এখনো সর্বনাম
খসড়া শূণ্য
paul morand এর মতে গতিবেগ ধূসরতার জন্ম দেয়।
প্রমাণ হল... আরে না, জাইরোস্কোপ।
আড়ে দৈর্ঘ্যে, সবেতেই, স-বেতে, বেতহীনেও বোধহয়।
তিন লোকে বার্তা রটে গেল।
টিন, পাত, ইস্পাত, যা হোক করে, কড়াকড়িতে।
তিন-ই কিন্তু, আমি জোর দিই, জোড় ...
যা হোক।
ইচ্ছে সময়ের সাথে আনুপাতিক হারে চলে,
কার পুত্র এরূপ বলেছে! বিদগ্ধ বিরূপ বন্ধু জিজ্ঞাসিলেন,
উত্তর দিইনি।
কিন্তু আমি ত দেখেছি, ছুরির ঠিক ওপরে
কৃষ্ণচূড়ার ছায়া,
বাক্যালাপে দীর্ঘতা, গামীতা,
অনুবর্তি,
damsel without a dulcimer...
দেখেছি ছুরির ভিতরের ছায়াও।
অন্তঃপাতী চরিত্রগুলি অতিসংযমী, ক্ষীর ও কুসুম
একত্রেই। মধুর মজ্জাগত। মদ্য, মধ্য, মধ্যে,
কিছু ক্ষেত্রে ওরা 'ও' কারান্ত উচ্চারণ করে।
কারা অন্তে, বাইরে আলো,
নিউট্রিনো
আলোর সমান কম্পাঙ্ক রয়েছে শব্দেও,
কাঁপে তাহলে সকলেই!
শব দো,
শব্দ বোধে ভুল ত হতেই পারে, বাহুল্যে
এই দেখ খেলাপী বন্ধু, আমি কিন্তু আগেই বলেছিলাম, তিন, তিন...
এখানে এখনো কিছু খয়েরি শামুক হেঁটে চলে।খোসাহীন।
এখানে অলীক ক্রোধ ধু ধু উল্কিতে ফোটে।
ফোটনের যাওয়া আসা, কিশোর বাজের চোখ দেখেছে কি???
এখানে এখনো অতিনশ্বর জর্জরিত শীতসন্ধ্যা, প্রলোভীত আস্ফালায়...
জটায়ু বুড়ো হল দিনে দিনে, ঢিমে চলে আজকাল।
তুমি তুমি তুমি
কতদূর নিউট্রিনো?
ভূতাবলম্বী আলো-
এগোও না, পিছোও না!
কতদূর জানে বোঝে এরা-
'এনজয়' বলে
তবু তোমার সঙ্গে তোমার মাঝের দেওয়াল কেন আলো নিরপেক্ষ,
নিউট্রিনো?
Circumcontentive Poetry is granular. It is an assembly of many kinds of grains, iota, shreds, and smidgeons. Collage techniques are its automatic choice, an assembly language is its perfect embodiment.
Thursday, January 26, 2012
Saturday, January 14, 2012
ম্যাজিক শহর
রহস্যমুখ থেকে ময়াময় নামিয়ে
ক্লোজআপে রাখছি দৃশ্যায়নগুলো
অদৃশ্য অয়ন
হেঁটে
হেঁটে
সম্প্রসারিত ডানা খুঁজছে এমন
যেন এইমাত্র
আবিষ্কারে উড়ে যাবে
ম্যাজিক মাশরুমে ফোটা শহুরে বিভ্রম
স্ফূর্তি লেখা রাস্তায় গাঢ় লালবাতি জ্বলে গেলে বন্ধনে মগ্ন হয়ে ওঠে ঝিমরাতের মানচিত্র। অরক্ষণীয়ার বেওয়ারিশ যোনিমুখে ঠোঁট বুনে দিয়ে যায় সুললিত সুড়ঙ্গপথ
পরিপাটি গন্ডির ভেতর
উড়োপাখি
উড়তে
উড়তে
এলোমেলো করে দেয়
নিভৃত কাঠামোয় জড়ানো সুতো
আলগা হয়ে আসে আঙুলের স্বরধ্বনি
অতর্কিত কথার ঝাঁকে তুমি বিশেষণে নেমে গেলে বাহুল্য মনে হয় আজকাল। বি পূর্বক সেশন বসিয়ে এই যে তোমার হিসেবের পারিপাট্য, সেখানেও মাথা গুঁজে পড়ে আছে অলীক তৃষ্ণারা। শূন্যের জলছাপ মাখা সুড়ঙ্গে কার মুখ? কবেকার চোখ খুঁড়ে বাসা বাঁধে অন্ধবিন্দুরা?
তোমারো তো পথ আছে
পথিকে যেমন
অবস্থান ভেঙে ভেঙে পায়ের উল্লাস
স্লো-মোশানে ফুটছে নিসর্গ
শিমুলে না তুমুলে ভাবনার আগেই
তুমি
তোমার চোখ
চোখ গড়ানো ভ্রমরামি
ইদানীং মহড়াপ্রবণ বৃন্দাবলির জল সইছে শহরকোঠা। তালভাঙা কোরিওগ্রাফি থেকে মহীনের ঘোড়াগুলি ধীরে নেমে এলে আলোরাও গা থেকে খুলে রাখে ঝলমলে মুখোশ। মুখের জলধ্বনি। জলরোলে আকাশ ডাকছে জীবনমুখী মুখড়ায়
তোমারো তো দর্শন আছে
আয়নাফেরত দৃশ্যতায় যেমন
বেজে ওঠা মাত্রাবোধ
চলকে
চলকে
জলকে চলার অভিযোজনে
কথালীন হয়ে ওঠে
রক্ষণীয়ার ভেতরবাড়ি
বিদ্যুৎতরঙ্গ
সুড়ঙ্গ
ক্ষরণের মাত্রাবোধে হেরফের হলে শাহরিক শর্করা থেকে উপচে ওঠে মৌ সংক্রান্ত স্বরধ্বনি। ডায়াটোনিক অবরোহে কোমল হয়ে আসে গান্ধার। জুয়াঘরের প্রতিটা জানলায় নেচে ওঠে আশাবরির তুমুল গল্প। বাজিকরের আঙুলে পণ রেখে দেখেছি তোমার শহরে কোনো হারজিতের গল্প নেই
আঙুলের গল্প
তিনটে আঙুল
তুমি দাগের কথাও ভাবতে পারো
কিংবা ভগ্নাংশ
আমি অংশ নিয়ে
ঘুরে
ফিরে
ইতিবাচক সবুজ আলো নিভিয়ে যৌনসদনের বারান্দায় ফুটছে লাল রুমালের বিষোৎস্না। মার্জিনে রাখা মেয়েলি সিগন্যাল অমার্জিতের মর্যাদা রেখে আসে ফুলমাসির মৌভোলা আঁচলে। খুন হয়ে যায় ভাবনার পারম্পর্য। অস্থির পৃথিবীর ভাস্কর্যসম্ভব প্রতিমা। ফলত সাইরেন বেজে ওঠে পুলিশি প্রতিষ্ঠানে
কালাপাহাড়ি এই শহর
ম্যাজিক খচিত ট্র্যাফিক লাইট
নেভানো ল্যাম্পপোষ্টের নিচে জুয়া খেলে
তারাদের ছায়া
জ্বলে
নেভে
নেভে
জ্বলে
আলোরা তখন নক্ষত্র নেভানো ভুবনডাঙার চর্চাপদে দুপেগ আড্ডারোলের এলিজি লিখে রাখে। পরকীয়ার পান্ডুলিপি শুয়ে থাকে তাসবাড়ির চাঁদচোরা বিছানায়। ভুল প্রেমাবোল তাবোল ফোটাচ্ছে হাইরোডের অবৈধ হরফে
