আমি
তো মিথ্যা বলব ভাল আছি
জানি
বিশ্বাস কৃপাকণাবাহী
নৈঋতে
সুরুয়াগর্ভা মেঘে
সন্দেহ
কেটে দেখা দেয় মানুষের চাঁদের প্রকাশ
কলা জোয়ার ও
নিরিসে-র প্রজননমেলা
আমার
ভেতরে চাঁদ ও চাঁদের ওপিঠ
এক
সঙ্ঘাতফসল পৃথিবীরই কণা
জড়
করা বঞ্জর বিশেষ যে শ্যাওলা পর্যন্ত
উৎপাদনে
অক্ষম আমি সত্যি বলব
ভাল
আছি সন্দেহে
সিনিকপনায়
বিস্ময়চ্যুত
আর বিশ্বাসচ্যুত
ভাল
আছি ঘায়ের কন্দরে উদগ্র আঙ্গুলের
পরিচর্যা
নিয়ে আমি হে মর্মবিলা
খুব
সহজেই ব্যথার প্রেমের কথা ছোট ছোট
শূন্যতা
থেকে নতুন শূন্যতায় পৌঁছে যাওয়ার
প্রক্রিয়া
বোঝাতে পারব না
সেও
ভাল থাকে বোবা মানুষের ব্যাকড্রপে
অন্ধের
প্রপাতচারণে ব্রেললিপি মুছে ফেলা
নিতান্ত
অজ্ঞা তাকে ঘিরে ধরে আর আত্মহত্যার
প্রেরণাকে সার জল দেয়
সুসমীচিনের
পাশে
নামিয়ে রাখে আঁতকে ওঠার অক্ষমতা
যে
বেরিয়ে আসছে জন্ম থেকে
আর
ঢুকে যাচ্ছে ঘুমের সন্ত্রাসে
মাটির ছত্রাকের
স্পৃহা নিয়ে
রূপকের
ধারণার পাশে
যে
উবু হয়ে পাথর ঘসছে পাথরের প্রতীকে
আর যে
আশ্বাস নিয়ে বানরের থাবা নিয়ে
ছুটে
যাচ্ছে সান্দ্রতার বিপরীত
স্রোতে
এক চরিত্রের দোনামনায়
তার
অতীতের মৌলগুলি স্ফীত হয়
সুখনাসীজনে
হাঁটাই
বেড়েছে ছেড়েছ অনেককিছু
ডায়াবিটিসের দিনে
চিনি নুন তেলও অল্প স্বল্প বিষয়
সর্বনাম বার্তা নাটক গান... ত্যাগ স্বাস্থ্যকর
তবু
সেও তো সংস্কার কিছুটা তাকেও ত্যাগ
করে
এই লেখা পড়
দেখ
কী ভাবে জলে পড়ে আছি নিস্ক্রিয়
হুডিনির
মত হাত পা শেকলে তবে এর
মধ্যে
যৌনতা
খুঁজবেন না প্লীজ
পরিবর্তনশীল
কিছু নেই আমাদের
বেড়াতে
যাওয়ার স্থানভূমে
শুধু
ধকধক ধকধক শব্দে বয়েসের বেড়ে ওঠা
বরং
বিশ্বাসযোগ্যতা দিই কবরচাষীকে
আর
তার সপ্তাহান্তের বাধাকপি চাষ
হাতে
সন্ধিপত্র ঝুলিয়ে ঝাঁঝাঁ ঝরে যাওয়া
মিথেনপ্রপাত
থেকে থির বিজুরিতে
অসমাপ্তি
এরকমই ভাল থাকে
দাহ্য
পাম্পে তারল্য থেকে সচকিত
গ্যাসীয়
কেওসে ছুটে যাওয়া বর্ণমালা তার
দেয়ালে
মেঝেতে বানানের ছলে দে-শ-লা-ই লেখে ।
যে
বেরিয়ে আসছে নান্দনিকতা থেকে
ব্যবহার
আর ভাবপ্রবণতা থেকে
আর এক
ক্রমাগত রং বদলানো সূঁচের
ফোঁড়ে
সেলাই করছে জিভ তার কোন আশা
নেই হৃদে, গাজনে, সূচিকাভরমে কোনকিছুতেই
সে আর
শান্তি দেখে না
দুই
অ্যাটাচড পৃথিবীও ঝুলে ছিল কসাইয়ের শিকে
শুধু
মাংসের সংহতি’র পরিচয় হিসেবে তাদের পরিচয়
কোন
পঞ্জিকায় ছিল না
হাল্কা
মূর্ত ছিল বায়ানুবাতাস কিছুটা বিমূর্ত
ছিল
অবদমনের দিকে শাস্তি ফিরে পাওয়া
যখন
খুব একটা কোথাও ছিল না ঘর বাড়ি
এমন
কী ভূগোল থেকেও নিজেকে
ছাড়িয়ে
নিচ্ছিল ইতিহাস দাক্ষিণাত্য থেকে
ফিরছিল
আওরংজেব শিক-কাবাব হাতে
আমি
লগ আউট করছিলাম জানলা থেকে
পতিতাপল্লী
থেকে ঘর ভাড়া
আদায়
করছিল প্রিন্স দ্বারকানাথ
কেয়াঝোপ
গন্ধ ছাড়ছিল একটা
ছুঁচো
ঘরঘর ঘুরে বেড়াচ্ছিল ঝিরিঝিরি
সাপের
সরণে সারা পৃথিবীতে উদ্দেশ্যসাধন
হচ্ছিল
বিধেয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিল
নিউটনের
আপেল বিদিশার অন্ধকারে
হুড়মুড়
ঢুকে পড়ছিলাম নাব্যতা
ছাড়াই পূর্ণতার হাতজোড় সত্বেও
বয়েসের
দিকে এগিয়ে আসছে গাছ
এগিয়ে
আসছে পাথর ও গরম পাথরে
সিজল
সিজল অনুকৃতি...
