দূর কোনো ভিতর জেনে আমার সেই কবে
থালাভরা শামুক বসে আছে
খুলছিনা . . .
আসো ঝিল দেখি। কিন্নর, এমনকি বেড়া – তুলনা করে বলি, আমায় যখন ডাকা হলো
পলেস্তারায় রঙ শুকালো
কেউ নাই
বিমানের খেলা দেখতে গেছে
ভুট্টাক্ষেতে জেটের ছায়ায়
বেড়ার পর বেড়া শুঁকে দেখলো গোয়েন্দা পুলিশ
তেমন কেউ নাই, গোয়েন্দা জানালো
খামারবাড়ির আকাশ কি শাদা
টিলার ঢাল ধরে পাতা ঝরেছে
কলের শব্দ। অন্ধ বৃদ্ধা। আর বড় রাস্তায় চিলের মতো নেমে আসে এলুমিনিয়াম
কেন আসি ... আসলে তো টানেনা কিছুই
জমজ ঘুলঘুলি, একেকটা অনুক্ত আকার, একেকটা পিছে ফেলা
টিলায় বলেছিল
আমায় বলেছে হারিয়ে আছো তুমি – এইটাই পাপ
গাছ বোনো
কাপড় মেলে দাও। কুকুরগুলি নতুন লোক শুঁকে শুঁকে দেখে
আমাদের শামুক ঠান্ডা হচ্ছে
Circumcontentive Poetry is granular. It is an assembly of many kinds of grains, iota, shreds, and smidgeons. Collage techniques are its automatic choice, an assembly language is its perfect embodiment.
Saturday, September 24, 2011
arekTi choTo lekha
Tuesday, September 20, 2011
ডুয়েল
প্রেক্ষাপটে মিছিল
সম্মিলিত ধ্বনিতরঙ্গ
জীবন
মৃত্যু
কোলাহল
ক্রিয়ারা অসমানতা চাইছে প্রতিক্রিয়ার কাছে
ক্রমশঃ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি
বিষণ্ণ এন্ড্রোমিডা প্রমিত প্রক্ষেপে নিজেকে সামিল করে। অনায়াসে। বিচ্ছিন্ন করে ফেলে মানুষী সত্তার প্রতিকৃতি
স্বয়ং হাত পা মেলে
প্রতিষ্ঠিত হয় স্বতন্ত্র মাত্রাবোধে
ওই দেখো পথ আছে। কিন্তু হাঁটে না। প্রত্যেকটা পথ নিজেকে ভাঙে ঠিক যেখানে এসে একটা স্থিতি খুঁজছিলাম
টুকরোরা উড়ে যায় হাওয়ায়
যেকোনো টুকরো বেছে হাওয়ামহলে জেগে ওঠে হাঁটাপথ
জানো, কংক্রিট কোনো দরিয়া গড়েনি কোনোদিন
প্রত্যেকটা মোড়ে সারি সারি মন্ত্র। সম্ভাবনা। জল সার মাটি কুপোনো কর্ষণযোগ্যতা
ডুয়েলের আহ্বানে ক্লান্ত লাগে আজকাল
তোমার মতামতের অবস্থান কোথায়? কোন বিন্দুতে স্থির হয়ে আছো হে?
আমি
সূচনায়
পরবর্তী অধ্যায়
সূচনা কোনো ইতিবৃত্ত নয়
পরম্পরা রেখে রেখে নিজেকে বিন্যস্ত করার ঝোঁক
স্নায়ুতন্ত্রের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে
প্রেম
আয়না
চাঁদ
ত্রিনয়নী বিভ্রম
উদাসীন জলাবর্তের সূক্ষ্ম তন্তুরা জট পাকিয়ে আবসার্ডিটির চেহারায়
পূর্বনির্ধারিত জলতল সরে গেলে
জেগে ওঠে সমবাহু ত্রিভুজের কৌণিক অবস্থান
প্রতিটা বাহুর মান ধরে রাখে
প্রত্যেকটা কোণের অভিমান
কৌণিক মাপ আর মাপের অভাব নিয়ে তুমি প্রশ্ন তুলতেই পারো। চাঁদের ছায়া যদি ঢেকে ফেলে আস্ত চাঁদের মুখ আমি ফিরে যাবো না ইতিহাসে
পূর্বকথন হেঁটে যাবে নির্মোহে
লক্ষ্যহীন জ্যোতির্বলয়
হয়ত কোনো একদিন
খুঁজে নেবে নিজেকে
Monday, September 19, 2011
ভিতরে তো আঁচড় কাটা যায় না...
