Wednesday, August 24, 2011

সম্নিলকি ১০

১০.

হয়তো এমন আরো পাড়া আছে
দূরে ঠেললে হারিয়ে যায়, অব্যবহিত
যদি সহজ হতাম, চোখে পড়তো না, বা আমার এই ঘুঁটে তোলা বোকা বোকা সিঁড়ি
আরো সময় নিয়ে, সাজেদার শুকনা খোসায়
নিরিখে, বা যে আলো আলো না
সাজেদার মরে পড়ে থাকা
কাচি আর ধারের মধ্যে একটা কীলক আনো নিরীহকে পেতে
যদি সেই কেন্দ্র প্রিয় না হতো
যদি সিঁড়িঘরে সিঁড়ি ভাবতে, খোসা ছিড়তে
এমন ছিড়তে যেন আগে হাত ভাঙা ছিল। দূর বলে দেখতে পাও নাই

একটা সাদা কাগজে ধূলার নামে যা যা জমে – তন্তু, ভাঙা লোম, মৃত চামড়া
ওই শ্লথ আরেক অপেক্ষার ক্রম। দিন কেন, কেন লক্ষ্য আর যোগাযোগ এক করে ভাবা
রেণু, স্ফুলিংগ, ফলশ্রুতি। ঝড়ের শুরুতে বিজলি চলে যায়
যুক্তি যেমন। আর এদের ছাড়া অব্যবহিত চিঠি – ফিরে আসে অন্য কারো খামে
ভাবে প্রাণ
ছিপের দিকে অপলক

তবে কেউ কেউ অন্য কথা বলে
নখ কাটে
বা হয়তো একই কথা, শুধু দেয়ালে বহু আঁচড় পড়ছে। টোপ গেলায় সে ক্লান্তি নাই
চাপা আনন্দে লতাগুল্ম খুঁজি পানির ভিতর

কত কত লোকের সমান একেকটা স্নায়ু
ভেবে পাইনা, ঠিক কারা কথা বলে
আসলেই কি সহজ হতে পারি, নাকি অন্য কিছু
পর্দার কিনারগুলো তন্ন তন্ন করে প্রক্ষেপের বাইরে যেতে চাই
নাকি উৎস একটা মিথ ?
যেমন সাপ কিছুই ভাল শুনতে পায়না, তবু তাকে ঘিরে কি অদ্ভুত লিরিক গড়ে ওঠে
সুর হলো আত্মা, দুলুনি তার মঠ – সাপ বা সাপুড়ে এসব ভাবছে না, বাকিরা ভাবছে
দ্বৈতাদ্বৈতের অপেরা
ঘর ভাঙা ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করো, সে বলবে – যে কাউকে বদলে নেয়া যায় যে কাউকে দিয়ে

Friday, August 12, 2011

ব্লেডলিখিত সত্ত্বাচিহ্ন



পাবো এই বিশ্বাসটা থেকেই তো বেরিয়ে পড়া
দীর্ঘ শ্বাসাঘাতপ্রিয় এই প্রস্তরতা ঘিরে
কখনও পুড়ে যাওয়া অফিসবাড়িতে না মেলা মেয়ের মায়ের
ঘুরে বেড়ানো রেলস্টেশান
কখনও সিদ্ধার্থ বা শ্রীচৈতন্য
এরপর তীক্ষ্ণ আমিষ স্টিলের চাদর কে আকাশ বলে ডেকে উঠলে
রিভেট থেকে পেরেকের ঠিকরে ওঠা
উত্তাপের বশম্বদ কালো পাখি
নীল ধ্যাবড়া শিখার তাড়না পেয়ে কোথায় যে যায়!
আমাদের এইসব হ্রস্বদেহী সুরের খোলস
এদের কি গান বলা যাবে?

এরপরই একধরণের ভাষাহীনতার শব্দ ওঠে
পুরনো সমুদ্র থেকে যারা জ্বরের জাহাজে
ফিরে এসেছিল সঙ্গে ভারি ফল
রোগা মেয়েদের দীর্ঘশ্বাস
তাদেরই শরীরে আজ ধাতব আকাশ
একটানা রোদ লেগে ঝলসে উঠছে
পুরনো পাড়া নতুন তৈরি হওয়া চলাচল
এভাবেই বিকেলবিহীন দিন সিল্ক পুড়িয়ে চলে

আসলে বুকের ভিতরে একটা ব্লেড
দেবদূতের ফেলে যাওয়া পালক

অথচ তোমার রংচটা কোবাল্ট নীল
সাইকেল কোথাও চড়া সুর ধরে
একটানা বিলাবল বাঁধা থাকে বিকেল পর্যন্ত
এই যে উত্তাপ এই যে দ্বায়িত্ব পালন
লম্বা বৃষ্টিহীন মাঠে আঠালো সোনালি পর্দার ওপর
যে লোকটা দাঁড়িয়ে রইল তাকে কী বলবে?


