এগুলো সম্ভবত অন্য কোনো ফোরামে কেউ কেউ পড়ে থাকতে পারেন (অনেক আগে) ... তারপরও আবার শেয়ার করলাম
কত যে খুঁজেছি
খচিত হোক বিবাহ আর বিবাহের আংটি খচিত আঙুলেরা সাদা আঙুলেরা সংসার ধর্ম হলো কাঁচাবাজার
ওখানে মাঝরাতে দোতালায় গাঁজা পাওয়া যাবে
আরেকটু তীক্ষ্ণতা আরেকটু পাখির পালকে সুন্দর সকালবেলারা ভরপুর রোদে নেয়ে গেয়ে খেলে হেসে যাবে subaru ঝলকাক আইডিবি ভবনে ঝলকাক আরো কিছু নাগরিক হতে হতে নগর হয়ে গেল টিস্যুপেপার হয়ে গেল টাকা পয়সা ইত্যাকার লোভ লালসা হলো কালো কালো ময়লা হলো সংসার ধর্ম
ওখানে বিকালে গঞ্জিকা পাওয়া যায়
গঞ্জিকা হলো ফুল হলো গঞ্জিকা হলো বিশাল প্রতিষ্ঠানের ভিতরে গবেষণারত পুস্তক বলিল দাঁড়াও নগরবর - তিষ্ঠ ক্ষণকাল - তোমাকে সার্চ করব - পকেট থেকে বাইর করো ছুরি মেটাল ঝকঝকে পয়সা এবং এ্যাবনরমালদের ধরে বেঁধে দূরে রাখা দূরে রাখা এনটিটি গাঁজা সাইকোলজিকালি-কতা খুলে ফেল ধামাধ্বাম আর তিষ্ঠ ক্ষণকাল
ওখানে বিকালে রোদ পাওয়া যাবে তির্যক
হাসি পাওয়া যাবে ঠাট্টা আর সাইকেলের চাক্কার মত ঘুরতে থাকা বালকেরা - ওদেরকে হরিজন বলা হয়েছিল নাকি - হরির জন বলে বলে শেষমেশ যাঁহারা গালির আখ্যা দিলেন
তাহারাও প্রতিষ্ঠান আর প্রতিষ্ঠান-বিমূখতা গায়ে মেখে কাজলে কালো কালো চোখ আঁকিলো তানসেনের স্ত্রী
আমরা মর্মাহত প্রস্তরীভূত ফিরে আসি গাঁজা না কিনে গাঁজার ফুল হলো গিয়ে অজগরের গায়ের মত করে সোনালি সবুজ চকচকে ঠোঙ্গা ফকির পিতা মাতার সাথে দুপুরকালীন চকচকে খাদ্য স্ত্রী ঢং subaru প্রতিষ্ঠান কাক মাছ বদন তিষ্ঠ কবর সমস্যা সাবান
স্ট্রিং প্রসঙ্গে চার
[এক]"আর্রে সে তো কিরকম নিজের মত গান গাইয়া গেল - তাইনা?" নিজের মত করে গরুর দুধ দোয়ানো -
চশমাটারে টাইনা নেওয়া চোখের উপরে
"তুমি কি নিছ এখনো কার্যকলাপ?" কার্যের রঙ রামধনু রাঙা - কার্যের রঙ
একেলা ডেরাইভ করা গাড়ি লাল বাতি থেইকা সবুজ হইলে পর
নাচিয়া যাই হাঃ হাঃ
নাচিয়া নাচিয়া
তুমি যা বুঝতেছনা - তার পিছনে আমি
সকল বুঝিবার ঘণ্টি বাজাইয়া যাই
অথবা - এইরকম মনে করি,
'মনে' বলিতে পুনরায় মনে পড়ে 'ক্লদ মনে' - এর পরিচারিকার রূপের পিছনে
আছে নাকি - স্ট্রিং থিওরি অনুযায়ী আরেকটা জগৎ -
আরেকটা জগতের অনুভুতি
জমে আছে মনি ব্যাগে - আমি গুনিয়া গুনিয়া আজকে
দাম মিটাইয়া গাড়িতে একেলা দেখি
লাল আর সবুজ বাতির বর্ণের কারসাজি ...
[দুই]
সকল সময় আপনের পিছনে পড়ে আছি, সময়
দুই ঘণ্টা পরে দিয়ে আপনের বাসে [bus-এ] আমি ভুত
হয়ে ভেসে যাই - যেসকল স্মৃতি পড়ে থাকে - সেগুলা কুড়াই
বাস যাত্রী চশমা ঠিক করে - নড়ে চড়ে - আমি
ইলেকট্রন ঠিক করি, আচ্ছা - ইলেকট্রনের মধ্যে নাকি
স্ট্রিং থিওরি - কাঁপতে থাকা স্ট্রিং ...
... এই ব্রহ্মাণ্ড হয়ে ঐ ব্রহ্মাণ্ডে চলে যায়?