Wednesday, September 14, 2011
চয়িত ফুল
গোলাপের মেরুন রংটা না।
আমি যথাসময়ে কলম খুঁজে পাই
স্নিগ্ধভাবে গান খুঁজে পাচ্ছিল গোলাপের লাল
খুব করে সতেজ যে ডানাটা
সেটা বঙ্কিমতায় কাঁপা
স্পষ্ট করে গল্প খুঁজে পাচ্ছিল হৃৎস্পন্দন
দুপুরে শুটিং ইউনিটে বহু লোক জমেছিল।
*** *** ***
এইভাবে খুচরোরা রোদ বিলিয়ে দেওয়া
রোদ হাসি তামাশা
একটা রোদ একটা কবিতা অনুবাদ করল
আরো এক তার পিছু পিছু
কৌশলে বেঁকে যাওয়া মূখ
খুব সবল ভাবে স্নিগ্ধতা বুকে ঘাই মারল
*** *** ***
আমি আর আমি নিয়ে কবিতা লিখবনা তাই
সেই মোটরবাইক অনুবাদ করতে পারবনা
অনেকটা সার্জেন্টের মত তার পোশাকও
বিদেশী সার্জেন্টের মত চামড়া নির্মিত
তুমিকি মহিলা পুলিশ ছিলে?
মহিলা সার্জেন্ট এত কোমলতায় কিভাবে
না আগলে রাখলে এত কোমলতায়
বয়স কি নির্বাপিত হয়না?
*** *** ***
নাহ বহু বিবশ রজনী দিন
আমি একটা প্রেম সেরে
উঠেছি এখনো হাত থেকে
রক্তের দাগ গেলনা তাই
প্রশ্বাস এতটা ধুসর
প্রশ্বাসে ঢেকে যাওয়া দরজা তাই
উত্তর দিতে পারিনা পারিনা
একটা ধুসর প্লেটে নিয়ত
খাদ্য জমা হয়
হাতঘড়ি জমা হয়
পুরানা থেকে নতুন
*** *** ***
কিরকম যেন ক্লাসরুম বুড়ো মানুষেরা
মানুষীরা অতটা বুড়ো নয় তবে আইবুড়ো
না হলে মানস নির্মিত হলোনা সেখান
থেকে উঠে এলে ক্যানো তুমি
মধুসুদন তুমি মধুসুদনের চয়িত ফুল?
*** *** ***
কেউ সরাল না কতিপয় কাক দাঁড়কাক এলো উড়ে উড়ে টিভি চ্যানেলের ফাঁকে স্তব্ধ করো স্তব্ধ করো যত বাক প্রতিমাকে বিদ্ধ করো দুপুরে যদি ঘর থেকে যায় খালি কারো কোনো অসুবিধা তাতে?
নয় নয় শূণ্য তাতে নষ্ট নয় স্নিগ্ধ মানসিক সুর এসে মিলে গ্যালে ঢিলা দেয়া যায় তাতে রক্তকরবীর রাজা তুমি ইষৎ তারে তারে কয়টুকরা হয়ে নৃশংস ভাবে ঝুলছ
*** *** ***
কোনো কথা নেই লাল বালতি ভরা
চয়িত ফুল নাই আশ্বাস তোমার
বুকের উপরে আছড়ে উঠতে পারে
তীক্ষ্ণ চোখে দেখা না গেলে না গেলে না
মুক্তি নাই হাসপাতালে হাত
কামড়ে মর কেন
চয়িত ফুল?
Tuesday, September 13, 2011
নতুন শহর
ঘরের কোণে পড়ে থাকা একটি কালো প্লাষ্টিক ব্যাগ
আমাকে গভীরতা শেখায়
ভিতরে পচতে থাকে প্রিয় - প্রিয় স্বাদ, প্রিয় বর্ণ
প্রতিফলন শুষে নেয় তবু
কালো ব্যাগ চকচক করে
নতুন শহরে ময়লা ফেলার দিন কবে?
