Wednesday, March 30, 2011

Little Boy

২৩৫ এর কোমরবন্ধনী সত্ত্বেও কমতি ছিল তোমার ধারণশক্তি। দুলকি চালের এক ফোঁটা কণা ভেঙে দিল তোমার গুমর...



আর সেই শুরু হল


...........দৌড়


দৌড়


একটানা দৌড়


ক্ষয়ে যাওয়া ভর হিসেবে রাখলো তুমুল অন্তরাত্মা



কিন্তু আসরে নেমেই ধারাবাহিকের হাল খুলে দিল


ছোট্ট ছেলেটা


গলায় ঝোলানো সোনার জন্‌জীরে হাত রেখে


দৌড়তে দৌড়তে


নায়কশিমায়


মাশরুম মেঘের ভেতর তখন নাটক জমছে


লক্ষ্মণের শক্তিশেল



সুকুমার কোনো বৃত্তির নাম নয়


জানো


ট্রিনিটির জাদুকর বলাও কি যায়



Now I am become Death, the destroyer of the world



মায়াকুন্ডলী ঘুঙরু বাজিয়ে দিল ওপেনহাইমারের চোখে। উলকাঁটায় বোনা কালসুতোর ফাঁস কীর্তন গেয়ে উঠল। তুমি শুনতে পেলে না। কারণ তোমার মুখ ঘোরানো ছিল মৃত্যুর দিকে...



কালোহস্মি লোকক্ষয়কৃৎ প্রবৃদ্ধো...



হা হতোস্মি! এ কেলোকে চিনলে না তুমি। মহা যোগ করে দেখো অনন্ত বসে আছে ব্রহ্মান্ড হাতে...



কেশবতী গীতার বিনুনিতে মুখ রেখে বিনেতার ভূমিকা লিখছো


চুমু থেকে নীল ঠোঁট পেরোলে দেখতে পেতে


নীলকান্ত


শুধু কান্ত নয় অথবা শ্রীকান্ত


বিশ্বরূপের দলিল খুললেই


ডমরুর ডম ডম


আহা পেরোলো না পরীক্ষিতের স্নায়ুময় সেতু


ভুলেরও মাস্তুল ছিল


জানো


নিউরাল জালে


মেলেনি রসায়ন


Monday, March 28, 2011

ব্র্যাকেট ৮

তিনি বললেন -- লোক সংস্কৃতি হল সেই সংস্কৃতি যা মাটির কাছাকাছি, ফলে সাধারণ ভাবে নাগরিক নয় ।
আমি তেতলায় থাকি
আমি তো অলোক, প্রভু
আমার প্রত্যয়ের নাম অলোক বিশ্বাস
:-)
--------------------------------------------------------------
ভাষার যথার্থতা মেনে

লেখার আশ্বাসে লেখা পংক্তি
ভোজে ও পার্বণে
ভাবি— এক কোনদিন ইঁদুরকলের কথা
যে ইঁদুরের থেকে বিচ্যুত হয়ে আছে
অভাবে কাতর হয়ে আছে
অর্ধমনস্ক তার রুটি ও পরিক্রমা

ব্যাখ্যাতীত
বসে থাকে মতির আড়ালে
একটু একটু মাথা বাড়িয়ে
ফাঁদকে প্রলুব্ধ করে
তার বাঁচনভঙ্গী
অভাব ঢাকার মত পর্যাপ্ত প্রভাব

ব্যাটারিতে পাওয়া শান্ততা
অবিকল হয়ে আছে এক হপ্তা
এসময় আমি ক্ষমাকেও ক্ষমা করে দিতে
ইতস্তত করবো না
এমন আপ্রাণ কথা বল
যেন নির্জনতাও খাপ
খেয়ে যায়
সবটুকু
সবর্ণ দুধ
দুধের মৌলগুলি শাদা ও উন্মাদ হয়ে ওঠে
আমার মতই সুস্থ ও অবিচল হয়ে ওঠে

অনবরতে পাওয়া সুস্থতা
অবিকল হয়ে আছে এক হপ্তা
এসময় আমি ঘুণপোকাদেরও খোখলা করে দিতে
ইতস্তত করবো না
--
ঘোরের আড়ালে রেখে দিচ্ছ ঘড়ি
আর বলে উঠছ রাত বারোটার আগে
ফাটিয়ে বেরোতে পারবে না
রাস্তা
অন্যমনস্ক
তৃতীয় শুঁয়োপোকাটি
এই সময় সতর্কতা নিয়ে খেলা করে
আলগোছে কিঙ্কন বাজে
পাতার ভেতর বানচাল হয়ে ওঠে প্রকৃতি