ইস্পাতে গাঁথা শহরতলায় বদল আনে নদী
ধারাবাহিকতায় তুমি ফুটে উঠলেই
পরম্পরার ধারালো ধনুঃস্বরে জেগে ওঠে
মহাকাশের বিন্দুবাসিনী অবুঝেরা
ছায়া থেকে প্রতিচ্ছায়ায় নেমে আসে
ঘাত
প্রতিঘাত
ঘাতের ভেতর নাগরিক পংক্তিসকল। প্রতিঘাতে জেগে থাকে নিবিষ্ট দর্শন। চোখের কুর্নিশগলা নির্যাস পান করে শব্দ ফুটছে অবাস্তবের রোদচশমায়। নিরাময় ডাকা জানলায় একপ্রস্থ নতুন লিখে রাখি রোদগ্রস্ত আঙুলের তুমুল উল্লাসে
চাঁদগলা কুহকের বিরুদ্ধে এই যে আমার স্বড়যন্ত্র
ওঁকার বুনছে দিনরাত
কে তুমি
কেন তুমি
কোথায় তুমি
যেন তুমি তুমি করে ঝরে যাবে
দীর্ঘশ্বাসিত সমস্ত বিরহ সংবাদ
আর শ্রবণমহলে জেগে থাকা নিরন্তর ‘হুম’
নীরবতা খুঁজতে বেরোবে ইনফ্রাসোনিক শব্দমহল্লায়
হল্লাবাজের হলাহলে হাত পেতে দেখো
ওল্টানো রুইতন
আঙুলের উদ্বেগ
অলীক বিদ্রোহ
সব তুমি ছাড়া
যেমন তুমিও তুমি ছাড়া
চলো, দেয়াল ভাঙি। গড়ার আগে। কারণ সিলিকায় দেয়াল গড়ে দিলে ঝাপসা হয়ে আসে দর্শন। দেয়াল ভাঙা শব্দে মুক্ত হয়ে ওঠে প্রথার অনুগামী সমস্ত গদ্য
তুমিও তো দেখেছ
দেয়াল গড়ানো ফোঁটা ফোঁটা জলের ভেতর
ওল্টানো ঘর
ঘরান্তরিত অভিযান কেমন বিস্ময় ফোটাচ্ছে
লংমার্চে নামা বিশ্বকণার পায়ে
এসো
বসো
বলতে বলতেই
ভুলমহল্লায় বেজে উঠল বোসনের মহিমা
নতুনকে নতুন উজাড় হয়ে যাচ্ছে
তোমার সংঘর্ষবাতিক সুড়ঙ্গে
সৃষ্টের চোখ বরাবর সৃষ্টিকে নামিয়ে আনার খেলায়
খেলছি তোমার বুননগ্রস্ত আঙুলে
দেখতে
দেখতে
ফুরিয়ে ফেলছি রোদসাধা রাধার
রা-না-দেওয়া ফোটনের গতি
গতি হারানো চোখে তখন আভ্যন্তরীণ স্বপ্নদোষ। দোষাণুগ্রাফিক কম্পোজিশানে আমি পায়রা বসাই। ঠোঁটচঞ্চল বিম্বাণুরা হারমোনিকপ্রবণ হয়ে উঠলে বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে হরমোন। প্যাভলভের বিজ্ঞান সীমানায় উলটে পালটে লিখতে থাকি প্রতিবর্তী ক্রিয়া
চলো, মূল্যবোধের স্যাঁতানো সূত্রগুলো ছিঁড়তে ছিঁড়তে যাই। প্রগলভ কবিতাপ্রণালীর পাশে রেখে আসি নতুনের কুরুশকাঁটা। বুননের যোগাযোগে দেখো, কেমন অনিবার্য হয়ে উঠছে সমস্ত বিভ্রান্তি
না-কবির কোনো ভ্রান্তি নেই
ছায়া থাকে
আলোও কিছুটা
কবির আলো-না-আলোয় বোনা ঘর
হু হু আলোর পিছনে ছায়া দিয়ে বোনা মৌচাক
নিঃশব্দে জ্বলে যাচ্ছে মোম
আলোছায়ার মাধ্যমের ভেতর তরুণের পাণ্ডুলিপি
খুলে রাখছে বারোয়ারি গ্রন্থিসকল
মন্থনালয়ের বারান্দায় ফোঁটা ফোঁটা জীবন লিখছে
কাচঘরের ইশারামুখর দর্শন
দর্শনানন্দে ফুলিয়ে তুলছি বেলুন
হাওয়ার ভেতর আকাশকুসুম
উড়তে
উড়তে
মনস্তাত্ত্বিক আঙুলে
ঘুণ লাগা নখের ভেতর গজিয়ে উঠছে শারীরিক বিকার, হাওয়াবাহী শিরা উপশিরায় গঠিত তাদের
হাত
পা
মাথা
গঠনের ভেতর প্রাত্যহিক মান
মানদন্ডে মাপা অভিমান
কিছুটা অনুরাগও বলতে পারো
হাড়ের ভেতর লাফিয়ে উঠছে ছায়া। উন্মাদ অবসরে উড়ে আসে কালো মেঘ। মাঝরাতে বেলুনওলার ঘন্টি শুনি শ্রবণবিরোধী নিউরোনে। অসহযোগ আবর্তে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরনবাতিক পৃথিবীও অন্তরঙ্গ হতে থাকে স্বরূপে
উহ্য রাখা অর্ঘ্যর গায়ে অনুক্ত ঢাল বসাই
কোমল হয়ে আসে বাঁকানো ধনুঃস্বর
মনস্তাত্ত্বিক আঙুলে তখন বিচ্ছিন্নতার লড়াই
উড়ন্ত বেলুনের সুতো কেটে যায় নিঃশব্দে
একা হাওয়া
একলা আকাশ
একপশলা প্যাশান
অলখ স্বরে ডেকে নেয় কমলা রঙের বেলুনগুলো
বেলুনবালার আঙুলে জড়ানো প্রফুল্লরা ক্রমে নিভে আসে কনেদেখা আলোর দাগানো শ্যামবর্ণে। মধ্যরাতের অন্ধকার চাঁদঢলানো ঘুমপাহাড়ের গায়ে লিখে রাখে গাঢ় রাত্রিত্বক। ফর্সা হওয়ার ক্রিমের ভেতর নিশ্চিন্তে ঘুম যায়
স্মৃতি
বিস্মৃতি
আমার ঘুমের সমস্যা জেগে থাকে
সিঁড়িভাঙা দ্বন্দ্ব নিয়ে ভেঙে ভেঙে যাই
যাই কেন প্রভু
যাওয়ার তো কোনো আসা নেই
তুমি স থেকে শ করতেই পারো
পুরে ফেলতে পারো সোনালি খাঁচায়
আমার সমস্যা তবু জেগে থাকে
গরাদের ভেতর
না-ঘুমের ভেতর
তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে তার সূচিমুখ
প্রতিরাতে একটু একটু করে বর্ণান্তর ঘটে যায় সেরিব্রামের কোষকলায়। কোষের মধ্যবর্তী শূন্যস্থান দখলে আসে তোমার। বিজ্ঞাপনের নেশানো অস্তিনাস্তি গুনগুনালে ঘুমহীন ঘোরে বেঘোর হয়ে ওঠে কোষের দেয়াল
কেন্দ্রমুখী ভ্রূণ
বদল ডেকে ডেকে
ঢেকে ফেলে বহিরঙ্গের খোঁচাওলা গথিক
অন্তর্গুহার দাওয়ায় উড়ো হাওয়া
গুছিয়ে তোলে কুন্তলিমা