আমি সোমবারের অভ্যস্ত হাতে গুটিয়ে
নিয়ে গিয়ে দেখি এখানে দিনরাত
ফেলা যায় অতীতের প্রয়োজন
কালো ব্যাগ গুটিয়ে যাচ্ছে
ভিতরের ধাতব ময়লা চাকা
কুঁকড়ে দিচ্ছে প্রিয় স্বাদ, প্রিয় বর্ণ
আমার উপলব্ধি হয় প্রিয়ের গুটিয়ে যাওয়া দেখাই
গভীরতার সঠিক পরিমাপ শেখায়
ভাবতে থাকি আমাদের শোকের রঙ কালো নয় কেন!
বা তীর চিহ্নের ব্যবহার শুরু কবে থেকে
শোকার্ত মানুষ কদিন ময়লা ফেলতে ভুলে যায়
এদের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টায়
আমার খাতায় আসংখ্য তীর এঁকে শোকার্তকে দেখাই
ও জিজ্ঞেস করে তোমার খাতার উত্তর দিক কোনটা?
আমি উপলব্ধি করি শোক এক প্রতিবর্ত ক্রিয়া মাত্র
প্লাষ্টিক ব্যাগটি যে কোন রঙের হতে পারত
এখনো কিছু মানুষ দৃষ্টিনন্দন নিয়ে ভাবে, শোক নিয়ে ভাবে
আমি ভাবি প্রচলিত অভ্যাস
নতুন শহরে ময়লা ফেলার কোন নির্দিষ্ট দিন নেই
তবু সোমবারই কালো ব্যাগটির গুটিয়ে যাওয়া
দেখতে আমি তীর চিহ্নটি অনুসরণ করি
ময়লা ফেলতে বাকি সবাই দৃঢ় পায়ে আসে
-------------------------------------------------------------------------------
দুই
দূর শহর কখন আপন হয়ে ওঠে
কখন তুমি হাততালি দিতে শুরু কর – একসাথে,
ওদের সাথে যারা বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখে গাছ আর মাটি
আর ফুল - চেনা রঙের, কিন্তু তুমি নাম জানো না
নতুন ওরা তোমায় শিখিয়ে নেবে ফুলের নাম
তুমি আপন হয়ে উঠবে, হাততালি দেবে
সময় দেওয়া বাগানে এককোণে দুলতে দুলতে
আমি তোমাকে হাততালি দেওয়া শেখাতে থাকি
প্রতীক্ষা - প্রতীক্ষা আর পর্যবেক্ষণ
হাততালি এক ব্যবহার
হাততালির ব্যবহার
নতুন শহরে বিমর্ষ মানুষেরা অন্যরকম
অথবা এখানে বিমর্ষ কেউ নেই
যারা হেঁটে যায় যন্ত্রে, অবলম্বনে
তারা হাঁটতে হাঁটতে কি ভাবে?
যন্ত্র, অবলম্বন, নাকি হেঁটে যেতে পারাটাই!
ওরা যদি আসলেই কিছু না ভাবে
তাহলে কেন তাকিয়ে দেখে না রাস্তার ধারে জানালার
গাঢ় বাদামী গোলাপগুলি মাঝে মাঝেই পাল্টে যায়
কিংবা ওরা দেখে
গোলাপের পাতার ভিতর দিয়ে একটা বড় পর্দা
জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে আছে
মুখের ভাব পরতে পারি না
চোখের ভাষা ও বিরক্তি সম্পর্কিত প্রবাদ বাক্যও
মনে রাখার জন্য আমি বিমর্ষ মানুষ
খুঁজতে বেরিয়ে দেখি নতুন শহরে
বিমর্ষ মানুষেরা অন্যরকম
বিমর্ষ হবার কারণ গুলোও অন্যরকম
আমি তোমায় বোঝাতে থাকি
হাততালি এক ব্যবহার
বিমর্ষ থেকে হাততালি কেবল ব্যবহারই করা যায়
-------------------------------------------------------------------------------
তিন
রেকাবের উপরে রাণী ঘুরছে টেবিল থেকে টেবিলে
আমি রাণীর মুখটা দেখছি মোটা কাঁচের অন্যদিকে
লোকটা আবার একটা নোট গোল করে রাখল গ্লাসে
ও কি জানত
বিলম্ব কখনও কখনও নির্ধারক ভূমিকা নেয়!
