Tuesday, January 3, 2012

সম্নিলকি-১৪









দূর আর ঘনর প্লট কি একটা মৌলিক সরলরেখা? অশ্বক্ষুর?
উপবৃত্ত ?

কল্প নাহয়
বাস্তবিক
তোমার গায়ে আমার শার্ট
তুমি আমার শার্ট গায়ে কেমন কুৎসিত

পনির গলছে কি না?
তুমি শোনাও রেণুর কথা – অনেক টানের পোকা, কি বাঁক
কি একটা ব্যাবহারযোগ্য মিথ
ঢাল হলো ভাবনা
একটা তামার ড্রাম
বাদকদলের স্ক্রু ভেঙে গড়িয়ে নামছে ঢাল বরাবর
তাওয়ায় পনির , ঘনত্ব , সুরের ঘন
মূল করে ভাষা
যেন কিছু দুরবীন কাছে আসতে চায়। ছোট কাচির ব্যাগ লুকিয়ে, উত্তোলিত কয়লা লুকিয়ে
আঙুল চাটছি, নখ চাটছি
রান্নাঘরে
কেউ গয়না খুলছে না কি, যেমন করে কথা বলো তুমি

যেমন করে উল্টাস্রোতঃ তোমার বেসিনে আমার মুন্ডু
দুলতে থাকে ফুটা, প্রতিটা পানির লোম আলাদা আলাদা করে দেখো
প্রতিধ্বনি মাপো, বস্তুনিষ্ঠতার জায়গা একটাই
যাদুঘরে সাজানো হাড্ডিগুলি নেড়ে চেড়ে ভালবাসো আরো আরো তামা
পবিত্রতা জরুরী লাগে, কন্ডম সেভাবে লাগে না
যেভাবে কন্ডম লাগে
আমি তাও পাতার মত ঝরে পড়তে পারি
হাবড়া চোখে তাকাতে পারি রান্নাঘরের তাক থেকে তাকে
যখন তুমি লতা গুল্ম ক্ষুর

"অনেক টানের পোকা থাকে – যে যত জটিল ভাবে আত্মমুখী
সে তত উন্মিলিত, তত বাকু, এক দিকে ঘোড়ার মাথা, অন্য দিকে প্রথম কারণ"

আসো তবে সূত্রমত নদীর কথা বলি
অথবা সকেটঃ যার উপর রেটিনা ঘুরছে, বিন্দু বিন্দু রক্তে মিশছে তোমার বিশ্বাস –
বুঁদমাত্র আনন্দ, আনন্দ মাত্র দুঃখ, দুঃখ মাত্র সম্ভাবনা – এই যে ঘন মিইয়ে এলো পূবদিকে
প্রশ্ন করছো। ভাড়া বাসাও বদলাতে মায়া হয়

এরচে করিডোর ভাল
বন্ধ সেলুন
অন্ধকারে চেয়ারগুলি আয়না বরাবর
গুচ্ছ গুচ্ছ ঝুলন্ত পরচুলা
বুড়ো তার দস্তানা পকেটে ফেলে পাঁচটি বলিরেখা বার করে আনে
আর মেয়েগুলি নুফি নুফি বলে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে বারের ভিতর

আসো তবে নিন্দামন্দ করি
অথবা ঘনত্বঃ যেখানে দূর মেশালে পাওয়া যায় তামা
পোকার কথা বলি
ফুলের পাপড়ি দেখে ছুটে যাই কতনা স্তর নিয়ে একটা কন্ডমের মাঝে
তোমার গায়ে আমার শার্ট কুৎসিত

5 comments:

  1. ভীষণ ভালো লেগেছে লেখা। অত্যন্ত রেডিয়েটিং ভাবনার ভরটেক্স। আমার মনে হয় এই রকম কিছু কবিতা বেছে নিয়ে অনেকে মিলে কবিতাটা আলোচনা করে - সেই সমস্ত আলোচনা নিয়ে একটা কৌ-অ সংখ্যা করলে দারুণ হয়।

    ReplyDelete
  2. আইডিয়া চমৎকার। কিছু আলোচনা মনে হয় এমনিতেও হওয়া দরকার। ধন্যবাদ আর্যনীলদা। কবিতাটিতে কিছু এডিত করার দরকার ছিল। করতে গিয়ে দেখলাম জিফ অংশটা সেভ করা গেলোনা কিছুতেই। তাই গ্রাফটা বাদ পড়ে গেল।

    ReplyDelete
  3. আজ দেখি ইমেজ যোগ করা গেলো। ব্লগারে বাগার।

    যাক ,

    হ্যা আলোচনা হলে কিন্তু আসলেও খুব ভাল হয়। কবিতা কীভাবে পড়া উচিত, কবিতায় কী কী জিনিস খোঁজা উচিত - এইসব নিয়ে আমাদের বাঙালিদের অনেক নস্টালজিয়া আছে। কবিতা লেখার নস্টালজিয়া কাটানোর যেমন দরকার, কবিতা পাঠের নস্টালজিয়াও কাটানো দরকার।

    এই পরিবিষয়ী চক্রের লেখকদের বাইরে যদি কেউ আমাদের লেখা নিয়ে আলোচনা করতো, তাহলে কেমন হতো?

    ReplyDelete
  4. দারুণ লাগল। ছবি এবং প্রথম লাইনের প্রশ্ন বার বার উসকে দিচ্ছে পাঠককে। অর্ঘ্যকে প্রায়শই সরাসরি দৃশ্য গেঁথে তুলতে দেখি। এখানে কিন্তু দৃশ্যগুলো কবির ভাবনার গহনে নেয়ে আসার পর পরিবেশিত হয়েছে মনে হল। যেটা আমি বেশি এনজয় করি।

    সে তত উন্মিলিত, তত বাকু - বাকু মানে কি?
    মেয়েগুলি নুফি নুফি বলে - নুফি কি?

    সকলে আলোচনা করার প্রস্তাব বেশ ভালো লাগল।

    ReplyDelete
  5. রুনাদি, ধন্যবাদ।
    বাকু হলো আজারবাইজানের শহর/তেলখনি বাকু।
    নুফি - কানাডার নিউ ফাইন্ড ল্যান্ড রাজ্যের লোকদের টিটকারি মেরে 'নুফি' বলা হয় অনেক সময়। ওদের ডায়ালক্টে অনেকটা আইরিশদের ইংলিশ accent এর মতো। অন্যান্য এলাকার মানুষ বেশ মজা পায়।

    ReplyDelete