Sunday, December 18, 2016



উত্তর / নীলাব্জ চক্রবর্তী

১৫/১২/১৬

সিনেমার ভেতর আমরা
ভেঙে ফেলছি জ্বরের একক দশক
যেটুকু ঠোঁট
আলো ফিরিয়ে দিচ্ছে
নূর-উজ-জামানের গলিতে
একটা বয়স     প্রাপ্ত হচ্ছে না কিছুতেই
আবার অ্যাতোদিন বাদে
কীভাবে পেরিয়ে যাব আপেল ছুঁয়ে রাখা
ভাবতে ভাবতে
চেকলিস্ট
এই তো নিজেকে ভরে ফেলছি
বাক্সের ভেতর
ছায়া তুলতে গিয়ে
আরেকটু এগিয়ে আসছে কেউ
সহজ সময়গুলো কেটে ফেলছে...

১৪/১২/১৬

একটা নদীর তেতো নাম নিয়ে
ফ্রেম একবারই এসেছিলো
গানের ভেতর
সকালের গ্লিসারিন ভুলে
এই শীত এই উচ্চারণ আসলে
পোলিটিক্যাল
যতোটা বড় করছে জলের এই দাগ
লেখা ছিঁড়ে গেলে
টাচ টু রিট্রাই লেখা আছে তো
এভাবে মনের একটা ভেতর হয়
দ্যাখো কবিতা ব্যক্তিগত হচ্ছে
আর
নামতায় ঝুঁকে আসছে
কুশলী বিনিময়গুলোর না-দেখা...

১৩/১২/১৬

দূরের আয়না থেকে              কতোটা কাছে
তোমরা ছিলে
অন্যের হাত মকশো করা কবিতায়
তোমার স্বাভাবিক ভেতরে যতটুকু
সম্পর্ক অবধি একটা রাস্তা
শক্ত হয়ে উঠছে
ভাষার যেদিকে
বারবার হাত চলে যায়
ঘুমের যেদিকে...

১২/১২/১৬

তাহলে স্মৃতি শেষপর্যন্ত একটা রোদে ছাপানো কাগজ হয়ে থেকে যাবে তারপর নর্থলাইন বরাবর দূর থেকে ভোর এগিয়ে আসবে আর প্লট প্ল্যানের সামগ্রিকতা নিয়ে হোটেল জানলা ঠেলে ঢুকে পড়বে ক্রমাগত বিনিময় হতে থাকা স্থানাংক বিন্দুগুলো কথা তখন পালক কাউন্টার জুড়ে সাজানো আলাদা আলাদা রঙের দিন বেছে নিন পুনর্নির্মাণের জন্য অর্ডার করুন এই ভাষা

অথচ স্মৃতি আর সরণী থেকে
যতটুকু মাপে-কাটা হাওয়া
মাংসের ভেতর আর বাইরে
লিফটের দিকে এগিয়ে যাওয়া
একটা যেন কতো ম্যাচিওরড বিকেল
ঠাণ্ডা হয়ে আসে
আমাদের ছায়াগুলো
এমনি এমনি
পড়ে থাকলো...

১১/১২/১৬

ভারী হরফের ভেতর
তাপমাত্রার ভেতর
ভেসে উঠছে একটা পুরনো দুপুর
আর বোতামের দরজা
ওখানে ঘন হয়ে আসে
স্নায়ু শব্দটায়
কাকে যে উপত্যকা বলি
নেমে যাই
নিজের ছায়ার থেকে দূরে
ধোঁয়াটে স্মৃতির
এক উইন্ডো সিট
যতোটা বড় হয় ক্ষিদের আঙুল...