Friday, March 9, 2012

4

ধীরে ফিকে হয়ে আসে
কারো কারো হাঁটায় এতো শব্দ হয়... নিজের থেকে এসব সরিয়ে দিলে অন্য কারো বৃত্ত টেনে নিজের ভিতর কেমন একটা রোখ চেপে যায়। মন্দের ভাল। সত্য প্রকাশ পাবেই। কিন্তু ততক্ষণে মিথ্যারা যা করার করে ফেলেছে। ভুরুর নিচে কয়েকটা পেশী মুক্ত হয়ে কাঁপতে শুরু করে। পাল্লা খুলে এক তাক ওষুধের নাম পড়তে থাকে কবির। ক্লান্তি নেই একদম। দাবার ঘুটির মতো সাজানো, ফাঁদ পেতে তৈরি করছে পরবর্তী কোণ
পরোক্ষ, বেখেয়াল
সূতা জেগে আছে
ঘর জুড়ে অতীত
নেই
ভবিষ্যত নেই
পেছনপাশগুলি , একবার লিখে ভুলে যায়

তার পর প্রতিলিপি অন্য কোনো দিন , অন্য কোনো পাশ , ওই রকম আর ইচ্ছা করে না
মনে পড়ে না, মনে করতে ইচ্ছা করে না

ফিকে ভাল লাগে
এলিয়া ফিকে , কেন্দ্র বিকেন্দ্র না
অনেক বৃত্ত না জেনে
কোনোদিন
কী করে পাশ ফেরে
চশমা খুলে রাখে

চোখ ভাল হবার পর শেষরাতে বাতি জ্বালায় কবির
পুরানো লেন্সে
চোখ সেরে ওঠার মতো তন্ময়
যেন সেই দোষ ফিরে এলো
লোকমুখ
উপর থেকে যা কিছু দেখতে সোজা লাগে
মনে হয় পুরাতন
ফ্রেমগুলি একে একে কাত করে দেয়া

1 comment:

  1. Brilliant ! অথচ অর্ঘ্য, পড়ার সময় বোঝা যাচ্ছে, কতটা সততা নিয়ে আসা লেখা । দ্বিধা, দ্বন্দকে অস্বীকার না করে লেখা ।

    ঘর জুড়ে অতীত
    নেই

    এটাকে কেউ ট্রিক, কলা মনে করতে পারে -- আমি পারছি না । আমার স্পষ্ট মনে হচ্ছে-- একবার ঘরের দিকে তাকিয়ে অতীতকে দেখে প্রথম লাইন লেখা, আবার দেখে অতীতহীনতাকে অবজার্ভ করে "নেই" শব্দটা বসানো ।
    জটিল লেখা তৈরী হচ্ছে অর্ঘ্য, চালিয়ে যা ।

    ReplyDelete