১০

নির্মাণ করে নিয়েছি চলন
উদাসীনতার ফাঁকে ইলেকট্রনিক গান
দমকা টিয়াপাখি
কখনও কি স্পষ্ট হাওয়া দেয়?
দিক নির্দেশক কোনও ধুলো?
এইসব রাস্তাগুলো দিয়ে চিন্তা নিয়ে হাঁটা যায় না
অবরোহন বিঁধে থাকে পায়ে
চকিতে ফেরার পর মনে হয় খেলাগুলো আর নেই
ডাঙায় ফেলে রাখা নৌকা তারা
তাহলে কী বাকি আছে?
একটানা শব্দগুচ্ছ ক্ষয়াটে সাক্ষ্য দেয়
এইসব রাস্তা কি আমি চিনি?
বাড়ি তো সহজ উপমা
তবু চলন্ত ট্রেনে মাছি দেখলে
একধরণের কষ্ট হয়, চাক চিনে ফিরতে পারবে তো?
কেই বা পারে? এলোমেলো ধুলো ঝাড়তে গিয়ে
ফেরত যাওয়ার ব্যাগ তৈরি হয়ে যায়,
মাটি ও বীজহীনতা টানটান প্রস্তুত
এই ছিলার গায়ে ফেরা তো হলুদ কোনও সার্বজনিক ফুল
বিনীত সংঘাতে যাবে,
তার আগে ট্রেনে ঘুমন্ত মাথা লেখে
নেমে যেন বৃষ্টি হয়



১১

এইভাবে কবিতাগুলো প্রতিদিন সবুজ ডেলা হয়ে উঠতে চায়
প্রবল মেঘলা ভোরে নিভৃত বেড়াল এসে শুঁকে দেখবে

অথচ আমি তো শুকনো জঙ্গলের সামনে এখন
পাতায় পিছলে যায় রোদ রৌদ্র
কীটহীন ডালের অণ্বয়ে কোনও মাংসলতা নেই

আমাকে নতুন কোনও দেশ দেবে
এই উৎসবের নৈঃশব্দ্য?

শুষ্কতা কি নিঃশব্দ হয়?
ক্রমশ ধুলোর কাছে কর্কশ ব্যকরণ
হাতে পায়ে শুকনো কাটার দাগ
টুকরো রক্ত আমাকে কীকরে দেবে
সদ্য কলেজে যাওয়া মেয়েদের
চুলে খুশকি রোধক শ্যাম্পুর খোলামেলা ভাষা?

১২

পুরনো সজলতা আসলে পেপার ওয়েটে বন্দি গাছপালা
তীব্রভাবে ভেঙে ফেললেও তাদের স্পর্শ করা যায়না
ভাঙা কাচে মোড়া বিকেলগুলো পল্লবিত শিরায়
নতুন শহরে শীতল পাথর?
এখানে রাস্তাগুলো এলোমেলো হয়না কখনও
সামান্য স্খলনহেতু নিজে ছিন্ন হয়ে গেলে
রক্তাক্ত তালুর গায়ে বয়সের সন্ধি মুছে যায়
এ হাত কি চলন চায়?
চলমানতা কাকে বলব
ছোট দৃশ্যে আটকে থাকা গ্রীষ্মকালীন
সকালের খাঁ খাঁ পার্ক

নাকি স্পেস চিহ্নের গা বেয়ে
লেখায় চুঁইয়ে ঢোকা
শিখ তরুণের প্রভাতি চুল বাঁধা?

