কফি পীজিয়ে
জনাব কমরেড ইট’স প্রিট্টি ডিসেন্ট কফি ফ্রম গুয়াতেমালা স্টোররুম মে
ইন্ডাকশান হীটার হ্যায় – বন্দা কাম কা হ্যায় চুমনে লায়ক হাত তো কমরেড প্রচণ্ড ভী
আতে থে য়হাঁ আ ডিসেন্ট সোল নেপাল বর্ডার ইজ প্রিট্টি নিয়ার ইয়ু নো খেড়ি লখিমপুর
কালি নদী কে উসপার ইসবার রাপ্তি মে বাঢ় আয়ী পুরা লখিমপুর বহ গয়া তো কাতারনীয়া ঘাট দুধবা
মে ওয়াইল্ডলাইফ দে অল শিফটেড টু পিলিভিত ইয়ু নো মানেকা’স
কন্সটিটুয়েন্সি ইমার্জেন্ট বেসিস পে জন্তু কলোনী নির্মান কিয়া দে আর ডুইং ফাইন সাম
অফ দেম গট জবস ইভেন বাট ইয়ু নো অব আফ্রিকাসে জিরাফ, হিপ্পোস আনে লগে হ্যাঁয় অল
ইল্লিগাল ইমিগ্রান্টস বাট দেন হোয়াট ডু ইয়ু ডু অ্যাবাউট ইট ইয়ু নো ভোট ব্যাঙ্ক
পলিটিক্স তো য়হাঁ তক কী ক্যামেরুনিয়ান বব্বর শের ভী গুজরাতি শিখকে ট্রাইং টু গেট
অ্যাসিমিলেটেড তো এক দেশি শের ফ্রাস্ট্রেটেড জা কে সরকারি আফিম কে ঠেকা মে ব্যায়ঠ
গয়া থ্রেটনিং টু কমিট সুসাইড ইটস আ মেস বেসিক্যালি ওহ হোয়্যার দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ
গোয়িং ...
--
যে ধ্বণির ভেতর জন্মাতে ভুলে
যাচ্ছে নির্দিষ্ট আর্কে আবহমান ঘুরে
যাওয়া ক্যামেরার সামনে ছুঁড়ে ফেলছে
স্থৈর্য
যে মাদারির হাত থেকে শেকল
ছিনিয়ে লাফিয়ে উঠছে বেদনার ছাতে
ভুবনের ডোরা গ্রিড যাকে আর
কোন প্রলোভনেই নামাতে পারছে না
যে উবু হয়ে উগরে দিচ্ছে প্রেরণা তার
নির্মানে কোথায় প্রযোজ্য ছিল চোলাই
দৃশ্যমদ অবান্তরতা আর খড় ফুঁড়ে
সারা গায়ে আঁচড় লালসিটে নিয়ে যে মাটি
হাতে বেরিয়ে আসছে প্রেম ও ঐহিক
চেতনাবিহীন
সে মাটি কাঠামোর তার ইতিহাস
বিলীন ছত্রাকের মগ্নতার
বিপক্ষে
এও কী যথেষ্ট নয়
এই এক
প্রাচূর্যময় পৃথিবী
যার গলিপথ অভিসন্ধিহীন
চূর্ণতাহীন
তবে কেন বাগানে বেড়াও কেন
সন্ধ্যার আলসে থেকে ঠেলে দাও
মোমের নিষেক
ডিনারের ঘড়ি
বরং মেনে নাও ক্ষতি ও চাঞ্চল্য
বইয়ের দোকানে
ভদ্রাসনে আর সেই
আকীর্ণ ভিখারিকে লক্ষ্য কর
কী ভাবে তার ঘোলাটে আলো ফলো
করে এগিয়ে আসছে পাথর ও জল
এক বোবা ও চলনসই পৃথিবীও ছিল
এ জগতে
পরিতাপহীন
De Rerum Natura
টাইটাস
লুক্রেটিয়াস ক্যারস
খ্রীঃ পূঃ
৯৯-৫০ (আনুমানিক)
On the nature of things
Translator, Leonard, William Ellery, 1876-1944
To Sabya,
Verse from the master who started it all
12.10.2012
John
জন ম্যাক্লাওড, ডাক্তার, বিজ্ঞানী । স্ত্রী লিজ (এলিজাবেথ) ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি,
শুনিয়েছিল স্পোরাডিক মর্গের গল্প । জন ১৬ বছর বয়েস থেকে ডায়াবিটিসে, পেশাদার
লেভেলের কায়াকিং গ্রুপে সারা পৃথিবী । শারীরবিদ্যার
ক্লাসে ওয়ালেস স্টিভেন্স এবং... গাট ফিলিং ...