আমি তখনও বিনুনি বাঁধার মোহে সাজিয়ে তুলছি কুন্ঠিত আত্মজাকে। অন্ধকার সিঁড়িঘর সরে আসছে সন্তপর্ণে। মাথার ভেতর ক্রমশ জেগে উঠছে আলোবাসার চিলেকোঠা
দৃশ্য বাজিয়ে সাদৃশ্য আনছি তোমার বাঁকজর্জর গ্রীবায়
অনুকূল চোখের সংশয় থেকে
অন্ধকারের অচলাবস্থা থেকে
ডেকে নিয়ে যায় প্রজাপতি
বিরহবাদের ফুটপাথে নেমে আসে রাধাসদনের কৃষ্ণকলি। প্রেমফ্রেমের কাটাকুটি খেলায় ভুল চলনের শূন্য বসাতে বসাতে গেঁথে ফেলছি একটা গোটা বিষণ্ণ রাত। অনিবার্য কালবেলা
ঢ্যাঙা রমণীয়তার ফ্যাশান শোয়ে
রতি ও নিয়তি
সমতুল্যে ঝুলে থাকে মানদন্ডের দুপাশে
তোমার রাতচরা আলো জ্বেলে
উজান বাইছি সিঁড়িঘরের অন্ধ ঝিলমিলে
রং চাইছি
ডানা চাইছি
চাওয়াবাদের সিম্ফনিতে লিরিক গেঁথে গেঁথে শাহরিক ট্রামলাইনে জিইয়ে রেখেছি একটা গোটা যুগের নির্বানন্দ। তুমি দেখলে না রঙমহলের বারোয়ারি প্রতিযোগিতা থেকে কখন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল সন্ত্রাসীদের দল। নতুনের চলচঞ্চল পায়ের জলছাপ ট্রামলাইনের চিহ্ন মুছে নির্মাণন্দে গড়ে তুলল আনন্দনিকেতনের খোলা হাট
আনন্দ এক অন্তর্বর্তী সেট
এপাশে ওপাশে টাঙানো
কিছু আশালীন কুয়াশা
কিছু বিষণ্ণতার রোচনামচা
ভুল মরসুমে ভেস্তে যাওয়া দলীয় সমাবেশ
বদল খুঁজছে
কেলাসিত এই শহরসময়ে
সেটের হাতলে আপৎকালীন শব্দ বসিয়ে
টেনে রাখি প্রসারণ ক্ষমতার ছড়
হাইফেনের টানা সড়কে নেচে ওঠে
আমাদের অবস্থান
গত দুদিন বা আগামী দুদিনের চর্চাপদে বাড়তে থাকে সেটের সম্ভাব্য সীমানা। অসীম সংক্রান্ত সমস্ত পারমুটেশান থেকে একটা একটা করে তুলে ফেলি বিন্যাস। দেখো, স্রষ্টালজির শৃঙ্খলা মুছে শব্দেরা কেমন পা ছড়িয়ে বসে আছে তোমার প্রশ্রয়ে। মনোরঞ্জনের ভেতর এই যে তোমার মগ্নতা, প্রশ্রয়ের ভেতর এই যে তোমার দিগন্তবোধ, কোথায় জমাবে তার মুহূর্তের হিসেব
এই কাল
এই ক্ষণ
কিংবা অবস্থান থেকে তুলে নিই পারস্পরিক সমবায়প্রথা
প্রথাবিরোধী শমন জারি হলে
নিয়মাবলির গ্রন্থি খুলে আবার গাঁথতে বসি
অজানা সেটে
অচেনা মন্থনে
অন্ধকারের রূপটান থেকে রঞ্জনরশ্মি তুলে তুলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আনোখা রূপকল্প। সরলরেখা বাঁকিয়ে চুরিয়ে আলোরা ঢুকে পড়ছে মাশরুমের ম্যাজিকে। শহর ফুঁড়ে জেগে উঠছে মনোবিকারের মানোয়ারি জাহাজ। মনস্তাত্ত্বিকের পিছল মস্তিষ্ক বেয়ে যোগাযোগে নামছে বাতাসের মই, রসায়নে গাঁথছে কোষবন্ধন সেতু। পারাপারের পায়ে কথারা নেচে উঠছে সাপের গায়ে গায়ে। ফিসফিসে নেমে যাচ্ছে তোমার দেখার পার্সপেকটিভ। আসলে দেখার জন্য পায়ের নিচে কোনো গন্ডি দেবার দরকার নেই। গোল পায়ের ছকে তুমি নামতেই পারো পাগলের ভূমিকায়
প্রস্তাবনায় রাখছি কিছু সুগন্ধ
কিছুটা ক্লিনিং এজেন্ট
লুকোনো সবুজের চারা
তকতকে হয়ে উঠছে বাথরুমের আয়না
ছায়াপ্রবণ মেঘ ডাকলে বৃষ্টি খসাবে আয়না আর তুমি হয়ে উঠবে মুহূর্ত। মুহূর্তের গায়ে জেগে উঠবে দুএকটা ছক।পরিকল্পনার অভাবে হ-য-ব-র-ল খোপ। ছকবাঁধা চৌরাস্তা শেষ থেকে শুরু থেকে অলিগলি খুঁজে খুঁজে হয়রান। দু মিনিট নীরবতা পালন করো হে। দেখছো না, রাত নামছে খোপের
ঘরে
বাইরে
মাঝরাতে পৃথিবীর প্লেটোনিক লভ্
লভ্যাংশ কেটে রেখে সরে যায়
শূন্যের সরগমে
কেঁপে ওঠে যোগাযোগ সেতু
এইসব সরে যাওয়ার ভেতর জমা হতে থাকে আমাদের কথারা। কথার গায়ে লেগে থাকা দৃশ্যরা মই ভেঙে ভেঙে উঠে যায় পাগল চোখে
পা গোল
তার চোখসংক্রান্ত মিথ
জলছলে টলটল করে ওঠে
জলতলে রাখা আয়না ভূমিকা গড়লে সমস্ত জলযাত্রা স্বচ্ছ হয়ে ওঠে মনোবিজ্ঞানের স্বতন্ত্র শব্দে
ক্লোজআপে রাখছি দৃশ্যায়নগুলো
অদৃশ্য অয়ন
হেঁটে
হেঁটে
সম্প্রসারিত ডানা খুঁজছে এমন
যেন এইমাত্র
আবিষ্কারে উড়ে যাবে
ম্যাজিক মাশরুমে ফোটা শহুরে বিভ্রম
স্ফূর্তি লেখা রাস্তায় গাঢ় লালবাতি জ্বলে গেলে বন্ধনে মগ্ন হয়ে ওঠে ঝিমরাতের মানচিত্র। অরক্ষণীয়ার বেওয়ারিশ যোনিমুখে ঠোঁট বুনে দিয়ে যায় সুললিত সুড়ঙ্গপথ
পরিপাটি গন্ডির ভেতর
উড়োপাখি
উড়তে
উড়তে
এলোমেলো করে দেয়
নিভৃত কাঠামোয় জড়ানো সুতো
আলগা হয়ে আসে আঙুলের স্বরধ্বনি
অতর্কিত কথার ঝাঁকে তুমি বিশেষণে নেমে গেলে বাহুল্য মনে হয় আজকাল। বি পূর্বক সেশন বসিয়ে এই যে তোমার হিসেবের পারিপাট্য, সেখানেও মাথা গুঁজে পড়ে আছে অলীক তৃষ্ণারা। শূন্যের জলছাপ মাখা সুড়ঙ্গে কার মুখ? কবেকার চোখ খুঁড়ে বাসা বাঁধে অন্ধবিন্দুরা?