Thursday, August 11, 2011

ডুবোপাহাড়ের লগবুক

দূরে টর্চ জ্বলে
দূরে ছাই ওড়ে
টর্চের আলোয় বোঝা যায়
দূরে নিমগ্ন হয়েছে কথোপকথন
টর্চের আলোয় শোনা যায়
ক্রমিক হয়ে এসেছে বৃষ্টি
টর্চের আলো ভিজে যায়

মুখ মুছে ফেলি

বাতাসপ্রতিমা, এই আমি, এই আমার ঘটনা, আক্রান্ত গোধূলি, ক্ষণ, পর্ব ও পর্বের অতিরিক্ত ক্রমাটে গড়নে ক্ষারচিহ্ন, প্রার্থনা, মনে রাখা সংক্রান্ত জটিলতা ।

আর এই আমার চলে যাওয়ার স্টাইল—যা নিয়ে ভাবার অবসর অন্য কেউ পাবে ।

পাবে, ঘটমান বারে
সূর্যমুখী মদ স্যাক্সোফোন
প্রতিভা, কৃতিত্ব
বাথরুম সংলগ্ন প্রমা
যার নিত্যবসর
মুখ গুঁজে মুখস্থ করে
হেরে যাওয়ার পদ্ধতি

দূরে টর্চ জ্বলে
দূরে ধাবমান মুখ
মুখের সারির মাঝে
নীলরঙ্গা ডুবন্ত জাহাজ
বন্দর হারিয়ে যাওয়ার স্মৃতি, আফশোস
এ সমস্ত
টর্চের আলোয় দেখা যায়

বাতাসপ্রতিমা, আমার নিরক্ষর হাতে মানানসই হয়ে আছে ভার, অভিকর্ষ। নীচে জাল নেই-- ট্রাপিজের দিকে ঊড়ে যেতে যেতে এই আড়ষ্টতা মায়াময় লাগে ।

--
এরপর সম্পূর্ণ নিরস্ত্র করে দেয়া হয় তোমাকে । ছুটির দুপুর হাতে ধরিয়ে তোমার ওপর লেলিয়ে দেয়া হয় সিলেবাস সমেত স্কুলবাস । আর সমস্ত যৌনতামাতৃক কারখানা দু’মিনিট শোকাভিনয়ের পর অভ্যাসমত ফের ঝুলে পড়ে সিলিং ফ্যানে, আংটায় ।

ভেবে দেখেছি, যে কোন দাবীই ভ্রমণ
বাড়ায়, নিজেও জংলী হাওয়াই প’রে
ঘোরে মেট্রোর তৃতীয় লাইনে, দড়িতে, আংটায়, কশেরুকায়
পৃথিবীর সমস্ত সরণীতে সৌন্দর্য হাঁটে আর আমাদের
বয়স বেড়ে যায়
দড়ি, আংটা, কশেরুকা সব জীর্ণ হয়
লেনিনসরণীর মোড়ে ঘড়ঘড় করে ওঠে
রেডিও, রেডিওতে—সলিল, রেডিওতে-- অন্তবিহীন

যখন চরাচর শূন্য হয়ে আছে, কোন স্মৃতি আর খুঁজে পাচ্ছে না তোমায় -- তখন বরফ পড়ে, বরফের ওপর লাল জুতোর ছাপ প্রকট হয়ে ওঠে – কচি ও চপল, স্থানে স্থানে অগভীর সেই সব দাগ – একা নেকড়ের মত মোহময়, দিন শেষের বিরক্তির মত করুণাময় ।

--
ওখানে আগুন জ্বলছে । ক্রমে স্থির হচ্ছে রাত । থিতু হচ্ছে । আমাদের সুখী হাতে শূন্যতা ভালো মানায়। ওখানে শূন্যতা জ্বলছে, সবুজ বর্ষাতি, কটু ধোঁয়া
আমাদের প্রাকৃতিক হাতে ভালো মানায় সখ্যতা

পর্দার ওপারে
কেউ পায়চারী করে
আমার স্মৃতির মত
ওটা আমি নই
আমার সন্দেহ
প্রকৃতি সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য
জানে না
ফলে কোন সখ্যই স্বচ্ছন্দ নয়

ওখানে আগুন জ্বলছে । ক্রমে উদ্বায়ী হচ্ছে রাত । প্রেরণা হয়ে উঠছে । আমাদের বিক্ষত হাতে প্রেরণা ভালো মানায় । ওখানে প্রেরণা জ্বলছে, নীল বর্ষাতি, কটু ধোঁয়া । পর্দার ওপারের ছায়া তিরতির কাঁপছে
শূণ্যতায় হাত সেঁকছে ।