--
আর যে বেরিয়ে আসছে জিমখানা
থেকে প্রচলিত ওকের টেবিল থেকে
খাড়ির দিকে ঠেলা-গাড়ি করে
নিয়ে যাচ্ছে ভারী আলো শক্ত ও সম্পৃক্ত
বিবেচনাবোধ থেকে একটা একটা ছাড়িয়ে
ফেলছে আঙুল
সমাজ থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে
কেটে ফেলছে আক্ষরিক নখ আর নখের
উপমা
কোন রূপকেই তার ঝাপসা হওয়া আর
হয়ে উঠছে না
তবে কেন চেনা যাবে না তার
খরখরে গলা আর গলার ওপর
ধ্বনির গ্যারোটি-দাগ
তার মৃত্যু বিষয়ের নয় বস্তুর
দানানো বিশ্বাসের নয় শুধু
এক সারল্য-আশ্রিত অনুভূতিময়
ফ্রিকশান, সঙ্ঘাতহীন
দোনোমনাহীন এক খোকাটে পৃথিবীর
আমার পাঠ এরকম দাঁড়াচ্ছে –
আর্যনীল মুখোপাধ্যায়
গির্জা থেকে, ধর্ম-প্রতিষ্ঠান থেকে যে বেরিয়ে আসছে সে গির্জার বাইরের কবরে যায়, ফুল দিতে। পরের পংক্তি পড়ার আগে পর্যন্ত এগুলো নিছক তথ্য, একটা বিবৃতি। তার পরেই কিন্তু বিষয় থেকে একজন বেরিয়ে আসছে। এখানেই 'বিষয়' ও 'গির্জা' একে অন্যের রূপক হয়ে দাঁড়ায়। এগুলোকেই আমি ক্রিয়া-রূপক বলতে চেয়েছি। একাধিক প্রবন্ধে আছে। Action metaphor – যা দুটো বিশেষ্য, বিশেষণকে একই ক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মিলিয়ে দেয়, আসলে এরা আপাত সম্পর্কহীন। বেরিয়ে আসছে গির্জা থেকে, বেরিয়ে আসছে বিষয় থেকে - এখানে 'বিষয়' কে আর আক্ষরিক অর্থে দেখা যায় না। ‘বিষয়’ মুহূর্তে institutionalized হয়।
অনেক ইঙ্গিত এবার স্পষ্ট - সমাধি, কার? সমাধির ফুল কীসের? মৃত্যুর উপচর্যা আর সে মৃত্যু ‘বিষয়ের’। সেই 'death of the subject' কি? যে কেবল এটুকুই জানে তাই ভাববে। আমি ভাববো না। ভাববো বিষয় থেকে বেরিয়ে আসা, তাকে পরিত্যাগ করে চলে আসা, যা যা মৃত, যা মৃতের পুষ্পসজ্জা, তাকে ফেলে রেখে আসা। একটা গোটা celebrationকে পরিত্যাগ করা। এখানে একটা প্রতিরোধও আসছে - চালু পোস্ট-মডার্ন ধারণাকে redefine বা reconsider করার প্রবণতা। যে বিষয় মৃত নয়, তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা চাই। এর পরেই আরো একটা বেরিয়ে আসার কথা। সিনেমা হল থেকে (টিকিট ফেলে দেওয়া হলো, মানে শো খতম)। পর্দা - যা এখনো এক বিমূর্ত মাধ্যম কিছুটা, তার থেকে তৈরি (দানানো -kerneled) যে নান্দনিক (মোমবাতি, যা কিনা আবারো গির্জার কথা মনে করায়, প্রতিষ্ঠানের) তাকে শূন্যের মধ্যে রেখে চলে আসার কথা আসছে। Eliticism? তাকে ফেলে আসা? আর একটা পরিত্যাগ, ভিন্ন এক মাধ্যম থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণাকেও। তার বিমূর্ততাকে। এখানে যদি আমি আমার লেখালিখির অনেকটার একটা criticism পাই, পেতেই পারি কিন্তু। সেভাবেই দেখি আপাতত। বেশ, তারপর?
