Thursday, January 15, 2015

বসন্ত কিছু আরো



বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
ওদিকে তো ক্রিস্টাল হিম সেটল করছে কাশগড়ে
চিনিবাগে   উইঘুর বাজার থেকে থৈ থৈ করছে  আহত
খচ্চর সামোভার হান কেরানীর বুটে অভ্যস্ত ফাটল

যেমন হত্যার কাছে এসে নিসংশয় হয় শিল্প
তেমনই নিভৃতি ঘাড়ে ফুলে ফলে অন্তরীন হলে
একটা বিকেল গড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে
রেশম রূটের ওপর উড়ছে তোমার সুতির শার্ট

যেন গাজন থেকে কার্তিকের মিথগুলো গুজ্জর
অধ্যুষিত পাহাড়ে নামল
শেষবার গ্রীকসেনা এখানেই দেখেছিল আগুনের
ছায়া আর রেশম ঘাঘরায়  দৃঢ় ও সংবদ্ধ  নিতম্বশ্রেণী

বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
ছায়ার প্রকোপ থেকে ছাড়িয়ে আনলে বেতের শরীর
দুধারি অর্থ দিয়ে মন্থিত হলে   আর   কেলাসিত হল নিরাবেগ
এই তো বিপর্যয় বাকীটুকু বোরিং পৃথিবী

বাকীটুকু সূঁচের ফুটোয় স্মৃতি পারাপার
ঝড়ের মধ্যিখানে ঝড়ের আওতা থেকে দূরে
রেখে দেয়া চিবুকের নিবিষ্টতাটুকু
করেছিল চিকচিক দূরে ও

চোখের ছাউনি জুড়ে  জল ছিল
নাকী বালি-- আঘাত জানেনি
আঘাতের শূন্যতা থেকে   শূন্যতার ভেলোসিটি থেকে
খুব পালিয়ে যাচ্ছিল বেহালার ছড়

বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
নিখিল কে নিহিল করলে সন্দেহে  সন্দেহে

হয়ত দেখার ভুল তবুও দেখতে
পাই নিহিল বিশ্বেও  জল পড়ে পাতা নড়ে
ফুল ফোটে চাঁদ ওঠে  বিশেষ্য ক্রিয়াশীল হয়

গতির নিয়মের বিপরীতে গিয়ে
কিছুটা তো প্রামাণ্য পায়

আর তুমি স্ক্যান্ডাল নীল জলে স্নান করে
পরিচ্ছন্ন  হয়ে ওঠ
শিস দিতে দিতে ম্যাটারনিটি ওয়ার্ড
পার হও   চাবি খুলে ঢুকে যাও লাভ হোটেলে


বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
বস্তুবাদে আক্রান্ত হয়েও কেমন বস্তু থেকে ক্ষমা
চেয়ে  নিষ্ক্রান্ত হলে 
ওবেসিটি ক্লিনিকের কুড়াদানি স্নেহ থেকে
এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের নখড়া
টপকে  তাকে কোলাজিনেস দিলে স্টেম সেল
যত্নে তুললে কালচার ডিশে  মানে বরণ করলে    যাকে বলে
তেল ও সিন্দুর সহ দূর্বা ও চন্দনে
মিডিয়াম থেকে ছুটে যাচ্ছে সিগন্যাল
রিসেপ্টরের দিকে

কোষের নিজেরই এক এথিক্যাল প্রশ্নপত্রে
সায় দিতে ধরাশায় দিতে...

No comments:

Post a Comment