Saturday, August 16, 2014

লেখা



এই সব বাস্তবিক ফলবাগানের দিকে
তাৎপর্যের দিকে চলে গেছ
চলে যাওয়াটুকু মনে আছে
তার উচাটন ডিভিনিটি আর মনে নেই

হে বস্তুপ্রাণ, হে হৃদয়দৌর্বল্য
নৌকোর ধারণার কাছে এসে
তরল কাঠের কণা জমা বাঁধে
শুধু এক রক্তাভ চামড়ার অভাবে
আজ তার সার ও সত্ত্বা দুই জলে যাবে

কণাবিদ, আকৃতি কবেই
গিয়েছে, প্রকৃতি নিয়েও আর মাথা ব্যথা নেই
অ্যারিস্টটল আমি অনূদিত সম্পূর্ণ
দেখেছি, ফলে মন ও বস্তু
নিয়ে বিভেদ ভাজন
নিয়ে খুব আর ভাবি না সম্প্রতি
বরং আড়াল থেকে ঝাড়ি

দাও, কথা বল বাদামী গহবর
আমার কবিতার রক্ষণাবেক্ষণ যাই কর
শাসন ব্যসন

রক্তচাপের বিপরীতে
পারদের বোধগম্যতা আক্রান্ত হয়
মোচনের ধারে বসে আমিও জলজ দেখি
জাগরূক গ্রন্থির গা বেয়ে দূরত্ব ঝরে
--
যেন বা জরীপ বর্ষার
প্রান্তসীমা থেকে হেমন্ত অবধি
আকাশী বাথরূমে জল পড়ে পেশী নড়ে
কোথাও রেশম নেই

নীল চাষও বন্ধ আজকাল
হে পরার্থপর অনুপস্থিতি
ছুঁয়ে দেখ
সঙ্কেতশীল জলে চুল
ভাসে, সন্দিগ্ধ আঁচড়
নিমগ্ন শ্যাওলা থেকে আলুথালু

ঊড়ে যায় ডুবন্ত নৌকার
ছায়া, কিন্নরমহিষ

এসম মহার্ঘ্য ছেড়ে আমারই ওষ্ঠে তুমি
জাঁকিয়ে বসলে ?
--
ভুল বিকীরণে প্রস্থানরত
ঝরা পালকেও খুব বাইশে শ্রাবণ
বলে ভ্রম হয়

নরম জামের বনে ঢেকে গেছে
পাহাড়ের পাড়
অল্প বৃষ্টির দিনে বোল্ডার পড়ে
সুখনা নদীর খাতে অপচয় ভারী হয়ে ওঠে
বরং শান্তিপুরে আমাদেরও কর্তব্য ছিল
ফুলিয়া চাকদা জুড়ে ঘোরাঘুরি ছিল
অবিকল,  কুয়াশার করোটিতে ককুদ
হারিয়ে ফেলা ষাঁড়
কাটলো অনেক দিন, পুরনো
নতুন ডিকশনে
বেহালা বাদকের অডিশান
ব্রোশান্ত স্টেশানে জল
ঘোলা হল মাঝ রাতে ভিজিলান্তে
মার ধোর তাও হল
সেও আজ কম দিনের কথা নয়
--
তবে ভেবে দেখ আমাদেরও
সন্ততি নিয়ে ভাবলেশ
চলতি বাক্যের পাশে বাবু হয়ে
বসা       ছায়ায় হেলান দিয়ে
ছপটি ও ছিপের প্রকার নিয়ে
রাজনীতি নিয়ে, আমিষাশী হরিণের
দ্বীপে অবশেষে শান্তিতে ফেরা

সেও ভালো সেই ভালো
আমারে না হয় না জানো
জানা ও তো কমপ্লিকেশন খালি
থেরাপিস্ট গত হপ্তায় বলে গেছিলেন
জানা ও জানালা শুধু অবসেসিভ
কম্পালশান বাড়ায়
বরঞ্চ সুখে থাক         বিষাদের হাতলে
শুকনো কফির গুঁড়ো
সিগারেট অল্পস্বল্প চলতেও পারে
তবে হ্যাঁ মনে করে ওষুধ ও ওষুধের সন্ততি...
ঘৃণা ও সম্প্রীতি সব সয়ে যায়
সময়ের বিপরীত স্রোতে
--
স্কুল থেকে ফিরতে ফিরতে
মনে পড়ে, কী ভাবে মিথ্যা একদিন
 অনায়াসে ইন্দ্রিয় হয়ে ওঠে
টেবিলের ওপর ঝুঁকে চা ঢালে
ক্রোম-পাত্র থেকে
পৌষের রাত থেকে অনভ্যস্ত পায়ে
বর্ষার দিকে হেঁটে যায়