এ সমস্তই এক ভুল প্রতীকের আত্মসমালোচনা
যে জানে ভাষার কোন যথার্থতা নেই
বারোটার পরে কোন একটা নেই
--

Wednesday, March 23, 2011

ওদের বন্ধুরা খরগোশের গর্ত নিয়ে ভাবে

বসার ঘরে সুড়ঙ্গের ছবি ,
ওদের বাগান ও ছুটির কথা বইয়ে আছে
ছোট ছোট মানে কষে নেয়া
তাই বিভ্রম,
উপাত্তের অভাব থেকে খারাপ দিকগুলো আলাদা করা যায়
বিভ্রম না থাকলে এইসব যন্ত্র মনে হবে

ওরা চুল আঁচড়ায় ,
আঁচ লাগিয়ে সোজা করে ,
আবেগ যে দীর্ঘ খুনের তালিকা – তাকে বয়ে বেড়ানো আর ধরে রাখা এক কথা নয়
পাড়ার মনযোগ এক দিকে মুছে আনার কৌশল
মিল আর মানের সুযোগ করে দেয়া ,
একটা সিঁথি কেটে দেয়া

* * *

সিঁথি রপ্ত করছি

ওরা আমার ঘুমন্ত জুলপি দ্যাখে জানালায়
ওরা আমার চাওয়া
অভ্যাস
বা গ্লিফ
স্থির মিশ্রকে, রপ্ত করছি এক পাড়া মনযোগ সরিয়ে – এই স্বপ্নদৃশ্য ওরা
যখন বাগানে মেঘ করছে
তুষার ঝরছে

ওদের বেড়াল ছানাগুলো সবচে আদুরে

* * *

মেলো ,
নিকেল ফেলে কান পাতো – চিরুনি কেনো চিরুনি ভাঙো
ওদের লিখলেই
কেন তুমি সেই একই দ্বিতচারী হবে

আমি ভাবছি হবেনা
আর বুনো খরগোশ দৌড়ে পালালো ,
ভাবছি – আর বোকা পিগিব্যাঙ্ক লিখো
বারের বারান্দায় আমাকে পিটিয়ে গেছে ভাল ভাল লোক
আমি একটা বেড়াল পুষতাম ,
পালাবো না , বড় করবো ওই নিকেল ,
তার বেড়া ও বাছাই –
ইকোমেলার আদুরে মেয়েটি স্কার্ফ খুলবে
একটি দুধসাদা সাপ জড়িয়ে নেবে কাঁধের উপর – আর যত এনকোডিং আছে

যেমন , কিছু যন্ত্রে মুক্তি লাগে , অর্থাৎ একটি সসীম কাঠামো –

টেবিলে তিনটি মার্বেল রাখা হলো
তাদের আলাদা আলাদা গন্ধের কোড দেয়া হলো
প্রতিটা সংখ্যার ছবি আঁকা হলো
ছবিগুলো নিজেদের মধ্যে একটা খেলা ভাবে– ওরা কখনো একত্র হবে না
যার যার হারিয়ে ফেলা খুঁজছে প্রত্যেকে
ওই ফেন্স আচঁড়ে দিতে হয়
টেনে আনতে হয় একটি যেকোনো awe ব্যবহৃত সংখ্যায়

Monday, March 14, 2011

ব্র্যাকেট ৭

ভাঙা আয়নায় শোধন সামগ্রী
চুমুর বিরোধাভাস
সেও এক গলি
যেখানে দমকল ঢোকে না
ফল মার্কেটের ভোঁতা হাওয়া
গাঁদাফুলও কাম্য কাম্য মনে হয়

এসময় বসময়
বসন্ত ধুঁয়াধার লাগে
রাত তিনটেয় ধড়ফড় করে উঠি,
এক বাঞ্চোত কোকিল আর এক হারামী
পিউকাহা
প্রেম ঢাউস হয়ে ওঠে
গুঙিয়ে ওঠে সিরাপগ্রন্থি

ওকে খানিকটা মন্দ করে দে মৃদু করে দে
--
তারপর শুধুই নির্মাণ হয়ে থেকে যায় দোতলার প্রেরণা আর বিলম্বিত ফল বসন্তে ঝরে । আমার সমস্ত অনুমান, পদ্ধতি, অজৈব টেক্সচার উশৃঙ্খল হয়ে ওঠে । কোথাও সাঁতারপটু ভাষার শরীরে ঘাই মারে ডুবন্ত ভাষা ।

ফলের ভেতর স্তিমিত হয়ে আছে খুলে দেখানোর বীজ
বীজের ভেতর নস্ত্য এপ্রন
সতর্ক হয়ে ওঠা গোধূলি ও নিয়মিত
সাড়ে নটার পুল পারাপার

