Thursday, February 23, 2012

derrida on deconstruction

sabya-r saampratik kabitaa niye aamaader aalochanaar pariprexite o Sanchita-r prashner uttare aamaar mane halo, ei videoTaa sakaler janya share karaa Jay. sabaai dekhuk. ki mane hay se niye aalochanaa karaa Jaay ekhaane...

Tuesday, February 21, 2012

khub beshi post kore felchhi ki ?

আমাদের ভাবনারা প্রকাশ্যেই
নিজেদের গুটিয়ে ফেলছে অবয়ব থেকে
একটা গাঢ় সন্দেহের মধ্যে
ঢুকে যাচ্ছে
যে সন্দেহের মধ্যে নির্দেশ নেই
দিক নেই
পরিমাপযোগ্য কোন নিস্তব্ধতা নেই

শুধু এক বোবা কুকুরের মাটি খুঁড়ে যাওয়া
একটা হারিয়ে যাওয়া পায়ের হাড়ের
অনস্তিত্বকে প্রমাণ করার জন্য

--
স্বভাবতই আমাদের স্বাস্থ্যকামনাগুলো
ঘন ও প্রাচুর্যময়
এইসব দিনে
যন্ত্রণার কথা মনে পড়ে
যেভাবে ট্রেনে কাটা পড়া
পায়ের পাতাও চুলকায়

শেকলের স্মৃতির মধ্যে
যতই স্বচ্ছ হোক কুকুরের ঘাড়
সন্দেহ বলে কোথাও আর কিচ্ছু থাকে না ।
--
ভাবো পূর্ণতার কথা
যে কেবলই অস্তিত্বের মধ্যে হারিয়ে যেতে চায়
সমস্ত ওজন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে
আর ফিরে আসে
সমস্ত পূর্ণতা সমেত
তার শুন্যতার কথা ভাবো

ভাবো তার বিশ্বাসহীনতার কথা
সন্দেহরহিত অবিশ্বাস্যতার কথা
--
তবে স্মৃতিও একটা অস্বীকার
বা অস্বীকারের মহড়া
আমাদের ছায়ার ভেতর থেকে
ফিরে আসা
শেকলের আভাসকে
যে বদলে নেয়

বকলসের প্রান্ত ও অবস্থানকে
ঘুরিয়ে দিয়ে
ধীরে ধীরে আপাতপূর্ণতায় ঢুকে যায়

ঘাড়ের ওপরের ভার
কব্জিতে নেমে আসে
--

Sunday, February 19, 2012

ফালতু চিন্তা (আরও কিছু)

কিছুক্ষণ মৃত্যু এসে বসে রয়েছে খাটের পাশে ইজিচেয়ারে
তার এক তোলা পায়ে আঙুরলতা, হাজার কাঁটার বনান্তরী
কিছুক্ষণ অন্তত একদিন মরে যাবার হয়তো আগে
তাকে দেখা যায়, দেখতে পায় কেউ অনেকে


একটা অনুষঙ্গ আমাদের প্রাপ্য
শেষমেষ যার নাম হয়তো নির্জনতা
হয়তো জরুরী অবস্থা
হয়তো
শৈশবের বাড়ি, সারাজীবনের বাড়ি
বসার ঘরের ফাটল
ছাই ভেদ করে কইমাছের কানকো
পরিচিত বিপন্নতাগুলো
আলোকিত খানিকটা অবস্থা
যা যন্ত্রণার, টনটনে প্রতিক্রিয়াময়
এরপরও অন্ধকার থাকে
শব্দের আসল স্বরূপগুলি
স্বরূপের পালকেরা
পড়ে থাকে নির্মম মাঠে