করুণা ছিল না কোথাও
রনিন মনীষাজীবি,  এখনও করুণা নেই
চোখ ঢাকা টুপির আদলে
বুনো ঝাড়ে  গলির আড়ালে
প্রপাতে নাব্যতায় শরীরের থাকে

হননমনস্ক কমলা লেবুর বীজ
এক নিরত উদাস শ্বাসনালীর
খোঁজে মিশে যায় স্মৃতিস্পৃষ্ট মানুষের ঢলে

কাচের আকাশ থেকে কথা বল
ক্রমের অভাবে  বিক্ষিপ্ততার পক্ষেই না হয়
কথা বল

করুণা কোথাও নেই রঙ্গীন ময়াল
আমার স্থলিত পেশী হাড়গোড়
 তোমার স্পৃহার অনুপাতে
তোমাকেও  বাঁধনে রেখেছে

রঙ্গীন ময়াল আমার প্রলম্ব সহনশীলতা
জানে, যন্ত্রণা ও আনন্দের স্থানিকতার
বিপরীতে যে অতিকথন সেও এক সম্ভাব্য কবিতা
শুধু তো মোমের অক্ষর থেকে সন্দিহান আঙ্গুলের
ডগে  ফিরে বসা
ঘর ও মায়ার নিশ্চিতির দিকে
এগিয়ে দেওয়া কন্ঠপ্রণালী

এইটুকু, এইসব পাক্ষিক বিমর্ষতা
স্কুল থেকে নতুন ইন্দ্রিয় নিয়ে রোজ ফেরা
জ্যোৎস্নায় আঘাতের শব্দ ফিকে করে নিয়ে
অনন্তে হেলান দিয়ে বসে থাকা
--

ব্লীচের গন্ধে ঢেকে গেছে বয়ান ও অন্বয়
তবু মাংস রান্না হয় রোববারে
এই একমাত্র, এ ছাড়া জটিলতা নেই

এক একটা গান এক একটা ঋতু
এ সব শস্তা ভাবনা ।
গান ও ঋতুর আস্তিনে ঋতুমতী সদ্য শুকরী
বসে থাক --

আমার মাংস নিয়ে অনির্দেশ ভাল
আমার প্রাণের পরে ফালা ফালা করে দিয়ে
চলে গেল যে বাংলা অবজ্ঞা সে ভাল
সুতির রুমাল থেকে খসে পড়া
লালছোপ ভাল
--এও শস্তা, তবু ভাল

দৃশ্যের সমাপনে, দৃশ্যসমূহের ঢল
কষ্ট দেয় আজকাল
প্রাণের পরে প্রাণ ভাল তাকে আর দৃষ্টি দিও না

আমি জানি স্মৃতিও দৃষ্টি শুধু
রঙ্গীন প্রবালে গাঁথা সিপিয়া আকৃতি
অবয়ব বলে যাকে ভুল করা অসম্ভব নয়

ভুল এক দুলদুল ঘোড়া আর তার নিরেট অবিশ্বাস
লেভেল ক্রসিং এড়িয়ে,  অপ্রতিরোধ্য
ঢুকে যায় মেশিন কুয়াশায়

বরং ঋদ্ধতা নিয়ে কথা বল
যে ঋদ্ধতা ব্যাটারির
ক্রমাগত ত্যাগ ও অর্জন আর নিরায়াস উদ্বেগহীন
স্মৃতিবিমুখতা

 (আত্মকথনঃ

হে বঙ্গ পরিচিতি চাইনি তবে
অবজ্ঞাও কাম্য ছিল না

গ্রীবার দুপাশে বন্ধ জানলা
ছেনি ও পাথর আর পাথরের ভাষা
এই এক পূর্ণত তাঁতকল
রজকের মাঠে কোটে কার্ডিগানে তাকে
পরিচিত দৃশ্যের অভাবে আর চেনা
গেল না কিছুতেই
ফলে তার পর্যটন হল নিশ্ছিদ্র
অন্ধকার থেকে আরো অন্ধকারের দিকে
আলোর অভাবে তুমি তাকে ভ্রমণের
মর্যাদা দেবে না নির্ঘাত জানা ছিল
হে বঙ্গ কাম্য ছিল না ।)