এ সমস্তই এক সিনিকের কথা
যে জানে
গভীরতা একটি খাদ মাত্র
উঠে আসার এক মাত্র পথ আরো নীচে
গভীরতরতায়
--
মেয়ে হ’লে দু’ডজন নাকছাবি দিয়ে
বলতে পারতাম
পরিস দু’খানি
বাকি গুলো হারিয়ে ফেলিস হলুদ কলুদ বনে
--
শূন্য চোখ সমেত বদ্ধপরিকর সূঁচ
অণুসরণ করে খড়ের গাদাকে
তার প্রেরণাও রাত
শেষের এক সিগনাল মাত্র
আর প্রেরণার ব্যক্তিগত
সূঁচ আপ্রাণ হারিয়ে ফেলে নিজেকে
পাহাড়ে, সৈকতে, বাথরুমে, ঠা ঠা হাসিতে
নাক ফোটাবার নিমিত্তে
আর কিছুই পড়ে থাকে না ।
--
নিদ্রাতুর হেঁটে যায় উট
স্বাচ্ছন্দ্য পেরিয়ে যাওয়া
সেই সব হাঁটা
হলুদ কলুদ বনে আমাদের কলকব্জাগুলো
বেড়ে ওঠে
আফশোসহীন, প্রেরণার আতিশয্যহীন
এই সব আপাত পূর্ণতার মধ্যে
জনসমাগম হয়
বসতির গন্ধ ছেয়ে যায়
কাঁটায়, লেবুর ফুলে
প্রাকৃতিক সমস্ত টানাপোড়েনের মধ্যে
পাতা পোড়ে
উদ্বায়ী পাতা
--
এর পরেও কী একটা মন্থরতা প্রাপ্য হয়ে উঠবেনা – আমাদের
পরিবেশগামী মানুষেরা জলে নামে
পরিচ্ছন্ন জানু ও বাহু তাহাদের
পরিচ্ছন্ন তাহাদের অবকাশ

দূরে টর্চের আলোয় দেখা যায়
মেট্রোর তৃতীয় লাইন
আর একজন তৃতীয় কাউকে খুঁজছে
সুড়ং-ট্রেনের মত
দ্বি-স্তন প্রাণীদের জানা
পৃথিবীর তাবৎ প্রেরণা তৃতীয়
শাবকের কাজে লাগে
--

--
বাঁকের কাছে এলে সব সরল হয়ে ওঠে
অনিশ্চয়তা বলে কিছু বোধ হয় না
বিলুপ্তির দিকে বাড়িয়ে রাখা হাত
বুঝতে পারে – গাঢ়তম অন্ধকারও হারিয়ে
যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়
টর্চের আলো ভারী হয়ে আসে
হুড়মুড় করে ছুটে আসে
প্রতীয়মান সরলরাস্তার ওপর
দ্বিধা জমে
স্বচ্ছন্দ দ্বিধা
--
এই এক বর্জনের আভা
যার অনুরক্ত হয়ে ওঠে ছায়া
জমে জমে
গড়ে ওঠা বেড়াল

আত্মনিগ্রহের মত সরল ও অনুকম্পাহীন
অজস্র আনুগত্য ভেসে উঠছে
জলে
আঁশটে গন্ধে ভরে যাচ্ছে তটরেখা
দৃশ্যের দিকে গুঁড়ি মেরে এগিয়ে যাচ্ছে ছায়া

আমাদের অতিক্রম করছে
আমাদের বোকাটে বিস্ময়
--
কাল ছিল
আজ অবাধ হয়ে আসে
যেন ভারী প্রযত্নময় এই আজ
নির্দিষ্ট ও উচ্চগ্রামে
সশব্দে সংকেতের মধ্যে ঢুকে যায়
এই সব তাপে ঋদ্ধ ও চিন্তাশীল
আমাদের ছায়া
উটের ছায়ার তলে জিরিয়ে নিচ্ছে
পুষ্ট ও টসটসে হয়ে উঠছে