গির্জা থেকে, ধর্ম-প্রতিষ্ঠান থেকে যে বেরিয়ে আসছে সে গির্জার বাইরের কবরে যায়, ফুল দিতে। পরের পংক্তি পড়ার আগে পর্যন্ত এগুলো নিছক তথ্য, একটা বিবৃতি। তার পরেই কিন্তু বিষয় থেকে একজন বেরিয়ে আসছে। এখানেই 'বিষয়' ও 'গির্জা' একে অন্যের রূপক হয়ে দাঁড়ায়। এগুলোকেই আমি ক্রিয়া-রূপক বলতে চেয়েছি। একাধিক প্রবন্ধে আছে। Action metaphor – যা দুটো বিশেষ্য, বিশেষণকে একই ক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মিলিয়ে দেয়, আসলে এরা আপাত সম্পর্কহীন। বেরিয়ে আসছে গির্জা থেকে, বেরিয়ে আসছে বিষয় থেকে - এখানে 'বিষয়' কে আর আক্ষরিক অর্থে দেখা যায় না। ‘বিষয়’ মুহূর্তে institutionalized হয়।
অনেক ইঙ্গিত এবার স্পষ্ট - সমাধি, কার? সমাধির ফুল কীসের? মৃত্যুর উপচর্যা আর সে মৃত্যু ‘বিষয়ের’। সেই 'death of the subject' কি? যে কেবল এটুকুই জানে তাই ভাববে। আমি ভাববো না। ভাববো বিষয় থেকে বেরিয়ে আসা, তাকে পরিত্যাগ করে চলে আসা, যা যা মৃত, যা মৃতের পুষ্পসজ্জা, তাকে ফেলে রেখে আসা। একটা গোটা celebrationকে পরিত্যাগ করা। এখানে একটা প্রতিরোধও আসছে - চালু পোস্ট-মডার্ন ধারণাকে redefine বা reconsider করার প্রবণতা। যে বিষয় মৃত নয়, তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা চাই। এর পরেই আরো একটা বেরিয়ে আসার কথা। সিনেমা হল থেকে (টিকিট ফেলে দেওয়া হলো, মানে শো খতম)। পর্দা - যা এখনো এক বিমূর্ত মাধ্যম কিছুটা, তার থেকে তৈরি (দানানো -kerneled) যে নান্দনিক (মোমবাতি, যা কিনা আবারো গির্জার কথা মনে করায়, প্রতিষ্ঠানের) তাকে শূন্যের মধ্যে রেখে চলে আসার কথা আসছে। Eliticism? তাকে ফেলে আসা? আর একটা পরিত্যাগ, ভিন্ন এক মাধ্যম থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণাকেও। তার বিমূর্ততাকে। এখানে যদি আমি আমার লেখালিখির অনেকটার একটা criticism পাই, পেতেই পারি কিন্তু। সেভাবেই দেখি আপাতত। বেশ, তারপর?
