Wednesday, November 17, 2010

বিলিয়ার্ড




বিলিয়ার্ড

কালো বলটি গড়িয়ে
সাদা হতেই
তাক করা নীলে
ভোর হল আরেকটি ব্রেক ।

চোখ টিপে ঝুঁকে আসা ব্রেসিয়ার থেকে
‘ব্যাক্‌ স্পিন কতটা জরুরী?’ - এই ভাবনার দুই প্রান্ত
এক, সিগারেট নিভিয়ে উঠে গেলো সবুজ গোল হাসি -
আর তার চোয়ালের
পর্যায় ও ক্রম ছ
ল্‌
কে সিঁড়ি , বা ভেজা ও স্বাভাবিক ভাবে ঝাপসা
একটি অসীম রাশিমালার দুই প্রান্তে খুলতে থাকা মিলিত ইতিহাস
অদরকারী ভেবে নেয়ার আগে
আবার সবগুলো বল একত্রে সাজিয়ে সন্ধ্যা রটালো

জোর দেয়া হলো স্বাভাবিকে

একটি বাতি ,
ইতিমধ্যে উড়তে শেখা প্রতিটি চেনা প্রজাপতির ছায়া, পর্যায় ও ক্রম
বিভিন্ন আয়নায় টাঙিয়ে দিতে থাকে।

আয়নাগুলো কখনো ভরাট হয়ে ওঠে না

বরং এক আয়নায় অন্য আয়নার প্রতিবিম্বগুলো, তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব প্রজাপতি নিয়ে
একটি ব্রেসিয়ার ক্রমাগত শূন্য করে তোলে

বাতি ফিরিয়ে পরবর্তী গোল হাসিটি । স্বাভাবিক । এবার সবুজ । এরকম

স্বাভাবিক

মেয়েটি বল হাতে নিয়ে হাসছে

Tuesday, November 16, 2010

সেতুবন্ধ

মাথার মধ্যে সুইচ অন সুইচ অফ
রেল ঝরছে
রেশও কিছুটা
ব্রেলবর্ণেরা পেরিয়ে যাচ্ছে সিন্যাপটিক সেতু

দর্শনদেহলীতে বসা ইন্দ্রিয়
খোঁজ রাখল না পাতাঝরা
ঝুমকাগিরা
ঝুম ঝুম ঝুম
সেতুর অনেকটা নিচে
নদী
নদী থেকে উঠে আসছে তোমার চোখ
রসায়নে মুখ রাখা বিদ্যুতপলক

তুমি বললে
এ...ক্সা...ন
দুটো শব্দের মাঝে ত্রিমাত্রিক শূন্যতা কিছুটা স্পেস চাইল
তুমি বললে
পোটেনশিয়াল
সম্ভাবনারা ডানা মেলার আগেই
ব্রেলবর্ণেরা পেরিয়ে গেল সিন্যাপটিক সেতু

Monday, November 15, 2010

তিব্বতীর লেখা মজনু কা টিলা

মজনু কা টিলা উত্তর দিল্লির তিব্বতী জনপদ। চিন তিব্বত দখল করলে হাজারো শরণার্থী এসে আশ্রয় নেন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে। মজনু কা টিলা সে রকমই একটি এলাকা। আমরা যদি সময়রেখা খেয়াল রাখি তাহলে বুঝবো এই এলাকার বর্তমান বাসিন্দারা দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের তিব্বতী।


কাচে কাটা পা দিয়ে চলাচল, যেদিকে রেখেছি শীর্ষ তীক্ষ্ণ মেধা ও তার যাবতীয়
ক্ষতচেতনার গায়ে গুমরে ওঠা নতুন অবস্থান, সেখানেই ফিরে আসি
কতদিন বলো পতাকা রাখবো সন্তানের শরীরে কামনার শরীরে রাতে
পর্দা লোপাট করা হাওয়া দেয় এই অক্টোবর এই ফিসফিস নীল
এই উড়োজাহাজের ছায়াহীনতা একে কিসে অনুবাদ করবো পাথর
বা টিলার ভাষা পাশে বসেছে কন্যা তার অক্ষর পিছলোন নিরবতা




সাদা শরীরের দিকে দেখা ভিজে গন্ধ শোঁকার আগে মসৃণতা এই কুমারী বাহু এই গমে
ঢাকা নাভিমূল আমি পাথরে লিখি মরুভূমির পাথর আকাশপাথর ও তার আঁচড় না
লাগাতে পারাকে আমি নিরীক্ষা বলি এই গূঢ় মাংসল ব্লেডের সামনে কেন বারবার নামিয়ে রেখছি
নখর ও অন্যান্য উগ্রতা কেন চিরে দিতে পারিনি অনন্য চামড়া এই দেশটাও কি আমাদের?