--
পিন্টো বলে – cut the crap man !—এই প্রতীক নিয়ে আদেক্লাপনা তোর আর গেল না । টর্চের আলো কিসের প্রতীক ? উট কী ? এত ডিপ্রেশান কেন ? আত্মহত্যা কেন ? মেট্রোর থার্ড লাইন ?
পিন্টো, ভাষাটাই তো লোগোসেন্ট্রিক । প্রতীককে শেষ করে দিলে শুধু ধ্বনি – সঙ্গীতমাত্র । সঙ্গীত এই মুহূর্তে চাইছি না । আর প্রতীককে আলগা করে দিচ্ছি । টর্চের আলো কখনো স্মৃতি, কখনো বিক্ষিপ্ত বোধ, কখনো ইন্সটিটিউশানের নির্দেশ, কখনো একেকটা মুড, অবস্থা, অবস্থান, রিপু – ভেবে দেখেছিস—কোন রিপু কখন প্রবল শুধু তার ওপর ভিত্তি করে চোখ পড়ে বিভিন্ন স্থানে । কখনো টর্চের আলো শুধুই টর্চের আলো ।
উট ? উট একেকটা জার্নির আগে কুঁজে চর্বি জমা করে – দেহের সবচাইতে এফিসিয়েন্ট এনার্জি সোর্স – জার্নি চলে, না খেয়ে না দেয়ে চর্বি ভাঙ্গে -- ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড, ট্রাইগ্লিসারাইড মেশে রক্তে-- পৌঁছে যায় পেশীতে, যকৃতে সেখানে গিয়ে আবার ভাঙ্গে বিটা-অক্সিডেশান -- উটের কী ডায়াবেটিস হয় না ? এত এফিসিয়েন্ট মাইটোকন্ড্রিয়া ? গন্তব্যে এসে আবার নতুন করে রসদ, চর্বি ।
পিন্টো, ৩ বছরের ইনকিউবেশানের পর ব্র্যাকেটশহর লেখা । সবটা সোর্স শেষ হয়নি । নতুন পথে বেরোবার আগে শেষ করে ফেলতে চাই । এও তো আত্মহত্যাই । যাতে আবার প্রথম থেকে অন্য কিছু শুরু করা যায় ।

কাল ছিল
আজ অবাধ হয়ে আসে
ডুবোপাহাড়ের লগবুক
মুখ তুলে দেখে—আবার নিবিষ্ট হয়
মাংসে, চেটে শাদা করে নিজ হাড়, হাড়ের পৃষ্ঠা

কার্যত কোন দয়া নেই
ঘনীভূত হয়েছে প্রখর
বিশ্লেষিত জানালাসকল
সেই সব সূর্যের দিকে হেঁটে যায়
আলগা, হিংস্র সেই হাঁটা
টানাপোড়েনের চিহ্নমাত্র ছাড়া
--
বিরুদ্ধতার দিকে যখন আমাদের রিট্রিট এগিয়ে
যায় নিস্তব্ধতাকে ছুঁয়ে বোঝার চেষ্টা
করে শিশুরা সেই ডাইড্যাক্টিক স্পর্শের
মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে থাকে নিতান্ত এক
শিক্ষণীয় পরিখা আদুরে ও আমন্ত্রণকারী
এই ডামাডোলের মধ্যে যাকে গোঙ্গানির
শব্দ বলে ভ্রম হওয়া আশ্চর্যের
নয় সে এক মাংসরঙ্গা বেলুনের
এলোপাথাড় বেলো
যার ওপর টর্চের আলো পড়েনি
যার ওপর টর্চের আলো পিছিয়ে আসছে
--
কেন্দ্র এক চ্যুতি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল
জলের কাছে ডুবো জাহাজের প্রতীকের কাছে
স্থির ও মাংসল সেই চ্যুতি
যা কেন্দ্রকে ভুলিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট ফলে
দৃষ্টির মধ্যে বানচাল হয়ে ওঠে দৃশ্য
তীরের কাছে এসে ফিরে যায়
প্রতীকের জল্পনাগুলি
ডুবোজাহাজের বিকল্প ডাইভ