তোমারো তো পথ আছে
পথিকে যেমন
অবস্থান ভেঙে ভেঙে পায়ের উল্লাস
স্লো-মোশানে ফুটছে নিসর্গ
শিমুলে না তুমুলে ভাবনার আগেই
তুমি
তোমার চোখ
চোখ গড়ানো ভ্রমরামি
ইদানীং মহড়াপ্রবণ বৃন্দাবলির জল সইছে শহরকোঠা। তালভাঙা কোরিওগ্রাফি থেকে মহীনের ঘোড়াগুলি ধীরে নেমে এলে আলোরাও গা থেকে খুলে রাখে ঝলমলে মুখোশ। মুখের জলধ্বনি। জলরোলে আকাশ ডাকছে জীবনমুখী মুখড়ায়
তোমারো তো দর্শন আছে
আয়নাফেরত দৃশ্যতায় যেমন
বেজে ওঠা মাত্রাবোধ
চলকে
চলকে
জলকে চলার অভিযোজনে
কথালীন হয়ে ওঠে
রক্ষণীয়ার ভেতরবাড়ি
বিদ্যুৎতরঙ্গ
সুড়ঙ্গ
ক্ষরণের মাত্রাবোধে হেরফের হলে শাহরিক শর্করা থেকে উপচে ওঠে মৌ সংক্রান্ত স্বরধ্বনি। ডায়াটোনিক অবরোহে কোমল হয়ে আসে গান্ধার। জুয়াঘরের প্রতিটা জানলায় নেচে ওঠে আশাবরির তুমুল গল্প। বাজিকরের আঙুলে পণ রেখে দেখেছি তোমার শহরে কোনো হারজিতের গল্প নেই
আঙুলের গল্প
তিনটে আঙুল
তুমি দাগের কথাও ভাবতে পারো
কিংবা ভগ্নাংশ
আমি অংশ নিয়ে
ঘুরে
ফিরে
ইতিবাচক সবুজ আলো নিভিয়ে যৌনসদনের বারান্দায় ফুটছে লাল রুমালের বিষোৎস্না। মার্জিনে রাখা মেয়েলি সিগন্যাল অমার্জিতের মর্যাদা রেখে আসে ফুলমাসির মৌভোলা আঁচলে। খুন হয়ে যায় ভাবনার পারম্পর্য। অস্থির পৃথিবীর ভাস্কর্যসম্ভব প্রতিমা। ফলত সাইরেন বেজে ওঠে পুলিশি প্রতিষ্ঠানে
কালাপাহাড়ি এই শহর
ম্যাজিক খচিত ট্র্যাফিক লাইট
নেভানো ল্যাম্পপোষ্টের নিচে জুয়া খেলে
তারাদের ছায়া
জ্বলে
নেভে
নেভে
জ্বলে
আলোরা তখন নক্ষত্র নেভানো ভুবনডাঙার চর্চাপদে দুপেগ আড্ডারোলের এলিজি লিখে রাখে। পরকীয়ার পান্ডুলিপি শুয়ে থাকে তাসবাড়ির চাঁদচোরা বিছানায়। ভুল প্রেমাবোল তাবোল ফোটাচ্ছে হাইরোডের অবৈধ হরফে
ইস্পাতে গাঁথা শহরতলায় বদল আনে নদী
ধারাবাহিকতায় তুমি ফুটে উঠলেই
পরম্পরার ধারালো ধনুঃস্বরে জেগে ওঠে
মহাকাশের বিন্দুবাসিনী অবুঝেরা
ছায়া থেকে প্রতিচ্ছায়ায় নেমে আসে
ঘাত
প্রতিঘাত
ঘাতের ভেতর নাগরিক পংক্তিসকল। প্রতিঘাতে জেগে থাকে নিবিষ্ট দর্শন। চোখের কুর্নিশগলা নির্যাস পান করে শব্দ ফুটছে অবাস্তবের রোদচশমায়। নিরাময় ডাকা জানলায় একপ্রস্থ নতুন লিখে রাখি রোদগ্রস্ত আঙুলের তুমুল উল্লাসে
চাঁদগলা কুহকের বিরুদ্ধে এই যে আমার স্বড়যন্ত্র
ওঁকার বুনছে দিনরাত
কে তুমি
কেন তুমি
কোথায় তুমি
যেন তুমি তুমি করে ঝরে যাবে
দীর্ঘশ্বাসিত সমস্ত বিরহ সংবাদ
আর শ্রবণমহলে জেগে থাকা নিরন্তর ‘হুম’
নীরবতা খুঁজতে বেরোবে ইনফ্রাসোনিক শব্দমহল্লায়
হল্লাবাজের হলাহলে হাত পেতে দেখো
ওল্টানো রুইতন
আঙুলের উদ্বেগ
অলীক বিদ্রোহ
সব তুমি ছাড়া
যেমন তুমিও তুমি ছাড়া
চলো, দেয়াল ভাঙি। গড়ার আগে। কারণ সিলিকায় দেয়াল গড়ে দিলে ঝাপসা হয়ে আসে দর্শন। দেয়াল ভাঙা শব্দে মুক্ত হয়ে ওঠে প্রথার অনুগামী সমস্ত গদ্য
তুমিও তো দেখেছ
দেয়াল গড়ানো ফোঁটা ফোঁটা জলের ভেতর
ওল্টানো ঘর
ঘরান্তরিত অভিযান কেমন বিস্ময় ফোটাচ্ছে
লংমার্চে নামা বিশ্বকণার পায়ে
এসো
বসো
বলতে বলতেই
ভুলমহল্লায় বেজে উঠল বোসনের মহিমা
নতুনকে নতুন উজাড় হয়ে যাচ্ছে
তোমার সংঘর্ষবাতিক সুড়ঙ্গে
সৃষ্টের চোখ বরাবর সৃষ্টিকে নামিয়ে আনার খেলায়
খেলছি তোমার বুননগ্রস্ত আঙুলে
দেখতে
দেখতে
ফুরিয়ে ফেলছি রোদসাধা রাধার
রা-না-দেওয়া ফোটনের গতি
গতি হারানো চোখে তখন আভ্যন্তরীণ স্বপ্নদোষ। দোষাণুগ্রাফিক কম্পোজিশানে আমি পায়রা বসাই। ঠোঁটচঞ্চল বিম্বাণুরা হারমোনিকপ্রবণ হয়ে উঠলে বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে হরমোন। প্যাভলভের বিজ্ঞান সীমানায় উলটে পালটে লিখতে থাকি প্রতিবর্তী ক্রিয়া
চলো, মূল্যবোধের স্যাঁতানো সূত্রগুলো ছিঁড়তে ছিঁড়তে যাই। প্রগলভ কবিতাপ্রণালীর পাশে রেখে আসি নতুনের কুরুশকাঁটা। বুননের যোগাযোগে দেখো, কেমন অনিবার্য হয়ে উঠছে সমস্ত বিভ্রান্তি
না-কবির কোনো ভ্রান্তি নেই
ছায়া থাকে
আলোও কিছুটা
কবির আলো-না-আলোয় বোনা ঘর
হু হু আলোর পিছনে ছায়া দিয়ে বোনা মৌচাক
নিঃশব্দে জ্বলে যাচ্ছে মোম
আলোছায়ার মাধ্যমের ভেতর তরুণের পাণ্ডুলিপি
খুলে রাখছে বারোয়ারি গ্রন্থিসকল
মন্থনালয়ের বারান্দায় ফোঁটা ফোঁটা জীবন লিখছে
কাচঘরের ইশারামুখর দর্শন
দর্শনানন্দে ফুলিয়ে তুলছি বেলুন
হাওয়ার ভেতর আকাশকুসুম
উড়তে
উড়তে
মনস্তাত্ত্বিক আঙুলে
ঘুণ লাগা নখের ভেতর গজিয়ে উঠছে শারীরিক বিকার, হাওয়াবাহী শিরা উপশিরায় গঠিত তাদের
হাত
পা
মাথা
গঠনের ভেতর প্রাত্যহিক মান
মানদন্ডে মাপা অভিমান
কিছুটা অনুরাগও বলতে পারো
হাড়ের ভেতর লাফিয়ে উঠছে ছায়া। উন্মাদ অবসরে উড়ে আসে কালো মেঘ। মাঝরাতে বেলুনওলার ঘন্টি শুনি শ্রবণবিরোধী নিউরোনে। অসহযোগ আবর্তে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরনবাতিক পৃথিবীও অন্তরঙ্গ হতে থাকে স্বরূপে
উহ্য রাখা অর্ঘ্যর গায়ে অনুক্ত ঢাল বসাই
কোমল হয়ে আসে বাঁকানো ধনুঃস্বর
মনস্তাত্ত্বিক আঙুলে তখন বিচ্ছিন্নতার লড়াই
উড়ন্ত বেলুনের সুতো কেটে যায় নিঃশব্দে
একা হাওয়া
একলা আকাশ
একপশলা প্যাশান
অলখ স্বরে ডেকে নেয় কমলা রঙের বেলুনগুলো
বেলুনবালার আঙুলে জড়ানো প্রফুল্লরা ক্রমে নিভে আসে কনেদেখা আলোর দাগানো শ্যামবর্ণে। মধ্যরাতের অন্ধকার চাঁদঢলানো ঘুমপাহাড়ের গায়ে লিখে রাখে গাঢ় রাত্রিত্বক। ফর্সা হওয়ার ক্রিমের ভেতর নিশ্চিন্তে ঘুম যায়
স্মৃতি
বিস্মৃতি
আমার ঘুমের সমস্যা জেগে থাকে
সিঁড়িভাঙা দ্বন্দ্ব নিয়ে ভেঙে ভেঙে যাই
যাই কেন প্রভু
যাওয়ার তো কোনো আসা নেই
তুমি স থেকে শ করতেই পারো
পুরে ফেলতে পারো সোনালি খাঁচায়
আমার সমস্যা তবু জেগে থাকে
গরাদের ভেতর
না-ঘুমের ভেতর
তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে তার সূচিমুখ
প্রতিরাতে একটু একটু করে বর্ণান্তর ঘটে যায় সেরিব্রামের কোষকলায়। কোষের মধ্যবর্তী শূন্যস্থান দখলে আসে তোমার। বিজ্ঞাপনের নেশানো অস্তিনাস্তি গুনগুনালে ঘুমহীন ঘোরে বেঘোর হয়ে ওঠে কোষের দেয়াল
কেন্দ্রমুখী ভ্রূণ
বদল ডেকে ডেকে
ঢেকে ফেলে বহিরঙ্গের খোঁচাওলা গথিক