এখন আর কান্না নেই, ঈষৎ বয়স্কদের মুখের পাশে ফানুস বা নতুন বছর কোনও
আলাদা দাগ ফেলেনি এতগুলো বছর এত কিউরিও এত দরকষা
এই সুদের জটিলভাগে মগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় ব্লেড বা ঘাসের শরীরে
পরস্পরের মগ্নতায় লক্ষ্য করি এক বিস্ময়কর অক্ষরহীনতা
নীল ছোপ জড়িয়ে রয়েছে ভয় নতুন মাটি, আদতে কি ভয় আছে নাকি
নিজের পাথুরে জমি এর চেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল? কেন এসেছিলে
তবে এই না-ভাষার খল উঠোনে এই কম্পাস এইসব মাংসল সকালে?




দামিনী উইলসন আসলে একটা চোরাগোপ্তা ব্লেড
লিরিকের শরীরে
বসা দীর্ঘ অভ্যেসের পাশে যে সকাল মসৃণতা
আমি তার গায়ে লিখি এই প্রস্তরগ্রহন
এইভাবে থেঁতলে যাওয়া মাংসপিণ্ডে রাখি সাদা
খুব অনন্য রঙ বুঝি এই খুব ফাঁকা দুই জীবনে
বলি তুমিও ধারালো বাণিজ্য আর
হিংস্র আসলে একটা উষ্ণতর দ্বীপ



নুনে মাখামাখি হই কাঙ্ক্ষিত গহ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করি লালা
আমার মৃদুতা, আমার নিস্তব্ধ হাত আর পাথর নয়, শুষ্কতা আসলে
একটা ধাক্কা আমি নেমে যাই, নরম ফাটলে জিভ
কৃষ্ণচূড়া ঝরে থাকা অ্যাসফল্টে ভারি চাকার দাগ এই মুহূর্ত
আঁচড় এই স্থির হওয়ার আগে একবার কেঁপে ওঠা অস্ফুট
স্বরের পাশে লেহন ও পেশির দাগ বালি
সাদা না শিথিল আরেকটা রাত জল থেকে ঢেউকে
আলাদা করে দেওয়া এক ভাষার ছল




এভাবেই কথা, বুকের শরীরে বালি
হাওয়া কেটে দেয় দীর্ঘ সিঁথি এলোমেলো
ওয়াটারমার্ক আরেকটু গেলেই বালি ভিজে উঠবে
অজান্তেই প্রশ্ন করা রেখে স্থির যতিচিহ্নের দিকে চাই
বলি কতটা লেখে ডায়রির পাতায়
বাকিটাতো প্রশ্ন থাকে দামিনী উইলসনের পাশে
দেহ একটা গাঢ় জেগে থাকা
মাংস তো স্থির কোনও আবিষ্কার নয়
দাঁতে দাঁত যেখানে ভাষার মানে ছিঁড়ে আনা রক্তজবা
আরেকটু পরেই কালো দাগ গহিন প্রবেশপথে, অভিজ্ঞতার
গোঙানির পাশাপাশি নোনতা দুটো নরম পাথর,
ভোরের গায়ে গজিয়ে উঠছে
নামাজ সুরেলা গাছ মানে একঝাঁক পোষা পায়রা
ছদ্ম উড়ে ফিরে আসে বিশ্বস্ত ছাদের পাশে
শুয়ে থাকে দামিনীর হিংস্র লতিয়ে ওঠা আমাদের
অনুর্বর শরীরে

দিল্লি সেপ্টেম্বর-নভেম্বর ২০১০

Sunday, November 14, 2010

Rose, after Derrida

Each time that I write something about a rose
it feels like I am unfurling
into its new territory looking for birth behind a vagina
a look into the mirror to get glimpse of its silverlust
This type of advance often demands certain gestures
from the flower that can be read as resistance to
an aggression which is a learned tactic
I repeat after the bees. The resistance comes naturally
and the rose swirls a little more to remind me of
the labyrinth’s choke on famous thinkers