তার পর একজন ব্যক্তিগত স্মৃতি
থেকে গুটিয়ে
নিচ্ছে স্নায়ুর শিকড় আর চারিয়ে
দিচ্ছে
ভারসাম্যের বাইরে কোন
ইতিহাসই তার
জন্য যথেষ্ট নয় এমন কী
চিরকালীন
কোন স্থিতাবস্থা বন্দোবস্ত এই
মুহূর্তে আর
সে মেনে উঠতে পারছে না ।
আমার পাঠ এরকম দাঁড়াচ্ছে –
আর্যনীল মুখোপাধ্যায়
তারপর নিরেট ভাষার মধ্যে চারা ছেড়ে যে ছিপ ফেলে বসে আছে তার কথা আসে। এখানে এক তীব্র sarcasm - যারা ভাষাবাদী তাদের প্রতি, যারা ভাবেন ভাষাই সব, বিষয়কে বাদ দিয়ে ভাষাকে প্রধান করার কথা যা আমার মনে হয় দারুণ exotic ফুচকার খোল বানিয়ে তাতে ঘাস ভরে জলে ডুবিয়ে খাওয়ার মতো।
এর পরের ছত্রে কবির নিজের অনুসন্ধানের কথা, অনুতাপহীন এক ‘loss’ বা 'হারানোর' কথা - যা আমরা ধরতে পারছিনা, যা আমাদের এড়িয়ে চলে যায়। যার উপস্থিতি সম্বন্ধেই আমাদের কোনো হুঁশ নেই, তার অনুপস্থিতি অনুশোচনাহীন। কত দেখা, বোঝা আছে রোজকার ‘আটপৌরে’ জীবনে, যার নাগাল না পেয়েই 'সাধারণ' কবি কী মজামে! কী আত্মবিশ্বাসী! (‘আটপৌরে’ শব্দটার সাথে একটা বসনিক চিন্তা আসতে পারতো। পশমিক, বসনিক, কাপড়, বুনন, অতয়েব লিপি। এইসব হিন্ট আনা যেত। কেননা ‘আটপৌরে’ শব্দটা শাড়ি থেকে এসেছে – আটপুর গ্রামের কাপড় থেকে। কাজেই সেই সূত্রকে দারুণভাবে এখানে ব্যবহার করা যায় – এক গোপন সাজেশান হিসেবে – কাপড় ও বুননকে ইঙ্গিত করে।)
তারপর নিরেট ভাষার মধ্যে চারা ছেড়ে যে ছিপ ফেলে বসে আছে তার কথা আসে। এখানে এক তীব্র sarcasm - যারা ভাষাবাদী তাদের প্রতি, যারা ভাবেন ভাষাই সব, বিষয়কে বাদ দিয়ে ভাষাকে প্রধান করার কথা যা আমার মনে হয় দারুণ exotic ফুচকার খোল বানিয়ে তাতে ঘাস ভরে জলে ডুবিয়ে খাওয়ার মতো।
এর পরের ছত্রে কবির নিজের অনুসন্ধানের কথা, অনুতাপহীন এক ‘loss’ বা 'হারানোর' কথা - যা আমরা ধরতে পারছিনা, যা আমাদের এড়িয়ে চলে যায়। যার উপস্থিতি সম্বন্ধেই আমাদের কোনো হুঁশ নেই, তার অনুপস্থিতি অনুশোচনাহীন। কত দেখা, বোঝা আছে রোজকার ‘আটপৌরে’ জীবনে, যার নাগাল না পেয়েই 'সাধারণ' কবি কী মজামে! কী আত্মবিশ্বাসী! (‘আটপৌরে’ শব্দটার সাথে একটা বসনিক চিন্তা আসতে পারতো। পশমিক, বসনিক, কাপড়, বুনন, অতয়েব লিপি। এইসব হিন্ট আনা যেত। কেননা ‘আটপৌরে’ শব্দটা শাড়ি থেকে এসেছে – আটপুর গ্রামের কাপড় থেকে। কাজেই সেই সূত্রকে দারুণভাবে এখানে ব্যবহার করা যায় – এক গোপন সাজেশান হিসেবে – কাপড় ও বুননকে ইঙ্গিত করে।)
তবে চল এই গোপন সাজেশান ধরে
অস্থিতির খোঁজে
আটপুরে যাই—সেও তো কাহিনী হয়
তার তাঁতে বোনা মিথ এত ঘন হল
যে গা ছড়ে গেল জরিতে তবুও সে
গাঁয়ের
কোনো শ্রেণীস্তর আভিজাত্য