একটা স্বান্তনা আমাদের প্রাপ্য হয়ে ওঠে
ভুলে যাওয়ার মত অন্তর
মৃত্যুকে একটা অবস্থান ভেবে নেবার মত ভুল
--
একটা ভুল চিনিয়ে দিচ্ছে
পরবর্তী ভুলকে
তবে, ভুলও একটি ইন্দ্রিয়
যে হাসির মধ্যে দিয়ে
আক্ষেপের মধ্যে দিয়ে
শৃংখলাকে বুঝে নিতে চায়
দৃশ্যময় ও সাদৃশ্যময়
পরিচিতিগুলোর দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়
ছ্যাঁকার সম্ভাবনাকে অগ্রাহ্য করে
--
ভুলও কী একধরণের বিশ্বাস তবে
বা বিশ্বাসও কী একধরণের ভুল
যা আছে তাই আমরা আছি
বা যা আছে তাই আমরা নেই

আমাদের নির্জনতাগুলো
চেয়ে থাকে শাদা ও বন্ধুর এক পৃথিবীর দিকে
যার কোন আবরণ নেই
আবরণের লেশমাত্র নেই
--
ঘুম ভেঙ্গে গেলে লক্ষ্য করি
শাদা এপ্রন পরে
আমাদের পরীক্ষাগুলো
আমাদের নেড়ে চেড়ে দেখছে
আমাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কথা বলছে
অস্ফুট গলায়
সেসব অস্পষ্টতার মধ্যে
সৌজন্য থাকে-- আমাদের পরীক্ষার দিনে
যে সৌজন্য কোথাও ছিল না

হাত গুটিয়ে ফেলার মত
ভয় পাওয়ার মত
এক টুকরো
শেকলও আর পড়ে থাকে না ।
--
--
আর যন্ত্রণার কথা মনে পড়ে
দুঃখ হয়
পুরোন যন্ত্রণাকে ফিরিয়ে আনা যায় না
অনুভূত করে নেওয়ার মত অবশিষ্ট কিছু নেই
নতুন একটা যন্ত্রণার জন্য দাঁতে দাঁত চেপে
অপেক্ষা করি
সংস্থাপনের জন্য
ক্রিয়াশীল ছায়াগুলো সুলভ্য হয়
চোখের নীচে
খেলা করে
--
ধরে নেওয়া ভাল
ব্যবস্থা একটি তরল অবস্থা মাত্র
বিশ্বাসের জমাটতা থেকে যে নিজেকে ছাড়িয়ে আনে
তার পর নিশ্চেষ্ট বসে থাকে
অ্যাকোয়ারিয়ামের দিকে মুখ করে
প্রতীত হয়ে ওঠে ঝিঁঝিডাক
যা সাকুল্য
বিশ্বাস ও অবিশ্বাস দুয়েরই
--
এরপর অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে
আমাদের বেড়ে ওঠা
পুরষ্কার ও শাস্তির দিকগুলো চিনে ফেলা
না-না স্ট্রেসর-এর পরিপ্রেক্ষিতে
আয়ত্ত করা বূহ্যভেদের কৌশল
সন্তরণক্ষমতা

আমাদের দৃষ্টির অগোচরে
আমাদের সমস্যারা
দাঁড়িয়ে থাকে শাদা এপ্রনে
নোটবুকে টুকে নেয়
আমাদের যতটুকু
পরিমাপযোগ্য
এখনো সর্বনাম
এক
Cogito, ergo sum: Rene Decartes
ওরা সমার্থক বলে পরস্পর। বিবমিষা খাদ হয়ে মিশে
আছে গোলামদের গুহায়। এ 'গ'কারে রয়েছে, গৃহকার্যের
ব্যাপৃ্ত প্রকরণ।
যখন তখন।
তাই যুযুধান অমনিবাসে মন
কম হয় আজকাল। ভিজে পাখনা, রঙিন মাছ।
আমি কিন্তু স্বাদুতার কথা বলছি না।

রক্তে, মানুষের রক্তে ভাল সার হয়।
বড় বড় সাজানো ড্রাম।নাইট্রিক, সালফিউরিক,
ঢাকাগুলি স্টিলের।ঠাণ্ডায় ঠাণ্ডা, গরমে গরম।

