Sunday, December 18, 2011

এখনো সর্বনাম

খসড়া

নিউট্রিনো

অপ্রয়োজনীয় শিষ্টাচারে জড়িয়ে আছে
অবতল স্মৃতি। চয়িতের সত্য চিতের
ভিজে ছাদের ওপর ছোট্ট পায়ের ছাপ
গুটি গুটি... কয়েক।
মাটির ঠিক ওপর দেবে যাওয়া পাঁচ আঙুল।
বন্ধুত্বের সংজ্ঞার মতো পারমাণবিক। ছাপওয়ালা
ছোট গর্ত, চিতের ছাদে... মুঠো দেড়েক।
আণুবীক্ষণিক। আশ্চর্য্য আশঙ্কায় ভর্তি হয়ে আছে।

বৃষ্টিজল জমা হয় ওতে বেশ, দেখা যায়...

নিউট্রিনো যদি

বিধাতার মত সে উত্তিষ্ঠত বৃদ্ধের কি নিরাময় প্রার্থনা করা যায়?
চিত্রার্তের প্রাপ্য জলজ, চিতের ছাদের আঙুল
জলে ভুল, (আরে না না, ফুল ওটা ফুল হবে)
বেশ ভাসে দেখা যায়।
ভাসছে ফুল। মা এর মত লাল ফুল।
সদ্য অ-সিজারীয় শিশুর আওয়াজের
ধূসর জলে, ফলে।

একেবারে শেষ ঘাটের পিছল জল থই থই
লাল জল।

নিউট্রিনো যদি আলোর

আশ্রয়হীন সে বট দাঁড়িয়ে।
দাঁড়, দাঁড়ি।
অসমাপ্ত বাক্যালাপ হেতু মুখ নাড়ে।আবহাওয়া খোঁজে।
অনুকূল/প্রতিকূল।
পুরাণ, বেদসমূহ, শাশ্বত, স্বল্পাধিক।

নিউট্রিনো যদি আলোর চেয়ে

নীরব সোচ্চারে
ছায়াহীন অন্ধকারে কঠিন কিছু মুখ বলছে।
and the quote begins,
"ক র তে হ বে ক র তে হ বে, হ বেই..."
হ্রস্ব ই এর এ দীর্ঘতায়
প্রদোষগ্রস্তের ঈশ্বরেচ্ছার জলছাপ উঠে আসে, আশেপাশে
মুঠোদেড়েক।

নিউট্রিনো যদি আলোর চেয়ে
বেশি গতিশীল কণা হয়। তাহলেও
স্ফটিক করোটি মিথ্যাবাচন কবে?
উগাণ্ডা বা মেরুগর্তে
...
হবে হবে, এও হবে, টবে।আহা গাছ যেরকম
বট বা গাঁদা, ল্যাডিল্যাস, নিদেন,
শী্তকালীন।

পুনশ্চঃ পাঁচিলের এপ্রান্ত থেকে দেখা
ওপ্রান্তের কেবল ঝুলে থাকা পাঁচটি আঙুল।

ওইখানে
গাছগুলি দাঁড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখানে এখনো প্রবল
তীব্র উহাদের ছায়া পড়ে,
কম্পমান, প্রলম্বিত।
উহারা মাটির নিম্নে তাহার চেয়ে বেশি,
যত উপড়ে, ওপরে।।

7 comments:

  1. প্রথম নিউট্রিনো পড়লাম। সেটা নিয়েই বলি। পরপর দুলাইনে ভারি দুটো বিশেষণ একটু কানে লাগছে। অপ্রয়োজনীয় আর অবতল দুটোই অ দিয়ে শুরু বলে কিনা জানিনা। মনে হচ্ছে বাক্যের গতি একটু ব্যহত হচ্ছে। বাকি লেখাটা দারুণ।

    ReplyDelete
  2. ধন্যবাদ শুভ্র।আমার ভারি শব্দ ব্যবহারের একটা প্রবণতা আছে, সেটা কাটাতে চেষ্টা করছি। আপনাকে জানাই সদ্য পদ্যচর্চার ব্লগ দেখলাম। ভাল। আদম-এর কবিতা সংগ্রহ ছাড়া মণীন্দ্রের লেখা আমার কাছে আর কিছুই নেই। ওনার কি গদ্য আছে কিছু? একটু আলোকপাত করবেন?