অন্তর্গুহার দাওয়ায় উড়ো হাওয়া
গুছিয়ে তোলে কুন্তলিমা
আমি তখনও বিনুনি বাঁধার মোহে সাজিয়ে তুলছি কুন্ঠিত আত্মজাকে। অন্ধকার সিঁড়িঘর সরে আসছে সন্তপর্ণে। মাথার ভেতর ক্রমশ জেগে উঠছে আলোবাসার চিলেকোঠা
দৃশ্য বাজিয়ে সাদৃশ্য আনছি তোমার বাঁকজর্জর গ্রীবায়
অনুকূল চোখের সংশয় থেকে
অন্ধকারের অচলাবস্থা থেকে
ডেকে নিয়ে যায় প্রজাপতি
বিরহবাদের ফুটপাথে নেমে আসে রাধাসদনের কৃষ্ণকলি। প্রেমফ্রেমের কাটাকুটি খেলায় ভুল চলনের শূন্য বসাতে বসাতে গেঁথে ফেলছি একটা গোটা বিষণ্ণ রাত। অনিবার্য কালবেলা
ঢ্যাঙা রমণীয়তার ফ্যাশান শোয়ে
রতি ও নিয়তি
সমতুল্যে ঝুলে থাকে মানদন্ডের দুপাশে
তোমার রাতচরা আলো জ্বেলে
উজান বাইছি সিঁড়িঘরের অন্ধ ঝিলমিলে
রং চাইছি
ডানা চাইছি
চাওয়াবাদের সিম্ফনিতে লিরিক গেঁথে গেঁথে শাহরিক ট্রামলাইনে জিইয়ে রেখেছি একটা গোটা যুগের নির্বানন্দ। তুমি দেখলে না রঙমহলের বারোয়ারি প্রতিযোগিতা থেকে কখন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল সন্ত্রাসীদের দল। নতুনের চলচঞ্চল পায়ের জলছাপ ট্রামলাইনের চিহ্ন মুছে নির্মাণন্দে গড়ে তুলল আনন্দনিকেতনের খোলা হাট
আনন্দ এক অন্তর্বর্তী সেট
এপাশে ওপাশে টাঙানো
কিছু আশালীন কুয়াশা
কিছু বিষণ্ণতার রোচনামচা
ভুল মরসুমে ভেস্তে যাওয়া দলীয় সমাবেশ
বদল খুঁজছে
কেলাসিত এই শহরসময়ে
সেটের হাতলে আপৎকালীন শব্দ বসিয়ে
টেনে রাখি প্রসারণ ক্ষমতার ছড়
হাইফেনের টানা সড়কে নেচে ওঠে
আমাদের অবস্থান
গত দুদিন বা আগামী দুদিনের চর্চাপদে বাড়তে থাকে সেটের সম্ভাব্য সীমানা। অসীম সংক্রান্ত সমস্ত পারমুটেশান থেকে একটা একটা করে তুলে ফেলি বিন্যাস। দেখো, স্রষ্টালজির শৃঙ্খলা মুছে শব্দেরা কেমন পা ছড়িয়ে বসে আছে তোমার প্রশ্রয়ে। মনোরঞ্জনের ভেতর এই যে তোমার মগ্নতা, প্রশ্রয়ের ভেতর এই যে তোমার দিগন্তবোধ, কোথায় জমাবে তার মুহূর্তের হিসেব
এই কাল
এই ক্ষণ
কিংবা অবস্থান থেকে তুলে নিই পারস্পরিক সমবায়প্রথা
প্রথাবিরোধী শমন জারি হলে
নিয়মাবলির গ্রন্থি খুলে আবার গাঁথতে বসি
অজানা সেটে
অচেনা মন্থনে
অন্ধকারের রূপটান থেকে রঞ্জনরশ্মি তুলে তুলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আনোখা রূপকল্প। সরলরেখা বাঁকিয়ে চুরিয়ে আলোরা ঢুকে পড়ছে মাশরুমের ম্যাজিকে। শহর ফুঁড়ে জেগে উঠছে মনোবিকারের মানোয়ারি জাহাজ। মনস্তাত্ত্বিকের পিছল মস্তিষ্ক বেয়ে যোগাযোগে নামছে বাতাসের মই, রসায়নে গাঁথছে কোষবন্ধন সেতু। পারাপারের পায়ে কথারা নেচে উঠছে সাপের গায়ে গায়ে। ফিসফিসে নেমে যাচ্ছে তোমার দেখার পার্সপেকটিভ। আসলে দেখার জন্য পায়ের নিচে কোনো গন্ডি দেবার দরকার নেই। গোল পায়ের ছকে তুমি নামতেই পারো পাগলের ভূমিকায়
প্রস্তাবনায় রাখছি কিছু সুগন্ধ
কিছুটা ক্লিনিং এজেন্ট
লুকোনো সবুজের চারা
তকতকে হয়ে উঠছে বাথরুমের আয়না
ছায়াপ্রবণ মেঘ ডাকলে বৃষ্টি খসাবে আয়না আর তুমি হয়ে উঠবে মুহূর্ত। মুহূর্তের গায়ে জেগে উঠবে দুএকটা ছক।পরিকল্পনার অভাবে হ-য-ব-র-ল খোপ। ছকবাঁধা চৌরাস্তা শেষ থেকে শুরু থেকে অলিগলি খুঁজে খুঁজে হয়রান। দু মিনিট নীরবতা পালন করো হে। দেখছো না, রাত নামছে খোপের
ঘরে
বাইরে
মাঝরাতে পৃথিবীর প্লেটোনিক লভ্
লভ্যাংশ কেটে রেখে সরে যায়
শূন্যের সরগমে
কেঁপে ওঠে যোগাযোগ সেতু
এইসব সরে যাওয়ার ভেতর জমা হতে থাকে আমাদের কথারা। কথার গায়ে লেগে থাকা দৃশ্যরা মই ভেঙে ভেঙে উঠে যায় পাগল চোখে
পা গোল
তার চোখসংক্রান্ত মিথ
জলছলে টলটল করে ওঠে
জলতলে রাখা আয়না ভূমিকা গড়লে সমস্ত জলযাত্রা স্বচ্ছ হয়ে ওঠে মনোবিজ্ঞানের স্বতন্ত্র শব্দে
Monday, January 9, 2012
Thursday, January 5, 2012
History repeats itself
I am history
I have every right to repeat myself
--
স্মৃতিও কমলা হল
সমস্ত দোটানা যেভাবে কমলা হয়ে যায়
ভালো লাগে কর্মসূত্রে
নিজের থেকে দূরে থাকা
পিঁপড়ের ঢিবির পাশে উবু হয়ে
নিজেকেও মনে রাখা,
ছুটকো প্রশ্রয়, সিগারেট দু’একটা
কিছুটা তো সঙ্গত হওয়া যায়
কিছুটাকে সঙ্গত করে তোলা
হৃদ্যতার কাছে বসে থাকো
ভালো লাগে তোমার অস্পষ্টতা
তুলনাপ্রবণ ঘাসে রোদ পড়ে
একই রোদ গ্রীলেও আছড়ায়
স্মৃতির সাথে পাল্লা দিয়ে সক্ষমতা বাড়ে
আর সব কিছু কমলা হয়ে যায় ।
-------------------
হাত
---
তোমার স্তিমিত হাতে
ধ্বনি ও স্বরূপ দুই ক্রীড়াশীল
অল্প অল্প ভাপ ওড়ে
আলগা হয়ে যায় বিকেল
আঘাতের কথা মনে পড়ে
সারল্যের কথা
পূর্ণতা কী ভাবে অব্যবহৃত হয়ে থেকে যায়
তার কথা, স্তিমিত হাতের কথা
অল্প অল্প ভাপ ওড়ে
--
সময় নয় ঘড়িটিই একটা ধারণা
আর ধারণা মাত্রেই যে অপারগ
ধার নেই, ভার নেই
ধারণ করতে পারে না বহন করতে পারে না
এটা বুঝতে এতদিন ঘড়ি পরে বেড়ালাম
মিথ্যে মিথ্যি কব্জিতে রোদ পড়ল না বহুকাল
--
হাতের কাছেই আছে সব কিছু
স্পর্শটুকু ছাড়া
এমনকী ভুল করে ভুলে যাওয়া
ঠিক করে নেওয়ার মত অঙ্ক
আর কত লোক হাত নেড়ে চলে গেল
চিনে না চিনে
সবাইকে বলি-- ভালো থাক তোমাদের হাত
হাতে লেখা মতামতগুলো
ভালো থাক হাতে হাতে অতঃপররাজি
--
টেবিলে তরঙ্গ ছিল
খানিকটা পড়ে আছে আঁচ
অবারিত আর্বান হাতে কাঁপা-কাঁপা গ্রামীণ কবিতা
আমিও লিখেছি
টেবিলে তরঙ্গ ছিল
তাহাতে পড়িয়াছিল কৃষ্ণচূড়ার ছায়া
শহুরে ও ফিকে কৃষ্ণকায়
হাতের ছায়ার পাশে অর্থহীন অথচ
মানানসই
--
শুশ্রূষা কাহার হাতে – এমত প্রশ্নের উঠানে ঝাড়ু পড়ে – পাতাগুলি ওড়ে শুদ্ধশীল । প্রতিশ্রুতিময় সেই সব পাতা, চোখের, হাতের, কবিতার খাতার, অজস্র যাতনার পাতা । আঘাতের মতই সরল ও বিবেচনাহীন ।
--
দূরের কাঠামোগুলি আলোকিত ছিল, ফলে দূর, দূরতর ছিল । ভারসাম্য ছিল—দৃশ্য যেমনই হোক, দৃষ্টিতে যে ভারসাম্য থাকে... এইসব আমাদের ঋণী থাকার গল্প, অনুভূত হয়ে ওঠার প্ররোচনা ও পদ্ধতিময় ...রাত বাড়ছিল, আলো বাড়ছিল, ছায়া বাড়ছিল—দূরগুলি দূরতর ছিল । অল্প অল্প ভাপ উড়ছিল ম্যুরাল কারখানায় ।
পরিবিষয়ী নয়, অবিষয়ী কিছু বলা যেতে পারে । পোষ্ট করা ঠিক হল কি-না বুঝতে পারছি না-- তবু...