এই আমার অবিকল ভাষা-- যে ভাষায় আর্ট ও ইন্ডাস্ট্রি দু’ই শিল্প । দীর্ঘাকায় হয়ে ওঠে খনিজ বেগুন, বোঁটা ও সংলগ্ন কাঁটা, বিজন হয়ে ওঠে । পরিমাপগ্রস্ত হয়ে ওঠে ।

আমার কাল্পনিক হেতুর পাটায় নির্লিপ্ত হয়ে ওঠে দড়ি ও ওলন, অন্ধ কর্নি । ব্র্যাকেটশহর আমি ঠিক কোথায় গাঁথব এই নতি, নান্দনিক দোলনের আভা ! কোন শান্ত কঙ্ক্রীটে ধীর ও অনিবার্য হয়ে উঠবে সমস্ত আকস্মিকতার মূল্যবোধ, আমার হেরে যাওয়ার স্টাইল ।

--

ব্র্যাকেটশহরে
তামাশাপন্থী বাঘ আর তাঁর
পেডান্টিক নড়ন
বিশ্বাস ভাঙতে ভাঙতে পাথর
নিজেই হয়ে ওঠে বেলে ও হলুদ
সুক্ষ রন্ধ্রগুলো ভরে ওঠে কেতাবী গর্জনে
হলুদের পাশে বিস্মিত হয়ে আছে
বাকী যা হলুদ
বসেছে হলুদ বাঘ হলুদ খোঁপায়

আমার চোখের পাতা নড়ছে না

--
গাঢ় হয়ে উঠছে বৃষ্টি
অভ্যস্থ হয়ে উঠছে
ব্যর্থ হয়ে উঠছে

এ সমস্তই এক অসমাপ্ত বিছানার কথা
যে জানে গুছিয়ে তোলার মত হাত নেই
বৃষ্টির দিনে দরজায় অভ্রান্ত খটখট নেই
হস্তান্তর বলে কিছু নেই
আস্তিন আর তুরুপ এই সবই পলায়নবাদীদের নিজস্ব স্বান্তনা

দস্তানা কড়ায় ঝুলিয়ে
আঙ্গুলেরা তোয়ালে খুঁজছে
--
আমার প্রকাশভঙ্গীর মধ্য দিয়ে ঘরঘর করে যাচ্ছে
লম্বা মালগাড়ি
মালগাড়ির মধ্যে ভেসে যাচ্ছে তামাক ও কমলালেবুর নির্যাস
পরিত্যক্ত ছাউনিগুলো মাতাল হয়ে উঠছে
ধীর ও বিস্মিত প্রকাশ হয়ে উঠছে
এও এক অন্তর্বর্তী বারান্দার কথা
যে প্ররোচনা দেয় চলনসই বৃক্ষদের
বলে --এইবার চীয়ারবিথীকা হয়ে ওঠো
অনুপম পমপম

প্রার্থনা ও কুঠার ছাপিয়ে উঠছে কুকারের সিটী
হিংস্র হয়ে উঠছে কুমড়ো সেদ্ধ, মান কচু, উচ্ছে সেদ্ধ
--
মালগাড়ি ও রান্নাঘরের পর আবার
বৃষ্টিতে ফিরে আসি
এখন বৃষ্টি নেই
রোদ নেই
ভেজবার প্রশ্ন নেই
শুকিয়ে ওঠার প্রয়োজন নেই
যা নেই তাই চিহ্নক
চিহ্নিত বস্তুসমূহে
যার চওড়াবরণ বোঝা যায়
--
এ সমস্তই এক অসমাপ্ত কাচের জানলার কথা
যিনি তাঁর সমূদয় নিয়ে বিছানা হওয়ার
কথা ভাবেন ও ঘষটে ঘষটে
নিজেকে অনচ্ছ করে তোলেন

চিহ্নগুলি মাথা গলিয়ে দিচ্ছে অস্তিত্বে
তাদের পিঠের কাচ ডুকরে উঠছে
--

মিঃ বীন বললেন –Can you give shape to an idea unless it’s dead ?

