Tuesday, January 20, 2015

এই বসন্ত আর সেই পর্যায় / নীলাব্জ চক্রবর্তী



বসন্তপর্যায় গেল আমাকে করলে না তুমি ভালো
ছায়ার প্রকোপ থেকে ছাড়িয়ে আনলে বেতের শরীর
দুধারি অর্থ দিয়ে মন্থিত হলে আর কেলাসিত হল নিরাবেগ
এই তো বিপর্যয় বাকীটুকু বোরিং পৃথিবী
বাকীটুকু সূঁচের ফুটোয় স্মৃতি পারাপার
ঝড়ের মধ্যিখানে ঝড়ের আওতা থেকে দূরে
রেখে দেয়া চিবুকের নিবিষ্টতাটুকু
করেছিল চিকচিক দূরে ও
চোখের ছাউনি জুড়ে জল ছিল
নাকী বালি আঘাত জানেনি
আঘাতের শূন্যতা থেকে শূন্যতার ভেলোসিটি থেকে
খুব পালিয়ে যাচ্ছিল বেহালার ছড় --- সব্যসাচী সান্যাল


হ্যাঁ সব্যদা। যা বলছিলাম। তো এই ছায়ার প্রকোপ আর বেত বেতস ভাবি। কথা হোলো, প্রকোপটা ক্যামোন রাগী রাগী আর অসুখী টাইপ লাগছে দেখি। আর নিরাবেগ কেলাসিত হচ্ছে দেখে হেভি লাগলো। ফ্রিজের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে নিরাবেগ একটি খুব শরৎকাল লিখেছিলাম মনে পড়লো। তুমি গুলমোহর... রিপিট হচ্ছে প্রায় কখনো পড়োনি। সে যা হোক, এখানে যে নিরাবেগ কেলাসিত হচ্ছে মন্থনই তার কারণ ভাবছি। কিন্তু আমার যা যা হয় হতে থাকে তা হোলো এই যে মন্থিততে আটকে যাই আমি। মন্থর হয়ে যাই। ক্যানো ভালো লাগছে না? বরং বাকীটুকু। বাকীটুকু সূঁচের ফুটোয় স্মৃতি পারাপার আমায় সেই চিবুকের নিবিষ্টতা এনে দিচ্ছে টের পাই। একটু একটু মনে পড়তে থাকে চিরকালীন বলে একটা বাড়ি হয় আর কারা যেন কোথায় সেই থুতনির স্থাপত্য বসায় ইত্যাদি। এমনকি সূঁচের ফুটোয় একটু ফুটে যাওয়ার কথা মনেও এলোনা প্রথমে। নাকি এলো? পরে? ফুটো হলেও সূঁচের পাশে বসতে একটু আহা উহু ইঞ্জেকশনের স্মৃতি পারাপার করছে দেখি। নাকি ব্লাড টেস্টের? আমার আবার ব্লাড গ্রুপ এ পজিটিভ। ভ্যানোপ্রসাদের বি পজিটিভ বলে সে একটু মন খারাপ করে দেখেছি। আচ্ছা সে কথা থাক এখন। নাকী বালি আঘাত জানেনিতে উঁকি দিই একটু। ওরে না না! কতো কিছু দেখতে পাচ্ছি। কথাটা হোলো আমি এখন ঠিক কী দেখতে চাইছি? ক্যালাইডোস্কোপ না আয়না? ঠিক কী দেখতে ভালো লাগবে আমার এখন? ডি এস এস আই (ডায়নামিক সয়েল স্ট্রাকচার ইন্টারঅ্যাকশন?)-এর ওপরে একটা ছোট্ট ক্লাস করতে গেছিলাম কিছুদিন আগে একবার। কংক্রিটের রাস্তা দিয়ে দৌড়লে আমরা তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হব, নাকি একই ভেলোসিটি নিয়ে বালির ওপর দিয়ে দৌড়লে? কোনও স্ট্রাকচারাল মডেলের সাপোর্ট ফিক্সড বা পিনড না হয়ে যদি স্প্রিং হয় তবে ক্যামোন? ওর সাপোর্ট রিঅ্যাকশনগুলো (ভাবো একটা বাড়ির কলাম বা পিলারের লোডগুলোর কথা) বাড়বে না কমবে? ওই স্প্রিংগুলো যদি সফটার বা হার্ডার করা হয় আস্তে আস্তে তাহলেই বা কি হওয়া উচিত থিওরিটিক্যালি? এইসব নিয়ে নানারকম হচ্ছিলো আর লিখতে শুরু করেছিলাম

একটা চৌম্বকক্ষেত্র
যা কখনো ছিলোই না
অথচ           বালির ওপর দিয়ে
তার জন্য
ভাষার গলি উপগলি ছিঁড়ে
বারবার ফিরে
পতনশীল বস্তুর সূত্রাবলী আসছে
আর একটা নীল         গিরি হচ্ছে কোথাও
স্থিরচিত্রের জন্য
নির্ধারিত প্রোজেকশন
ওইখানে ফিকে হয়ে আসে
আমাদের বাকি থেকে যাওয়া সইসাবুদ

লক্ষ করুন
পুরনো একটা ঠাণ্ডা আলোর ক্ষেত থেকে
ফের ঝুঁকে আসে
খুব ফেলে যাওয়া সাদা পেন্ডুলাম
তবুও
সফট স্প্রিং বলতে        কিছুতেই
নরম বসন্ত              মনে পড়বে না আপনার...

এখন এই বসন্ত আর সেই পর্যায় নিয়ে আরেকদিন। কীভাবে এর সাথে একটা ছবি এলো নষ্ট হয়ে যাওয়া সময় এলো কোটেশন এলো আর সব মিলিয়ে অংশ হয়ে গ্যালো একটা দীর্ঘ লেখার সেটা আরেক কাহানি। কিন্তু আপাতত বলি, এখন এই পুরো কাহানি উঠে এলো শুধু ওই নাকী বালি আঘাত জানেনিটুকু থেকে! ভাবো কাণ্ড। তবে এরপর লেখাটায় আসল মজাটা হোলো আঘাতের শূন্যতা থেকে শূন্যতার ভেলোসিটি থেকে... ওহ... একটা বায়ুশূন্য স্থান... আঘাতের শূন্যতা... একটা মাস পার্টিকলের এস্কেপ ভেলসিটি... জিও ওস্তাদ... আর আঘাতের শূন্যতা থেকে শূন্যতার ভেলোসিটি থেকে খুব পালিয়ে যাচ্ছিল বেহালার ছড় নিয়ে আর কী লিখবো বলো? একে তো আমি এই খুব শব্দটার ব্যবহার তোমার কাছ থেকে শিখেইছি এইভাবে আর তার ওপর আমার কাছে এই পুরো কবিতাটা একদম খাড়া টানটান মার্চপাস্ট চাও বা নাচাও দাঁড়িয়ে আছে এই শেষদুটো লাইনের ওপর ভরে নির্ভরে। শুধু দূর থেকে সেই দেখাও বেহালা কাঠের গাছগুলি একঝলক দেখতে পেলাম... এখন বসন্তপর্যায় থেকে জুলাইয়ের ছুটির গুণ আর কতোদূরেই বা। বলো...

একটা Hmm-এর ভেতরে অ্যাতোকিছু হিজিবিজি চিন্তাজট ছিলো তাহলে... Hmm...


(কৃতজ্ঞতা – স্বদেশ সেন, সব্যসাচী সান্যাল)

No comments:

Post a Comment