I am history
I have every right to repeat myself
--
স্মৃতিও কমলা হল
সমস্ত দোটানা যেভাবে কমলা হয়ে যায়
ভালো লাগে কর্মসূত্রে
নিজের থেকে দূরে থাকা
পিঁপড়ের ঢিবির পাশে উবু হয়ে
নিজেকেও মনে রাখা,
ছুটকো প্রশ্রয়, সিগারেট দু’একটা
কিছুটা তো সঙ্গত হওয়া যায়
কিছুটাকে সঙ্গত করে তোলা
হৃদ্যতার কাছে বসে থাকো
ভালো লাগে তোমার অস্পষ্টতা
তুলনাপ্রবণ ঘাসে রোদ পড়ে
একই রোদ গ্রীলেও আছড়ায়
স্মৃতির সাথে পাল্লা দিয়ে সক্ষমতা বাড়ে
আর সব কিছু কমলা হয়ে যায় ।
-------------------
হাত
---
তোমার স্তিমিত হাতে
ধ্বনি ও স্বরূপ দুই ক্রীড়াশীল
অল্প অল্প ভাপ ওড়ে
আলগা হয়ে যায় বিকেল
আঘাতের কথা মনে পড়ে
সারল্যের কথা
পূর্ণতা কী ভাবে অব্যবহৃত হয়ে থেকে যায়
তার কথা, স্তিমিত হাতের কথা
অল্প অল্প ভাপ ওড়ে
--
সময় নয় ঘড়িটিই একটা ধারণা
আর ধারণা মাত্রেই যে অপারগ
ধার নেই, ভার নেই
ধারণ করতে পারে না বহন করতে পারে না
এটা বুঝতে এতদিন ঘড়ি পরে বেড়ালাম
মিথ্যে মিথ্যি কব্জিতে রোদ পড়ল না বহুকাল
--
হাতের কাছেই আছে সব কিছু
স্পর্শটুকু ছাড়া
এমনকী ভুল করে ভুলে যাওয়া
ঠিক করে নেওয়ার মত অঙ্ক
আর কত লোক হাত নেড়ে চলে গেল
চিনে না চিনে
সবাইকে বলি-- ভালো থাক তোমাদের হাত
হাতে লেখা মতামতগুলো
ভালো থাক হাতে হাতে অতঃপররাজি
--
টেবিলে তরঙ্গ ছিল
খানিকটা পড়ে আছে আঁচ
অবারিত আর্বান হাতে কাঁপা-কাঁপা গ্রামীণ কবিতা
আমিও লিখেছি
টেবিলে তরঙ্গ ছিল
তাহাতে পড়িয়াছিল কৃষ্ণচূড়ার ছায়া
শহুরে ও ফিকে কৃষ্ণকায়
হাতের ছায়ার পাশে অর্থহীন অথচ
মানানসই
--
শুশ্রূষা কাহার হাতে – এমত প্রশ্নের উঠানে ঝাড়ু পড়ে – পাতাগুলি ওড়ে শুদ্ধশীল । প্রতিশ্রুতিময় সেই সব পাতা, চোখের, হাতের, কবিতার খাতার, অজস্র যাতনার পাতা । আঘাতের মতই সরল ও বিবেচনাহীন ।
--
দূরের কাঠামোগুলি আলোকিত ছিল, ফলে দূর, দূরতর ছিল । ভারসাম্য ছিল—দৃশ্য যেমনই হোক, দৃষ্টিতে যে ভারসাম্য থাকে... এইসব আমাদের ঋণী থাকার গল্প, অনুভূত হয়ে ওঠার প্ররোচনা ও পদ্ধতিময় ...রাত বাড়ছিল, আলো বাড়ছিল, ছায়া বাড়ছিল—দূরগুলি দূরতর ছিল । অল্প অল্প ভাপ উড়ছিল ম্যুরাল কারখানায় ।
পরিবিষয়ী নয়, অবিষয়ী কিছু বলা যেতে পারে । পোষ্ট করা ঠিক হল কি-না বুঝতে পারছি না-- তবু...
Wednesday, January 4, 2012
Tuesday, January 3, 2012
সম্নিলকি-১৪
দূর আর ঘনর প্লট কি একটা মৌলিক সরলরেখা? অশ্বক্ষুর? উপবৃত্ত ?
কল্প নাহয়
বাস্তবিক
তোমার গায়ে আমার শার্ট
তুমি আমার শার্ট গায়ে কেমন কুৎসিত
পনির গলছে কি না?