চকিত অতিক্রমী যে আলো
সেই আলো তোমাকে দেখেনি ভালো করে
তোমার কাছের ধীর ও লেপ্টে থাকা আলো

সেই আলো বিপজ্জনক
ছায়া হাতে স্যাডিস্ট ভাস্কর হয়ে ওঠে

উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ঘাম গড়তে ভুলে যায়

এইসব কথা ডাঙার বিপক্ষে

ঢিল পড়া পুকুরের জলে ওঁত পেতে থাকেন পিকাসো
গতকাল
তাঁর সাথে কথা হয়েছিল
ধারণা নিয়ে
ধারণাপূর্ব অনুভূতি নিয়ে
লালাগ্রন্থি নিয়ে
যা তাজা রুটি বা বর্ষার আস্তাকুড়
যে কোন তীব্র গন্ধে প্রবাহিত হয়

--
তথাগত বললেন -- যে কোন বস্তুই একটি ঘণ ও আকরিক গুণ । এই গুণ রোপণ করো ধনুকে ও বন্দুকের ব্রীচে । এই গুণগান থেকে তীব্র ছুটে যাওয়া ভাব, যার গতি মিনিমাম সেকেন্ডে ৩৪৪ মিটার সেই হলো প্রকৃত শব্দভেদী । যা অর্থভেদেও সক্ষম । এই হলো বস্তুবাদের গোড়ার কথা ।
আমি বলতে পারিনি-- হে তথাগত, প্রভাবিত হওয়ার জন্য যে অন্তর্জাত নৈপুণ্য লাগে, আমি তা হারিয়ে ফেলেছি

সঙ্ঘবদ্ধ জলে
জলদলে

রাত্রি তিনটের পরে এগোতে রিফিউজ করেছে যে ঘড়িগুলি, সেই সব ঘড়ি আমার আত্মীয় ছিল । তারা বায়ু, সূর্য, বালু, ফুল ও জলের মত গতি ও দিশাশীল ছিল না । আমি যা বলতে পারি নি-- সেই সবই ভাববাদের গোড়ার কথা ।

যে কোন সঙ্ঘবদ্ধ জলে, জলদলে, জলকণাগুলি নিজস্ব মৌলতাহীন । জলকণার স্বভাবজ যে জল্কনা – যার ওপর টুকটাক ওড়ে খেলুড়ে ফড়িং । সেই ফড়িং জলাশয়ের ওপর চতুর ও নিবিষ্ট হয়, প্রজনন হেতু । এই কথা অদ্বৈতবাদের গোড়ার ।

দ্বৈতবাদ নিষিদ্ধ ব্র্যাকেটশহরে ।
--

Mr. bean said – All realizations are interpretation of data acquired by your senses. Since, all the senses are suspect, realizations attained through them are thus uncertain, suspect.

বানচাল হয়ে যাওয়া
হেঁসেল গণিকালয়ে
অপরিহার্য ভুল
এই ভুল নির্মাণে লেগেছে
ধারা ও ধারণায়
ধারণাজনিত সমস্ত গঠনে
রোদের পিঠের পাশে
পিঠ পাতা হয়েছে আমার
আমি সেই ফলার নিকটে
কারণ রাখিনি

লক্ষণীয়, পৃথিবীর সমস্ত জখম
ভিন্ন ও দূরপরায়ন
শুধু তার প্রবণতাগুলি
সমূহ গড়ার কাজে লাগে

রোদের পিঠের পাশে
পিঠ পাতা রয়েছে আমার
আর সূর্যোদয়ের বাঁ পাশে সন্দেহবাতিক এক সূর্যাস্ত উঠছে
--
আমরা বিষন্ন ছিলাম
আমাদের ওপর তৃপ্তির ছায়া পড়েছিল
সাপের খোলসে ভ্রান্ত নেউলের ছায়া
প্রকৃত অসম্ভবের গায়ে তথ্যের ছায়া পড়েছিল

এই এক অসম্পূর্ণ বিভাজিকা
যার গতি ও মতির দ্রুতি
ধরতে অসামর্থ্য চোখ
ফলে সমস্ত মাপে ও নিবিড়ানুপাতে
যেই বিভাজিকা অথর্ববিশেষ
তার ছায়া আমার অভেদে