পশমের পোশাকে যেমন জড়িয়ে আছে ছাড়ানো চামড়া,
(ট্যানারীর পাশ দিয়ে যেতে গেলে মুখে রুমাল দেয় ঐ মোজা পায়েরা। প্যারিস, প্যারিস...
সুরোভিত ঘ্রাণ, দাম আছে বেশ।)
সেরকম আলোশব্দগুলি জ্বলে জলে, নড়ে, নড়ে ওঠে...
দেখি ওরা স্যাঁতস্যাঁতে ভিজে কিরকম।

টুপ টুপ টুপ টুপ
টপ টপ টপ টপ
টোপ টোপ টোপ টোপ

এক চেতনে বিভেদ
দুই চেতনে আফিং
তিন চেতনে পড়ন্ত ...

রোদ, মানুষের, অলীক মানুষের রোদ
প্রতিবিশ্বাসের উপপারমাণবিক
ব্যক্তিসত্তা্র কোয়াণ্টাম?
নিউট্রিনো, কী বল?

সৌজন্যে ন্যাতা লাগে শুনেছি।ওরা বলে 'মুখ মোছ'।আমি
ত' হাত ধুয়ে বসে আছি,
মনে হয়।

Saturday, February 18, 2012

কাটিয়ে ওঠার খসড়া ১

"অফুরান হলো সদ্য কেনা ছুরি। একদিন আর এসব থাকবেনা। গতকাল অনেকগুলো বাতি তৈরি হয়েছে। অনেক ফিউজ জ্বলে গেছে। আজকে আমি সময় মতো দাড়ি কামালাম। গত সপ্তায় তোয়লা ধুয়ে দিয়েছি। তোয়লা এক পাশে তোয়লা অন্যপাশে। আমি ঠিক করলাম মেঝে মুছবো। বইগুলো জায়গা মতো রেখে একটা গান বাজাবো। যেমন বলো তেমন জড়ে বিশ্বাস আসে না। তোমার কথা চিন্তা করে দেখি – আরো ওইসবে হয়েছে ওসব ? একটা দেয়াল। একটা বন্ধনি। আমার কল্পনা আর কারো হওয়া অসম্ভব। তার পরেও ব্যাপারটা এত স্বাভাবিক ভাবে হতে পারে যে খেয়াল করতে ভুলে যাই। পলেস্তারা জুড়ে ফার্নের মতো গজিয়েছে আমার মনোবল। ভাবছে প্রাণ একটা অবস্থা মাত্র। আরো অনেক সমস্যাই গজফিতা হয়। কাটাছেড়া জটিল মশলার তাক। বা একেকটা অবস্থা হতে পারে এক একটা ফিউজ। ঠোঙ্গা উল্টাচ্ছে আর সোজা করছে, উল্টাচ্ছে আর সোজা করছে ...হাতটি খুঁজতে যেও না। সেতু বুঝে নিও নিজের মতোন। প্রচুর বাতি তৈরি হচ্ছে। যেখানে অন্তিমতা প্রয়োজনহীন, বা সবকিছুই অন্তিম। নানা অবস্থা জুড়ে একটা একটা বিচ্ছিন্নতা। তুমি টের পাবা। কিন্তু যে মুহূর্তে কল্পনা করো, খুব মায়া হবে নিজের জন্য।”
হলুদ দাগ পড়া ফলটি ঘোৎ ঘোৎ করে কাটতে থাকে ছুরি দিয়ে। শক্ত চোচা। ভিতরে টসটসে দানা। বাঁকিয়ে খুলতে থাকে উনি। পর্দাঘেরা বিন্দু বিন্দু কামনা। জবরদস্তি একটার সাথে আরেকটা জুড়ে তব্ধ মেরে ছিল! মুঠিভরে সেই দানা মিশ্রকের ভিতর ঢালে। ব্লেড জুড়ে তৈরি হয় গোলাপি আর্দ্রতা। একটা বাচ্চা ছেলেকে গিলিয়ে দেয়া হলো।

