Wednesday, April 20, 2011

স্মৃতিলেখা



ব্র্যাকেট-শহর ১০

ফুল শেষ হলে তবেই শিমুলে পাতা
সংশ্লিষ্ট সালোক
এত ঘন এত সন্নিবিষ্ট
কোন আবেশ বিশ্বাস করতে পারছে না
আবেশ একটা শব্দ মাত্র

সমস্ত জড়তা নিয়ে আছড়ে উঠছে
কাঁপবে না
কে এমন প্রামাণ্য ভুবন
কে এমন লোহার লৌহ

দুঃখ হয়
ল্যাংড়া চড়াই ছাড়া
কোন পাখিই আর হার্দিক হবে না
ভাল লাগে
ডানার চেয়েও এই যে প্রবল
ঠোঁটের মাকড়

স্বাভাবিক প্রেরণাগুলোও আজ ক্ষমার অযোগ্য

হয়ে ওঠার গায়ে
ধাপ দুএক মাত্র সিঁড়ি
ভাল লাগে
এইটুকু সম্পন্ন ধরে
আমাদের নেমে আসা
তোমার সামান্য আলগোছ

পরিসীমার বাইরের প্রচলন
কৌপীন হয়ে যেন তার লেশ
অন্ধকারের কাছে আঁধারের তাৎপর্যগুলি
ফিরিয়ে নিচ্ছে অভিধা
ফিরিয়ে নিচ্ছে সমাধিফলক
কত বাহ্য আর কত সামাজিক জনপ্রিয়
হয়ে উঠবে কবিতা
বারবার ব্যবহৃত রজনীপাখি

যেন সেই দুটো একটা দেখা
যেন সেই কাঠের মেঝের মত
দুরুস্ত ও ভব্য ঘরোয়া
ব্যবহারযোগ্য অসুখ
কলমের ছায়া যার ওপর
থমকে দাঁড়ায় মুহূর্ত কয়েক
পরের লাইনে চুঁইয়ে পড়তে ইতঃস্তত করে
নিহিত রশ্মির কাছে অনুকরণীয়
এক যথাসম্ভব হয়ে ওঠে

ভাবো কতটুকু অনুনয়
গিয়েছে গাছের কাছে
কতটুকু নীরবারিজল
এমনকী সহজাত আবহাওয়া নিয়ে
খাবার টেবিলে ন্যস্ত মোমবাতি

ফিরে তাকানো খাবারের গুঁড়ো
এমন এগিয়ে আসছে শ্বাসনালীর দিকে
যেন দুএকটা দ্বিরুক্তি
আর কোন অর্থ রাখে না

সব্যর হয়ে পোস্ট করে দিলাম।

Tuesday, April 5, 2011

bracket 9

অর্থের্ বিনিমযে সমস্ত বিকৃতি সযে নেবে
তবেই না ভাষা
এমন কী স্ত্রীরোগ, এনিমা
লভ্য ও বিতরণীয নিরাময্

যেমন প্রামাণ্য গর্তগুলো রাস্তা
ঝাকাতে থাকলে
দু একটা অনুসরণযোগ্য উঠে আসে পথ‌
যে পথগুলো রোজ সম্পর্কের মধ্যে
নেমে যায
উত্কন্ঠার মধ্যে

নির্দিষ্ট কোন বিষযে পোউছে দেযার্ মত‌
আর্ কোন শব্দ পড়ে থাকে না
‍‍--
এরপর তুমিও অপারগ
হাসিমুখে খুলে দেখাবে অন্ত:সার
অস্বীকার পর্যন্ত দোউড়ে যাবে

হাসপাতালের আকাশও আজ নির্মল‌
যেন স্বচ্ছতার্ মধ্যে অনুভবগুলো
কলসপত্রী হযে আছে
খাপ পেতে আছে

যেন আকার্ বলতে কিছু নেই
নিরাকার বলে কেউ নেই
শুধু গ্রন্থি থেকে স্নাযু পর্যন্ত এক চলাচল‌

চলাচলের ওপর প্রকাশ উড়ছে
‍‍--
অপেক্ষা নিযে ভাবতে পার‌
সীমাবদ্ধতা নিযে ভাবার দরকার্ নেই
সে নিজেই নিজের তদারকীতে সক্ষম‌

যেমন লিঙ্গের কাঠামোর ভেতর‌
নমনীয হযে থাকে ধাতু
ওঠে
নামে
ভালবাসায পারঙ্গম হযে ওঠে

নির্ধারিত যদি পাই কোনো বা একটি দিন‌
সেও যেন প্রগলভ হয‌
জিভে সাপটে নেয কাটাগাছ‌
আর হিসহিস কথা ভরে দেয‌
কাটার অমনোযোগে

সন্দেহ নিযে ভাবতে পার‌
তার নবীকরণ‌ নিযে
দূরে বসে লক্ষ্য করতে পার‌
কী ভাবে চলত্শক্তি হারাচ্ছে ভাষা
শিহরণ কামড়ে ধরছে