I am not someone who’s by nature polemical
or even philosophical enough to be questioning
the flowers ability to construe its gestures
The mind of a little princess as regalia engulfs her
as seen by her and her decorators through the mirror
as she appears to destabilize beauty
or trap anxiety within the concept
and the gesture at some point turning sourly reactive
brings a moment of fear

This does not happen at the moments when I write the rose
when I write that a rose is an architecture of necessity
of an aesthetics that is stronger than aroma
demanding that I must write as I write
about the architecture of thought and
about architecture as an epitome of immobility

and just then
there is a breeze in the rosebush but
nothing intimidates me when I write

I say what I think must be said about half-sleep
of rosaceous insects hidden under curls with no practical purpose
but to obey laws that some wand stroked for them
in the fragrant air until at that moment
in a sort of half sleep I am terrified by what I’m doing
Contesting a textual institutional in a kind of panic
as clouds thicken above my subconscious
the winds ruse conspicuous in the rosebush

Freud talks about childhood dreams where one
dreams of being naked and terrified
as the rosebush sees that they are naked
with not a drop of viscous reality on their tender stamens

So half-sleep, I maintain, is an impression
of something criminal and daunting like the growing black brood
in the corner of petals but
why do I say “petals” ?
This is not about a pentagonal petunia
but about a rose which is all swirls and hardly petals

But once I wake up from it, it is over.
I am awake, conscious, yet working in a way
more unconscious than in half-sleep.
The tyranny is over the structure is felled
A kind of vigilance that the clouds conceived
and the winds bore isn’t part of the moment’s truth
This vigilance is actually asleep
like the rose in absentia

===================

I wrote this poem in 2008 while reading and listening to some lectures/interviews of Jacques Derrida. I was reading “Of Grammatology” and some text and video interviews from his later years, trying to understand “Derridian deconstruction”. ( http://www.youtube.com/watch?v=qoKnzsiR6Ss) And this is when I realized that not only did “deconstruction” entail an element of self-doubt or self-contradiction in the very womb of the thinking process that led to the creation of a writing or art, but also that its metaphysicology had a strong resemblance with many ancient Indian texts – the Upanishads and in particular, the Srimadbhagwat Gita.

I wanted to attempt a poem themed on the aesthetics of art. And I decided to use some of Derrida’s own speech in it. So I picked out some lines from those books and videos, used them as palimptext, altered them and threaded them into my poem which was primarily about a rose.

একটি গথিক রেসিপি

As he told me, “You don’t have to have too many elements in a film, but whatever you do, must be at right elements, the expressive elements.” A simple-sounding advice which nevertheless touched on one of the fundamentals of art, which is economy of expression.


পরিমাণ - চারজনের বেশী না হওয়া বাঞ্ছনীয়
টেবিল - উপযুক্ত কাঠের, ফ্যাশন বিবর্জিত
বক্তব্য - প্রাধান্য, নিজস্বতা একান্ত কাম্য
অন্যান্য আনুসঙ্গীক
সময়সীমা - ঘড়ি পরা আর কেতাদুরস্ত নয়

এখন অনেকেই কথা রাখে
অন্ততঃ রাখা সহজ হয় প্রযুক্ত ‘না’ ভাসালে
আবার সময়ের এককও হতে পারে অপ্রতুলের সন্ধান
আমরা পরস্পরকে চিনে নিই একান্তে
শব্দসন্ধান এখনও কারো কারো নির্মম অবসর

ডি-কন্সট্রাকশন প্রকৃত অর্থেই ভেঙে ফেলা
মনে হয় যদি না প্রতিভা মিশে থাকে

প্রতিভা - এককবিহীন, আপেক্ষিক, অপরিমাপযোগ্য, তৃপ্ত স্তন্যপায়ীদের ধারণা মাত্র

অমিত প্রতিভাশালী তাহলে কারা?
গোষ্ঠীবদ্ধ জীবের স্তাবকতা, হীনমন্য সম্ভাষণ

আমার আর মৃদু আলো, আলাপন ভালো লাগছে না
তুমি কৃত্রিমতা একসাথে খুলে ফেল
উল্কি পিঠে ছুঁয়ে থাক নিওন বাতি
ওই শরীর বক্তব্য প্রধান
ঘড়িবিহীন নিজেদের ইতিহাস খুঁজতে দেয়

Saturday, November 13, 2010

সেই চিঠিগুলি


Thank you for your letter. Because of the large volume of mail I receive, I am unable to write personal responses. Nevertheless, know that I read and save every letter, with the hope of one day being able to give each the proper response it deserves.