অতঃপর কোষ বিভাজন। বেদানার রস স্ফটিক হতে থাকে। খারাপ। দুর্বলতা। কৌতুহল। শুভ। এইটা শোভন। বি আ গুড বয়। একেকটা পুনরায় থোকা বাঁধতে থাকে। উপরে গজিয়ে ওঠে খোসা। যেই খোসার নাম ভয়। আর্যদের গল্প সেই তুলনায় রূপকথা। দ্বাদশ বর্ষব্যাপী। চিত্রাঙ্গদা শুনলো একদিন। ভয়ে ভয়ে মুখস্ত করলো মাগরিবের নিয়ত। অন্ধকারে মানুষ ছুটছে দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য। আগুন! আগুন! খুব ভয়ে ডালিমের চামড়া পুরু করতে করতে একদিন লোকটা নিজেকে ছুরির দোকানে আবিষ্কার করে। আবিষ্কার করে সে একটা রুপালি ছুরি কিনে দোকান থেকে বেরিয়ে এসেছে বাসস্টপে। একটা পশ্চিমা কিচেন চীনা ডালিমের মুখোমুখি। মানে দাঁড়িয়ে। মানে মৃদু শব্দে ছিন্নভিন্ন হচ্ছে দাঁড়িয়ে। হাত ভিজে মানে উঠছে। লিপ্ত মানে লাগছে। ডালিম ভর্তা হয় বারকোড থাকে। পাশের ফ্ল্যাটে এত জোরে গান বাজায়

অনেক চাহিদা বুজিয়ে বুজিয়ে একটা কামনার দিকে যাও
ফিরে আসো
পাশের ফ্ল্যাটে গান বাজাচ্ছে ওরা
ভাবনা বস্তু। বস্তুই বিশ্বাস। বাদাবাকি ঠান্ডা লেগে যাবার ভয়
অর্থাৎ বাক্যবিনিময়। আমি তোমার সময় নষ্ট করতেই থাকবো। তোমার ভিতর যে কোনো দানব নাই তাও না। কিন্তু একটা আকাশও আছে। আমি ভাবলাম আকাশ থাকলে কাশফুল আর ইঁদুর আছে। কবিরের করিডোর। বেরিয়ে এসে দেখো। শহরটা কেমন মলিন আর পর্যুদস্ত। জবুথবু গাছ, রাস্তা। পুরানো বাড়িগুলি একটার পর একটা বদল করে সাড়ে তিন বছর ধরে থেকেছে কত বিচিত্র মানুষের সাক্ষাত।
রান্নাঘরে বাথরুমে ফ্রিজে ডিমপোচে। কারো সাথে আর দেখা হবে না যদিও। কবির ঘুরে ঘুরে শহর দেখে। চেনা, আবার চেনা নয়। একেকটা বাড়ি তার একেকটা সময়ের স্মৃতি নিয়ে অন্য ভাড়াটিয়ার।
কবির জানালা দিয়ে ভেতরে দেখার চেষ্টা করে।
জোড়াতালি সমেত। আগেও বেসমেন্ট সিল করা ছিল। রাত হলে মেঝের নিচ থেকে ইঁদুর বের হতো। গায়ে উঠে আসতো। কামড়াতো না। লাফিয়ে লাফিয়ে পর্দা বাইতো। আলো জ্বালালে ভয় পেতো। মাঝে মাঝে ঝুম বৃষ্টি হতো। সামনে চিকন এভিন্যু। হেঁটে গেলে রেলক্রসিং। মালগাড়ির শব্দ হেঁটে গেলে মাঝে মাঝে আকাশ পরিষ্কার থাকে। উল্টা পাশের বাড়িতে একজোড়া চীনা ছেলেমেয়ে। প্রায়ই ওদের গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। শোবার ঘরে পর্দা ছিল না। হয়তো কবিরের উপস্থিতি বিশেষ বিশেষ সময় ভাল লাগতো ওদের।