তবু ম্যাজিনো লাইন থেকে ডাক দাও
হাঁক পাড়, স্তিমিত পয়ারে
কাঠের মণীষা থেকে নেমে এস
স্টীলের উরুতে

এটুকু জেনেই ডাক দাও
নামাজ আমার কোনদিনই হবে না আদায়
--
নীচু পৃথিবীর পিঠে মহিম গীর্জা
আমার অবিশ্বাস ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য
সুরাপাত্রে ঘুলিয়ে উঠছে
তাকে তুমি যাচাই করেই দেখ
জিভের ডগায় আলতো প্রশ্বাসে
বনেদি ভিনটেজ  না হলে এ বোতল
ফেলা যাবে চেটে খাবে গলির কুকুর
আর যদি পিছনের দরজায় ব্রাউন পেপার
মোড়া চোলাইয়ে পরিতৃপ্ত হও
তবে আমার সাথেই বস
আদাকুচি ভেজা ছোলা
একসাথে দুদন্ড অবিশ্বাস করি
--


যেন বহুদিন পর অন্ধকার

আধার পাত্র ভরে নিশ্চরিত্র তার

ফেনানো আঙ্গুল

এই এক নুনের পৃথিবী      রেতভূমি

প্রাঙ্গনে  মকাইয়ের ক্ষেত আর ক্ষেতের
ভেতর খচ্চরের বিক্ষত ঠোঁট
পূর্ণতা এমন যেন    প্রয়োজনীয়তাবোধ
নদী ও জলের হেরে যায়
অস্তিত্বের টানে খসে পড়ে কাক
সাঁজোয়া গাড়ির চাকা   মেচেতার দাগে
অনুকম্পা জড় করা সেবিকার মুখ

আঁধার আমার ভাল লাগে
আমার আধার কোন খানে
---
উনি তো ছিলেন পাটের
দালাল, গায়ক, সুরকার তাও অনেক
দিনের কথা একই বৃন্তে দুটি কুসুম
পঙ্কজ,  মল্লিকা     পাটের
ফলন নিয়ে মাথা বহুকাল
ঘামানো হয়নি ঢেউ ও
জাঙ্গাল দেশে চটকল বন্ধ হয়ে এল
তবে ভরসার খবর হল বাঁধনের
অভাবে কেন্দ্রের চ্যুতি হয় তবু
শূন্যতা নয় কেন্দ্রকে তারল্যে পায়
তরঙ্গ এমন যে   স্থির স্থানু
গতিপথহীন তবু এই ছিল এই নেই
আর সর্বক্ষণ আছে চোখে ও চোখের আড়ালে
তবে লোকে বলে ঘর বাড়ি ভালা না আমার
লোকে বলে
বিজ্ঞান যেখানে শেষ হল
সেখান থেকেই দর্শনের শুরু
ওহ লোকে কতকিছু বলে
আমার করুণাগ্রন্থি আদ্র হয়ে আসে
কল্পনা বেঁচে থাকে অ্যানালজি উপমা
সম্পৃক্ত,        দর্শন যে স্ট্রাকচারে বাঁধা কল্পনা
লোকে বলে না     বলে নারে...
যেখানে বিজ্ঞান সেখানে কল্পনা পরিচিত
পৃথিবীর চটকল সমুদ্র পাহাড় পেরিয়ে অসীম
হে রবি, হে চন্দননগরের বাঁধা ঘাট
পঙ্কজ মল্লিক মেঘলা বাথরুম
এমন দিনে কারে বলা যায়
কারে বলা যায়
বায়ু বহে পূর্ব সমুদ্র হতে
সেই বায়ু চিকেন টিক্কা আর মিঠা আতরের
পশ্চিম বায়ু এক প্রক্সি যুদ্ধে
আফিমের বুঁদে ঘন চীন উপকুল থেকে
ইতিহাস সাবড়ে নিয়েছে
এমনও দিনে কেন্দ্র-র চ্যুতি নিয়ে
সম্প্রীতি নিয়ে  নাগরিকতার অস্তিত্ব নিয়ে
বিশ্ববোধ নিয়ে অবার দুয়ার মোর
জঙ্গলে অগোচরে যে মোর নেচে গেল
কেউ না দেখলো  যারে
কী ঘর বানামু আমি শূন্যেরো আধার
যে খানে শূন্য নেই  গতির মাঝারে
দ্রুতির মাঝারে অনিয়ত আকার যাহার
সেই খানে  ঘর বাড়ি ভালা না আমার
--
আমাদের ক্ষতের আড়ালে যে বেঁচে
আছে   সেই রূপকথা    বাতাসে ক্ষতের
ছায়া, তার ভারে পাওয়া অবয়ব
আয়নায়  সিপিয়া ছবিতে
চিত্রনাট্যে স্কুটারের চাকা আর কেজিদরে
বেচা মার্কশীটে  তার লাল সোয়েটার
ঘোরা ফেরা করে ডালের বাটিতে
স্যালাদের সন্দিহান  প্লেটে