পেলনা কখনো
মানুষের লিপির শুরুতে ছিল এক চিতচোর
যার চিত্ত ছিল কী-না জানা নেই
আর
জন্মাবধি কান ছিল কালা
ফলে সে শব্দের উন্মেষ দেখে
ঠোঁটের
বিবর্তনে কাঠামো থেকে কাঠামোয়
পিছলে যাওয়া আকারে আঁকে
তাকে
শিলায় ছিলায় টান ও পোড়েনে
বোবা তো বহিন তার লক্ষ্য করে
কালার খোদাই আর সূঁচের ডগায়
মকশো হয় কালার অক্ষর
একদিন বোবা'রে টেনে
নিল শুকরসন্ত্রাস ঝোপে বাদাবনে
চোখের অরণি ভেজা আগুন তো
জ্বলে না জবাকুসুমসংকাশে
ও সেই কালার বহিন বোবা
কালার উন্মেষে ভর দিয়াই তার
ব্যাবাক কাঁদন
কাঁথার ফোঁড় থেকে মাকু ও ববিনে
আড়বান্ধা সুতার ভিতরে তার উথাই
পাথাই
সেই হইল আদি লিপি
এ কাহিনী এক্ষণের । এই কাহিনী
এক তাৎক্ষণিক অসত্য ।
তবে আটপুর সতত আছে হাওড়া জিলায়
(আঁটপুর) আর
সে গ্রাম বড়ই বর্ধিষ্ণু – হয়ত সাধারণতার বিক্রী-বাট্টা
বেশী বলে
তবু
সত্যও বড় হয় দুধ খায় মাংসে
আসক্তি
বাড়ে আক্রা’র সময়ে ডুমো
হয়ে
ওঠে সজনে ডাঁটার দিনকাল
সত্য
থেকে যে বেরিয়ে আসে আর হ্যাঙ্গার
থেকে
তুলে নেয় মুখোশ আয়নার সামনে
কপাল
থেকে খুলে নেয় জ্বর ও নিরাময়
তার
সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন করার দিন গেছে
বরং
এক হলুদ ফোকাসে দৃঢ় হয়ে
ওঠে
মাংসল কিমোনো কাগজের
পর্দার
থেকে ছুলে নেয় স্বচ্ছতা
এমন
স্বচ্ছতা যা দিয়ে নখ কাটা যায়
বিব্রত
না হয়েই
এক
পরিমিত পৃথিবীও থাকে মশারির ভেতরে
আর
শরীরের সমস্ত ল্যাকটেট কার্বন নিংড়ে
ভেজানো
ফেরোমনে মশাদের তেষ্টাকে ডাকে
গীর্জা একটা ছিল আমাদের মোহল্লা
হুদিংগা'-তে, স্টকহোম কাউন্টি । আর সারা
বছর কালো পাতা ঢাকা এক অদ্ভূত মেপল । সেদিন ইস্টার ছিল মনে পড়ে । সকাল থেকেই মদ
খাচ্ছিলাম, ফোন করছিলাম
প্রণব (দে)-দাকে তার পর মেলায় গিয়ে কঙ্ক’র গাধার পিঠে চড়া । ঘুরতে
ঘুরতে গীর্জায় -- কালো মেপলের পাশ দিয়ে খানিকটা জমি মরশুমি ফুলে ভরা, তারপর রাস্তা, আবার মরশুমি ফুল তার পর বিস্তৃত কবরখানা
। সেখানে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম নেশাগ্রস্ত । আর এক কাঠ ঠোকরার ক্রমাগত প্রহার । এই লেখা
শুরু হয় ওই দৃশ্য হঠাৎ মনে পড়ায় । এই লেখা লিখতে লিখতে গড়ে ওঠা—কোন জমা
অনুভূতি ছাড়াই ।
কালো মেপল, চলতি সৌন্দর্যের অনুপাতে কুৎসিতই বলা চলে আর তার অপোজিটে মরশুমি
রঙের ফোয়ারা । মনে হল অবজেক্টিভ থাকতে এর ভরকেন্দ্রে থাকাই শ্রেয় । কিছুদিন ধরে আগে পড়া ইনফার্নো মনে পড়ছিল তার সুত্র
ধরে ডারলিম্পলের “হোলি ল্যান্ড’-এর
পরিব্রাজন । সে গীর্যা ক্যাথলিক ছিল না প্রোটেস্টান্ট, নাকি গ্রীক অর্থোডক্স—মনে পড়ছিল না । তারপর