টেবিলের লোকগুলির রসিকতাবোধ নিয়ে ভাবি
সব নোটেরই অভ্যন্তরে মুড়িয়ে যাবার প্রবণতা থাকে
পিৎজার দোকানটিতে ছয়টি পাতা উলটে
এক অন্তর্গত উপলব্ধিতে বলে উঠি
পছন্দ বেশী থাকা ভালো নয়!
লোকটি দাঁড়িয়ে আছে
হয়ত আমার রসিকতাবোধ নিয়ে ভাবছে
রেকাবির উপর রাণীর দিকে তাকিয়ে বলি
এখানে সব পছন্দের ভিত্তির দশটাই তো উপাদান!
লোকটিকে দেখে বিরক্ত মানুষের বিষয়ে শেখা উপদেশগুলি
একটাও মনে করতে পারছি না
আরও কিছুটা সময় কিনতে চাইছি
আমি ষোল আর পঁচিশের পার্থক্য জানতে চাইলাম
ও রাণীর মুখটা আস্তে আস্তে ঘোরাচ্ছে
যে উপাদানগুলি চাই না মনে মনে তার একটা তালিকা তৈরী করে
আমি ওকে আটাত্তর নম্বরটা আনতে বলি
উপস্থাপনা ও রসিকতাবোধের মিথোজীবিতা নিয়ে ভাবা
রাণীর মাথায় কি মুকুট ছিল?
রাণীদের মাথায় মুকুট থাকাটা শুক্রবার সন্ধ্যার খবর হতে পারে না
কেউ মুখের দিকে তাকিয়ে ফরমাশ ভা্লোবাসে
কেউবা বাড়ির অভ্যাস ঝালিয়ে সম্মতি চায় উপাদানের
লোকটির এসব চেনা, তাই ও রেকাবে মনোনিবেশ করে
গ্লাসের ভিতর রাণীর মুখটা ঘুরিয়ে দেয় অজান্তে
আমার প্রশ্নের উত্তরে জানায়
মুকুট বিষয়ে ওর বিশেষ কিছু জানা নেই এখনো
ও মুখের দিকে তাকিয়ে আছে
আমি সময় কিনছি
বিলম্ব এখনও মাঝে মাঝে রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে
----------------------------------------------------------------------------------
চার
গাড়ী থেকে কুকুর নামিয়ে নিচ্ছে মালকিন – কুকুর মনে করছে সে পথ দেখাচ্ছে
মালকিন চলেছে ওই পথে যেদিকে তার বন্ধুরা এগিয়েছে
কুকুরটি মনে হয় আয়না দেখতে জানে
বারান্দায় আমি বাইরের তাপমাত্রা মাপছি
সব ফুল অচেনা ফলতঃ গ্রীষ্মের শেষ আজানাই থেকে যাচ্ছে!
এখন সময় বলে কিছু হয় না, তাই অসময়ও তার গুরুত্ব হারিয়েছে ব্যবহারহীনতায়
মালকিন বলার পিছনে আমার ভিতর কিছু মধ্যবিত্ত বোধ কাজ করে
বোঝাতে থাকি গাড়ী থেকে যারা নেমে আসে
তাদের কোন ক্লাস না থাকতেও পারে –
আমারও একটা গাড়ী রাখার জায়গা আছে
কি রঙ ভালোবাসো তুমি?
আমি গ্যারাজের ভিতর রঙের পরামর্শ চাই
লোকটি তাকিয়ে আছে – ও জানে হাসিমুখে থাকা কখন জরুরী
কিছু কিছু পুরুষ এখনও আয়না ভালোবাসে
আমি বারান্দায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে
ক্রমশঃ মধ্যবিত্ত বোধ কাটিয়ে উঠছি
একটা চেয়ার টেনে নিই – কিছু ফুলের নাম জেনে নিতে হবে
আমার কাছে এদেশের কোন গ্রীষ্ম নেই
তাই ফলের সাথে ঋতু মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধহীন থেকেছে
সমুদ্রের জল ঠাণ্ডা নয় এমন জায়গায় ছুটিতে যাই
কখনও ভাবি নি কুকুর পোষার কথা
স্টেশনের লোকটা কম্বলের উপরে কুকুর রেখে ভিক্ষা করে
কুকুরটা মনে হয় কোনদিন গাড়ী চাপে নি
ওর মধ্যে কি বিত্ত বোধ কাজ করে?
