Friday, June 10, 2011



এমন আঙুলে কি আগুন সম্ভব ?



প্রেক্ষাপটঃ-


তুমুল বৃষ্টির নৈঃশব্দ্য গুটি বাঁধছে আঙুলে। বাধ্যতামূলক দিনযাপন



ফলতঃ-


অ - অনস্তিত্বের নৈরাশ্যরঙ ক্যানভাসে


আ – আলোর ফলকনামা ছেঁড়া কথকতা


ই – ইনসেপসানে গোটানো অন্ধকার


ঈ – ঈশিতার মহিমায় সোর্সকোডও বানচাল



আমি লাটিম থেকে বাক্যবিনিময়ের সুতো খুলে খুলে ঘুরে যাই অনির্দিষ্ট বিষয়ের বৃত্তে



কেন্দ্রযাত্রায় নাস্তি করেছো বহুদিন


তন্ময় ব্যাসার্ধ হেঁটে হেঁটে আলোকবর্ষ তক


তা-না-দেওয়া ডিম ফেটে সম্ভাব্য হলুদ কুসুম


সমে ফেরার ঝোঁকে তর্জনীও অসম



এমন আঙুলে কি আগুন সম্ভব



বিধাতার আঙুল ধরে ধরে যেকটা মোক্তারনামা লেখা হয়েছিল তাদেরই দলিলে দেখো লিখিত নিয়মের পাঁচালিলাল পিঁপড়ের ঘরে ফেরার ধ্বনিতে আমি গৃহত্যাগের শব্দ শুনি



গৃহ মানে গণ্ডী নয়


গৃহ মানে স্মৃতি


যার নেই তার সিঁড়ি আছে


আরোহণের গল্প আছে



দোহাই তোমার


গল্পে কোনো দরজা রেখো না


দরজা তো সকলের থাকে না


অপেক্ষা থাকে


থাকে দেয়ালঘড়ির কলকাঠি


কেন্দ্রাতিগ ভ্রমণে যেকটা সূত্র


পেরিয়েছিল হাসপাতালের গরাদ


তাদের গায়ে এখনও লেগে আছে


সাদা পোশাকের নার্সীয় ঘ্রাণ



মাথা সংক্রান্ত জ্যামিতিতে যেকটা সূত্র ঈষৎ চুম্বনের রেখা টেনেছিল তাদের নিঃসঙ্গ কারুকাজে


ভ্রমরের গুনগুন



নান্দীমুখে করণীয় শ্রাদ্ধসমূহঃ-



ক - কার্যকারণ কিংবা সমাধান খুঁজো না প্লিজ


খ – খননে না জননে কৈফিয়তটা মুলতুবি থাক


গ – গণ কিংবা জন আগে পরে বেছে নিও



আমি তো কাঁটাতাড়ের বেড়া দিইনি কোথাও


তবু কেন সীমানার রদবদল


ক্ষুৎকাতর আঙুলে এখনো রক্তপাত



সুস্থির বিছানায় এখনো জড়িয়ে আছে তৃষ্ণার ধ্বনি


শীৎকারে মাপতে গেলে আলাদিনও


সলতে খোঁজে প্রদীপ জ্বালাতে



আপেক্ষিকতার গল্প তুমি বলতেই পারোআমি তো নিশ্চি নই, কতটা প্রত্যয় অসমান হলে


এমন আঙুলেও আগুন সম্ভব



দরজার ওপাশে প্রতিবন্ধী অন্ধকার


অপেক্ষার অভ্যাসে সাঁকো খোঁজে


গরাদেরা স্পষ্ট হলে জেনো


নদীও একা হতে জানে



নদীর গায়ে ঝুলে থাকা প্রাচীন বদ্বীপেরা


নাতিদীর্ঘ সন্ধ্যার কাহিনী লিখে গেলে


আমি একটা সমাপ্তিরেখা টানি


নদীসঙ্গমে



এই যে সঙ্গমীত শরীর আর তার অন্তর্গত আনন্দভবন, পাশাপাশি অবস্থানের অনিশ্চয়তা আজও দখল করে আছে আমি আর আমার ভেতর আলোখোঁজা দরজা



দরজারা নিহত হলে যাওয়ারা স্বপ্ন দেখে


স্মৃতিজটে ঝুলে থাকে


ফেরার নির্দেশ



অবস্থানের সঙ্গে চলনবেগও মেপে ফেলার স্পর্ধা করলে অনিশ্চিতের সবকটা সুতো ফাঁস খুলে খুলে আবার গাঁথতে বসেকারণ সেখানে তো শুধু যাওয়া নেইসেখানে যাতায়াত



এই যে আঙুলবেলার বৃত্তান্ত ফেঁদেছি


তুমি বৃত্ত খুঁজলে


কেন্দ্র থেকে


একটা


একটা


করে


উৎখাতে নেমে যাবে জীবনমুখী উৎসগুলো


অন্ত ধরে এ... ... টা... না...


