Friday, August 5, 2011



খুব একটা দেখা গেলো না, অথচ মনে হলো চেনা
ওবাড়ির ফটোএলবাম, ঝাপসা, আশির দশকের
সমুদ্রতটে যাবার রাস্তা বাঁধা হয়নি, – একটা এলাচের শিশি খুলতে খুলতে বলছিল
এত এত দুপুরবেলা, শুধু পাশের বাড়ির গানটির মত ঘুরতে থাকে মাথার ভিতর
স্পষ্ট শোনা গেলো না . . .
অথচ একটি সুর বেছে নিতে হবে
নতুন কিছু না, তবু কত আলাদা লাগে এই কেন্দ্রপ্রিয়তার ফাঁদ
হয়তো আমার ভিতর এমন অনেক মনস্তাপ আছে
যাদের আমি বুদ্ধিমান ভাবছি, অন্তর্লিন কোয়া খুলতে চাচ্ছি না ভেঙে
একা তো অনেক ভিড় ছাড়া বাড়ে না
ঘুরে যায় জানালা বন্ধ হবার লং প্লে যেমন, বহু দূর থেকে
কত দিন ধরে
তার পিঠ উলটে দেয়ার গভীর নিত্যতা
আমাকে পেয়ে বসে
আমিও সেই যমজ বলতে চাই – যার জন্মসাল আলাদা
যন্ত্রের মধ্যমায় সুরের অমিলগুলো এঘর থেকে ওঘরে যার মিল ধরে ছিল, কেউ কেউ টের পায়
বাগান করে
তবু ফিরে আসে জানালার অপবাদ
কোথায় কোথায় ছিল ফাঁকা বাঁকগুলি, মনে হতো যে গায় তার গায়ে লাগে না

একটা চোখের মিথ দৃষ্টিচক্র, তাকে ঘিরে আরেকটা, খুব ধীরে বহির্মুখী প্রতিবৃত্তে
চোখ জেনে চলেছে সে’ই অন্তিম শাসন বারণ
ঘুড্ডি আর মাঞ্জার খেলা
যেন কিছু কিছু গতি কেবল নির্দয়তা একমুখী করে তুলতে পারে
যখন কিনারাও গোল, চোখের দুপাশে অলক্ষ্য ছুরি গুটিয়ে রাখে
আমি স্থুল হয়ে উঠতে পারি না – রোদছাতার নকশা কাটা বাল্ব, মানিব্যাগ, ছোট ছোট বেঞ্চ, বিপক্ষ

স্পষ্ট করে একটা বেহালার ভূগোল শিখছি
বাইরে থেকে দেখলে ম্যাপ অনেক রকমের হয় – ছবিনির্ভর, শব্দনির্ভর, তরঙ্গনির্ভর
সুতরাং নিজের নাম খোদাই করার প্রবৃত্তি হাস্যকর লাগে না
পেয়ে বসা নিত্যতার পাল, হাওয়া তার সন্দেহ
ইনসমনিয়া কাটিয়ে ওঠে পুরানো শহরের নদী, আমাকে আবার চিনে ফেলে
গভীর করে এড়াতে চাই একটা ডাকঘরের ছায়া
একটা ইটের বাড়ি, ভৌতিক শব্দের জন্য কুখ্যাত ছিল। কয়েকধাপ সিঁড়ির পর দরোজা। বেসমেন্ট সিল করা

বরং পড়শির কথা হোক। একজোড়া তিতির দেখেছিলাম হাসপাতালের পুকুরের ধারে
কি অদ্ভুত লম্বা লম্বা শোবার ঘর
দেখা আর কথা দুই তার
একটা বিষপোকা ওদের ফাঁকে আটকে গেলে গান হয়
সুর বসে, তার আগে না। কোয়ার সমীকরণ থেকে খুব সহজে বাদ দেয়া যায় দিকভ্রান্তির মতো ওই ফটোএলবাম
তবু দাঁড়িয়ে আছে পাশের বাসায়
টের পাচ্ছি, দু’পাশ থেকে চেপে ধরা পুরানো ভারি ভারি ভ্রমণকাহিনী
দেখলে মনে হয় যেকোনো মুহূর্তে তাকগুলো ভেঙে পড়বে দেয়াল থেকে

7 comments:

  1. Fantastic ! asambhab bhaalo laagchhe...ekTaa saabdhaan-baanI, kothaao ki Aryanil-dar ekTaa haalka chhap aaschhe ? be careful, o fNaad theke nistar paawaa koThin...fole aapaatoto stop reading him...

    ReplyDelete
  2. aha re , koto eRate chai :-] ... thanks for the warning Sabyada, will have to rethink some of the weaving patterns. arghya

    ReplyDelete
  3. Daarun..."cinematic" bolle raag korben naa please... daarun bhaalo laaglo...

    ---Nilabja

    ReplyDelete
  4. offf! ki asaadhaaraN lekhaa! se Jaar prabhaabai parhuk ( :-) , ei ekai kathaa aami Nilabjake maajhe maajhe bali), e khub rare lekhaa. kaTaa line parhei kakhano kakhano kabir mukher dike sambhram niye, shraddhaa niye taakaate hay - eTaa sei rakam lekhaa. jabaab nei. khub beshee bhaalo laagale, beshi kichhu balaa Jaay naa. aami aabaar parhabo.

    eTaa ki ekaTaa series er lekhaa ?


    - AM

    ReplyDelete
  5. Nilabja, thank you.

    Aryanilda,
    9 - number ta copy-paste er shomoy chle ashlo. eTa Windsor theke fire eshe lekha. amar purano shohor. koto sriti, kintu pray kono manush-kei chini na! deergho 5 bochor por prothom barer moto giechilam 3 rat chilma. arghya

    ReplyDelete
  6. "স্পষ্ট করে একটা বেহালার ভূগোল শিখছি
    বাইরে থেকে দেখলে ম্যাপ অনেক রকমের হয় – ছবিনির্ভর, শব্দনির্ভর, তরঙ্গনির্ভর"

    আমাকে ভীষণ ধাক্কা দিল। ম্যাপের অন্তরাঙ্গ নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে হয়।

    ReplyDelete
  7. এই অগাস্ট মাসে, এ বছর, এই ব্লগে, এ সময়ের বাংলা কবিতার কিছু উজ্জ্বলতম উদাহরণ জমা পড়ছে - এইটা আমাকে বারবার বলতে হচ্ছে, আর খুব সরবে ...

    ReplyDelete