সোমনাথ সেন
১
এখানেই দাঁড়িয়ে পড়ি
ভেবেছ জমাট থাকবে অস্তিত্ব
১
এখানেই দাঁড়িয়ে পড়ি
ভেবেছ জমাট থাকবে অস্তিত্ব
উগ্র মাংসের ভিড় থেকে খসে পড়া আস্তরণ
তাও তো ভাঙা শব্দের পায়ে বিঁধে থাকে
মোহের বাইরে এই যে চলন, তা কি স্থিতকামী নয়?
বিদীর্ণ বাগানের রেণু কোথায় ছড়িয়ে পড়ে
পাথুরে উপত্যকা বেয়ে একটা মার্চের দুপুর
কোথাও পতনোন্মুখ থাকে
বুঝতে পারি, শীতকাল আসলে হলুদ চেহারার ছাপ পেরিয়ে আসা
অনুরোধের আসর
বেড়া টপকে এই কাছাকাছি চলে আসা
জলাজমি ও অস্তিত্বের মধ্যে ফারাক
তা আসলে পাহাড়ি বাঁকের গভীরতা
বাকি, অযান্ত্রিক মোহ ও আঁচড় নিয়মমাফিক বাঁক ঘুরলেই
অস্থিরতা প্রগাঢ় হয়
২
এই নেমে আসার সম্ভাবনা আসলে কতটা বিচ্ছিন্ন
তা চোয়াল ও দাগ থেকেই প্রমাণিত – হঠাৎ তুলনাহীন মানুষের
দিকে
সমীচীন থেকে যায় পটভূমি
এটুকুই নিষ্প্রভ ছিল, দূরের চেতনা ঘিরে
প্রবল দৈব পাকের রাস্তা
বিকেল ও ক্ষুধার গভীরতা বাড়ায়
নিরুত্তাপ গ্রন্থির চেয়ে এই শিখা ভালো
বাকি অনিশ্চয়তার গন্ধ নিয়ে
কেউ কেউ নেমে গেছে
উজ্জ্বল নক্ষত্রের তলায়, আবার জেগে উঠছে ফুল
লালচে স্বভাব নিয়ে অবশ্যম্ভাবী পাকগ্রন্থি
৩
অস্তিত্বের সামনে চলে আসা এই কি সহন?
যার পরিবর্তিত হতে থাকা বিনয়ের ছাপ ও ভঙ্গিমা
দেখে আমরাও বুঝতে পারছি
সতর্কতা ও আবর্তনের বাইরে গভীর জলাশয় ছাড়া আর কিছুই
তরল থাকল না
ক্রমশ রাত্রিকালীন সম্ভাবনা গাঢ় হলে
কালচে টিনের ওপর অস্বস্তি-বিদারক আলো ঠিকরে আসে
প্রতিসরণের উপস্থিতি ছাড়া
যে দাগ পরিস্ফুটই হত না
তার নীলচে আঘাত তাড়না পেয়ে
আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করে – নিভন্ত মানুষের চোখ আঁচড়াতে
থাকে
গভীর মোহ
শুধুমাত্র যৌথতার প্রসঙ্গ আসছে না বলে
শীতকাল প্রাধান্য পেল না
৪
এই বিতর্ক আসলে অনুদীর্ঘ মানুষের ছায়া
যদিও প্রবাহের দিকে শুধু মাত্র ছাপ থেকেছে তাই নয়
কিছু সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে গেছে
জলজ বীজ – দেখছি কিভাবে পাথরের আড়াল থেকে
একটুকরো লেন্সের ব্যবহার প্রাধান্য পায়
সামান্য বলদের দিকে, ধারণার দিকে যে বয়ে আসছিল
সেই কলরব ও সচেতনতার বাইরে তবে কি আজও
স্বস্নেহ আঘাত ভুলে যায় প্রকৃত লেহনের পথ?
আমরা দেখছি প্রবল আলোড়ন
বস্ত্রহীন উত্তাপের দিকে একটা সুতোর বিস্তার
উজ্জ্বল করছে ধাতব আগুন –
বিজাতীয় পাত থেকে এভাবেই নেমে আসিস
সারা গায়ে লেগে থাকে কাঁটার শিহরণ
শুধুমাত্র দলছুট স্কুলের পাশে – আবছা কিশোরীর মুখ
পুনরায় ব্যর্থতা ঢেকে ফেলে
৫
পেরিয়ে আসছি সমান্তরাল জনযোগ
যেটুকু কাপড় আড়াল করছে পাথর ও জঙ্ঘার মধ্যবর্তী সীমারেখা
বসন্তকালীন ভেঙে পড়া দেখে
শব্দের কাছাকাছি যাই – শুনে ফেলি এক
নিরুত্তাপ আজানের পাশেই জমাট বাঁধছে কফিন
কিছুটা অস্তিত্ব বিদারক চেতনার দিকে
এগিয়ে থাকে হালকা বাতাস
এও এক ধরণের আবর্তন – শুধুমাত্র অস্তিত্বের প্রসঙ্গ
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে
অঙ্গহীনতা প্রাধান্য পায়
Aahaa Somnath, katodin Subhro ekhaane lekhaa post korenaa... baarbaar mone poRchhe...
ReplyDeleteha, Subhro da anekdin ekhane lekha post korenaa... tomar o Sabya dar lekha porchilam, tai mane holo amio kichu natun lekha post kori.... anekdin post kora hoy na. kamon laglo janio....
ReplyDelete