তুমি শোনাও রেণুর কথা – অনেক টানের পোকা, কি বাঁক
কি একটা ব্যাবহারযোগ্য মিথ
ঢাল হলো ভাবনা
একটা তামার ড্রাম
বাদকদলের স্ক্রু ভেঙে গড়িয়ে নামছে ঢাল বরাবর
তাওয়ায় পনির , ঘনত্ব , সুরের ঘন
মূল করে ভাষা
যেন কিছু দুরবীন কাছে আসতে চায়। ছোট কাচির ব্যাগ লুকিয়ে, উত্তোলিত কয়লা লুকিয়ে
আঙুল চাটছি, নখ চাটছি
রান্নাঘরে
কেউ গয়না খুলছে না কি, যেমন করে কথা বলো তুমি
যেমন করে উল্টাস্রোতঃ তোমার বেসিনে আমার মুন্ডু
দুলতে থাকে ফুটা, প্রতিটা পানির লোম আলাদা আলাদা করে দেখো
প্রতিধ্বনি মাপো, বস্তুনিষ্ঠতার জায়গা একটাই
যাদুঘরে সাজানো হাড্ডিগুলি নেড়ে চেড়ে ভালবাসো আরো আরো তামা
পবিত্রতা জরুরী লাগে, কন্ডম সেভাবে লাগে না
যেভাবে কন্ডম লাগে
আমি তাও পাতার মত ঝরে পড়তে পারি
হাবড়া চোখে তাকাতে পারি রান্নাঘরের তাক থেকে তাকে
যখন তুমি লতা গুল্ম ক্ষুর
"অনেক টানের পোকা থাকে – যে যত জটিল ভাবে আত্মমুখী
সে তত উন্মিলিত, তত বাকু, এক দিকে ঘোড়ার মাথা, অন্য দিকে প্রথম কারণ"
আসো তবে সূত্রমত নদীর কথা বলি
অথবা সকেটঃ যার উপর রেটিনা ঘুরছে, বিন্দু বিন্দু রক্তে মিশছে তোমার বিশ্বাস –
বুঁদমাত্র আনন্দ, আনন্দ মাত্র দুঃখ, দুঃখ মাত্র সম্ভাবনা – এই যে ঘন মিইয়ে এলো পূবদিকে
প্রশ্ন করছো। ভাড়া বাসাও বদলাতে মায়া হয়
এরচে করিডোর ভাল
বন্ধ সেলুন
অন্ধকারে চেয়ারগুলি আয়না বরাবর
গুচ্ছ গুচ্ছ ঝুলন্ত পরচুলা
বুড়ো তার দস্তানা পকেটে ফেলে পাঁচটি বলিরেখা বার করে আনে
আর মেয়েগুলি নুফি নুফি বলে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে বারের ভিতর
আসো তবে নিন্দামন্দ করি
অথবা ঘনত্বঃ যেখানে দূর মেশালে পাওয়া যায় তামা
পোকার কথা বলি
ফুলের পাপড়ি দেখে ছুটে যাই কতনা স্তর নিয়ে একটা কন্ডমের মাঝে
তোমার গায়ে আমার শার্ট কুৎসিত
Monday, January 2, 2012
ব্লেডলিখিত সত্তাচিহ্ন
৩৪
বড় বেশি করে ভেবেছো আর্দ্র নভেম্বরের কথা
পেঁচিয়ে গেছে জানুয়ারির কাচের গাছে
ভিজে মাটিতে কি শীত লতিয়ে চলে?
ঋজু পাতায় জলজ ব্যাকরণময়
একটা শব্দ – বাসস্থান – বারবার ঝাঁপিয়ে পড়ে
ছত্রখান করে দিয়েছে চলন
তুমি ফিরতে পারোনা বলে নিজের
অতি সাধারণ চামড়ার দিকে দেখো
সামনের নির্মীয়মান বাড়ির দিকে
মিস্তিরির বউ কি লজ্জা পায়,
সকালের স্নানের সময়ে হঠাৎ বমি পেলো
গমখেতে হলে এমন হত?
এই সিমেন্ট ও ইঁটের পাশে একটুকরো চালাঘর
শাশুড়িও তরুণী কিন্তু ঘোমটা দেয়না
শশুরের তক্তাপোশ থেকে গোঙানির শব্দ আসে
এখনো সপ্তাহে তিনদিন
মেঝের জলদি সোহাগ সে তো গ্রাম বা মেলা নয়
সন্তানের অভ্যাস
বাচ্চা ছেলেমেয়ে দিয়ে ভরে গেছে
সপ্তাহান্ত প্র্যাম কুকুর ও প্রাচুর্য
শুধু কখনই স্নিগ্ধতা না জানা খেলা ঘিরে রাখছে তাদের
তুমি কি এসব থেকে ছিটকে যাও?
শুধু খেলা থেকে ছিটকে আসে রুক্ষ চলন
রাস্তার বাঁকে একটা ভেজা জারুল
পেতেও বুঝি কেউকেটা হতে হয় দূরের শহরে
৩৫
হাওয়া নীচু হয় আর তুমি দেখো কীভাবে ছাই হাত
রুটি তুলে নেয় এই অস্থায়ী চুল্লিশিবির থেকে
কারা বেরিয়ে আসে? দূর থেকে বাতিল মাঠের গায়ে চেয়ে
কতদিন ভেবেছো এখানে কিছু সত্যি নয়
দূরের শহরে বুঝি সন্ধে হল বাজার ও ঘামের পাশে সত্যি মানুষের
চলাচল, কেন চলে আসে বলো এত লোক বাতিল পেরেকের অতিরিক্ততায়
রিক্ত লেগে আছে চিরকাল রাতের দেহে যেমন অনিবার্য
ভারি পুকুরের সত্তা... অথচ আসা থাকে
বারবার অপরিচিত জানুয়ারি কুয়াশায় ভিজে গেলে দূরে কোথাও
চেনা গান মুদির দোকান ফেরত মায়ের হাতে লতিয়ে ওঠে
বাবার ফাঁকা ঘরের সামনে কি দাঁড়ায় একটু আজকাল?
সামনে ব্লেডের পাতাওলা গাছ সমেত
জ্যোৎস্নার ধাতব ছায়ায় বাড়িটা কি ঝাঁকড়া হয়ে উঠেছে?
আর কেউ রাত করে বাড়ি ফিরবেনা বলে সন্ধেবেলা তালা পড়ে
শুধুই টিভির শব্দে শিহরিত হয়ে থাকে কথোপকথন
৩৪
বড় বেশি করে ভেবেছো আর্দ্র নভেম্বরের কথা
পেঁচিয়ে গেছে জানুয়ারির কাচের গাছে
ভিজে মাটিতে কি শীত লতিয়ে চলে?
ঋজু পাতায় জলজ ব্যাকরণময়
একটা শব্দ – বাসস্থান – বারবার ঝাঁপিয়ে পড়ে
ছত্রখান করে দিয়েছে চলন
তুমি ফিরতে পারোনা বলে নিজের
অতি সাধারণ চামড়ার দিকে দেখো
সামনের নির্মীয়মান বাড়ির দিকে
মিস্তিরির বউ কি লজ্জা পায়,
সকালের স্নানের সময়ে হঠাৎ বমি পেলো
গমখেতে হলে এমন হত?
এই সিমেন্ট ও ইঁটের পাশে একটুকরো চালাঘর
শাশুড়িও তরুণী কিন্তু ঘোমটা দেয়না
শশুরের তক্তাপোশ থেকে গোঙানির শব্দ আসে
এখনো সপ্তাহে তিনদিন
মেঝের জলদি সোহাগ সে তো গ্রাম বা মেলা নয়
সন্তানের অভ্যাস
বাচ্চা ছেলেমেয়ে দিয়ে ভরে গেছে
সপ্তাহান্ত প্র্যাম কুকুর ও প্রাচুর্য
শুধু কখনই স্নিগ্ধতা না জানা খেলা ঘিরে রাখছে তাদের
তুমি কি এসব থেকে ছিটকে যাও?
শুধু খেলা থেকে ছিটকে আসে রুক্ষ চলন
রাস্তার বাঁকে একটা ভেজা জারুল
পেতেও বুঝি কেউকেটা হতে হয় দূরের শহরে
৩৫
হাওয়া নীচু হয় আর তুমি দেখো কীভাবে ছাই হাত
রুটি তুলে নেয় এই অস্থায়ী চুল্লিশিবির থেকে
কারা বেরিয়ে আসে? দূর থেকে বাতিল মাঠের গায়ে চেয়ে
কতদিন ভেবেছো এখানে কিছু সত্যি নয়
দূরের শহরে বুঝি সন্ধে হল বাজার ও ঘামের পাশে সত্যি মানুষের
চলাচল, কেন চলে আসে বলো এত লোক বাতিল পেরেকের অতিরিক্ততায়
রিক্ত লেগে আছে চিরকাল রাতের দেহে যেমন অনিবার্য
ভারি পুকুরের সত্তা... অথচ আসা থাকে
বারবার অপরিচিত জানুয়ারি কুয়াশায় ভিজে গেলে দূরে কোথাও
চেনা গান মুদির দোকান ফেরত মায়ের হাতে লতিয়ে ওঠে
বাবার ফাঁকা ঘরের সামনে কি দাঁড়ায় একটু আজকাল?
সামনে ব্লেডের পাতাওলা গাছ সমেত
জ্যোৎস্নার ধাতব ছায়ায় বাড়িটা কি ঝাঁকড়া হয়ে উঠেছে?
