Saturday, March 12, 2011

যে কেউ আলো হয়ে গেলে তোমাকে পাবে ?

ধরো

আমি

এক পা এক পা

মাটি সরে সরে পিছনে

আস্তে ধীরে

সরণের জেদে ভেঙে দিলাম আলোর সীমানা


তোমাকে পাবো ?


পুরোনো সমীকরণ তবু সহজ হল না কোনোদিন...


একটা গল্প তৈরির অবকাশে হাত রাখা যায় এখন...


ধরো

সানকির তলানিতে দুমুঠো অন্ন

বিপন্ন রূপকথা

হাঁটু মুড়ে বসে আছে

রাতবাহানায় আলগামুঠি ঠাকুমার ঝুলি

ভাতগন্ধে অরূপ মেখে ঢলছে জোছনা


নিমাত্রা কিশোরীবুকে নিপাত্তায় থাকছে পদার্থ

অথচ গতির পরোয়ানা নিয়ে পাড়ি জমালো আলো


আইনস্টাইনের দক্ষিণ বাহুতে তখন

মেদুর হচ্ছে স্কোয়ার

সমীকরণ

............গলে

..................গলে

........................পরম নামছে নিঃশব্দ নিরূপমে


এনার্জিকে পরম বললে গল্পটা কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায় না। একটা উপসংহার চাই। মিলনান্তক হোক বা বিয়োগান্ত। চলো তাহলে, আরো একটু হাঁটা যাক...


হাঁটাপথে কুড়োনো বস্তুগুলো

অনড় বুনছে উলকাঁটায়

জালি জালি বুননের গহীনে জড়ানো জীবন

মাত্রা ও চারুকলা ধীরে জমে ওঠে তরুণীবুকে


মাত্রা কুড়োতে গিয়ে এভাবেই বস্তুরা

চারিদিকে স্তূপ

ক্রমে মন্থর হয়ে আসে নিতম্বধ্বনি

গতিহারানো আপেলালিত দিনে

রাতঅশ্বিনী ডাকেকিনাডাকে


আলো তখন নামছে আলেয়ায়

নিখোঁজ পরম

4 comments:

  1. আমার ভালো লেগেছে এই দড়ির ওপর আইনস্টাইনের বাঁশ নিয়ে হাঁটা। আলোর আসাযাওয়ার ভারসাম্য সুন্দর। এক গাদা জোড় শব্দে যে ভার আসে সেটা এখানে নেই, উচ্চারণ সহজ হয়ে এসেছে। কতটা দূরত্ব একটা বিষয়ভাবনা অন্যের থেকে রাখতে পারলো সেটা ভাবার। আরেকটু দূরে হয়তো যাওয়া যেত। আরেকটু মিতকথনও হয়তো ....."রাতঅশ্বিনী ডাকেকিনাডাকে" - এটা কেন জানিনা কবিতার ক্ষতি করছে বলে মনে হয়।

    ReplyDelete
  2. আর একটা-দুটো কথা। Physics এর প্রসঙ্গ উঠলে কেন সবসময় আইনস্টাইন! আরো কত পদার্থবিদ আছেন তো! যাঁদের কাজ কাব্যভাবনার কাছে আনে আমাদের। স্বয়ং সত্যেন বসু। Plank, Fermi পেলতিয়ে, হাইজেনবার্গার, টেসলা - সকলের জীবনীই অদ্ভুত ভাবনা, চিন্তা ও ঘটনায় ভরা। আর ফাইনম্যান হলে তো কথাই নেই।

    এনার্জি কেন লিখলেন? কেন শক্তি নয় ? সত্যেন বসু তাঁর জীবনের শেষ ১০টা বছর "নষ্ট" করলেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের বই লেখা যাতে সম্ভব হয়। বৈজ্ঞানিক আভিধান হলো। তার এত বছর পর সামান্য "শক্তি" কেন বলতে পারবো না?

    ReplyDelete
  3. আর্যনীল, ভালো লাগছে এইভাবে ফ্র্যাঙ্ক আলোচনা।
    শক্তি না হয়ে এনার্জি – এটাকে আমার একটা দুর্বলতা বলা যায়। কারণ শক্তি বললেই কেন যে আমার কেবল মাস্‌ল মনে হয় কে জানে!! আমি দুচক্ষে দেখতে পারিনা এই শব্দটা। তবে কারো সঙ্গে জোড়ে হলে, গতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ইত্যাদি ঠিক ঠাক।

    এখানে এনার্জি অর্থে যাঁকে রেফার করছি তিনি স্থিতি না গতি, দৃষ্টি না শ্রবণ কিছুই আমি ধারণা করতে পারিনা। সুতরাং জোড়ে ব্যবহার করতে পারছি না। এবং তার সঙ্গে মাস্‌লের বিন্দুমাত্র যোগাযোগও দেখতে পাইনে। তো ওই ইংরিজিটাই মনে ধরল!

    আমি সাধারণভাবে সায়েন্টিফিক শব্দের বাংলা শব্দ খুঁজি। কিছু পচ্ছন্দ হয়, আমার ভাবনার সঙ্গে মেলে, কিছু মেলে না। তখন ওই ইংরিজিটাই বহাল রাখি... এই আর কি

    ReplyDelete
  4. জি আর্যনীল, ওই বিজ্ঞানীরাও অবশ্যই। বোসন বা গড পার্টিকল আমার একটা কবিতার নাম। হাইজেনবার্গ তো যত্রতত্র আসেন যান। অন্যদের নিয়েও কাজ করার ইচ্ছে আছে। ঠিকঠাক তাক পেলেই তুক করা যায় আর কি।

    রাতঅশ্বিনী ডাকেকিনাডাকে - বুঝতে পারছি আপনার কথা। এটা অন্যভাবে বলার চেষ্টা করব

    ReplyDelete