Wednesday, August 10, 2011

ব্লেডলিখিত সত্ত্বাচিহ্ন

ব্লেডলিখিত সত্ত্বাচিহ্ন


নিজে কি প্রস্তুত আছো এই ভাঙন সংক্রান্তে
এই শীত ও পাহাড়কামী মানুষের কোন বনিবনার সূত্র
ধরে তুমি এখানে এসেছো
তোমার লেখার ভাষায় জড়িয়ে আছে
ফিকে হয়ে আসা আঙুলের দাগ
বইয়ের পাতাগুলোয়
পুরনো পেজমার্ক ধরে এগিয়ে আসা কোনও আকস্মিক দিনেতিহাস
তিন বা চার মাত্রিক ছবি নয় আসলে ধ্রুপদী রীতির গায়ে দুমাত্রা লেগে থাকে
তোমার ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাওয়া পিছনের টান
অথচ নুন ছাড়া আর কিছু নেই ছাল উঠে যাওয়া আঙুলে
অথচ শুধু মাথা নীচু করে বসে থাকা ছাড়া আর কোনও শব্দ নেই পাশে
তবু এই ধাক্কা
ওই তো দূরে কেউ মেলার কথা বলল বলে
শিরা থেকে ১৫ বছর খসিয়ে দেওয়া সহজ, বলো
প্রশ্ন কোথায় নিয়ে যাবে তোমায়
উত্তর কোথায় নিয়ে ফেলবে এই ওঠাপড়ার বাজারে
শুধু অভিযোগের আর না-ভালো লাগার কাহনে
তুমি কেন বারবার হাঁটু ধরে ঝুঁকে নিশ্বাস নিচ্ছ দৌড়
কে বা কারা এখানে শুধু ভারি বুটের আওয়াজ দিনেরাতে
এখানে শুধু লাল ট্র্যাক ঘিরে থাকে সমস্ত রাস্তা
প্রতিটা মোড়ে লোকে কাউকে না চেনার গায়ে লিখে রাখছে সংখ্যা
যেসব চলাকে তুমি হালকা ভাবো তাদের শরীরে সংখ্যা
কার্ড ও যৌনতাবাহী মেয়েদের দিকে ঘুরে আসে বারবার
অথচ তোমার শুধু ছাল উঠে যাওয়ার গতরে নুন
তোমার হাতে কোনও বই নেই
মেট্রো স্টেশনের ফাঁকা বুকশপের গায়ে শুধু সংখ্যা ও কুহক কাপ
ছেলেমেয়েরা আসে
ছাত্রছাত্রী
সংখ্যা
অভিযোগ তুমি চেটে দেখেছো বলো
কথা থেমে গেলেও কোনও তাপ আসেনা
শব্দ চটে যাওয়া পুরনো পাতা তুমি কীইবা দিতে পারো
এখানে অক্ষর মানে ভাঙা কিছু যতিচিহ্ন
শুধু উজ্জ্বল সংখ্যার কাছে মাথা নামিয়ে বসে থাকো
তুমি কি প্রস্তুত ছিলে না
কেনই বা ছিলেনা
অভিযোগ ছাড়া আর কিই বা থাকতে পারে তোমার সংখ্যাহীনতার বিরুদ্ধে
মাথা নীচু করে দেখ বিশ্বাসী বইয়ের পাতা থেকে কীভাবে
উঁচু হয়ে ওঠে বুনো কুকুর
তাদের শিকার
ভাঙা স্তব্ধতার কাচ গায়ে লাগিয়ে নিয়েছে শীত
আর তুমি কি জানতেনা এই রাস্তাটা চমকপ্রদ নয়
বাতাসকাটা
কাচ ও পাথরকাটা
কুয়াশার শরীরে উঁচু হয়ে থাকা দুর্গ
অপ্রত্যাশিত আক্রমণে বারবার সামলাতে থাকা
চোয়াল নেমে আসবেই
দাগ ও আঁচড়
সেই কবে থেকে জাগারাতের পিঁপড়ে এসে জানান দিয়ে গেছে মাংসলতা
মাংস ও নুনের পাহাড়ে গাঁথা ব্লেড
আসলে জানা ও বোঝার মাঝখানে থাকে একটা পায়ে চলা রাস্তা
এলোপায়ে ভুকে যাওয়া পেরেককে কি বলে
কথা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার মাঝখানে
শুধু দাঁড়িয়ে থাকে বছরগুচ্ছ
যারা এখন মেলার মাঠ থেকে বাড়ি ঢুকলো
পুরনো বন্ধুরা যারা মদ খুলে বসেছে
কিম্বা যে ব্যস্ততার গায়ে সংখ্যা লিখে রেখেছে
তাদের একজনও কেউ দাঁড়িয়ে নেই এখানে
তোমার ভিতরে কেউ মরে যেতেও আসেনা
অথচ লেখার শরীরে ফিরে আসা থাকে
লেখা কী
বিষণ্ণতার চিঠিপত্র নাকি দুটো শরতের মাঝখানে
কুয়াশায় দাঁড়িয়ে থাকা একাকী লোকটা