এক বালুঘড়ির ভিতরে হয়েছিল আমাদের নীরবতা রাখা
আমাদের ছায়াগুলো কথা বলছিল
--
“এই সেই রোমীয় পথ, যার ছায়া পথপার্শ্বে পড়ে, কর্ষণ করে অটবীর মূল, অতসীর ঝুঁটি ও চকিতে ভ্রাম্যমান হয় । এই সেই ছায়া যা আজও মূল্যবান” -- রবি ঠাকুর এই গান বেঁধেছিলেন ১৯২২ খ্রীস্টাব্দে । সুর ; মিশ্র ভূপালি ঠুংরি,পর্যায়; বিবিধ (সূত্রঃ মিতবিতান, পৃঃ ৩২৬)। জনশ্রুতি, এই গান আদতে লেখেন বাবু কমল চক্রবর্তী ২০০৩ খ্রীস্টাব্দে এবং অদ্ভুত দূরদর্শী রবি ঠাকুর ১৯২২-তে বসে এই গান হড়প/আত্মসাৎ করেন । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই ছায়ার জরীপকর্তা নিয়োগ করেন জ্যঁ লুক গোদার-কে । এই নিরন্তর হিংস্র ছায়ার একক নিয়ে ১৫৩৩ খ্রীস্টাব্দে গোদার সাহেব নির্মাণ করেন এক অবিস্মরণীয় তথ্যচিত্র “Shadow building : A whispering art” যা পৃথিবীর সর্বপ্রথম ক্যালাইডোস্কোপ ।
গতকাল আমার দেখা হয়েছিল ছায়াটির সাথে ক্যামেরার দোকানে । ছায়াটির পরণে ছিল তরুণ বর্ষাতি । গতকাল পৃথিবীর কোন কোণায় বৃষ্টিপাত হয়নি – যদিও রেডিয়োতে অশনিসংকেত হয়েছিল ।
--
সৌর মন্ডল বললেন – একটা বিড়ি দিন –আমি দেখছি তাঁর গলার ওপর খেলা করছে কষ আর গীটারের তার । সৌর মন্ডল বললেন -- আর ভালো লাগে না, পোঁদে পোঁদে অপার্থিব লগ্নীকরণ ও জ্বালা । জ্বালা মোশাই ! আপনাদের সামুদায়িক রেশন কার্ডের ছাল ঘুনসি ভেদ করে আমার আনুমানিক পিত্তাশয়ে ঢুকে গেছে । পাথর মোশাই পাথর । ঘুঘনি খেয়েছেন কী পাউরুটি হয়েছেন । তারপর আপনার ঘুঘনি আপনার পাউরুটি ক্যোঁৎ ক্যোঁৎ করে কণ্বমুনির ছাগলের পেটে, শালো, ছাগলের পেটে ব্যাথা বোলে কথা । শকুন্তলা মারাবেন না বলে দিচ্ছি । অভিজ্ঞান যত খুশী দাগান পোঁদে, কিডনিতে, রাজা তো হবেন না রাজা আপনাকে চেখে চাউমিন করে দেবে আর পেচ্ছাপ মোশাই পেচ্ছাপই, চাহে সে পেচ্ছাপ গোলাপজল খেয়েই হোক আর কাতলার পেটে বুড়বুড়ি মেরেই হোক । দেখবেন এর পর বিরহী যক্ষিণী কেমন মেঘদূতম দিয়ে চুরুট ধরায় । শালোর কবিতার শখ ! দিন মোশাই এক খানা বিড়ি ।
(সূত্রঃ খান্ডবদাহন, বনপর্ব ; সম্পূর্ণ মহাভারত বাই পঞ্চানন হালদার, সং ; ১৯)
--
ব্র্যাকেটশহর
আমি ভাবি সমস্ত ছায়াই
পরিখাসক্ত
চারতলা থেকে যার ঝাঁপ
ফ্রেমবন্দী হয়
বাঘ ডাকে নয়ানজুলিতে
বাঘ ডেকে ওঠে বাথরুমে
সে ডাকের ছায়াগুলি
সমস্ত সৌরমন্ডলের
দর্পণপ্রসূত
বাঘ ডেকে ওঠে আর
নির্বিকার বিড়িখানি জঘনে জঘনে

জ্বলে
নেভে
জ্বলে
--

Sunday, March 13, 2011

লেখালিখি - বিনয় মজুমদার


অর্ঘ্যর 'অনুবর্তন' কবিতায় আমার একটা মন্তব্য ছিল, সেটাকে ব্যখ্যা করতে এই লেখাটার সাহায্য নিতে চাইছিলাম। এখানে বিনয় যেই 'পারটিকুলার-কে ইউনিভর্সাল' করে তোলার কথা বলেছেন, তেমন ইঙ্গিত আমি যেন অর্ঘ্যর লেখায় পাই। অবশ্য বিনয় বলেছেন তাঁর ওই ধরণের কবিতায় কল্পনা নেই, তবে অর্ঘ্য কিন্তু এর বাইরে বেরিয়ে কবিতার পরিসরকে আরও বড় করে তোলে।

John Cage



এইটায় সুর রয়েছে, কিন্তু শুনলেই বুঝতে পারবে কি ধরনের কম্পোজিশন। ওঁর সঙ্গীত প্রায়-গাণিতিক। 


গাণিতিকতার ব্যাপারটা আরো বোঝা যাবে এখানে। এখন কথা হলো এই যে এই সঙ্গীত অনেক কবিকে জাগায়। আমার বেলায় সেটা হলো না। আবার অনেক ফিল্ম    আমাকে লেখা দেয় যা হয়তো অন্য কাউকে দেবে সহিতের মৃত্যু।

Saturday, March 12, 2011

যে কেউ আলো হয়ে গেলে তোমাকে পাবে ?