হেঁটে গেলেও পারো


যদিও


সেখানে মৃত্যুমুখী বৈভবগুলো


অন্তহীনের অপেক্ষায়



এই যে অসময়ে অন্ধকারের প্রমাদ, তারও কিছু অরণ্যকথা থাকেদৃশ্য থেকে পাখিনাশক সমস্ত দৃশ্য অ-দৃশ্য করে দেখো বনপথে পড়ে আছে মুমূর্ষু আলো



বরাবর দেখেছি আলোরা শুরুর কথা বলে


যেমন


তুমি


আশা


ভালোবাসা


ইত্যাদি


প্রভৃতি


ইদানীং প্রতীকরোগে কখনো নৃ কখনো হরিণ


নৃ থেকে নৃতত্ত্বে যেও না প্লিজ


প্রাচীন নাচঘর কিংবা


নৃত্যপটীয়সীর ঈপ্সিত আঙুলের বরাভয়


আসলে মরফিমে কয়েক রতি আফিম মিশে গেলে


প্রতিষ্ঠানে বেজে ওঠে


তুমুল দুন্দুভি


মঞ্চ


আলো


জয়ডঙ্কা


ইত্যাদি


প্রভৃতি




যবনিকাপাতের আগে দুএকটা দৃশ্যান্তরঃ-



১। যেসব প্রেক্ষাপটে প্রত্যয় উচ্চারিত হয়েছিল তাদের পাদদেশ এখন বিষণ্ণ


২। নিমগ্ন উড়ালপুলের সময় সংক্ষেপ নিয়ে সঠিক মাপের বাক্যবিনিময়


৩। যোগাসনের যোগবিয়োগ


৪। তুঁহু ও দুঁহু মিলে ভজনান্তর



দীয়তাং ভুজ্যতাং এখনি খারিজ করতে পারে সমস্ত উপপাদ্য


প্রমাণ মাপের দেখনহাসি হেরফের হলেই


টলমল করে ওঠে মাথা মস্তিষ্ক



এবংবিধ সময়েরা যখন অসময়ের বেড়া দিচ্ছে


তুমি বোনভোজনের প্রতীতি নিয়ে


আমি প্রসবকালীন তীব্রতায় প্রাণায়ামে নামছি


জারজ পঙ্‌ক্তিসকল জড়িয়ে যাচ্ছে আঙুলে



যে স পেন্ডুলাম সম্ভাব্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য দাখিল করেছিল


সেখানে দাতব্য খুলে দিলে


দাফন যোগ্যতায় নেচে ওঠে প্রাণীসকল


যোনিমুখ চুঁইয়ে নেমে আসে রজোগুণ


তমোগুণে যতটা সাজ বা সজ্জা দেখো


তামসেও ততটাই আঙুললেখা



বলো


এমন আঙুলে কি আগুন সম্ভব




2 comments:

  1. রুণা, খুবই প্রয়াসী লেখা। একাধিক ভাবনা রয়েছে এবং সমস্ত ভাবনাই বক্রাকার। বিক্ষিপ্তি আসছে। কিন্তু সব মিলিয়ে ঠিক জমে উঠছে না বলে আমার মনে হয়। বেশ কিছুটা loose talk যেন আসছে যার জায়গাটা কমিয়ে দেওয়া যায়। একটা ছক যদি আগে তৈরি করে নেন, আর বাক্য, চিন্তা ও মননের পরিসর যদি একটু গুছিয়ে নেন, লেখাটা অনেক উন্নত হয়ে উঠতে পারে। তবে পরিবিষয়ীর আভনে সামগ্রী ঢুকে পড়েছে, আঁচও ঠিকঠাক ....

    ReplyDelete
  2. ধন্যবাদ আর্যনীল। লুস টক গুলো পয়েন্ট করুন প্লিজ। আমার তাতে খুব হেল্প হয়। জমে যে উঠছে না সেটা বুঝলাম। আমার বোধহয় কিছু কনফেশন আছে। পুরোটাই একটা ঘোরের মধ্যে লেখা। এই যে ঘোরের মধ্যে অঘোর হয়ে ওঠা সেখানে ছক তৈরি করা কি সম্ভব? আমি নির্লিপ্ত ফটোগ্রাফার হবার চেষ্টা করেছি, পারিনি। আমি প্রায়শঃই ইনভল্ভড হয়ে পড়ছি। ফলে পুরো বায়োস্কোপটাই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। অভিনেতারা আমার হাতের পুতুল হওয়ার কথা। কিন্তু তা রাখতে পারিনি। ওরা নিজেরাই নিজেদের সংলাপ বলে যায়। সত্যি বলছি আমি বাঁধ দেবার চেষ্টা করেও পারিনি, হেরে গেছি আমারই তৈরি করা চরিত্রের হাতে। এবং ইদানীং হারের মাত্রারা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফলত বেড়ে যাচ্ছে লেখার দৈর্ঘ্য প্রস্থ। কারণ আমি যতই ওদের পিছু ধাওয়া করি ততই ওরা নাগালের বাইরে বেরিয়ে যায়। আমি বুঝতেই পারছিনা কোথায় থামবো বা আদৌ থামবো কিনা। মাতাল দেখেছেন? আমি জানিনা আর্যনীল, এভাবে কোনো লেখা হয় কিনা। সব্যর পরিবিষয়ী লেখা থেকে যা বুঝেছি লেখার ওপর কন্ট্রোল থাকা খুব জরুরি। ছোট লেখার পরিসর গুছোনো যায়, কিন্তু এই ছড়ানো পরিসরে আমি থই পাচ্ছি না। নিজের মনস্টারের কাছে হেরে যাওয়ার গ্লানিই কি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে দীর্ঘ কবিতার পরিসরে? আমি আসলেই একটা দ্বন্দ্বের মধ্যে। ইভেন কথা বলতেও আজকাল ভয় লাগে। কথারাও আমার কথা শুনতে চাইছে না। কতদিন একটা ছোট্ট কবিতা একটা নিটোল কবিতা লিখতে পারিনি

    ReplyDelete