প্রাণে কী সম্মতি ছিল !   পৃথিবীর মাঝ
মধ্যিখানে কোথাও স্বদেশ ছিল
কবে যেন লাস্ট ভালো থাকা
কবে যেন ভাল ছিল মন
আমার অনীহা  আজ আমায় টেনেছে
দারুর টেবিলে  যত তুমি মন খারাপের
কথা বল   আই হ্যাভ লেট ইউ ডাউন  তবু
আমার আঁধার  ভাল লাগে
রূপকথা ছাড়া   কিছু তরল আধার ছাড়া
আমার কাহিনী কোন খানে ?
--
কোনখানে গলনাংকে  ভর করা জিভ
শব্দময় পৃথিবীর কিনারে  ব্রোঞ্জের বেহালা
বাদকের দৃশ্যত সুশোভন ক্ষেত্রজ আলে
ভূমিহার  মানুষের কর্ষণস্পৃহা দেখতে দেখতে
বোর হয়ে যায়    এই ঘনঘোর বরষার দিনে
সামন্তবাদগ্রস্ত        ঝরঝর মুখর বাদর দিনে
রাম রতন খোঁজে       অনলিংকৃত টাড়ে
বেনারসী বিধবাগলিতে   পানের গন্ধে
বুক ঝাঁজিয়ে  উঠছে     তবু হে বিহং মোর
মলিন প্রাণের পরে প্রাণ দিও যত খুশি
দৃষ্টি দিও না
--
দৃষ্টি দিও না   চোখে আজো  গেঁথে আছে
খাগের কলম    খসে পড়া সুতিবস্ত্র
বসন্তরজন    ক্রীড়াশীল জলের কাফনে
ঢেকে থাকা মাগরেব   প্রবাসের ব্লিজার্ডপ্রকোপ
ঝাউবনে  প্রতীক্ষাম্লান তিমিরসঙ্কোচ
মধ্য-মাধ্যমে  আমাদের উপস্থিতিটুকু
এই গান এই টুসু ভাদর আশিনে
দান্তের ভার্জিল প্রীতি     জ্বলনের কেন্দ্রপ্রতিমায়
বিপরীত পথে মুক্তির সুড়ঙ্গপথ

স্মার্ত হতে পারি নাই প্রভু   খুব সঠিক গঠনে
সুরুয়াপাত্র হাতে  ইন্দ্রিয়বোধকে শুশ্রূষা
দিতে পারিনাই    বরঞ্চ রাজগীরে দেখেছি
আমের গাছ   আম ফল দেয়  তার কপিশ
অম্লস্বাদ   উষ্ণ প্রস্রবণে  রমণীর সায়ার দড়িতে
ভাবগম্ভীর হতে ভুলে যায়

খাগের কলম আমি শিশুহাতে কুড়িয়েছি
স্তব ও শিউলি । প্রতারণা--    তাও কুড়িয়েছি
--
কুড়ান কুড়ানি এই সব কাহিনী আমার          ক্ষমা কোরো
পথে যদি আমার পিছনে হাঁটে     তোমার গল্প
ছায়ার বদলে      তাকে ক্ষমা কর    বস্তুনিচয়
বনশিয়ালের নখ ও নখর যদি অসতর্কে
বাজে  প্রিয় শশকের  গায়ে   ক্ষমা কোরো  
ক্লান্তি আমার  আর এই  অনন্তসারহীন সহলিপি  
তার অযৌন সুর আর মেঘলা বারান্দা