নিজেকে বলি আরও হিংস্র হয়ে ওঠো
গতবছর যাদের সঙ্গে খারাপ ছিলে
এবছর যাদের সঙ্গে আরেকটু নিম্নগামী স্বেদ
জিভে ব্লেড কে রেখেছে?
প্রতিদিন পায়ে জড়িয়ে উঠেছে লতানে রোদ
মাথা নামানো সকাল নয় বরং ঝকঝকে দুপুরগুলো
সারিবদ্ধ কীটনাশকের সামনে ম্নেলে রেখেছে বই
পাতার পর পাতা শুধু বন্ধুদের না লেখা অনুপস্থিতি
তুমি কি অন্য দিকে যাবে
পছন্দ মত বাসের পাশে অনায়াস নেমে যাওয়া স্টপ
আরেকটু গেলেই গলি গ্রীষ্ম আসার আগে কুকুর ধরার গাড়ি
আর্তনাদ খালি করে চলে গেছে
তুমি দেখ বেঁচে যাওয়া সন্ত্রস্ত জানোয়ার
তার কম্পন
প্রতিদিন বাবার কথা মনে হয়?
আয়নার সামনে অফিস যাওয়ার অনিচ্ছা
না দেখার অভ্যেসে বুড়িয়ে গেল



রুখে দেওয়ার কথা কি ঝাপসা হয়ে গেছে?
নিজে বসেছো স্বর্ণাভ পাথরে
সামান্য রক্তের ছাপ
মধ্যযুগের গায়ে কারা উপুড় করে দিয়ে গেছে দারিদ্র্য
কোথায় থাকবে তুমি ডিসেম্বরতাড়িত?
সামনে কেউ অযথা মুখ খুললে কি তোমার নৈশঃব্দ্য
তার চোয়াল তুবড়ে দিতে পারে আজও?
নিজের শরীরে দাগ, ক্ষত বরাবর উঠেছে বিশ্রামরেখা
কতদূর ভিজে ও শুকনো পাতা ঢেকে দিয়ে গেছে ঘুম
কতদূর চোখ নামানোর মত ভঙ্গি দিয়ে গোপন করেছো
কবুল করা ভুল সমর্পণ
এবং তোমার যোগ ছিঁড়ে গেছে
রক্ত শিরা তন্তুর সঙ্গে
আকুল জ্যোৎস্নার পথে থকথকে জামরুল পাতার
প্রগাঢ় সবুজের সঙ্গে
কী আছে এখন এই দীর্ঘ দুপুরের দেশে?
শুধু কাচ ভেঙ্গে রাস্তা রক্ত হবে
পাথর ছোঁড় না?

Sunday, August 7, 2011

স্মৃতিলেখা




কৌরব ১১৩-র জন্য লেখা চাইছি

সুধীজন! এই ব্লগের সমস্ত সদস্যকে আগামী বইমেলায় প্রকাশিতব্য কৌরব ১১৩ নম্বর সংখ্যার "পরিবিষয়ী" কবিতা অংশের জন্য বেশ কিছু কবিতা [এই ব্লগে লেখা ও তার বাইরে] যত্ন করে একটা word file- য়ে লিখে এবং পাশাপাশি pdf করে আমাকে অক্টবরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করছি। গত কয়েকমাসে এই ব্লগে অসম্ভব ভালো, সুন্দর, অভিনব, অভিজাত, সৃষ্টিশীল ও মননঋদ্ধ কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এর জন্য সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইলো।

Friday, August 5, 2011



খুব একটা দেখা গেলো না, অথচ মনে হলো চেনা
ওবাড়ির ফটোএলবাম, ঝাপসা, আশির দশকের
সমুদ্রতটে যাবার রাস্তা বাঁধা হয়নি, – একটা এলাচের শিশি খুলতে খুলতে বলছিল
এত এত দুপুরবেলা, শুধু পাশের বাড়ির গানটির মত ঘুরতে থাকে মাথার ভিতর
স্পষ্ট শোনা গেলো না . . .
অথচ একটি সুর বেছে নিতে হবে
নতুন কিছু না, তবু কত আলাদা লাগে এই কেন্দ্রপ্রিয়তার ফাঁদ
হয়তো আমার ভিতর এমন অনেক মনস্তাপ আছে
যাদের আমি বুদ্ধিমান ভাবছি, অন্তর্লিন কোয়া খুলতে চাচ্ছি না ভেঙে
একা তো অনেক ভিড় ছাড়া বাড়ে না
ঘুরে যায় জানালা বন্ধ হবার লং প্লে যেমন, বহু দূর থেকে
কত দিন ধরে
তার পিঠ উলটে দেয়ার গভীর নিত্যতা
আমাকে পেয়ে বসে
আমিও সেই যমজ বলতে চাই – যার জন্মসাল আলাদা
যন্ত্রের মধ্যমায় সুরের অমিলগুলো এঘর থেকে ওঘরে যার মিল ধরে ছিল, কেউ কেউ টের পায়
বাগান করে
তবু ফিরে আসে জানালার অপবাদ
কোথায় কোথায় ছিল ফাঁকা বাঁকগুলি, মনে হতো যে গায় তার গায়ে লাগে না