ভাল লাগতো স্তব্ধতার।
শুধু এক চাক পচা মাংসে পানি পড়ছে টিপ টিপ করে
যেন সব শব্দই খুলে পড়ার শব্দ। যেন গাছগুলি রূপার খোলশ পরেছে বরফপাতের পর
বিচিত্র স্ফটিক ঠিকরে বেরোচ্ছে একটা একটা সংযমী শাখা
ফুটবল মাঠে কুকুর হাঁটাচ্ছে নিকোলাস। আমি ফ্রস্টেড কাচ খোচাতে খোচাতে লক্ষ্য করি। পারদ উঠছে
নিকোলাসের কুকুর বরফ কেটে দৌড়ায় গোলপোস্টের নিচ দিয়ে
শেষ যারপুত্রের অসুখ যাদুমন্ত্রে সারিয়ে তুললো রাসপুটিন? বড় বড় হিমশীতল চোখ

যা চিহ্নিত করা যায় না, তা প্রথমত বিরক্তিকর। দ্বিতীয়ত ভীতিপ্রদ। যা চিহ্নিত করা যায়, তা দ্বিতীয়ত বিরক্তিকর, তৃতীয়ত ভীতিপ্রদ। প্রথমত তুমি।
জানো নিশ্চয়ই, প্রতিটা আঘাতের পেছনে লুকানো থাকে কোনো না কোনো ভয়। সাম্রাজ্য মানেই সাম্রাজ্য হারানোর চাপা আতঙ্ক। খোয়া যাওয়া তো হারিয়ে ফেলা না, খোয়া যাওয়া হলো নিজেকে বদলাতে চাওয়ার ভয়। যাকে চেনা দরকার কিন্তু চিনতে পারছো না, তার প্রতি তুমি ছুঁড়ে দেবে নিদেন পক্ষে তোমার প্রিয় বিসন্ন আক্রোশ। অথবা মনের মতো ভুল বুঝবে। পরিণামের এলার্জিগুলি সাজিয়ে তুলবে চাক চাক রূপকের উপর।

আসলে তো কিছু আবেগের সাধরণ হবার টান। আমার তাতে কিসের কী? যে গালাগাল গায়ে মাখে না সে কম সাংঘাতিক মাল না। লোকে তাকে শেষমেশ এড়ায়ে চলবেই। চিড়চিড় করে ফুসে উঠছে ব্লেড। অদ্ভুত পিছল একটা খাড়ি। দড়ির মতো নেমে যাচ্ছি। কিন্তু কিনারের বাঁধন খুলছে না। নাকি বেঁচে উঠছি।
আমার দরকার চিড়িয়াখানায় গিয়ে গন্ডার দেখা।

ঝুলবারান্দার পাশ থেকে বল্লমের মতো লম্বা আর চোখা একখন্ড বরফ খসে পড়ে হঠাৎ
রূপার গাছ গেঁথে ফেলে

হাসি বলল বাক্যবিনিময়। 'সুতরাং' শব্দটির নিবিড় প্রতারণা। ফুঁটিয়ে তোলা কেন শুধু সেই মিথ্যা সামঞ্জস্যের সম্পত্তি হবে? হাসির কথা মনে পড়ে। হাসি অর্কিডের বাগান করতো।

হাসি বাঁকা। অর্কিড যে কতরকম জানতে চাওয়ার মানে হয় না তার কাছে। অর্থাৎ হাসি বলতো যে নানা রকম অর্কিড থাকে কুঙ্কুদের ভ্যাপসা জঙ্গলে। কিছু অর্কিড হয় পাখা মেলা গোলাপি মথের মতো। কিছু আছে ফড়িঙের মতো। কিছু দেখলে মনে হবে পাঁচটা সোনালী মাছি একটা লাল আঙুর ঘিরে ধরেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে।