ধরো

আমি

এক পা এক পা

মাটি সরে সরে পিছনে

আস্তে ধীরে

সরণের জেদে ভেঙে দিলাম আলোর সীমানা


তোমাকে পাবো ?


পুরোনো সমীকরণ তবু সহজ হল না কোনোদিন...


একটা গল্প তৈরির অবকাশে হাত রাখা যায় এখন...


ধরো

সানকির তলানিতে দুমুঠো অন্ন

বিপন্ন রূপকথা

হাঁটু মুড়ে বসে আছে

রাতবাহানায় আলগামুঠি ঠাকুমার ঝুলি

ভাতগন্ধে অরূপ মেখে ঢলছে জোছনা


নিমাত্রা কিশোরীবুকে নিপাত্তায় থাকছে পদার্থ

অথচ গতির পরোয়ানা নিয়ে পাড়ি জমালো আলো


আইনস্টাইনের দক্ষিণ বাহুতে তখন

মেদুর হচ্ছে স্কোয়ার

সমীকরণ

............গলে

..................গলে

........................পরম নামছে নিঃশব্দ নিরূপমে


এনার্জিকে পরম বললে গল্পটা কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায় না। একটা উপসংহার চাই। মিলনান্তক হোক বা বিয়োগান্ত। চলো তাহলে, আরো একটু হাঁটা যাক...


হাঁটাপথে কুড়োনো বস্তুগুলো

অনড় বুনছে উলকাঁটায়

জালি জালি বুননের গহীনে জড়ানো জীবন

মাত্রা ও চারুকলা ধীরে জমে ওঠে তরুণীবুকে


মাত্রা কুড়োতে গিয়ে এভাবেই বস্তুরা

চারিদিকে স্তূপ

ক্রমে মন্থর হয়ে আসে নিতম্বধ্বনি

গতিহারানো আপেলালিত দিনে

রাতঅশ্বিনী ডাকেকিনাডাকে


আলো তখন নামছে আলেয়ায়

নিখোঁজ পরম

Sunday, March 6, 2011

- অনুবর্তন

একটি না দেখা ইশারা

করিডোরে বুলেটিন বোর্ড , নানা রঙে নোটিশ টাঙানো
তার প্রাবরণ ও মনযোগ
এভাবে যার কাছে আসমানী হলো সরল অভিকর্ষ
তিনি অনেক ভাল ভাল লোক হারিয়ে যাওয়ার গল্প জানেন

মন্ড থেকে শুরু - স্থির ধারালো ব্লেডে ধনে পাতা , পুদিনা, আর আস্ত পেঁয়াজ
বোতামে হাত রেখে বলেন
গর্ত ছাড়া সিমেট্রি হয়না , সিমেট্রি ছাড়া মুখমন্ডল
একটা খোসা ছাড়ালে দেখবে আরেকটা
আরও মিহি , মানে কেন্দ্রগত
মিশ্রক
মিল হলে ছবি
না হলে আসমানী
ওরা বেশি এলার্ম ঘড়ি বাজারে ছাড়েনা

বরফহ্রদে অনেকে বেরোয় এসময়
বরফহ্রদে টহল পুলিশ
এভাবে বিম্বায়ন
যত আয়না দেখা তত প্রান্তহীন নোট সাবধাণতার সব মানে ওষুধের গায়ে লেখা নেই
নানা দোটানার নোটিশ আটকে রাখা বুটপিন
অনেক পিন মিলে একেকটা ফিতা
একেকটা রাত
মিল
আর সেলাই খুলে হারিয়ে যাওয়া আঠার রেসিপি খুঁজছি যখন ফ্ল্যাটের ভিতর
খোঁজের আত্মমুখীতায়
স্থির ধারালো ব্লেডে
ঘুম আর ঘুমের অয়নাংশ আমি স্বাভাবিক
বরফপাতে লোককথা শুনি
চুম্বক কারখানার লোককথা