ও জানে মালিককে ও ভিক্ষা করতে সাহায্য করছে
মালিক কি জানে কুকুরের বিত্তবোধ?
মালিক বললে আমার ভিতর কোন বোধ কাজ করে না
একেই কি শূন্যতা বলে!
যদি কেউ ইচ্ছেমত ছুটি নিতে পারে তাহলে সে কতটা স্বাধীন?
আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে কুকুর শূন্যতা বোধ করলে সে কি করে
যদি তার মালিকও শূন্যতায় ঢুকতে চায়
তাহলে কি ওদের বন্ধন দৃঢ় হয়!
বন্ধনের একক কি?
মালকিন বন্ধন ছাড়লে কুকুর ভাবে পথ দেখাচ্ছে
অথচ ওদের কারও চোখেই শূন্যতা নেই
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
শূন্যতা বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে উঠি
নীচের দিকে তাকিয়ে
Monday, September 12, 2011
-১১-
“ওই ছোট দ্বীপে যদি যাও – আকাশ পাখি খাঁচা
সব ভুলে যাবে। চেনা শলাকাগুলো আলাদা করে গাঁথা লাগবেনা”
জ্যোৎস্নায়, চুরুটের গন্ধে পোকা এলো
পাতা ঝরছে
এক মনে কত লোক ডাকলে চলে আসে
ঘুরপথ, দরোজা ভেঙে ঢোকে
গয়না খুলে গয়না পরানো
তোমার বাড়ি বদলের দিন কোথায় ছিলে তুমি। কাঁচা হাতের লেখাগুলি
কাগজ ভেবে আঁটি বাঁধলাম
দেরাজ সরালাম
সুগন্ধি শিশি, ছুরি, টোস্টার, আরো নানান কুণ্ডলি . . .
বলে লাভ নাই। চায়ের কাপ হাত পিছলে একাকার
সিরামিক ও মেঝে। শত মুছলেও আনাচে কানাচে কিছু বিন্দু থেকে যাবে
হোক রঙ, হোক পায়ে বিঁধবার কলি, নতুন ভাড়াটে জানবেই
ভ্রমণ নিজেকে পর করে. . .
বৃথাই বেড়ানো
কীসের কথা বলো
বড় হচ্ছে কার পরের কর্পুর – আকাশ পাখি খাঁচা – হাত পিছলে কেন, কোথাও পৌছতে কেন
ধরা গেলে, সরে গেলে, চলে যায় না, দাঁড়িয়ে থাকে
না চাইলে অনর্থক ওই সন্ন্যস
দ্বীপের আগে ভাবতে লাগে পানি
বোকার মত আমি প্রতিটা শব্দ নিয়ে যাই ফিতার শুরুতে বার বার
সারা রাত পোকা আসে, চুরুটের গন্ধে, না চুরুটের আলোয়
আমাদের মনে পড়ে – তুমি কতবার ঘৃণা লুকিয়েছো
নিদ্রাবয়ানে সব ফাঁস হয়ে যায়, ভুল কথা, তখনো রোধ কাজ করে
ফুলকার অনন্যোপায় তট
ফিরে যাওয়া বালুকুণ্ডলি – তুমি দেয়ালে কান পাতো
নানা গয়না আছে – দুল, চুড়ি, আয়ন, জ্যোৎস্না, ভুলে থাকা
আমরা দুইজন পাতা ঝরা দেখি। ভুলে থাকি
Friday, September 9, 2011
কামড়
নিরাময় হয়ে ওঠা সেই সব ধ্বনি
আকরিক তামা
তামার খনিতে গজিয়ে ওঠা কৃষ্ণতুলসী
ফলের মজ্জার দিকে তাক করে
গান ও রণন
ফলশ্রুতি
খুনী নেমে আসে
ফল ও শ্রুতির প্রতি
নির্মোহ
তার কামড়ের গঠন
উদাসীন
--
ঘুমাও, ধাক্কা দিও না
জল পড়ে যাচ্ছে বাথরুমে
বাইরে বৃষ্টি পড়ছে