পরাগায়ণ হাসির মূলসূত্র। হাসি সংক্রামক। প্রত্যেকটা ফুল হলো একটা একটা ডাকঘর। অর্কিড তার রেণুবাহী পোকাদের চুম্বক। একটা নির্দিষ্ট গোত্রের ফুল একটা বিশেষ জাতের পোকা হারিয়ে গেলে পশরা গোটাবে। ওর এক পাশ জন্মগত ভাবে বিসম। হাসি দেখলে বাচ্চারা পালাতো। ফুল কিভাবে মুক্ত যৌনতার প্রতীক হয়ে উঠলোনা -এই নিয়ে বাক্যালাপ শুরু হলে প্রাপ্তবয়স্করাও পালাতে শুরু করে। কত ছবি যে আঁকা হয়েছে ফুলের। কত দেবতা যে আসলে ফ্লোরা দেবতা। কত ফুল হয়ে উঠলো গভীর আস্তিক! যেমন প্লাস্টিকের পপি। গায়ে বিঁধিয়ে ঘুরে বেড়ানোর চল শুরু হলো মৃত্যুদিবসে। যেন লোকটা মরে নাই, অনেক আফিম খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর পোকা উড়ছে কুঙ্কদেশে। লোক পুড়ছে নিজের মনে রাজি না হওয়ায়
কতবার ভেবেছে
দেয়ালে তাকিয়ে থেকে থেকে। ফুলতোলা টালির গায়ে প্রজাপতির নকশা আঁকা টাওয়েল। বসছে না কেন
বাক্যালাপ। বাক্যালাপের কায়দা কানুন
হারিয়ে যাওয়ার যে পাপ টের পাওয়া যায় না হারিয়ে যাবার সময়
কখনো সে গণকের গোল
কখনো সে জবাই করা ভেড়া - মর্তমান হয়েও হলো না, মর্তমান হলো একটা একটা
মানুষের মধ্যে তুমি সাধু দেখবে, চোর দেখবে
কিন্তু আমি তা'ই
যা তুমি কার্পেটের নিচে ঠেলে দাও। আমি তোমার অসামঞ্জস্য
আমাকে গালি দাও। গলমন্দ করো
আমাকে বলো ফুল লতা সার যোনীতে সমস্যা কী? কোনো সমস্যা নাই। সমস্যা নিয়ে মাথা ব্যাথা করে না। ফ্লোরা ফ্লোরা ফ্লোরা। আমার হাসি দেখলে তার গা রিরি করে। ক্ষেপে গেলে অস্থির লাগে খুব। নিজেকে আলাদা করে ফেলতে চায়। কবির স্থিরতাপ্রিয়। তার কড়া নাড়ার শব্দ শোনার বাসনা অন্য রকম, দরোজার জন্ম দিতে চায় না। এঘর ওঘর করে। পেঁয়াজ কাটে কবির। রাস্তায় নেমে পাড়া বেড়িয়ে আসে। জঙ্গলে ঢোকে। হরিণের পদছাপ। ফ্ল্যাট। লন্ড্রিঘরে সারি সারি কাপড় ঘুরছে। চিঠির বাক্স ভরা বিজ্ঞাপন। সারাদিন সারারাত গুটিয়ে থাকে কাঁথা। খুব রাগ করে লোকটার উপর। প্রচন্ড আক্রোশে বুকশেলফে লাথি বসিয়ে দেয়।

ফালতু চিন্তা

ছটফটে কুকুরের থেকে শিকলকে নিষ্কৃতি দিতে দিতে
স্পর্শের কথা ভাব, তার পরিসীমার কথা
ভুলে যাও—শেকল একটা অস্বচ্ছ ধারণা মাত্র
যে কুকুরের কাছে চিরকাল স্বচ্ছ থাকতে চেয়েছে
--
বড়জোর অনুপস্থিতি
অদৃশ্য হয়ে উঠবে না কেউ
একধরণের পতন সর্বত্র, সবজায়গায়
নিহিত—এটা জানার পরও
পতনশব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়
আর অনুনয়, শুধু অনুনয় আমাদের ধরে ফেলে
প্রতিধ্বনির মধ্যে ডুবিয়ে দেয় নিজেকে
স্তব্ধতার মধ্যে
--
সংঘর্ষের আগে যে আবহাওয়া গ্রহণযোগ্য ছিল
যথেষ্ট নিরাপদ ছিল আমাদের একা থাকার
অভিযোগ ও ইচ্ছেরা
আর উৎসকে অস্বীকার করে
রঙ বদলে ফেলা আলো
নেমে যাচ্ছিল