সব
অবিকল থাকে সৃষ্টির দিনে
শুধু
এক বুনো খিদের ঝাপটে ভাষা ও প্রকাশ
দিশাহীন
ভরগতি নিয়ে হামলে পড়ে
জন্মের
সংস্কার আর শিলীত শিক্ষার শরীরে
তখনো
তোমার হাত মাথার অজান্তে
সীমানার
প্রান্তরেখা জড়ো করে ল্যাসো
বানাচ্ছে আর ছুঁড়ে দিচ্ছে ধাবমান
পোচারের
দিকে
ওইতো
অভ্যাস যা প্রতিবর্ত
ক্রিয়ার
আড়ালে ভাবনা থেকে
ছুটি
নেয় তালুতে লুকিয়ে ফেলে সিগারেট
আর
মাথা নীচু সম্মতি জানায়
সব
অবিকল থাকে সৃষ্টির দিনে
শুধু
ব্যক্তি একটু গাঢ় হয়ে ওঠে ঔদ্ধত্যে
সন্তর্পণে
অভ্যাস ডিঙ্গিয়ে ছিটকিনি খুলে
অ্যাসিডের
ভেতর ক্ষারের ভেতর ঢুকে যায় ...
সিদ্দত
সে সির্ফ আহ নিকলতা হ্যায়ঁ কবিতা শুধুই নিজের সাথে এক বন্দোবস্ত । নাহ আমাকে কবিতা
পায় না, ঘোরে থাকি না । আজ পর্যন্ত কবিতার কথা ভাবতে ভাবতে ট্যাক্সি বাস অচেনা উরু
কারো সাথে ধাক্কা লাগেনি । মাল খেয়ে হ্যালু খেয়ে এক দানা লিখিনি কখনো । সচেতন
নির্মান করেছি –ধান্দায় নয়, মহৎ তাগিদে নয়
শুধু মাত্র নিজের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য । কবিতা বরং খানিকটা স্বার্থপরতা
দিয়েছে, নিজের অন্ধকারে লুকিয়ে নিজের সাথে কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে যা পৃথিবী
আমাকে দিতে অক্ষম । হ্যাঁ একটা ঔদ্ধত্য জাগে সেও এক নিজস্ব মানুষ তাকে হয়ত আগামী
৫-৭ বছরে তাড়িয়ে ফেলতে পারব । আজ নয় । আজ তাকে আমার প্রয়োজন । তো...
সব
অবিকল থাকে সৃষ্টির দিনে
শুধু
ব্যক্তি একটু গাঢ় হয়ে ওঠে ঔদ্ধত্যে
সাবধানে
নিজেকে ডিঙ্গিয়ে ছিটকিনি খুলে
নিজের
ভেতরে ঢুকে যায়
যে
ঘুরে আসছে অন্তর থেকে নৈরাজ্যে
যে
মতামতের পাশে শুইয়ে রাখছে অন্তর্বাস
যে
মাথার ভেতর থেকে বার করে আনছে
আজন্ম
আলোর ভরসা থেকে বিচ্যুত ক্রীস্টাল
তাকে
দুমড়ে পাকিয়ে বানিয়ে নিচ্ছে আয়না
তাকে
যতই ঘুরিয়ে আন সংশ্লেষে বাকে উস্কানি দাও
সে
তার নিজের মতনই ম্রিয়মাণ আপাদমস্তক
অবশেষে
ইন্দ্রিয়গোচর হয় অতল তুষের
ঢল উপদ্রুত
অঞ্চল থেকে ট্রেন ছাড়ে অবিরাম
রাইট
টাইমে সঠিক তারিখ থেকে ক্যালেন্ডারের
দিকে এগিয়ে আসে অনিবার্য ধাত্রীবিদ্যা
অতিরেক
কিছু নেই এই ঠাসবুনোটে
জমা
পিচে ট্রাকের চাকার দাগ ছাড়া
নড়াচড়া
নয় বরং তার কোয়ার
কন্দরে
শানিয়ে ওঠা উপদ্রবই জীবন
এই সব
আমাদের সংগ্রহ করা কথা জল
থেকে
যে জীবন কে ছাড়িয়ে টেবিল ভরিয়ে রাখল
তার
সমস্ত বই ভাসতে ভাসতে ... পৃথিবী গোলাকার
বলে তার
মাস্তুল এক সময় ছোট হতে হতে
পরমাণু
হয়ে গেল...
হ্যাঁ
নিজেকেই রিজেক্ট করতে করতে ঘন হয়ে ওঠা ফের ফিকে হয়ে যাওয়া-- এই আমার একমাত্র । বই
ছাপি এ’কারণেই-- নিজেকে চোখের সামনে
একত্রে দেখলে রিজেক্ট করতে সুবিধে হয় । যে আপেলের মাংস কুরে কুরে শেষ করে আনছে এ
কথা জেনেই যে সে আপেলেরই কীট একটি নির্দিষ্ট আপেল ছাড়া তার কোন পরিচয় ঘর বাড়ি নেই – তার করুণাকে ভাব ।
No comments:
Post a Comment