি..." এর জায়গায় সরাসরি তিনটি সমান্তরালপ্রায় দাগ বললেই মিটে যেত। আরেকটা বাক্যের প্রয়োজনীয়তা থাকতনা)পাঠক হয়ত ঠকে যেতে পারেন।
ReplyDelete