মনে হল এই এক বিষয় একে ত্যাগ করা যাক । গীর্জা
ও বিষয় দু'ই প্রতিষ্ঠান কখনো এক, কখনো একে
অপরের পরিপূরক-- ত্যাগ করা যাক । দৃশ্য ও বিষয় থেকে বেরিয়ে আসা যাক-- সিনেমার টিকিট
তাড়াতাড়ি না ফেললে এর রেশ চলবে । কবিতা এক আলোকিত অবস্থা-- যে বলে-- তার প্রতি করুণার
বশে ফেলে দিলাম অন্ধকার গির্জার মোমবাতি । নাহ তাকে শূন্যে রেখে সরিয়ে নিলাম হাত ।
সিনেমার পর্দা পুড়ছে । পর্দা শব্দটা অনেক অর্থ নিয়ে আসে -- চোখের পর্দা থেকে,রহস্যের, প্রথা’র-- তার
ধারণার কথা -- মনে হল পর্দা'র জায়গায় “কারটেন” ব্যবহারে
তো “যবনিকা” বেশি
প্রাধান্য পেত, আর ড্রেপস বললে ? ভাষার কথা মনে
পড়ল । নিজেকে নিয়েই শ্লেষ, মনে পড়ল
-- চুঁচুড়া, চিনসুড়া, চুঁচড়ো -- আমাদের অক্ষমতা
এমন কি উচ্চারনের অক্ষমতা থেকেও ভাষা গড়ে ওঠে -- অথচ এই নিয়ে কী প্রবল এক্সিস্টেন্সিয়ালিস্ট
আদিখ্যাতা আমাদের । ভাষা এত এক ঠুনকো জিনিস অথচ কী অদ্ভুত ভাবে সে মানুষের
স্বপ্নকেও নিয়ন্ত্রন করে ? একে আমি কী চোখে দেখব ।
তার পর এক বড় কবিতা লিখতে চাইলাম । পরিবেশ বানাতে
চাইলাম । রেটোরিক বোরিং হয়ে যায় ডিস্ট্র্যাকশানের অভাবে আর এক্ষেত্রে ডিস্ট্র্যাকশান
কিছু ক্ষয় কিছু স্মৃতি কিছু
হাইব্রিডাইজেশান ও সিন্থেসিস নিয়ে তৈরি—যা খুব ইম্পর্ট্যান্ট নয় ।
যে
অগোছালো এক বিছানায়
ক্রমাগত
পথ ভুল করে
আর
নির্দেশের অভাবে
বস্তু
থেকে খুলে নেয় রং
ও
তরঙ্গ প্রতিসরণ তাকে
কিইবা শেখাবে
(এই
রিক্ততা এই অতিরিক্ততা...)
বরং
বিভোর হয় তার পশুপালনের
স্পৃহা
ও দমন কলাপাতা থেকে ঘুরে
তেঁতুলপাতায়
মন রাখা
এক
জটিল ও ঘাঘু পৃথিবীও ছিল এইখানে
জরুরী
অবতরণের ক্ষণে নির্বিকার চুমুকের পাশে
স্মৃতি তথ্য তবে শুধুই তথ্য কী? স্মৃতি যে
ইমোশান উদ্রেক করে তা-কী নতুন না তা স্মৃতির অংশ এইখানে এসে বিচলিত হই । রসায়নের
কথা ভাবি-- যা গাঁঠবন্ধন ও গাঁঠস্থলন এই দুই প্রক্রিয়ায় নির্মাণ করে চলে । চলন্ত
মগজ যদি স্মৃতি-কে নতুন কনটেক্সট দিয়ে যায় ক্রমাগত তবে কী স্মৃতির নিরেট রঙে ফাটল
জুড়বে—যাতে চোখ রেখে
ক্যালাইডোস্কোপ আর পীপ-শো ? তবে নৈর্ব্যক্তিকতা কী? সে কী স্মৃতি থেকে বিচ্যুত এক
স্টীয়ারিং যে ক্রমাগত ট্রেনের টিকিট কাটে আর ছিঁড়ে ফেলে নয়ানজুলিতে ? যৌনতার কথা
মনে পড়ে – সিগমুন্ড ফ্রয়েডের
নামোল্লেখেই যে পাশ ফিরে শোয় আর তার সমস্তা অনিচ্ছা মাড়িয়ে তছনছ করে ঘরের পর্দা
ছিঁড়ে জিঘাংসাচুমু খেতে খেতে হুড়মুড় ঢুকে পড়ে উরুউরু (পাগল হ্যাটার আর অ্যালিসবালিকা)
বুকবুক— ক্যামেরাচোখো
ট্যাকঁঘড়িসম্বল ছেয়ে খরগোশ...যে নেকড়ের থেকে আজীবন বিচ্যুত আছে ...
