ধ্বনি জ্বলে আপেল বাগানে
নিরাময় হয়ে ওঠা সেই সব ধ্বনি
আকরিক তামা
তামার খনিতে গজিয়ে ওঠা কৃষ্ণতুলসী
ফলের মজ্জার দিকে তাক করে
গান ও রণন
ফলশ্রুতি
খুনী নেমে আসে
ফল ও শ্রুতির প্রতি
নির্মোহ
তার কামড়ের গঠন
উদাসীন
--
ঘুমাও, ধাক্কা দিও না
জল পড়ে যাচ্ছে বাথরুমে
বাইরে বৃষ্টি পড়ছে
খুনীর পায়ের ছাপ স্থগিত রয়েছে
আমাদের হাতের মত নির্মোহ ছাপ
জল উপচে উঠছে বাথরুমে
বাইরে আলো সাঁতরাচ্ছে
কেউ আসে নি, কেউ আসবেও না
ও শুধু ঘুম ধাক্কা দিচ্ছে দরজায়
এ ছাড়া আর কিছুই থাকার কথা ছিল না
এ ছাড়া আর কিছুই থাকে না
প্রতীক এসে ঘুরে গিয়েছে সন্ধ্যেয়
কামড়ের শব্দটুকু পড়ে আছে
দুধের গেলাসে
--
আছি, তাই সমস্যা রয়েছে – গতিপথ, ভবঘুরে, ট্যারচা শহরে টনটনে ফুল—টার্মিনালে ঘুমন্ত বেহালাবাদকের মুখে চ্যাপলিন গোঁফ আর ছায়া – আর ছায়া – সমাধানের প্রকোপে তিরতির – একরত্তি । এসময় ভারী মোক্ষম হয়ে ওঠে দুপুর, পায়ে পায়ে জলের দিকে এগিয়ে যাওয়া বেড়ালের স্বপ্ন, বেড়ালের স্বপ্ন থেকে পালিয়ে যাওয়া মাছ । আর ভাবতে খারাপ লাগে এই বিজনের মধ্যেও হস্তক্ষেপ হয়ে আছি, সমস্যাসমেত ।
যেভাবে থাকতে চাইনি – জলে অবসর ছুঁড়ে দিল কেউ—নড়বড়ে আলো –সর হয়ে ওঠে গতিপথ । গতিরা কোথায় যায় ? আকারের পাশে বসাবার মত প্রকার – প্রকারের অন্তর্স্থলে ঘন হয়ে ওঠা ভেদ, সমাধান ।
আছি তাই সমাধান নেই বা সমাধান আছে তাই আমি নেই –
যেভাবে থাকতে পারা যায় –ঈষৎ গণিতে, ঈষৎ প্রামাণ্য—বাকীটুকুর জন্য বরফ ঠেলতে ঠেলতে জমাট হয়ে ওঠা ছায়ার – কার্পণ্য জমে, অভিব্যক্তি, কুয়াশা, স্পন্দন – এই এক্ষুনি বৃষ্টি পড়ছে অবতল আয়নায়, কাল বৃষ্টি পড়েছিল উত্তলে ।
না থাকার যুক্তি নেই—বেড়াতে গেছে – রাণাঘাট লোকালে – মদনপুর, শিমুরালি, চাকদা, পায়রাডাঙ্গা—গীর্জার চুড়ো থেকে দেখা আমবাগান আর ফলসাগাছের ডালে লালশিরা – মুল্যাঁরুজের উইন্ডমিলের পাশে স্ট্রোবিং গোলাপি আলোয় গোপাল গিফট শপ । যুক্তি ভাবে ডন কিহো, আপদ শ্বাপদ, আর যুক্তিহীন আমি সরে পড়ি পিগালের বিবিধ অন্তরে । এভাবে ভাবতে পারা যায় –ট্রামলাইন দেখলেই গলা সুড়সুড় করে আর ধোঁয়াটে দারচিনির গন্ধ ঘুরে বেড়ায় হাতঘড়ি, বেল্টে, স্কার্টের হেমে –ছায়ার চোখের থেকে ধার করা আলোয় ধুয়ে ফেলি চোখ – রবি ঠাকুরের মত আমার চোখও গোলাপি গোপাল হয়ে ওঠে ।
গিফটশপ
তৃষ্ণা বসে আছে – ওইখানে যাও – পোঙাটি মারাও।
বার টেন্ডার, ধর্মেও নয়, সাম্যেও নয়, আমি জিরাফের খুলির ভেতর থেকে চাইছি নীল ছাপ আমার নীল অন্তঃস্থলে হলুদ হয়ে উঠছে স্নেহ, পদার্থ ও ক্রমে ভাসমান সাইকেল । দেরী নয়, হারপুন ছোঁড়ো । আর কিছু পরে চাঁদ ফুঁড়ে চলে যাবে স্পৃহা—বর্মসমেত । রুটি আর হালুয়া হাতে জেগে উঠবে শহর । সমস্যা । সমাধান । কামড় ।
যে এসোসিয়েশন তৈরি করে চলেছি, তাকে নিয়ে তামাশা করছে যেন লেখাটা।
ReplyDeleteধ্বনি -> শ্রুতি ।। ফল <- আপেল
\ /
\ /
শ্রুতি ফল -> ফলশ্রুতি -> পরিণাম, কারমা
খুনি তো কারমা মানে না বলেই খুনি
"carma police
arrest this man
he talks in maths
he buzzes like a fridge
he’s like a detuned radio!
