Tuesday, November 25, 2014

নীলাব্জ চক্রবর্তী-র আমিলেখা




জানলার অর্ধেক নিয়ে
না-ফিরে আসছে
আমাদের মেহগিনি রোদ ও পশমবিলাস
পাতা-আছে নেই
পাতায়-গুটি-গুটি-কর্পোরেট-ধরেছে নেই
হ্যালো
এখানে একটা স্মাইলি বসবে নাতো
ও জানলায় ট্রান্সফার                      আছে
মোমের-সেগুন-থেকে-খুলে-যাওয়া-রিপিটেশন-ছিলো
আছে
তবু লেখার পাতায় ট্রেন এলো
গুলমোহর এলো আবার
ট্রেনের পাল্লা থেকে খুলে এলো
জানলার দূর



আমাতে কি ক্রিয়াপদ হোলো
নিজস্ব নিজস্ব বলছে
দুপুরকে গুণ করছে সম্ভাবনা দিয়ে
ঊরু আসে এইভাবে
সহাস্য জোড় এসে বসে ঊরুদের সাথে
লগ থেকে অ্যালগ
রিদম খুলে ফ্যালে হু হু
আর খুব থেকে যায় গদগদে রোমানো হরফ
তাকে কেউ স্তুতি বলে নাকি?
হাত দিয়ে কই হে লিরিকের লতা বলে ডাকে?



আমি তাকে ডাক দেয় খুব
চিহ্ন সঙ্কেত খুলে
আর উঁকি দেয়
স্যালারি স্লিপের পলিলাইন
ওহে চায়নাম্যান
ছবির খাতা থেকে
এক একটা মেলডি       খুঁড়ে ফ্যালো
ডিলিট বলে তাকে আমি
আমিকে দরোয়ান ডাকে
জলবায়ুর অনেকটা স্থায়ী ভেতরে
গেটাউট করে
ঝুলিয়ে দেয় দীর্ঘ অথচ



তুমি থেকে একটাই সিধে রাস্তা
আমাদের বরফ আনার দিন ধরে
চলে যাচ্ছে
আর দেখছি
ফলের বিয়োগে
মরে যাচ্ছে ভাষানো বুধবার
এরপর
টরেটক্কা এলো কবিতায়
ততদিনে ওহো হোলো
স্লো মোশান ---

ফুরিয়ে যাচ্ছে আসবাবের সাদাকালো মাপ



ফলের টেবিল থেকে ঝরে পড়ছে
দুই বাই তিন নীরবতা
জোরে         ফ্ল্যাশব্যাক হোলো
সা বললো
আর
ভাষাবিদায়ের হাত ধরে
ফিরে এলো তেজষ্ক্রিয় চিহ্ন সঙ্কেতের ধুন
সিঁড়িতলার মোরাম

খসে যাওয়া ক্রিয়াপদের নাম
বর্তমান রাখলো কেউ



আঙুল ফিরিয়ে দিচ্ছে
যেকোনো সোমবার
পুরনো পোস্টকার্ডে বিকেল আঁটছে না
তবু দরজায় লাফিয়ে উঠলো হ্যালো
পারদ ক্ষয়ে যাওয়ার কালে
নাহুম নাহুম লাগে সারাদিনের হে
কুঁকড়ে যাওয়া মিস্টার হেডরুম
নীলামের লঘু গায়েহাতে
আলো আলো পায় খুব



আমি মানে এই নভেম্বরটা
গুলিয়ে                                                                                                 
যেকোনো বাক্যরীতি
ফেলে গ্যাছে
তখনের গায়ে
পুরনো স্যালারি
স্লিপ
করছে
এই কাদামাটি পলিমাটি
মিঠে কবিতার ফালতু নুনছাল নিয়ে
গ্রুপফটোর ওম
স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে



শীত থেকে
দূরে সরে যাওয়া
                শীতের হাইফেন
কতোটা         লোকাল হোলো
পেট হোলো বেলুনের
তার ভার্টিক্যাল রিডিং
        গ্লাস
                থেকে থেকে
                নেমে আসছে
পোকার স্মৃতির মধ্যে ম্যাপ
কেটে কেটে             এগিয়ে আসছে

মাপে-কাটা-মানুষের যমজ

5 comments:

  1. নীলাব্জ,
    কালই পড়েছিলাম ইনবক্সে আর ভালো লেগেছিল । অনুপম যেমন বললো ফ্রেশ--সে'রকমই লেগেছিল । দ্বিতীয় পাঠে কিন্তু ঘোর কেটে গেল । কবিতায় একটা সুখী সুখী বেলোয়ারি রিণিরিণে আমেজ -- যা ভালো লাগারই কথা কিন্তু আমার নিজের কথা বলতে বললি তাই বলছি -- আমি এখন একটু অন্য ভাবে কবিতা দেখছি -- হয়তো খানিকটা আন্সমার্ট, কুঁজো, লস্ট কবিতায় আটকে আছি-- হয়তো একটু দস্তার হাঁসুলি, মাটির বাউটিতে । এটা আমার একান্ত সমস্যা । তোর পথ তোর নিজের -- যা ভালো লাগে তা'ই করে যা ।

    ReplyDelete
  2. অনুপম ও সব্যর পাশাপাশি বলি - প্রচুর সুন্দর পংক্তিভাবনা আছে। গভীরতাকামিতা আছে। ২ আর ৮ তো খুবই উঁচু পর্যায়ের। কিন্তু সমস্যাও অনেক নীলাব্জ।

    হোক না লিরিক, তাতে অসুবিধে নেই। একজন কবি তার মনের ধর্ম খামোখা বদলাতে যাবে কেন। কিন্তু সমস্যা হলো নানা কলমের ধবনিরঙজিহবা যে নিচ্ছে, তার লাইনে লাইনে মূল কবিদের চেনা যাবে কেন?

    বহু অভিব্যক্তি অতিরিক্ত চেনাচেনা। নাম করছি না। 'ভাষানো' কেন লিখছিস? 'অমুকের নাম দিলাম তমুক' - এ ব্যবহার হাড়জিরজিরে এখন। এসব আবার কেন? -
    'আমাদের মেহগিনি রোদ ও পশমবিলাস
    পাতা-আছে নেই
    পাতায়-গুটি-গুটি-কর্পোরেট-ধরেছে নেই'
    ... 'সেগুন...রিপিটিশন'... এসব ব্যবহারে অন্য অনেককে টের পাওয়া যায়। ভাবনার অনেকটাতেই লোন নম্বর সাঁটা থেকে যাচ্ছে।

    একটু "শীতের ঘাম আকবরের তারে" লেগে নেই কেন নীলাব্জ? কেন অন্যলোকের ঘামের গন্ধ। 'গুলমোহরের গুল ঝরে যাক', আর একটু। এসময়ের অন্যতম সেরা লিরিক আমরা পড়ছি। ম্যাজিকাল লিরিক সেটাই যে একইসঙ্গে ঘামে আর তার ওজন বাড়ে। তাই তো ম্যাজিক!

    ReplyDelete
  3. Sabaaike anek dhanyabaad. Anupam ki sundor surprise... Sabya daa jodi aar ekTu likhto aamaay bhaalobese baa naa bese... aar Aryanil daa, boss, sabTaa bujhlaam naa kichhutei sabTaa... :(

    Thank you poetry.

    ReplyDelete
  4. ভাইরে তোকে না ভালোবেসে যাই কোথা ! কবিতা তো ভাল লেগেছেই । স্মার্ট, ঝকঝকে আর আর্যনীলদা যেমন বলল লিরিক্যাল । আমার জাস্ট রুচি বদলেচে । একসময় ময়দার লুচির চেয়ে প্রিয় খাদ্য আর ছিল না অথচ এখন আটার পরোটার সাথেই বেগুন ভাজা ভাল লাগে । লিখে চল ।

    ReplyDelete