যে বেরিয়ে আসছে অনুমোদন থেকে
আর যে বালুঘড়ি থেকে সরিয়ে রাখছে পারম্যুটেশান
যে আর ভরকেন্দ্র নিয়ে বিচলিত হচ্ছে না
বড়জোর বাদাম খাচ্ছে বাদাম গাছের নীচে
তার স্মৃতির বাদাম গাছ দুধে ডুবে গেছে
এইতো চর্যা আমাদের আন্তরিক নিষেকের
মেঘ থেকে জল নয় রামধনু নয় এক
বিকীরণের
নির্মান যা এস্কেপ ভেলোসিটি ছাড়িয়েও শেষ মেষ ধরা
পড়ে গেল নির্মিত
উপগ্রহদের মানসবীক্ষণে
আর তার নির্লিপ্তি জড় করে তেল ও মধু’তে
জারিয়ে –এখন সে
বাকলাভা আমাদের পরিবর্তিত
জিভে বাকচ্যুতি ঘটিয়ে চলেছে...
তবে কেন চেনা হবে ভূমি কেন তার ইকোবিহ্বল
প্রচারযন্ত্রে মার খাবে আমাদের ভেঙ্গে
গড়ে ওঠা ইকোসিস্টেম সুক্ষ নীশ আর তার
নতুন প্রজাতির অচেনা থাকার দাবী
ওহে মানসমুকুর আমি জানি আমি জানি আমি জানি...জানি...জানি...
লাক্ষায় আটকা পড়া স্বর তোমার অভিসন্ধি গূঢ় ছিল
তবে প্রযোজ্য ছিল না
পরিমাপহীনতায়
কে বাঁচিতে চায়
নিদাঘের
ঝটিকায় পরিমাপহীন
চালচুলো এমন কী
হাতি উড়ে যায়
আমাদের যাদুঘরও নেই
আমাদের
খুদকুড়ো কেন্দ্রের কাছে
আঁকা
এক পটভূমিতে রোপিত হয়েছে
আমরা
তো তাঁর কাছে ঋণী
সেই
হিজ মাস্টার অ্যান্ড
হিজ পোলায়েট
ভৌ
...তিনি চলে যাবেন চলে
যাবে তাঁর নিরক্ষর সিগনেচার বেড়ে উঠবে তাঁর উত্তরাধিকার কোঠা জিরেত জমি নিড়েন
কর্ষণ আয়ু ও সমাধিকল্প যা কিছু মিডিয়ানের কাছাকাছি—তা হল অতীত ... আর তাঁর এরর-বারের বিচ্যুতিগুলো
ভ্রান্ত ও সন্ত্রস্ত বসে থাকবে পিছনবাগানে অথবা ক্লজেটখাদানে—এরা ভূত ... কোনদিন এদেরো শরীরে কার্বনকে ঠেলে
সিলিকা ঢুকবে—প্রামাণ্য ও
দীর্ঘস্থায়ী হবে তারা নতুন মর্যাদায়
এন্তার
ঘ্যাম খাওয়া এইসব প্রত্নবিচ্যুতি—মানে শ্রীভূত—জাপটে ধরবে যাকে তিনি গবেষক – লিখবেন প্রান্তিকতার প্রামাণ্য পুঁথি
তিনি চলে যাবেন চলে যাবে তাঁর নিরক্ষর সিগনেচার বেড়ে উঠবে তাঁর...