    ReplyDelete
  3. মনীন্দ্র গুপ্তর দুটি বই

    ১। চাঁদের ওপিঠে (প্রবন্ধ সংকলন)ঃ পত্রলেখা
    ২। অক্ষয় মালবেরী

    পড়তে পারেন । মনীন্দ্রবাবুর কবিতা আমার খুব পছন্দ নয় । কিন্তু গদ্য ! মেধা ! মনন ! অসাধারণ ।

    ReplyDelete
  4. শুভ্রর মন্তব্যের সাথে একমত। তবে এতে খুব ক্ষতি নাও হতে পারে। সুধীন দত্ত বা আলোক সরকারের কবিতায় এই "অ"-যুক্ত নিরসন বা অমীমাংসা ও নিউট্রালিটি খুব দেখা যায়।

    তবে গোটা কবিতা প্রচন্ড আনন্দ দিলো। পরীক্ষামূলক লেখালিখির মধ্যে পরীক্ষার স্পষ্ট চিহ্ন থাকবে। সেটাই বাঞ্ছনীয়। সেটা কবিতা বা চিন্তার কাঠামোতেও থাকবে। সেটা এখানে হয়েছে।

    ভাষায় সরল হয়েও, "নিউট্রিনো"-কে অবলম্বন করে থেকেও, তাকে আপাত "বিষয়" করেও, লেখা নানাধরণের ভাবনার দিকে ছুটে যাচ্ছে যার সঙ্গে নিউট্রিনোর কোনো সম্পর্ক নেই। অন্তত আমার তো এইরকম মনে হল। সর্বজয়াকে বলি এই কবিতা নিয়ে এখানে নিজের মতো করে একটু আলোচনা করতে। যাতে আমরা চিন্তার দিশাটা বুঝতে পারি কিছুটা।

    ReplyDelete
  5. আসলে লেখাটা একটা সিরিজ করতে চাই। যার শুরুতে নিউট্রিনো,কারণ এটা গতিবেগের সাথে সম্পর্ক যুক্ত, দেখবেন প্রত্যেক স্তবকে একটি করে শব্দ বাড়ছে,গতি...এখন প্রশ্ন কিরকম গতি? এর মধ্যে একটা অসংগতি রয়েছে... এই লেখা একটি
    অসামঞ্জস্যপূর্ণ সংহতিকে দেখতে চায় যেটা উত্তরোত্তর এগিয়ে বা পিছিয়ে যেতে পারে। আর্য্যনীলদা যা বললেন একদমই তাই,প্রত্যেকটি স্তবক বিচ্ছিন্ন প্রত্যেকের থেকে,যদের একমাত্র ধ্রুবক গতি।এটা 'ছায়া','এপ্রান্ত' ইত্যাদি শব্দগুলির মাধ্যমে বলার চেষ্টা হয়েছে। 'অ' যুক্ত শব্দ ব্যবহারের কারণও ওই গতি,তবে নেগেটিভ অর্থে,মানে সেটাকে একটু উপলব্যাথিত করে তোলা যাতে পাঠক দুবার পড়ে লাইনটা ,আর দ্বিতীয় পড়ার অর্থ কোন নতুন তাৎপর্য আনে যা এই গতির বহুমুখিতাকে আরও প্রকট করে, করতে চায়। লেখাটি এমনভাবে তাই লেখক ও পাঠক উভয়ের দ্বারাই দুটি ভিন্ন অক্ষে(text-text, text-reader, ref. Julia Kristeva)'লিখিত'হতে থাকে...

    ReplyDelete
  6. ধন্যবাদ সব্য

    ReplyDelete
  7. দারণ লাগল সর্বজয়া। একটা একটা করে শব্দ বাড়ানোর এপ্রোচটা ভারি চমৎকার লাগল এবং গতির সঙ্গে যে সাযুয্য সেটা টের পাওয়া যায় শব্দচয়নের ভেতর। মেধাবী লেখা, সত্যি ভারি এনজয় করলাম

    ReplyDelete