Until that day,
Most sincerely,



আমার সযতন চিঠিগুলিতে কোথাও ‘হৃদয়’ নেই, পৃথক ‘মন’
প্রত্যাশা নির্ভর এক অবচেতনের জন্ম লালন করি
আসলে কোন প্রশ্নেরই ব্যক্তিগত উত্তর হয় না -
কিন্তু প্রশ্ন প্রায়শঃই ব্যক্তিকেন্দ্রীক

আশা করা যাক কোন চিঠি আসবে, উত্তর
আমার সংগ্রহে এও যাতে উল্লেখ থাকবে পরের বার!
কাঙ্খিত চিঠিটি কখনো না পেয়ে ভাবতেই পারি
সেই দিন - প্রত্যেক প্রাপ্তি কিছু নিঃসঙ্গ মুহূর্তের জন্ম দেয়

ছুরির সাথে চিঠির একটা ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে
শোকগাথা বা বর্ষবরণ - পলায়নপর
সকলেই সাথে নেয় কিঞ্চিত লিখিত আশ্বাস

ছবির সাথে অলিখিত পত্রগুলির
মধুর যোগসূত্রে রচিত উপকথা
যৌবনকে দাঁড় করায় সন্ধিক্ষণে, প্রত্যাখ্যত সবাই
সমান্তরাল ব্রহ্মাণ্ড বিশ্বাসে সহজে অভ্যস্ত হয়

রঙীন চিঠিরাও সাদা খামে আসে এবং বিপরীত
আমার সচেতন চিঠিগুলির প্রাপক একটাই, সহস্র গ্রাহক
একান্তে মনে করে প্রত্যেক শব্দযুগলে পৃথক গল্প জন্মায়
বাকিরা বিষ্ময় খোঁজে একক পার্থীব যাপনে -

অসম সমের দ্বিমাত্রা

ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দুটো মুখ
অন্তরঙ্গ প্রতিফলন
মৌবনীর স্লিপলেস নাইটি
খোলাবাহুতে আলগোছ সর্পিলতা ডাকছে
...আভোগে
............মেহফিলে
.....................মেঘমল্লারে
জমাট হতে হতে
অন্তরা ভেঙে
ঘরের ভেতর দূর ডাকল মৌবনী

আকাশখোঁজ তালিকাটি ছিল এইরকম -
১। চোখের বর্ণমালা ছূঁড়ে দিলে মৌবনীর কানের লতিতে একটা পাখি ডেকে উঠবে
২। টইটই ঠোঁটে প্রজাপতি উড়ে গেলে ডাকহরকরা নামবে বৃন্তের অবকাশে
৩। গ্রীবার গহিনে জলছাপ রেখে বৃষ্টি নামালে থরে থরে ব্রহ্মকমল ফুটে উঠবে নাভিকেন্দ্রে

মণিবন্ধে তখন রাতঢলানো চাঁদ
মৌবনীর জোছনাপিছল পিঠে খোলা চুলের অন্ধকার
হিমকুড়োনোবেলা বাড়ছে বনটায়
জন্মাবধি মেঘলা আঁচল খুঁজছে মৌবনী
মৃদু ও পেলব
এবং রমণীয়

মাথার ওপর সিলিংফ্যানের একটানা শব্দ
নৈঃশব্দ্য ডাকছে রাতপ্রহর
গৃহমুখী সমকোণ তালিকাভুক্ত করেনি সমকাম
দিগভ্রান্ত তালিকার ছেঁড়া টুকরোগুলো
উড়তে
.........উড়তে
..................ঘরময়
........................ভুবনময়
.................................শূন্যময়

Friday, November 12, 2010

স্তব্ধতার মিনার

কোন পাখি ধরা দিতে চায়
থাকে চিলেকোঠা মিনারের সিঁড়িশেষে
বায়ুভাস পালক বিচ্ছিন্ন মৃতদেহের সত্ত্বা
দেহছাড়া আকাশের অবস্তু নীলের মর্ম সে যখন বুঝেছে
হীনতার সমস্ত শব্দমায়া ছেড়ে সেই চূড়ান্ত তখন শব্দহীন

পার্সিদের কলকাতা ভাবা যায়। মুম্বাই, জামশেদপুর বা আমেদাবাদ। অন্য আরো কিছু শহর। তার টাওয়ার অফ সাইলেন্স। বিভাজক ভূমিকায় সূর্য আমরা বিশ্বাস করি ভাঙবে মরদেহের সকল মৌল।