আর কেউ রাত করে বাড়ি ফিরবেনা বলে সন্ধেবেলা তালা পড়ে
শুধুই টিভির শব্দে শিহরিত হয়ে থাকে কথোপকথন
একটা লেখা
ঘষা কাচ—প্রথা
প্রথার ওপারে ফাঁকা ও প্রশস্ত নতজানু
লাট খায় রূপের রিবন
চরিত্র এখানে থাকে না
সাবলীল বাসাগুলো বাড়ি হয়ে গেছে
কবেই
আটপৌরে বিস্ময় ঝুলে
থাকে ব্যালকনি কাঁপানো তারে
ঠাপ ওঠে ঠাপ পড়ে
জলে ও ভঙ্গুরে
যত দূরে যাও বৃত্তাকার অল্পখানিক ঢেউ
শেষতক কেন্দ্রেই ফেরে (পিরিয়ড) শেষ হয়ে যায়
সাঁঝের বিষয় ফিরিল কুলায়
লেখা ফিরিল না ঘরে
গান হয় এইসব গান হয় কিছুটা সুরেলা
শ্বাস । আঘাত । ফাঁকা ও প্রশস্ত
জলে । ভঙ্গুরে
বাকীটা সংকেত
সংকেত যে একটা ডিকশান – এ তোমাকে বিদ্যালয় শেখাবে না । হাম্পু করে দেবে । সোজা সোজা বল । ফিকশানি গান গাও – রাজার কুমার পঙ্খীরাজে । আকাশ থেকে পঙ্খীরাজ লেদে দিলে কি হবে জানতে যেও না – যতদূরসম্ভব ত্রস্ত বাংলায় ফাঁকা ও প্রশস্ত মনোনিবেশের কথা বল । ডুবন্ত মানুষ’কে বল—জলই জীবন । জলে চাঁদ পড়ে – চাঁদের শৌচকর্মাদি, চাঁদের সাবান কই ? না-কি দেহ ভাসে,
কার দেহ ?
তার দেহ –আটারলি মরণোত্তর ।
(সোজাসুজি বলতে গেলে-- যে শালা ডুবে মরে, সেই শালা মরে ভাসে)
--
আলো ক্রমে আসিতেছে ..................
নিভে
নিভাননী জাম বাটি হাতে খই দুধ খায়
বেপাড়ার মেঘ এসে র্যা লা মেরে যায়
কালিদাসে নেই সেই সব থান্ডার মেঘ
কেঁদো কেঁদো মেঘ
শীতের ডগায়
শিমুল নিভিয়াছিল প্রাক্কালে
এখন সে পাতায় পল্লব
শীত কালে এ মাহ ভাদর
ভরা ভরা ঘড়া ঘড়া
এভাবেই আলগা মলাটে ধরা পড়ে যাবে ! এতটাই ঈশ্বরামি ! ওহো গায়ে লাগে । গায়ে লাগে এইসব প্রজন্মরহিত সমাধান । জন্ম এসে জড়ো হয় হাতে, প্রান্ত এসে জড়ো হয় হাতে – জড় ফুলে নিকেশের আলো – বোঝা যাবে কি ভাবে নষ্ট হয়েছি ? কিভাবে প্রভুরা নষ্ট হয়ে যায় ? নষ্ট মানুষ আর নষ্টামি -- কোন পাহাড়ে, সৈকতে তারা হামা টানে ? এরপর অপলক হয়ে ওঠো তুমি, প্রগলভ হয়ে ওঠে কথা । ঘুম পায় বেধড়ক । ঘুমাতে পারি না ।
ক্লান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভু
লিখতে পারি না, গায়ে জল থেমে গেছে আটকে রয়েছে পোস্টারের মত তার হুলিয়া দৌড়চ্ছে ডেকে আনছে ক্রমান্ধ গান রাত্রি বরাবর কত লেখা থাকে কত সুর থাকে বোবা বালকের ম্যান্ডোলিন গাধার ক্ষুরের চাট সামলে উঠতে চাইছি অথচ পারছিনা হে নান্দনিক হে গলিত স্থিরতা বোধ জন্ম বহুবার উদ্ধৃত নুন ও শরীর বাতায়নসারি্র সামনে একা তাল গাছ ।
ওহো ক্লান্তি আমার ।
ওহো ক্ষমা তোমার ।
এসো, তোমাকে মতান্তর করে সঞ্চয় করি ।
প্রথার ওপারে ফাঁকা ও প্রশস্ত নতজানু
লাট খায় রূপের রিবন
চরিত্র এখানে থাকে না
সাবলীল বাসাগুলো বাড়ি হয়ে গেছে
কবেই
আটপৌরে বিস্ময় ঝুলে
থাকে ব্যালকনি কাঁপানো তারে
ঠাপ ওঠে ঠাপ পড়ে
জলে ও ভঙ্গুরে
যত দূরে যাও বৃত্তাকার অল্পখানিক ঢেউ
শেষতক কেন্দ্রেই ফেরে (পিরিয়ড) শেষ হয়ে যায়
সাঁঝের বিষয় ফিরিল কুলায়
লেখা ফিরিল না ঘরে
গান হয় এইসব গান হয় কিছুটা সুরেলা
শ্বাস । আঘাত । ফাঁকা ও প্রশস্ত
জলে । ভঙ্গুরে
বাকীটা সংকেত
সংকেত যে একটা ডিকশান – এ তোমাকে বিদ্যালয় শেখাবে না । হাম্পু করে দেবে । সোজা সোজা বল । ফিকশানি গান গাও – রাজার কুমার পঙ্খীরাজে । আকাশ থেকে পঙ্খীরাজ লেদে দিলে কি হবে জানতে যেও না – যতদূরসম্ভব ত্রস্ত বাংলায় ফাঁকা ও প্রশস্ত মনোনিবেশের কথা বল । ডুবন্ত মানুষ’কে বল—জলই জীবন । জলে চাঁদ পড়ে – চাঁদের শৌচকর্মাদি, চাঁদের সাবান কই ? না-কি দেহ ভাসে,
কার দেহ ?
তার দেহ –আটারলি মরণোত্তর ।
(সোজাসুজি বলতে গেলে-- যে শালা ডুবে মরে, সেই শালা মরে ভাসে)
--
আলো ক্রমে আসিতেছে ..................
নিভে
নিভাননী জাম বাটি হাতে খই দুধ খায়
বেপাড়ার মেঘ এসে র্যা লা মেরে যায়
কালিদাসে নেই সেই সব থান্ডার মেঘ
কেঁদো কেঁদো মেঘ
শীতের ডগায়
শিমুল নিভিয়াছিল প্রাক্কালে
এখন সে পাতায় পল্লব
শীত কালে এ মাহ ভাদর
ভরা ভরা ঘড়া ঘড়া
এভাবেই আলগা মলাটে ধরা পড়ে যাবে ! এতটাই ঈশ্বরামি ! ওহো গায়ে লাগে । গায়ে লাগে এইসব প্রজন্মরহিত সমাধান । জন্ম এসে জড়ো হয় হাতে, প্রান্ত এসে জড়ো হয় হাতে – জড় ফুলে নিকেশের আলো – বোঝা যাবে কি ভাবে নষ্ট হয়েছি ? কিভাবে প্রভুরা নষ্ট হয়ে যায় ? নষ্ট মানুষ আর নষ্টামি -- কোন পাহাড়ে, সৈকতে তারা হামা টানে ? এরপর অপলক হয়ে ওঠো তুমি, প্রগলভ হয়ে ওঠে কথা । ঘুম পায় বেধড়ক । ঘুমাতে পারি না ।
ক্লান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভু
লিখতে পারি না, গায়ে জল থেমে গেছে আটকে রয়েছে পোস্টারের মত তার হুলিয়া দৌড়চ্ছে ডেকে আনছে ক্রমান্ধ গান রাত্রি বরাবর কত লেখা থাকে কত সুর থাকে বোবা বালকের ম্যান্ডোলিন গাধার ক্ষুরের চাট সামলে উঠতে চাইছি অথচ পারছিনা হে নান্দনিক হে গলিত স্থিরতা বোধ জন্ম বহুবার উদ্ধৃত নুন ও শরীর বাতায়নসারি্র সামনে একা তাল গাছ ।
ওহো ক্লান্তি আমার ।
ওহো ক্ষমা তোমার ।
এসো, তোমাকে মতান্তর করে সঞ্চয় করি ।
Subscribe to:
Posts (Atom)