সমবেত হতে মিথ লাগে
যেমন আতঙ্ক
শিরদাঁড়া পেঁচিয়ে নামা ভয়
চুম্বক পেতে লাগে একটা কয়েল , আর বিদ্যুৎ
এমন অনেক হারিয়ে যাওয়ার গল্প লেখা আছে বইয়ে
মুদ্রাস্নাতকেরা বোঝে
বাতিল করাত স্তুপের পাশে গজিয়ে ওঠা নতুন চারার মত ক্লান্তি - শুধু এই সংঘর্ষে কী হয় ? তেমন কিছু না
বিস্তার কখনো কখনো আড়াল ছাড়া কিছু না ,
ওরা জানে , মেঘলা বিকালে
শত শত দাঁড়কাক ধরা পড়ে গিয়েছিল দুইটা তুষার ঢাকা দালানের মাঝের আকাশে

জাদুঘর, ডারউইন ও মধুমাস

গ্রন্থি শিথিল হয়ে এলে
তাকে দোদ্যুল বিশ্বাসের মাঝে রেখে জিজ্ঞাসা করলাম
আলোর বেগ সত্যই যদি পরিবর্তনশীল হয়?
উত্তরে সে জানালো কৈশোরে ফিরতে পারার এক বহুমাত্রিক সম্ভাবনা

ভিতর থেকে ভিতর উঠে আসে
তুমি খুঁজছ সৌখিন জাদুঘরের ভিতর সন্ধি ও স্বাদ
প্রিজমের অন্তর্গত সুগন্ধ
প্রত্যেক ভালোলাগার পিছনে কিছুটা ক্ষরণ থাকে
অজান্তেই তুমি সেই রসায়নের সন্ধানে
যৌগিক খিলানের প্রশস্ততায় ঢুকে যাও
যেখানে রূপান্তর ধরা আছে প্রতিফলিত দেওয়ালে
মৃত কোষে উত্তাপ নেই, বহু ব্যবহৃত জিহ্বাতেও
তাই সংগ্রহ আমার ভালো লাগে না, তুমি সাথে থাকলেও

রূপান্তর বুঝি মানসিক – অনুভূত স্বেদ
বর্ণের রকমফের গোণে মস্তিষ্ক
একমাত্রিক জাদুঘরে

অসভ্য মানুষের জাদুঘরের দরকার হয় না
অথচ সব প্রদর্শনেই থাকে কিছুটা দ্বিমাত্রিক অসভ্যতা

ডারউইন জানালেন আমরা বিবর্তিত
সাজে, পোষাকে
জিহ্বায় – সুগন্ধে
খসছে বাহুল্য
আমরা জটিল হয়ে যাচ্ছি, আরো শীতল
অজান্তেই অ্যাসিড ঠিক করে ফেলছে
সন্ধ্যাবেলা পুড়ে যাবে গলির মোড়
আমারই প্রতি কোষে সেই জ্বলনের রকমফের
মৃতা, হন্তা, দর্শী – সবাই সভ্য হছে, স্বার্থপর
তিনি আরও বললেন, “Traits of parents tend to be
Passed on to their offspring”
জাদুঘরের ভিত্তি স্থাপিত হল
আমার পিতৃপুরুষ নিয়ে সন্দেহের নিরসন
ফেলে আসা যোগসূত্র – সন্ধি ও স্বাদ
আলোর বেগ পরিবর্তনকারী প্রিজম
ডারউইন, তুমি সব বহুমাত্রিক
এ মধুমাসও

Saturday, March 5, 2011

bracket 6

এক প্রকারান্তর লাগে ব্র্যাকেট শহরে
জারি এক্ অনির্দিষ্ট সীমারেখা
জারি এক জরুরী লঙ্ঘন
তার জরুরী আত্মা
তার জালিম আত্মা
আত্মার্ জরুরী জালিম