This is what you get
This is what you get
This is what you get
when you mess with us!"
[a song by radiohead]
কবিতাটা একটা ডিট্যুনড রেডিওর মতো লাগছে।
“কামড়ের শব্দটুকু পড়ে আছে
দুধের গেলাশে”
যেহেতু উপরে আপেল শব্দটি আসছে। তারপর “কামড়” পড়তেই স্বদেশ সেনের “আপেল” মনে আসে। কিন্তু "গেলাশ" এসে সেই এসোসিয়েশন ভেঙে দেয়। গেলাশ যেন সেই উদাসীনতা। এন্টি-আপেল। কিন্তু, দাড়াও, "দুধ" তো এন্টি-আপেল না, প্রো-আপেল। এইখানেই কবিতার চার্ম :-]
* * *
সমাধান একেকটা ভেদ তৈরি করে। দূরত্ব। আকার প্রকার। এইগুলি কি আমাদের মজ্জাগত। আমরা এক অদ্ভুত কন্সিস্ট্যান্ট এবং এক ঘেয়ে প্যাটার্ন ম্যাচিং জীব হয়ে থেকে যাচ্ছি যেন। যেমন সময় এবং স্থান – এই দুইটা প্যারামিটার ছাড়া আমরা কিছুই কল্পনা করতে পারছি না। তেমনি কল্পনা করার পর থেকেই মিল করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। মিল করতে আগে লাগে ভেদের ভাবনা। ক্যাটাগোরাইজেশন। সেখান থেকে সজ্জা। সজ্জা থেকে লক্ষ্য। লক্ষ্য মাত্র যেন আমার যাবতীয় আত্মকলহ।
*** ***
“এই এক্ষুনি বৃষ্টি পড়ছে অবতল আয়নায়, কাল বৃষ্টি পড়েছিল উত্তলে”
- অসাধারণ। সিমপ্লি।
convex and concave – অনেক কথা বলে।
বাথরুমে খোলা কলের কথা আছে। বাইরে বৃষ্টির কথা আছে।
বাংলা কবিতার “বৃষ্টি” যেন বরাবরই “বাইরে বৃষ্টি”।
মানে ঘরে বসে আছি শুকনা। তরঙ্গ মোর কাহার পায়ে..শুধু কাচের ওপাশে গড়িয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ সেই সূর্যদেবের বিরহবোধন। কিন্তু এখানে অবতল আর উত্তল সেসবের অনেক বাইরে চলে এসেছে।
ভাল থেকো। আবার কথা হোক। এবং বেশি কথা কম না বলার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
-অর্ঘ্য
Arghya, I am literally stunned by your reading.hNya aami Jaa likhte cheyechhi taar goRaa theke dhore felechhis.... "falashruti" shabdoTaa tor kabitaay dekhei er shuru... kintu byango naa... shabdoTa sampurNo onyo concept niye dhoraa dyay...uttal, abotol...being part of it-- being detached,subjective-objective, bhitor-baahir... eisab chintaa aaschhilo ... sudhu swadesh noy, Kamal-er khuni, Rabi-babur kichhu gaan, shakti (khub obvious hoye gechhe).... oneker elements aachhe...
ReplyDeletetobe behalabaadak-Ti Aryanildar noy... e, Brochant subway-r baairer audtion dewaa behaalaabaadak...:-)
Hesitation is a dimension in its own right...:-)
Shruti is an extremely classical concept...although there are chances of slip-- full care was taken to avoid it... bibhinno dharma, philosphy-r origin shruti bahan korechhe until it was scripted in stone...to shruti-ke perfect, unadulterated raakhaar ekTaa prakriyaa cholechhe... Fol -- a sort of discipline toiri howaa...to remember you need a system and the system channelizes your thought process-- doesn't let it deviate from what are deemed essential for the society.... so you kill your hesitations, impulses, hesitation induced anarchy, to achieve a relevance to the socxiety.... eikhaanei Murder-er concept aase....
ReplyDeleteeisab aar ki...
Bone-head-er :-) chintaa aar ki hobe.... seemito saamarthya...(eTaa serious)....
Thanks Arghya, tor reading ekTaa daaruN din-er shuru koraalo...wriNi thaaklaam....
pleasure is all mine.
