Tuesday, June 28, 2011

ভাপে ও তাপে গড়ানো আলোরা




শব্দ সেলিব্রেশান


নেশানো আলোস্রোত


গানের জন্য আলোর জন্য


এই যে জীবন্ত শহীদ্‌ হয়ে যাচ্ছে শব্দেরা


তাদের বুকের ভেতর জলের নামতা বুনে দিই


আমি তো কোনো ভাবনা রুইতে পারিনা


ওখানে তোমার নিজস্ব পাঠ্যতা


আমি তার নির্মাণের কে



এই যে জ্বরঘোর


তালকানা তাপ উঠছে


বেহুঁশ


হুঁশের ভেতর দুএকটা পুরোনো ছেঁড়া খাতা


দিনপঞ্জি বা সুইসাইড নোট


সব একটাই সরলরেখা বরাবর হাঁটে


যদিও রেখাদের মাপজোকে রাখলে


সরলতা খুঁজে পাওয়া ভার


নিছক কৃত্রিমতা


যেটুকু জটিল তা ওই জীবননাট্য


মঞ্চাভিনয় থেকে নেওয়া মাত্রাগুলো যোগ করে দেখেছি


পাঁজরের খাঁজে তৈরি হওয়া সুড়ঙ্গ


সমুদ্র ডেকে আনছে রান্নাঘরের জানলায়



প্যারাসিটামলের ইচ্ছায় যেসব সেতুময় আত্মহত্যা নিটোল ছবিটিকে ভাঙছে তাদের গড়ানো তালিকাঃ



ক - না-খাওয়া ব্রেডের টুকরো আকাশ


খ - ডিমের হলুদ কুসুমে জেগে উঠছে ছোট্ট মুনিয়া


গ - আপেলের লালে ঠোকরানো ঠোঁট



এভাবেই বিকোসুলের পাতায় গজিয়ে উঠল


হলুদ ফুলের জলাশয়


ডুবুরির বুদবুদের ভেতর ভেসে উঠল


তোমার পুরোনো মুখ


নীলিমা ওই সম্ভাবনার নাম



আঃ! কেন ইশারাক্লান্ত করে তুলছো অডিও ভিসুয়াল


আমি তো ম্যাজিক জানিনা


তোমার মত গড়িয়ে পড়া চিত্রের আকারকে নিরাকারে নিয়ে যাবো


প্যাথোজেন কতটা গড়ালে তুমি এন্টিবডি ঝরাবে


কে তার হিসেব রাখে বলো



আমার হিসেবের মধ্যে কয়েকটা সাইট মাত্রঃ



১। লিম্ফোসাইটঃ ১৭৮৯ –ফরাসী বিপ্লবে তোমার বিদ্রোহী মুখ


২। মনোসাইটঃ ৫৬৮ – কেমন করে যে হারিয়ে গেল হোলি গ্রেইল


৩। লিউকোসাইটঃ ৬৬০০ – পৃথিবী ছেড়ে আমরা এক নতুন গ্রহের বাসিন্দা


ইত্যাদি



আমি জানি


তোমার শব্দভাবনা আর প্রয়োগপদ্ধতি


তুমি ঠিক ধরে ফেলবে সঠিক আন্টিবায়োটিক


চিবুকে বসাবে সেরে ওঠার মজলিশ


কাঁচের গ্লাস আরো স্বচ্ছ হয়ে উঠবে


বাকি থাকা জলের গল্প শোনাতে



শব্দ আলিঙ্গন


মুখর নির্জনতা


আমি লিঙ্গবিচার করিনি কোনোদিন


তোমাদের গাঢ় সন্ধ্যার চাঁদে যেমন জোছনা খুঁজিনি


এই যে দৃশ্যের পর দৃশ্য


গেঁথে


গেঁথে


তোমার নির্মাণ প্রসেস


আমি তার খোসা ছাড়িয়ে


ছড়িয়ে দিই লেবু পাতায়


আঁজলা ভরে গন্ধ তুলে


মেখে নিই নিরাময় পালকে


পারদরেখা


...........নামতে


..................নামতে


লাল দাগে থেমে যায়



রূপ থেকে তুমি যে রূপকের আড়াল খুঁজছো


ক্লোজআপে দেখো


সংজ্ঞারা কেমন বেদম হয়ে পড়ছে


আসলে তোমাকে কোনো গন্ডীতেই বেঁধে রাখা গেল না


রৌশনচৌকি লাগিয়ে যতই হেঁকে হেঁকে বলি


তুমি এই


তুমি ওই


শ্রবণে আছড়ে পড়ে তোমার খলখল হাসি



হাসির সেন্টার অফ গ্র্যাভিটি খুঁজতে গেলেই


পাগলাগারদের দরজারা হাটখোলা হয়ে পড়ে


ঘন্টি


বাজতে


বাজতে


থার্মোমিটারে বেড়ে যায় পারদের পা


তোমার চিহ্নিতকরণে যে সব কাঠের ঘোড়া বসিয়ে দাও


তাদের দোলন মাত্রাগুলো কোনোদিন সরল হলো না


ফলতঃ আমার মাথা দুলতে থাকে বেহিসেবী


দোল


......দোল


...........দু...লু...নি...


