Saturday, June 25, 2011

ব্র্যাকেট, এক মধ্যবর্তী অংশ

উদ্যত উদার কুঠার
কব্জির গাঢ় সঞ্চালন
নিগূঢ় নিবিড় প্রিয় পাপ
কপালে ছোঁয়াই সযতন

(না-কী) সেও থাকে হোথা অকৃপণ
সেও ভাসে দ্বিধাহীন জলে
আমিও ভেসেছি অনিবার
আজীবন কুয়াশার ছলে

রজ্জুযোগে সর্প রাখি ঘরে
কান্ধে কেতু নয় রন্ধ্রে শনি
বিবেকের কক্ষে পুষি বিছা
হননের আমি কীইবা জানি

সুন্দরবন ও গুয়ের্নিকার মধ্যবর্তী রেলস্টেশানে নেমে পড়েন প্লেটো ও ট্রেনের জানলাসমূহ । অইখানে ভীতি – ভীতির অন্তরালে সপ্তদশ শতাব্দীর কালো টেলিফোন, গরম জলের ব্যাগ, টায়ারের চটি, কবি-তকমা ঝেড়ে ফেলা ইথিওপিয়ার বন্দুক ব্যবসায়ী এবং বহুপ্রচলিত অনুকম্পায়ী রাত্রি । এরপর ধাতুর ঝরনার সাথে ক্রমাগত শুভেচ্ছা বিনিময় করতে থাকে আমাদের অবদমন আর সেই কর্কশ ঝমঝমের ভেতর স্পষ্ট হয়ে ওঠে বন্দুক ব্যবসায়ীর উচ্চারণ – শিথিলতার অব্যবহিত আগে যে বিস্ময় – সে’ই হনন । বলাই বাহুল্য, সেই সময় রবি, আমাদের রবীন্দ্রনাথ, চতুর্দশবর্ষীয় এক বালক মাত্র । আর ব্যাখ্যা, ঘাতকের মানেবইগুলো নীলাভ এক দ্যুতির মধ্যে ঘোরাফেরা করে, নিজেই হারিয়ে যায়, ফিরে আসে – যন্ত্রণারহিত । এক স্বপ্নভঙ্গের নোটিশ আমাদেরও প্রাপ্য হয়ে ওঠে । এই সেই আলো যা ব্যবহার্য নয় । এই সেই প্ররোচনা যা বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য্য নয় । এই সুস্থতা, এই হত্যা ।

5 comments:

  1. চমৎকার! অনুপ্রেরিত রচনার সাথে কেজো লেখার এই ফারাক।

    সত্যি! র‍্যাঁবোর "দীপন" বা "দীপ্তেন" কে পেয়ে সত্যিকারের কবিতার অনাঘ্রাত, সবুজ, রক্তাক্ত, আমের পুঁজের মতো সরস রঙিন তরলতা পেয়ে, অনুভব, বোধি ও মেধার আশ্চর্য অব্যাখ্যাত জটিল সম্মেল-যৌনমিলন দেখে, ১৩৫ বছর আগে লেখা প্রথম আধুনিক কবিতা দেখে, রবিকে সেক্ষণে কিশোর জেনে এবং অধিকাংশ পৃথিবীকে অধিকতর অকিঞ্চিতকর মনে রেখে আমার আবার প্রশ্ন আসে - র‍্যাঁবো, ঠিক বলেছিলো কি? - যা রেখে গেলাম এর চেয়ে বেশি কবিতার কিছু দেবার নেই?

    অন্তত ২০১১-য় তেমন মনে হলে খুব ভুল হয় না।

    ReplyDelete
  2. ট্রু! ঘাতকের মানেবই সেই সদ্যোজাত দ্যুতির চারপাশে জমাট নরম মোমকে পিশে তাকে নিভিয়ে দিয়ে যায়।

    ReplyDelete
  3. থ্যাঙ্ক ইউ বস । একটা কথা বলার লোভ সামলাতে পারলাম না । সপ্তদশ শতাব্দীর কালো টেলিফোন । সময় ও সময়ের ব্যবহারযোগ্য এলিমেন্টস নিয়ে । আবার তোমার কথায় "র‍্যাঁবো, ঠিক বলেছিলো কি? - যা রেখে গেলাম এর চেয়ে বেশি কবিতার কিছু দেবার নেই?

    অন্তত ২০১১-য় তেমন মনে হলে খুব ভুল হয় না।" এই কথা মেনে, তথাপি এর absurdity-- dekhe . সপ্তদশ শতাব্দীর কথা এলেই আমার প্রথম মনে পড়ে পীর-ই-রইস (টার্কিশ নেভির আডমিরাল)-এর নৌ চালনার ম্যাপ -- যা অভ্রান্ত, এই ম্যাপ থেকে আজো দুই মেরুর সম্পর্কে আজো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে । অথচ এই সময় কমিউনিকেশানের জন্য টেলিফোন ছিল না !
    র‍্যাঁবোর কবিতাকে -- আজকের পৃথিবীর টেকনোলজিকাল, ইনফরমেশান, ও জ্ঞানের অগ্রগতির পরও পেরিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না -- এই absurdity নি্যে ।

    ReplyDelete
  4. অথচ এই সময় কমিউনিকেশানের জন্য সামান্য টেলিফোনটুকু ছিল না !
    কী করে হয় ?

    ReplyDelete
  5. comment koraao ek jwaalaa hochche... edit korte paarchhi naa... last comment-e JeTaa bolechhi seTaa 17th Century-r Peer-i-Rais-er map-er poriprekhkhite... Rimbaud-er noy....

    sabya

    ReplyDelete