Thursday, October 13, 2011

স্মৃতিলেখা - আরো

আসক্তি এক ঝুলন্ত অবস্থাকে চায়
ক্যান্টিলিভার -
যার শেষে কেউ নেই
সন্ধ্যার কাঠামো বোর্খায় কালো
শুধু মুখের দেদীপ্যমানা
প্রকাশিত
যে বারান্দা
গড়াতে গড়াতে
বনের মজ্জাকে নীল স্প্রুসকে কালোর দীপ্তিতে একাকী
যোগাযোগ ব্যবস্থা এভাবেই পুনরুজ্জীবিত
যখন সব ঘরে বিদ্যুত আসছে
এমনকি তুলসীতলায়
পিলিয়ন রাইডার হচ্ছে রীনা ব্রাউন
আর এই অসমাপ্ত পথ যদি না শেষ হয়
যদি বাংলা গানের ধারাবাহিকতা
এসে বলে - গভীরে যাও
আরো গভীরে যাও
তবে কেমন হতো বলোতো ?
তবুও কি ক্যান্টিলিভার জঙ্গলে এনে দিতো অসমাপ্ত ?
তবুও কি এ বাড়ির সব ঘরে সারাক্ষণ
শতজল ঝর্ণার ধ্বনি প্রবাহিত ?
আর আমরা কলেজ স্ট্রীটে
বিমূর্তের প্রকাশনালয়ে
সারাদুপুর লাইন দিয়ে
কিনে নিতাম অনুপমের মানে বই ?

5 comments:

  1. এই তো সেই স্থাপত্য কবিতার সূচনা! ভালো লাগছে। একটা বাড়ির নকশা থেকে শহরের নকশায় চারিয়ে যেতে পারে। কলেজ স্ট্রিট থেকে নস্টালজিয়া তুলে নিলে যে বৃদ্ধমানুষের মস্তিষ্কের ভাঁজ পড়ে থাকে সেরকম গলি বিশ্বনিন্দুক!

    ReplyDelete
  2. Bhishon bhishon bhalo laglo, jodio agei pore felechhilam social network er doulote....somaj bodlachchhe... tar protifolon to abshyombhabi.... tai sei barie dewa haat na dhoratai aschorjyo ...

    ReplyDelete
  3. khub sundoor. bhalo laglo khubb...........

    ReplyDelete
  4. "Je baaraandaa
    garhaate garhaate..." aamaar jive jarhiye gelo daadaa...swaadu ei uchchhaaraN...
    tobe,
    sheshhdike parpar etogulo jigyaasaachinha aamaar bhaalo laagchhe naa keno?

    --- Nilabja

    ReplyDelete
  5. নীলাব্জ, খুব ঠিক কথা। একেবারেই ভালো লাগছে না। এমনিতে আমি যতিচিহ্নকে কবিতা থেকে একেবারেই তুলে দিতে চাই। প্রশ্নচিহ্ন অনেকসময় রাখতে হয় পাঠনির্দেশ হিসেবে, কিন্তু তারই বা কি দরকার ? কিভাবে পাঠিকা/পাঠক পড়বে সেটা তার ওপরে ছেড়ে দেওয়া যাক।

    ReplyDelete