এভাবেই আমাদের নেমে আসা

শেকলের কাছে ঋণী থাকার স্পৃহায় ঘেমে ওঠা ঘাড়

বাতাসের দৃশ্যমানতার কথা ভেবে দেখার

সময় ছিল না ।
--
দৃষ্টি বলতেই
অদৃষ্টের কথা মনে পড়ে
কপালের কথা
ঠিক মাঝখানে
কালো ও নিখুঁত ফুটো
ছোট ক্যালিবার
পিস্তলচ্যুত

খুনী ফিরে গেছে অনেকক্ষণ

এখন পরিস্থিতি ফিরছে
--
জড়তা যদি একটা পরিস্থিতি হয়
তবে অনস্বীকার্য
হয়ে ওঠে তার প্রবাহমানতার দাবী

ওফ ! এই মহিমাময় জীবন
ওফ ! আমাদের সীমাবদ্ধতা
--
--
কিছুটা তো রহন সহন
কিছুটাকে নিভৃতিতে পায়
হাত থেকে খসে পড়ে কাঁসার গেলাস
কোথাও শব্দ বাজে
কোথাও বাজে না

আশংকার সাথে দেখা হয়
কুশল বিনিময়
হাত নেড়ে যে যার মতন
ঢুকে পড়ি ব্যঞ্জনার মধ্যে
অনুভূতির মধ্যে

--
বিছানায় কারা জেগে আছে
জেগে আছে মোদ্দা কথারা
শান্ত একটা ঘুম প্রতীক্ষা করে
প্রতীয়মান হয়ে ওঠার কথা ভাবে

শেকল বাইরেই রয়ে গেছে
ভয় হয়—যদি বরফ পড়ে
যদি চোর আসে
অন্যধরণের পায়ে
হাল্কা শীত শীত করে

বিশ্বাস ছাড়া কেউ জেগে থাকে না ।
--
বিশ্বাস যদি স্থির হয়
তবে জড়তাও একধরণের বিশ্বাস
এইসব আলোচনা হয় শেকলের সাথে
সামোভারে হুইশল বাজে
ভাপ ওড়ে
কিছুটা আমাকে ঢাকে
কিছুটা শেকল
অন্তরীণ উপকথাগুলি
চকচক করে
--

Wednesday, February 15, 2012

an unmanned poem

We were born of habits
Our habitats never chose us
Into fables we ingressed
Our fables digested us
--
Looking back…
First time I felt whole
Was after I was sucked hollow
By the troll
It ate my heart, gnawed at the bones
Scooping stomach juice
Onto ice-cream cones
Liver it ate fried
Intestines raw
Of kidney it made a pie
And threw a chunk to the crow

And it burped and it picked its teeth
And we went our ways
I’ve been serene ever since
--
When you can’t define the hollow
Call it serenity
And I thought a profound sadness deserves
To be called serene
But it’s our guilt
That fills the space
Between
You
Me
And our gods
Who were serene to beginwith

A rigid burst of air between the scapulae
--
You mind! Do you mind
That the guilt is gone
And so is the local coal vendor
Our premises will be clean now
Clean and a clinical loneliness
Fluttering mindlessly

Our eyes hurt no more
Than it should in blinding light
--
A sob that escapes
A whore who regrets
Between banners
Our guilt is spread
To be eaten and faecalized

I’ve not seen your face
Since long
And haven’t faced my patience
Yet
your face and my patience
Meet between sobs

Regret is convex
I should’ve known.