মীমাংসাগুলি অভ্যস্ত হযে উঠছে
মাংসে ঋতুতে স্পৃহায়
ভ্রান্ত ও জরুরী অবস্থায

রেললাইনের্ পাশে দড়ি ও সুনির্দিষ্ট ক্ষুর
নিপুণ হযে উঠছে
ব্যবহার হযে উঠছে

--

তবে আত্মকথার্ মত বল
বল এক নিকেশসংক্রান্ত

এইখানে প্রভা ও প্রভার সামগ্রী
এইখানে বিভা ও বিভার্ সামগ্রী

ঐ চলে যাওয়া বিভা ও প্রভার

পরিত্যক্ত সামগ্রীগুলি
সামান্য হযে উঠছে
অনিবার্য হযে উঠছে

এই আমাদের ছোট হাতের চামচ
যার জলের দাগ কোনোদিন ফুরোবে না

--
সোফোক্লিস বলছিলেন -- এই যে দেয়ালগীতি এগুলো সবই সমুদ্রঅশ্বদের জন্য লেখা । খ্রীষ্টপূর্ব 739 এ । সভ্যতা তখন্ নির্ভরশীল সমুদ্রশস্যের ওপর । সমুদ্রঅশ্বরা কর্ষণ করতো জলতল । ঘুরিযে আনতো পুষ্টি । কার্থেজীয নৌসেনা শুরু করে এক্ জৈবযুদ্ধ্ । ওরা এক্ নতুন প্রজাতির্ হিংস্র ডাযাটম ছেড়ে দেয্ উপকুলে । ডাযাটমগুলি এক্ অভূতপূর্ব স্নাযুবিষে কাবু করে ফেলতো পুরুষ অশ্বদের ও তাদের সন্তানথলিতে সদ্যজাত অশ্বের মস্তিষ্কে জারি করতো নিজস্ব প্রজনন । সদ্যজাত অশ্বগুলি বিকৃত ও অশ্বমাংসলোভে ক্ষিপ্ত হযে ঊঠতো । বিশদ গবেষণার পর মহামতি আর্কিমিডিস, মোত্জার্ট ও মেহদী হাসান যৌথভাবে আবিষ্কার করেন এই গীতি । এবং শুশুকদের কন্ঠে তা স্থাপিত হয । কথিত এই সংগীত ডাযাটমগুলির মধ্যে সৃষ্টি করে পাল্টা উন্মাদনা ও তাদের্ আত্মহত্যায্ বাধ্য করে । যদিও মহর্ষি দেকার্তের্ মতে ডাযাটম একটি এককোষী algae বিশেষ-- উন্মাদনা ও আত্মহত্যা-জাতীয কমপ্লেক্স ব্যবহার্ একমাত্র জটিল প্রাণীদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ যেমন মানুষ, লেমিং ও ভারতীয হস্তিনী । দেকার্তের মতে এই গীতি আসলে এক তরঙ্গধর্মী উত্সেচক । যা ডাযাটম কোষপ্রাচীরের আমিনোঅম্ল ও যৌগিক শর্করার শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলে ।

সোফোক্লিস আমাদের এইসব বলছিলেন । নেপথ্যে বাজছিলো আমাদিউস । বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিলো । বৃষ্টি একটি চরাচর হযে উঠছিলো ।

--

উপলব্ধি আসেন জাকিযে বসেন
অনচ্ছ্ব করে দেন বাতাস
অনূভূতি

আমি ভাবি কবে ঘটনাস্থলের মত
ঋদ্ধ হযে উঠবে ঘটনা

ব্র্যাকেটশহর

Wednesday, March 2, 2011

শুধু যাওয়া আসা শুধু স্রোতে ভাসা

ভাসানলালিত কথাপ্রণালী হাঁটছে আবার

শুধু যাওয়া কিংবা আসা থেকে

ভালোবাসা

অনেকটা পরিসর

দরিয়াও হতে পারে

কিংবা নদী

মিথ হয়ে যাওয়া দু একটা পিরানহা

হা খুলে রেখে ছড়িয়ে দিচ্ছে ক্ষুধ্‌ ও কাতরতা


আমি হা থেকে হুতাশ বুনে যাই নিরন্তর

তবু পরানের দেখা নাই রে...


সান্ধ্যস্বরে সোনাটা

নীল পিয়ানো

দহন


না হে পরান-------এই সমস্ত দহন টহনের কোনো উপসর্গ নেই

ছিল না কোনোদিন...


চোখের ভেতর কেলাসিত বর্ণালী

খুলে ফেলতেই

সাদাকালোর কোলাজ

স্ফটিকমণি কেন যে বৃষ্টি ডাকল


গড়ানো জলের গল্পে পুরোনো মাংসের গন্ধ

রক্তের নেশা দিয়ে লিখে রাখা নাম

মাছের গায়ে কবেকার বদনাম

রুজভেল্ট মিথাচার


শিথিল হয়ে এলো পিরানের খোল করতাল

নিয়মের বোল বোলানো

পরানের দেখা থেকে না-দেখা পর্যন্ত


কোএক্সিয়ালে তখন আধো পরিচয়

স্বরের ভেতর জলাবর্ত

একটুকু ছোঁয়া থেকে পরশ পর্যন্ত

এই পথ

রঙিন সুতো বুনছে ফাগুনফরাশ

হাঁটু মুড়ে বসার ফরমায়েশে

আলম্ব আকাশ

শুনিয়ে যায় বেতারে জড়ানো পুরোনো ওঁ


হর্ষপুরাণদাহ পিছনে ফেলে হাঁটছি আবার

দিগন্ত থেকে গুটিয়ে নেওয়া দরবেশী আঁচল

তুলে রাখছে স্মৃতিমর্মর সিম্ফনি