ReplyDelete----
"খুনী"-র মুখশ খুলে দেয়াতে ব্যাপক লাগলো। আমি এই লাইনে ভাবিনি। ভাবা উচিত ছিল।
----
শ্রুতি আর ফল নিয়ে ভাবনাগুলো দারুণ। ধর্মকথা, স্পিরিচুয়াল মিথ যারা মনে রেখে রেখে চর্চা করেছে + পরের প্রজন্মে চালান করেছে -- এই পুরো প্রসেসটা তাদের ভাবনাকেও একটা চিরুনির মতো করে আঁচড়ে দিয়েছে। এইভাবে ভাবছি। যার কোনো লিখিত রেফারেন্স নেই, তার সব সময় স্মৃতি থেকে চর্চা করতে হয়েছে, মানে তাকে বিষয়গুলোয় সেই গভীরতায় ইন্ডালজড হতে হয়েছে। সুতরাং যদি মিথগুলোর নিজস্ব ভাবনানিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকে, তবে, এই ক্ষেত্রে তার কাজ করার রিস্ক ততখানি বেশি।
***
এখন অবশ্য শ্রুতির জায়গা নিয়েছে রেফারেন্স এবং রিমাইন্ডার। শরবতে গুলে খাওয়ায় দিবে থট প্রসেস। যেভাবে না ভাবলে এনার্কি, সেই ভাবে না ভেবে পালাবে কোথায়। বিশেষ করে কানাডায়। আমি দেখেছি। বেশির ভাগ মানুষ ভিতরে ভিতরে একদম মগজ ধোলাই করা। এখানকার মিডিয়া, মার্কেটিং মেশিন, পুরো সেটআপ এমন যে চিন্তা যে চ্যানেল করা হচ্ছে, এইটা অনুধাবণ করতেও অনেকের জীবন পার হয়ে যায়।
অর্ঘ্য
Asadharon pore mon bhore gelo...sor hoe otha gotipoth bolte ki thomke jaoa bojhano hoechhe? Sotti bolte ki behala badok amakeo Aryanil dar lekhar kotha smritipote ene diechhilo...ghum dhakka dichhe dorjai, eta amake amar roj byabohrito ekta kotha mone korie dilo, amar chhele ke ghum parabar samay boli dorjai ghum kora narchhe jokhon o na ghumie arro dustumi korte chay... so real... comment mane Arghya r upri paona...
ReplyDeleteসঞ্চিতা, সর -- একটা ফ্যাট-এর লেয়ার, দুধের ওপর-- যা ভাসে । এক সময় মিশে ছিল, চেনার বাইরে, দুধের মধ্যে দিয়ে সাঁতরে চলে যাওয়ার সময় যার অস্তিতব নিয়ে ভাবিনি । সেই একত্রিত হয়ে ভেসে ওঠে -- প্রতীত ও আনস্টেবল ।
ReplyDelete"জলে অবসর ছুঁড়ে দিল কেউ—নড়বড়ে আলো –সর হয়ে ওঠে গতিপথ ।"
অবসর রিফ্লেকশানের সময় দেয় -- চিন্তা করতে গিয়ে দেখি-- যে সমস্ত পথ পেরিয়ে এসেছি- সমাজের মধ্যে দিয়ে, মীথের মধ্যে দিয়ে-- জাস্ট অন্ধ পথ চলায়, বিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে । পথ, গতি-পথ, যা নোটিস করিনি কখনো, শুধু এগিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছি । রিফ্লেকশানে সে পথ প্রতীত হয়ে ওঠে, সমস্ত অ্যাকোয়ার্ড নলেজ, নড়বড়ে হয়ে অঠে, সেই পথ কতটা আন্সটেবল ছিল বুঝতে পারি ।
"তৃষ্ণা বসে আছে – ওইখানে যাও" এইখানে তৃষনার জায়গায়, জণান, মিডিয়া,, লাইব্রেরি -- যা কিছু বসান, আর বার-টেন্ডার-কে, গুরু, লাইব্রেরিয়ান, ইত্যাদি যা কিছু ভাবুন ।--
এই সব আর কী ।
ভালো থাকবেন ।
ধন্যবাদ সব্য , এত সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ... আসাধারণ... মাঝে মাঝে এত ভাল লেখা পড়ার পর ভাষা হারিয়ে যায়... সত্যি আমাদের জানার পরিধিটা কত কম... যেটা দেখি বা যা চিরন্তন তাকেই সত্যি মনে করি, যখন কেউ দেখিয়ে দেন মনে হয় ইস্ এত সহজ জিনিষটা বুঝতে পারছিলাম না ... ঠিক কথা অবসরে বসে ভাবলে অনেক জটিল অঙ্ক কত সহজে মেলান যায় ... আর এই অবসরের অভাবে যা গতানুগতিক তাই মেনে চলতে থাকি বা বলা যায় নতুন করে কিছু ভাবার চেষ্টা করিনা ... অনেক ধন্যবাদ ... ভাল থাকার জন্যই এই ব্লগগুলোতে হানা দি ...মনের খোরাক না পেলে তো জীবনই শেষ... আপনিও ভাল থাকবেন...
ReplyDelete