একটা চোখের মিথ দৃষ্টিচক্র, তাকে ঘিরে আরেকটা, খুব ধীরে বহির্মুখী প্রতিবৃত্তে
চোখ জেনে চলেছে সে’ই অন্তিম শাসন বারণ
ঘুড্ডি আর মাঞ্জার খেলা
যেন কিছু কিছু গতি কেবল নির্দয়তা একমুখী করে তুলতে পারে
যখন কিনারাও গোল, চোখের দুপাশে অলক্ষ্য ছুরি গুটিয়ে রাখে
আমি স্থুল হয়ে উঠতে পারি না – রোদছাতার নকশা কাটা বাল্ব, মানিব্যাগ, ছোট ছোট বেঞ্চ, বিপক্ষ

স্পষ্ট করে একটা বেহালার ভূগোল শিখছি
বাইরে থেকে দেখলে ম্যাপ অনেক রকমের হয় – ছবিনির্ভর, শব্দনির্ভর, তরঙ্গনির্ভর
সুতরাং নিজের নাম খোদাই করার প্রবৃত্তি হাস্যকর লাগে না
পেয়ে বসা নিত্যতার পাল, হাওয়া তার সন্দেহ
ইনসমনিয়া কাটিয়ে ওঠে পুরানো শহরের নদী, আমাকে আবার চিনে ফেলে
গভীর করে এড়াতে চাই একটা ডাকঘরের ছায়া
একটা ইটের বাড়ি, ভৌতিক শব্দের জন্য কুখ্যাত ছিল। কয়েকধাপ সিঁড়ির পর দরোজা। বেসমেন্ট সিল করা

বরং পড়শির কথা হোক। একজোড়া তিতির দেখেছিলাম হাসপাতালের পুকুরের ধারে
কি অদ্ভুত লম্বা লম্বা শোবার ঘর
দেখা আর কথা দুই তার
একটা বিষপোকা ওদের ফাঁকে আটকে গেলে গান হয়
সুর বসে, তার আগে না। কোয়ার সমীকরণ থেকে খুব সহজে বাদ দেয়া যায় দিকভ্রান্তির মতো ওই ফটোএলবাম
তবু দাঁড়িয়ে আছে পাশের বাসায়
টের পাচ্ছি, দু’পাশ থেকে চেপে ধরা পুরানো ভারি ভারি ভ্রমণকাহিনী
দেখলে মনে হয় যেকোনো মুহূর্তে তাকগুলো ভেঙে পড়বে দেয়াল থেকে

Thursday, August 4, 2011

সাদা কালো
খুলি
তুষারবামনের চোখ

আকাশকাটা ধোঁয়ার রাস্তায়
দিক্ ভেদকরে জীবন্ত খুলি।

ক্ষণেক আবছায়া পারিপার্শিক
শিক

তরিবজো্রজুলুম টলে।
ইনিয়ে বিনিয়ে অকুস্থলে, ছলেবলে
শুকিয়ে ল্যাক্রিম্যাল। হানো
জো্র হরিণীজাল, শেষ মুখোশের পর-
বলগাহীন দাঁতের কুলুপখোলা পায়রা ওড়ানো।

সপ্রতিভ ভ্রুক্ষেপ মানে গোপন শোক
নির্মোক লেখে-

দীর্ঘযাম, নিমেষ কাম

সন্ধ্যার ইতিহাস।।

-সর্বজয়া
JOSEPH K

Why was he standing there?
at the back..
relaxed…
..with a sack.

The eyes closed, with denizen of dreams
red, blue, white ice,
 icecreams

people looked behind,

he forward.

vain attack
 standing at the back?

And then the assassin told
'…… i ,
body without a coffin,
my daughter died, while being taught a scene
a sight of Artaud, or, no, may be,
 Bond... '

and i waited for cavil-
warning
nor velodram,
no track

he stood,
silent
Aback,
san the sack.

-Sharbajayaa

Wednesday, August 3, 2011

Eyes

conceptual eyes of the fish

forget to blink

yet red wishbones

light harbours with decrees

and

it feels alright in coming to terms

with wholesome rejections afresh

miasma and bread in a crowded bakery

and they say

familiarity builds indifference

a wall between touch and feel

between fragrance and smell

between uncertainties of comprehension

you will never know me

yet i stand looking through

your window at my face

undecided whether to shave

or let my shards grow

stab your depth

red and white

capricious eyes