এক শব্দহীনতা যা পাখিদের কল্যানে
অথচ আজ সেই আকাশবন্ধু শকুন্ত নেই
প’ড়ে থাকা বায়োডিগ্রেডেবল প’ড়ে থাকা পচনাশীল
পরিত্যক্ত কুঠি ভাগ্যের পরিহাস গড়ে
নাকি অর্থনীতির বল্লমে নিষ্ঠুর
যে মনে সাড়া নেই নেই পাড়ার ফেরিওলা শব্দহীনের সেও

লক্ষ্য করবেন শকুনের চোখে পলক পড়ে না। লক্ষ্য করবেন অধিকাংশ সংষ্কৃতিতে শকুন এক উচ্ছিষ্ট। খুঁটেখাকি। নারকীয় ঘৃণ্য। আমাদের তবু সে ধর্মপাখি। মরণ-পুরুত। ছিঁড়ে খুঁড়ে মুক্ত করো বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর, অন্তেষ্টির বহু বাকি এখনি মিলায়ে যেও না।

হতেই হবে অথচ ব’লে এই মেনে নেওয়া
পাইয়ের মান ব’লে
৩.১৪১৫৯২৬৫৩৫৮৯৭৯৩২৩৮৪৬.....
তবু
বৃত্তের ক্ষেত্রফল মেপে ফেলে সকলেই
সমাজকে তিনভাগ করে
পৃথিবীর ছোটো কোরে শিশুরা মানানসই
ম্যান্টলে ভিড় ক’রে আসে তাহাদের মাতৃকা
গভীরতা অভাবী পুরুষ ভেসে থাকে ওপর খোলসে
অবশ্যই এসব মড়াদের কথা হলো

গাছের গুঁড়ির সমকেন্দ্রিক বৃত্ত দিয়ে ভাবা যেত। বদলে পৃথিবীর অভ্যন্তর এলো। তার তিনস্তর। যে তিনস্তরে পার্সিরা স্তব্ধতার মিনারের মাথায় সাজিয়ে দেয় মড়া। সবচেয়ে ভেতরের বৃত্তে শিশুরা। যাদের মড়াসংখ্যা কম। এক যদিনা মড়ক লেগেছে। পরের অয়্যানুলার ক্ষেত্র জুড়ে মৃতা মহিলারা। বাইরের বৃহত্তর অয়্যানুলাস ভরে দেন পুরুষেরা। বৃত্তের তিনক্ষেত্রের অনুপাত তবে সমাজের ডেমোগ্রাফিক বাতলায়, না মৃত্যুর হার !

নিস্তব্ধতা আছে আছে সূর্যের নিরন্তর প্রয়াস ও পচনশীলতা
শুধু দেখা নেই শকুন্তের
জঙ্গলের মুদ্দোফরাস এক জংলা প্রাণ যেমন নেকড়ে শেয়াল
শহরের মুদ্দোফরাসেরা পাখি এইসব

সূর্যের ছোঁ-মারা আত্মা অবিনশ্বর খুলে আসেনা জাগতিক
বর্ষাতি বর্ষাতি ঘেরা যতক্ষণ না শকুন্ত ছিঁড়ে খুঁড়ে আলগা দেয়

মরা মানুষ ‘নসু’। অচ্ছুত অপবিত্র কলুষ। এই যে টানাহ্যাঁচড়ার সামান্য শুদ্ধ জমি, বায়ু ও জল। তার তরেই মরণের পরে তুমি অচ্ছুত হলে। আর সকলেই মাটিতে মিশুক। কেবল আমরা যেন পরম মরা নাঙ্গা চরম লজ্জাতেও মাটিতে না মিশি। জমি, বায়ু, জল সব সীমিত সম্পদ। অতয়েব গোর দাও অসম্পদে নীলমণি আকাশে অবদ্ধ বিমূর্ত সংজ্ঞার নলিতে নলিতে পুরে দাও আমাদের মৃত অবস্থার সকল ঘুণাক্ষর। মাইরি, নো সারকাজম।

অবলুপ্ত কারণ বিকল কাজের নাম নিয়ে ব’সে
অবলুপ্ত কাজ কারণকে ঝুলিয়ে দিয়েছে
দশজনের পরিচিতি আচারই গ’ড়ে দেয় এমন বলা হচ্ছে
দাগহীন আকাশে শিল্পের ভালোকাজ নেই
গঙ্গার পাড়ে সার দেওয়া হাড়গিলে একদিন মিলিয়ে গিয়েছিলো
শকুনের অভাব সেই দৃশ্য ফেরায় কিনা
চেনা জমাদারটাকে আজো চিনতে পারে কিনা
শহরের পথঘাটও কতঘর তালা দিয়ে কত গাছ বিজ্ঞাপনে ঢেকে
নদীতে চাবি ফেলে