মনে রেখ ক্ষমাই কেবল  লাক্ষাস্রোত  বয়ে আনে
কাঁটাকুলগাছে   লং-প্লে গ্রামোফোনে    স্থানু সূঁচ
তাকেও নেহাত করে ক্ষমা কোরো ।
--
যতই বর্জন কর শব্দক্রীড়ার ঝোঁক     সমস্ত
ফেরার পথ ফেরারিই থাকে
যেন বা ঝড়ের পর ভ্রান্ত কুকুর

এই এক উপমা শ্রদ্ধেয়
বাকী সব ক্রমশ বিফল          অবুঝ
দার্শনিক    সৌরজগতের সমস্ত শাবক
যে যোণিপথে  জন্ম রয়েছে
সেখানেই গালামোহরের খোঁজে
আত্মিক হয়

আমাদের এই অণ্বেষ ক্ষমা কোরো
আমাদের এই উন্মেষ ক্ষমা কোরো
--
অথবা যুদ্ধে যাও  শীতব্রতের শেষে
নুপুর বাজিয়ে  প্রতিক্রিয়ার ঝোঁকে
ধুন্দুমার শহর পেরিয়ে তামার খনির দিকে
নেমে এস   তার বিষাক্তসবুজ বাঁটে মুখ দিয়ে
যৈবনবেলার পরার্থপর ছাতিমতলার কথা ভাব

আমাদের পীড়ন সুপ্ত ছিল  মুড়ির বাটিতে
কাঁসার গেলাসে গুড় চায়ে
ওহো নিপীড়ন ছাড়া লাবণ্য কীসের
সময়ের সুবাদে       এই ঠায় বসা
আলো না জ্বললে অন্ধের
 কী বা দিন কীই বা রাত্রি

বরং সংবাদ দাও মালঞ্চ, মজুরি
মলিন ম্যাপের আর ভুল কম্পাসের

যুগপৎ কূট ও নিরুদ্দেশ এই ছিল
আমার উন্মেষ
--
উন্মেষ একই স্থানে     অথচ ভিন্ন কালে
আমি তার উপদ্রব লক্ষ করি    কাচের
প্রার্থনাগারে      বকুলের বালাপোষে
যে কাচে বেদনা নিহিত ছিল    আঙ্গুলের
ডগে বেঁধা তো  কাকতালীয়     শুধু
টুকরো তুলতে তুলতে হে কেশব চন্দ্র
বড়দিন গেল  রাত গেল কুচবিহারের
বাজারে ঝুমকা গিরলো      বরেলির
বদলে    খাঁচার মুনিয়াই  সব রস পিয়ে নিল
পিয়াসংকাশে       চন্দ্রোদয়      তাও হল ৭।৪৫-এ
তাঁত বোনা অসমাপ্ত রেখে     ব্যাধের চর্যায়
নিমগ্ন দেখি     হুইলচেয়ারে বসা এক অনির্বান
পৃথিবী উত্তরায়নে ফিরে যায় ।
--
অবশ্যই আমি তারে ভজনা করিব
লুম্পেন গানে  ইলোপ করিব সখি
ভদ্র আসনে ধুঁধুলের ঝোপে টেনে নিয়ে যাব
ক্ষয় ছাড়া তার কোন হাসি নেই

 বৈপরিত্যের মাঝেও সেই এক--
তাকে চেনা যায়
সেই এক
প্রকৃত নিরাবেগ কাঁটাতারে
কাঁপে আর ভুগোল পেরিয়ে রাংচিতা বনে
খোঁজে জন্মনিবারক
ক্ষয় ছাড়া তার কোন জল নেই

জমানো ডাবের জল বসন্তদাগে
স্নান করে শুদ্ধ কাপড়ে  পরিশুদ্ধি
টেনে নাও  আঁজলাভরমে
আজ বড় প্রার্থনার দিন 
--


আজ বড় প্রার্থনার দিন  তবু লোকে বলে

ভালা না কবিতা       কেন দূর্বোধ্য এত

বৈজ্ঞানিক তার গবেষণা   আজ সরল করার
কথা প্রোপোজ করছে   তারো অনু্যোগ
সাহিত্য সরল অনেক বিজ্ঞানের চেয়ে    তবু তার প্রকাশ দূর্বোধ্য কেন