খুনীর পায়ের ছাপ স্থগিত রয়েছে
আমাদের হাতের মত নির্মোহ ছাপ
জল উপচে উঠছে বাথরুমে
বাইরে আলো সাঁতরাচ্ছে
কেউ আসে নি, কেউ আসবেও না
ও শুধু ঘুম ধাক্কা দিচ্ছে দরজায়
এ ছাড়া আর কিছুই থাকার কথা ছিল না
এ ছাড়া আর কিছুই থাকে না
প্রতীক এসে ঘুরে গিয়েছে সন্ধ্যেয়
কামড়ের শব্দটুকু পড়ে আছে
দুধের গেলাসে
--
আছি, তাই সমস্যা রয়েছে – গতিপথ, ভবঘুরে, ট্যারচা শহরে টনটনে ফুল—টার্মিনালে ঘুমন্ত বেহালাবাদকের মুখে চ্যাপলিন গোঁফ আর ছায়া – আর ছায়া – সমাধানের প্রকোপে তিরতির – একরত্তি । এসময় ভারী মোক্ষম হয়ে ওঠে দুপুর, পায়ে পায়ে জলের দিকে এগিয়ে যাওয়া বেড়ালের স্বপ্ন, বেড়ালের স্বপ্ন থেকে পালিয়ে যাওয়া মাছ । আর ভাবতে খারাপ লাগে এই বিজনের মধ্যেও হস্তক্ষেপ হয়ে আছি, সমস্যাসমেত ।
যেভাবে থাকতে চাইনি – জলে অবসর ছুঁড়ে দিল কেউ—নড়বড়ে আলো –সর হয়ে ওঠে গতিপথ । গতিরা কোথায় যায় ? আকারের পাশে বসাবার মত প্রকার – প্রকারের অন্তর্স্থলে ঘন হয়ে ওঠা ভেদ, সমাধান ।
আছি তাই সমাধান নেই বা সমাধান আছে তাই আমি নেই –
যেভাবে থাকতে পারা যায় –ঈষৎ গণিতে, ঈষৎ প্রামাণ্য—বাকীটুকুর জন্য বরফ ঠেলতে ঠেলতে জমাট হয়ে ওঠা ছায়ার – কার্পণ্য জমে, অভিব্যক্তি, কুয়াশা, স্পন্দন – এই এক্ষুনি বৃষ্টি পড়ছে অবতল আয়নায়, কাল বৃষ্টি পড়েছিল উত্তলে ।
না থাকার যুক্তি নেই—বেড়াতে গেছে – রাণাঘাট লোকালে – মদনপুর, শিমুরালি, চাকদা, পায়রাডাঙ্গা—গীর্জার চুড়ো থেকে দেখা আমবাগান আর ফলসাগাছের ডালে লালশিরা – মুল্যাঁরুজের উইন্ডমিলের পাশে স্ট্রোবিং গোলাপি আলোয় গোপাল গিফট শপ । যুক্তি ভাবে ডন কিহো, আপদ শ্বাপদ, আর যুক্তিহীন আমি সরে পড়ি পিগালের বিবিধ অন্তরে । এভাবে ভাবতে পারা যায় –ট্রামলাইন দেখলেই গলা সুড়সুড় করে আর ধোঁয়াটে দারচিনির গন্ধ ঘুরে বেড়ায় হাতঘড়ি, বেল্টে, স্কার্টের হেমে –ছায়ার চোখের থেকে ধার করা আলোয় ধুয়ে ফেলি চোখ – রবি ঠাকুরের মত আমার চোখও গোলাপি গোপাল হয়ে ওঠে ।
গিফটশপ
তৃষ্ণা বসে আছে – ওইখানে যাও – পোঙাটি মারাও।
বার টেন্ডার, ধর্মেও নয়, সাম্যেও নয়, আমি জিরাফের খুলির ভেতর থেকে চাইছি নীল ছাপ আমার নীল অন্তঃস্থলে হলুদ হয়ে উঠছে স্নেহ, পদার্থ ও ক্রমে ভাসমান সাইকেল । দেরী নয়, হারপুন ছোঁড়ো । আর কিছু পরে চাঁদ ফুঁড়ে চলে যাবে স্পৃহা—বর্মসমেত । রুটি আর হালুয়া হাতে জেগে উঠবে শহর । সমস্যা । সমাধান । কামড় ।
Thursday, September 1, 2011
পরিবিষয়ী কবিতা
পরিবিষয়ী কবিতা
অনুপম রায়