আমি ভাবি ঐ ব্রহ্মাণ্ডে পর-নারীর ব্যাপারে
কঠিন শর্ত আছে কিনা - ধর্মের
গ্রন্থ আছে কিনা আমি নিদারুণ
ধর্ম ছাত্র হয়ে শুনতেছি মানুষের কার্যকলাপ -
একটা দিন যোগাযোগ না হলে
দুনিয়ার সমস্ত রূপ ভেঙ্গে যায়
[তিন]
এইবার স্প্যানিশ এরিনায় ম্যাটাডোর - লাল কাপড়ে
যত্রতত্র - কাছে আসো হে - ফুলের মত
আড়ম্বরহীন দুই চক্ষে বাঁধি কাপড় - দুই চক্ষে
মাটি ছেড়ে যাওয়া বিমানের হাঁসফাঁস
গুড়া গুড়া হয়ে ভেঙ্গে পড়ুক কাম পরবর্তীকালের ঠিকানা আর উৎসব
উৎসবে বিনা আড়ম্বরে তোমার সমস্ত গা, স্ট্রিং
[চার]
আমার কোনো দর্শন নাই - আমি ভাবি ঐ স্ট্রিং কিরকম চুষে চুষে খায় অন্য ব্রহ্মাণ্ড - অন্য ব্রহ্মাণ্ডে আমি - আসলে কিন্তু আমি না - ওখানে অন্য কেউ আছে আমি এই ব্রহ্মান্ডে অংক করি - খাতা থেকে যুগপৎ অংশ কেটে নেই - হ্যাঁ ওটা হলো গিয়ে ফোর বি পেন্সিল
জোরে টান দিলে জোরে টান - কম টান দিলে আধা খ্যাচড়া দুপুর - ফ্লাওয়ার 'ভাস'-এ - ফ্লাওয়ার মানে ফুল - ফ্লাওয়ার মানে এরকম শিখালো বাচ্চাদের মা বাবা শিখালো স্কুলে গিয়ে যেইসব শিখতে হয় - স্কুলের সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নাই - ঐ বেতনের হিসাবটা করতে হয় বাবা মা করে থাকে আর সামাজিক অবস্থানে কে কতটা কোন লেভেলে - বাচ্চার সহপাঠীরা তো দু চার কথা বলবে - স্কুলের টিচারের সাথে টিচার - সে নাকি খুনসুটি করে মাঝে মাঝে (সুযোগ পেলে) - যেটা আসলে স্ট্রিং-দের কাছে সম্ভবত গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যাপার না -
খুনসুটি সকলে করে - অঙ্গের মিলনে - মনের মিলনে নিজেকে হারাইয়া ফেলা নিজেকে অন্যের মাঝ দিয়ে
কিভাবে কিভাবে যেন খুঁজে পাওয়া - আকাশে তারা আছে আকাশে কিরকম যেন না জানা - আকাশে রোম্যানটিক দৃশ্য আছে
'তারা' মানে যা দিয়ে অন্যেরে বশ করা যায় - শেক্সপিয়ারের মুখরা রমণী - ওখানে আকাশের তারা ছিলনা - বিড়াল ছিল - ছিল কিছু বাস্তবিক সূত্র - ফিজিক্স বিষয়ে চারটা অনুসিদ্ধান্ত - আমি তারপরে কোয়ান্টাম চুষে চুষে স্ট্রিং চুষে
অন্য ব্রহ্মাণ্ডে খুঁজে যাইতেছি তোমার পিছনে অন্য কোনো তোমারে
খুঁজে পাওয়া যায় কিনা
সোয়ান্সটন স্ট্রিট এ গাড়ি চালাতে চালাতে
সোয়ান্সটন স্ট্রিট এ গাড়ি চালানোর মত বিধাতা আমাদের ধরে রেখেছেন
এই যে এরকম এই যে বিশেষণ উদ্বায়ী
রাস্তা ডিভাইডার
ডিভাইডারের রেখা
আমি যদি পড়ে যাই গাড়ি থেকে গাড়ি চালাতে চালাতে
মুণ্ডুপাত। আমরা যদি রাস্তার দিকে যাই
অথবা আকাশের দিকে সুনীল
বিদ্ধস্তেরা এসে ঝরে পড়ে এসে ঝরে পড়বে সোয়ান্সটন
স্ট্রিট-এ হে ইতিহাস
তুমি একটা তৃতীয় বিশ্বের মত গুরুত্বহীন
তোমাকে নিয়ে ফুচকা খাব ফুচকার বিল দেব
আমি বিদেশিনী
বলব জন্মদোষে খুব সূর্যোদয়ের মত হাসি
অথবা আমি ম্যানহোল - ঢাকনা ছাড়া
অথবা রিকশা পেইন্টিং
সোয়ান্সটন স্ট্রিট এ গাড়ি চালাতে চালাতে আমি উদ্বায়ী
স্ট্রিং প্রসঙ্গে ভারি ভালো লাগল রাদ। অন্য ব্রহ্মান্ডে ধর্মগ্রন্থ না গেলেই বাঁচি ! আর পরনারী হা হা হা... দারুণ সংযোজন
ReplyDeleteতোমার পিছনে অন্য কোনো তোমারে খুঁজে পাওয়া যায় কিনা - এটাই বোধকরি খোঁজ আজন্মের খোঁজ