দুলতে দুলতে


হঠাৎ তারা খসে পড়ে


নিউরোন জালের ভেতর বিদ্যুৎরেখা


চকিত ও চমক দুটোকেই ব্যবহার্য করে তোলে


অবাক হয়ে হয়ে


গান হয়ে হয়ে


আকাশ ভরা শব্দ তারা


বিশ্ব ভরা প্রাণ...



প্রাণিতত্ত্বে রাখা এই সব মগ্নতা যখন


আনন্দ নিকেতনে দিগন্ত খুলে বসে


আমি সময়ের পকেট থেকে বের করে আনি


শুক্রবার


বাহারি গ্লাসে ভরে দিই নানা গতির তরল


গতিময়তা প্রাণেরই লক্ষণ


অথচ সর্বোচ্চ নয়


সঠিক মাপের গতিই নির্দ্ধারণ করে একটি ভ্রূণ


আলোর মধ্যে গড়ানো তার হলুদ কুসুম


গানের মধ্যে গড়ানো বিশ্বাসের নিরাময়



4 comments:

  1. kichhu kichhu jaaygaa khub bhaalo laaglo, runa di. drishyer par drishya gNethe tolaa hay jebhaabe...lebu paataar gandhe o jaler naamtaa bune kibhaabe nirmaan hachchhe paathyataa...nirmaankaale aar ektu dur theke dekhbo kabitaa, erakam bhaabi...aar ektu udaasin habo, aar ektu nirmoho habo aami, taai bhaabi...aamaar kathaai ballam, maaf korben, aapnaake gyan deoaar dhistotaa aamaar nei...

    --- Nilabja

    ReplyDelete
  2. dhrishhtataa-i to likhte gelaam. Ki kore jeno ki sab baad pore gelo! --- Nilabja

    ReplyDelete
  3. kichhu jaigaa aamaaro besh bhaalo legechhe. tabe eta deergha kabitaa samay niye parhate habe. nirmiyamaan bhaabanaar fire ese, ese punarmUlyaayiya haoaaTaa besh bhaalo legechhe. bhaabanaa bixipita haleo atirikta digressive hayani. tabe, bullet kare, point kare line lekhaar chal Taa baad diye natun kichhu karaa bhaalo. eibhaabe to anekeki ekhan lekhaar cheshhTaa karachhen. kena jaaninaa ei technique Taa cliche haye Jaachchhe bale aamaar dhaaraNaa.

    aar Runa, Rabi-r bhaashhaar jhope kintu aapani maajhe maajhei aaTake Jaachchhen. ekhano. ekaTu saabadhaan. bahu bachhar aage Shakti eirakam karechhilen khub munshiyanaar saathe - dharmeo aachho, jiraffe-o aachho baite. eTaa kintu taar cheye anekaTaa praacheenatara hachchhe. kichhudin oi bhaashhaake erhiye chalaar cheshhTaa karun.

    I suggest bara`m Pramatha Choudhury baa Aban Thkur parhun. aamaake Aban Thakur Khelaar Naam Sabujayan-er samay khub help karen. shabda diye oi bhaabe visual ke dharaa - o aar kono baa`maalee lekhaker pakkhe sambhab naa. BibhutibhUshhaNer "aaraNyak" khub boring.

    Aryanil

    ReplyDelete
  4. ভালো লাগছে এই সব আলাপ আলোচনা। এভাবে নিজের ত্রুটিগুলো সম্পর্কে জানা যায়। আর্যনীল বুলেট করার রোগটা সত্যি আমারও ধরেছে। কেবলই মনে হয় এভাবে পাঠককে বোধহয় একটু সূত্র দেওয়া হল। তবে আপনি যেমন বললেন সেটাও চিন্তার ব্যাপার। ক্লিশে হয়ে গেলে তাকে নিয়ে নাড়াচাড়া না করাই ভালো। আপনি যে এভাবে খুঁটিয়ে পড়ে আলোচনা করছেন সেটা খুব কাজের। রবিখুড়োর লেখা না হলেও গান এখনও আমাকে পেড়ে ফেলে, তা থেকে নিস্তার পাবার আশা বোধকরি নেই। তবে ভাষার ঝোপ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা অবশ্যই উচিত। আমি নিশ্চয়ই চেষ্টা করবো। আপনার সাজেশান মাথায় রইল।
    আর নীলাব্জ এত হেসিটেট করছেন কেন ভাই? কবিতা সম্পর্কে আলোচনা যত খোলাখুলি হবে তত কবির পক্ষে মঙ্গল। বিরূপ আলোচনা কবিকে ভেঙে গড়ে। ভালো বলার চেয়ে খুঁত বের করা কঠিন কাজ, ঝক্কির কাজ, কেউ সহসা নিতে সাহস করেনা। সো... গো এহেড...(হাসির ইমতিকন আসে না কেন!)

    ReplyDelete