তবে
মসিয়েঁ জগাই অ্যান্ড সেনর মাধাই
মানে
আসলি নকলি সব প্রকারেরই
প্রান্তিকতারও
ভেদ ভাব হয়
কিছুকে
কেন্দ্র পায় কিছুকে কেন্দ্রাতিগ
মার্জিনালাইজেশান
আর
তাঁদের প্রত্যেকের অন্তরে
ডিফল্ট
গরিমা নিয়ে
এক
একটি কেন্দ্রের বাস যার বসন আলাদা
তবে
কোরকস্বরূপ এক-- ক্ষমতালাভার
তবে
স্যার মায়ার স্বরূপ নিয়ে একটু প্রবলেম
মায়াবতী
টু মায়াকভস্কি যতদূর বিস্তীর্ণ হোক চক্রবাল
পোঁদে ফোঁড়া হলে
অন্ধ
ও চক্ষুষ্মান কারই বা কিবাদিন কিবারাত
এই
ভৌত পৃথিবীর কান ঘেঁষে
এক
পরিমাপযোগ্য পৃথিবীও ছিল এ জগতে
বাটখারা টেপ
ফিতে –হীন
থাক
সে কথা বরং আমরা আজ পাঠ করি সৃষ্টিতত্ত্ব – বাবু ভাইয়া ওউর মিসিজ অ্যান্ড মিসেজেস –ওম শান্তি –
সৃষ্টির
আদিতে কুছ নহী থা তো আকৃতিহীন এই পৃথিবীর
উপরিভাগে অন্ধকার জলের উপর কেবল ভাসিতে ছিলেন কর্পোরেট আত্মা—দ্য মেকর অ্যান্ড
ডিস্ট্রিবিউটার । কর্পোরেট বলিলেন--
লেট
দেয়ার বি লাইট
--জন্ম
নিলেন হামফ্রে ডেভি পিছনে পিছনে এডিসন আর ফীবাস কার্টেল--
কর্পোরেট
বলিলেন এইযে পৃথিবী দেখিতেছ ইহা চ্যাপ্টা ইহার দু’ই মেরু-- পূব অ্যান্ড পচ্চিম—
তিনি
বলিলেন
ইস্ট
ইজ ইস্ট ওয়েস্ট ইজ ওয়েস্ট
দ্য
টোয়েন শ্যাল নেভার মিট
ফলে
হাঁটুতে নেমে এল পাজামা
তিনি
বলিলেন
নেসেসিটি
ইজ দ্য মাদার অফ ইনভেনশান
অ্যান্ড
ভোয়ালা ! জন্ম নিল ভেলক্রো পাজামা
ইদানীং পৃথিবীর আকৃতি
গোলক-সদৃশ...মানে শান্তি ওম
যে বেরিয়ে
আসছে রঙের প্রকোপ থেকে
আর
কুড়িয়ে নিচ্ছে ভাঙ্গনের ক্রম
নিজের
অভ্যন্তরে সার্থক এক অন্ধকারের
মধ্যে
ধ্বসে পড়তে পড়তে
যে
বুঝতে পারছে সমস্ত মহাবিশ্ব নির্মাণের
বিরুদ্ধে
তবু নির্মাণ এক চান্স অ্যাক্সিডেন্ট
যে
ঘটার জন্য গলা বাড়িয়েই আছে ...
তবে
কেন অরণ্যের তরে অরণ্যে রোদন
বৈষম্যই
এক মূল প্রাকৃতিক বল
এ কথা
জেনেও তুমি আধুনিক আরণ্যক হলে
কাঠের
ফুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে লোহার
উদ্বেগ—
যাকে তুমি
নিরাশ্রয় কর সেই আমার নির্মান
শুধু
চূর্ণতাসম্বল এক পৃথিবীও ছিল এ জগতে
সঙ্ঘাত
থেকেই গড়ে ওঠা যার অনুক্রমের তোয়াক্কা না রেখে
বস রেগে যেও না অনুমতি ছাড়াই কমেন্ট-এর ব্যবহারে । আমার মনে হচ্ছে এই ধরণের একটা এক্সারসাইজ হয়ত সহলিপির কাজ করতেও পারে
ReplyDeleteনবরত্ন পোলাও তে এক হাতা ভাত তো একহাতা ঘি। কাজেই আস্তে আস্তে অনেক সময় নিয়ে খেতে হবে। আর এক এক গ্রাসের পর একটু ফল চাখতে হবে হজমের সুবিধার্থে। সে ফল জলীয় হবে। যেমন শসা, বা তরমুজ। সেই সাইড ডিশটা চাই। 'চেতনাবিহীন' এর বদলে 'নিশ্চেতন' লেখা যায় না? আমি কিছুটা পড়েছি। খুবই ভালোলাগছে এইভাবে পেশ করাটা। নিজের কবিতার মাঝে তার বাহিরি পাঠ ও আত্মালোচনা - এটা কিন্তু আমার বেশ ভালোলাগছে। এই কবিতার ঘনত্ব, ভার ওই নবরত্ন পোলাও। পাশাপাশি ফলাহার না দিলে, পাখা না দোলালে হবে না।
ReplyDelete