অতিরিক্ত হিঁদু ভারত গরু খায় না। ফলতঃ অধিকতর পৃথিবীর তুলনায় গাভী গড়পড়তা সেদেশে দীর্ঘায়ু। বুড়ো মানুষেরই কতো ফ্যাচাঙ আর এতো গরু। গাঁট ফোলে গা ফোলে। ব্যাথায় বেচারি অবলা নারী। তাই ডিক্লোফেন্যাক এসেছে। স্টেরয়ডহীন স্ফিতিহরক। নিরাপদ ওষধি। এমনকি মানুষের শরীরেও। শুধু মাংসভূক শকুন্তের বৃক্ক তারা ব্যর্থ করে বন্ধ হয় সহসা। কোনো ইঙ্গিত ছাড়াই। ভাগাড়ের আশেপাশে পড়ে রয়েছে মরণ-পুরুত।

স্বার্থের দুধ আমাদের গাভী আমাদের প্রাণ আমাদের প্রাণী
ডিক্লোফিন্যাক আমাদের বিজ্ঞানপ্রবণতা
স্ফিতিবিরোধক নাটকের ভেতর থেকে আবেগের অতিনাশ
করা এক কাজ গরুর গ্রন্থি থেকে
গঠনের অনেক ভেতরে একটা মারণকীটের মেজাজ যে রাখতে হয়
সকলেই বোঝেন ভাগাড়ে নেমেই কেলিয়ে পড়ে শকুন্ত
সারি সারি রাশি রাশি মড়া শব্দে যে সাহিত্যস্তব্ধতা
এবং তার কার্যকারণ না বোঝার ভান ক’রে এই যে
চোখের ওপর হাতের আলোঢাকনা রেখে তাকিয়ে দেখা যাবতীয় উচ্চতা
মিনার কেন স্তব্ধতা চায়
পচনশীল সৃষ্টির আশেপাশে গ্রাহক নেই যখন শকুন্তও নেই
কেন ?
এসব আপনার না বুঝলেও চলবে

Wednesday, November 10, 2010

নতজানু শব্দটা ক্রমশঃ

নতজানু শব্দটা ক্রমশঃ প্রাচীন হয়ে যাচ্ছে...
তুমি বুঝি অ্যানথ্রাপলজি অনুসৃত ?
- বইয়ের সেলুলজ গঠন ভেঙে দেয় রোদ
পাতার মৃত ক্লোরফিলগাথা
তাহলে সবুজের মাঝেই স্মৃতিভার তোমার ?
- স্পর্শের কোষগুলি বর্ণের অন্ধতা জানাত আমার কাছে
তখনই ভাবতাম সময়ের প্রকৃতই কোন একক নেই
প্রাচীনত্ব তোমাদেরই আরোপিত বিজয়মাধুর্য্য
আরো বিশৃঙ্খল মনে হয় পাশের বিকালে তাদের নিহিত -
তুমি কি ছায়ার কথা বলছ, নাকি স্কুলফেরত ...?
- আমি ওদের ছুঁতে পারি না, সুগন্ধের পরিচলন
আর কিছু বিবর্তিত অস্থির গঠনে
নতজানু শব্দটা ক্রমশঃ...
তুমি কি ইতিহাস ভালোবাস ?
- প্রতিটা মুহুর্তে আমারই সময়ের অপরিহার্য একক
মেরী-গো-রাউণ্ড...তার স্পর্শকোষ... একান্তেই মনে হয়
বাস্তব অন্ধরা নির্ভেজাল ইতিহাস রচনা করে...

আমি এই কবিতাটি কিছুদিন আগে লিখেছিলাম। আমি এটা পরিবিষয়ী কবিতা লিখব বলে লিখি নি, কিন্ত যখন এটা লিখেছিলাম, তখন পরিবিষয়ী বিষয়টা মাথায় ঘুরছিল, বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ক ব্যাপারটা। তাই সবার মতামত পেলে ভালো হয়, আদৌ পরিবিষয়ী-র কোন ছাপ এর মধ্যা পাওয়া যাচ্ছে কি ?