অর্ঘ্যর 'অনুবর্তন' কবিতায় আমার একটা মন্তব্য ছিল, সেটাকে ব্যখ্যা করতে এই লেখাটার সাহায্য নিতে চাইছিলাম। এখানে বিনয় যেই 'পারটিকুলার-কে ইউনিভর্সাল' করে তোলার কথা বলেছেন, তেমন ইঙ্গিত আমি যেন অর্ঘ্যর লেখায় পাই। অবশ্য বিনয় বলেছেন তাঁর ওই ধরণের কবিতায় কল্পনা নেই, তবে অর্ঘ্য কিন্তু এর বাইরে বেরিয়ে কবিতার পরিসরকে আরও বড় করে তোলে।
একজ্যাক্টলি
ReplyDeleteবিনয়ের চমৎকার লেখাটির জন্য ধন্যবাদ জানবেন সুকান্তদা। আমি মনে হয় ধরতে পারছি কোন নিরীক্ষার কথা বিনয় এখানে বলছেন। কিন্তু সচেতন ভাবে পার্টিকুলারকে ইউনিভার্সাল করে তোলার ভাবনা থেকে উনি যেই কবিতা লিখেছেন সেগুলোর থেকে ওনার অঘ্রাণের অনুভূতিমালার কবিতাগুলোতেই যেন উনি ওই তত্ত্বকে আরও বেশি সফল ভাবে ব্যাবহার করতে পেরেছেন !
ReplyDelete"...সকল প্রকার জ্বরে মাথা ধোয়া আমাদের ভালো লাগে ব'লে |
তবুও কেন যে আজো, হায় হাসি, হায় দেবদারু,
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়!"
এখানেও কিন্তু আমার মনে হয় প্রচ্ছন্ন ভাবে সেই পার্টিক্যুলার কে ইউনিভার্সাল করার খেলা চলেছে! -- সারস হল "প্রকৃত সারস" , জ্বর হলো 'সকল প্রকার জ্বর' ...
ওই সময়ের লেখাগুলোতেই যেন ওনার আসল ইন্ট্রোস্পেকশন ধরা পড়ে গেছে।
ভাবনাকে আশপাশের নানা এলিমেন্ট ব্যাবহার করে প্রকাশ করার ব্যাপারটা মনে হয় আমাদের সময়ের অনেকের ভিতরেই রয়েছে। আপনার কবিতাতেও কিন্তু প্রচুর উদাহরণ পেয়েছি।
আমি আমি অবশ্য ইদানিং কবিতাকে দেখতে চাচ্ছি আঁঠা হিসাবে। যে জোড়া দেয়।