কাম অন ব্রাদার পৃথিবীর ৯৯।৯ শতাংশ বৈজ্ঞানিক
গবেষণা পাবলিক ফান্ডেড দ্য সায়েন্টিস্ট
ওস ইট টু দ্য পাবলিক
আই অ্যাম এ অজ্ঞাতকুলশীল ফাকিং ন্যাড়া
হু গোস টু দ্য বেলতলা টাইম এন্ড আগেইন
গ্যাঁটের পয়সা দিয়ে বই ছাপি যে বই গড়ে
সম্বচ্ছরে দেড় খানা বিক্রয় হয় ফলে ব্রাদার
দি ওনাস ইস অন দ্য সায়েন্টিস্ট, নট অন মি । নো ফাকিং ওয়ে ।

জোকস অ্যাপার্ট

শেষতক বিজ্ঞান পরিমাপযোগ্যতা খোঁজে
যে কোন সত্যকে মাপতে চাওয়াই
অবজেক্টিভিটি-র প্রথম পদক্ষেপ
(এ ছাড়া বাকীটুকু প্রযুক্তি)
এক সত্য থেকে অন্য সত্যে উপনীত
হওয়ার তাগিদে এক দিশাশীল খোঁজ
খোঁজ শেষ হয় পরিমাপযোগ্যতায় এসে
(যতক্ষণ না তার থেকে নতুন এক দিশাশীল খোঁজ
জেগে ওঠে)




পক্ষান্তরে আর্ট মাত্রেই সাবজেক্টিভ ।
বিজ্ঞানের বিপরীতে        পৃথিবী
ইন্সপিরেশানের
পূর্বসূরীর (যে কোন মাধ্যম সিনেমা
দৃশ্য, গা্ন অপর কবিতা এমন কী চাঁদফুলপাখিফলরাতি)
 কিছু ধার করে দিশাহীন
ছত্রাখান হওয়া মুড, ইমোশান শিক্ষা
দীক্ষা বিশ্বাস ইত্যাদি হাজার লক্ষ ফিলটারে
তার লক্ষ মাত্রা

যা ভেক্টরিয়ান নয় তা সরল কী ভাবে হবে
বুঝতে পারি না স্যার আমি তো গান্ডু
কী বলেন ব্রাদারতবে বলি কী
কবিতা যাই হোক,   নিজের মতন হোক

না হলে তো মাত্রা হারিয়ে তার ঐতিহাসিক
দশায় খোকাবাবুময় প্রত্যাবর্তন

টিভির পর্দায় বরখা দত্ত
বলছেন

আবার এসেছি ফিরে
কারগিল তীরে
দিনান্তের সমাচার হাতে...

ক্ষমা জাঁহাপনা ক্ষমা
আসলে আমি তো মাল তেমন সরল নই
পেটে পেটে ফন্দিনিচয়

নিদারুণ জটিল হাউসিং কমপ্লেক্সে থাকি
আর সপ্তাহান্তে না-না কমপ্লেক্সে ভুগি

ওহো লোকে বলে   ঘর বাড়ি ভালা না আমার !

লুকিং ব্যাকদর্শন মাঝ থেকে ছাড় পেয়ে গেল
সেও এক আজীব চিড়িয়া ঢালতরোয়ালহীন
সর্বজনগ্রাহ্য হতে চায় গায়েঁ কে মানিল, মানিনী তোমারে
তবু তুমি অবজেক্টিভ অবজেক্টিভ গন্ধ বিলাও

বিশ্বাস না হয় হ্রেনে দেকার্ত-কে জিজ্ঞাসা করুন
অর্ধেক অনূদিত অ্যারিস্টটল জেনে
মন ও বস্তুর মাঝখানে দেয়াল গড়লেন

মরে যাওয়ার আগে জেনেও যেতে পারলেন না
অ্যারিস্টটল-এর আরও কটি ভল্যুম
টোটকা রয়েছে

ঠিকানা না পেলে কথা বলুন দান্তে অ্যালিঘিয়েরির
তিনি না জানলে ভার্জিল জানেন, নাহলে বিয়াত্রিচে
নইলে আমি তো আছিনরকের
পুঞ্জাক্ষীশীল ছিটেল পতঙ্গ

লোকে কেন, আমি বলি ঘর বাড়ি ভালা না আমার

--
 

No comments:

Post a Comment