১ নভেম্বর ২০১০ সিরিজ
প্রস্তাবনা
পহেলা নভেম্বরে অম্বরক্লান্ত পাথর আমি পরিনি জ্যোতিষী, আমার ক্লান্ত আত্মীয়তে তুমি ভিড়েছ নিবিড় পতেঙ্গা সৈকত
এসে তাতা থৈথৈ সাগরের ফেনা তরুণেরা কত নিবিড় নিবিড় বৃদ্ধ হলো
পহেলা নভেম্বরে শীতল সুন্দরতা ঘাই মারল
১। প্রতিদিন পাঁচটা
প্রতিদিন পাঁচটা কবিতা লিখতে হবে তাই
অল্প আস্তে হলদে বাতি জ্বালাই
আজকে যে লাইনটা লিখেছিলাম,
"এত ফাঁকা কিভাবে তুমি ফার্মগেইট ?"
সেভাবে ফাঁকা ফোকলা রাতে
অল্প আস্তে বই খাতা জ্বলন্ত
পিঞ্জর নিয়ে- আমার কোনো
ইস্যু নাই আমার কোনো
কর্মক্লান্তি থেকে উৎসারিত হবেনা
নিবিড়
সার্থকতাবোধ প্রতিদিন
এত করে ফাঁকা কেন বিকালের হেমন্তের মঞ্জরি?
পচা কাতলের মত শহরে তুমি নির্বিবাদে দাঁত বসাও
২। পিপহোল
ঋষি ক্লান্ত
ক্লান্ত ঋষি
একটা দরজার মধ্যে পিপহোল
অতিথিফুটো
ক্লান্ত চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নেই
যেন সব সুন্দর মুহুর্তগুলা
ছানার টুকরা
সাদা তারা হয়ে
আকাশে ফুটে থাকে
নিবিড়তায় ক্লান্ত সময়গুলা
পিপহোল
অতিথিফুটোর গায়ে
জড়ো হয়
৩। লবণদানি
লবণদানিতে চামচ
চামচে লবণদানা
বর্ষাকালে খুব ঘাম হয় চামচে যাওয়া ভিজে
মুখমণ্ডলী, তোমরা নাস্তা করেছ?
সকালে খেয়েছ তো? ক্লান্তি থেকে
জন্ম নেওয়া যত
ইচ্ছা ইচ্ছা সদেচ্ছা একটু উত্তরণে
যাওয়া হাওয়া ঘুরে আসা
ক্লান্ত এরোপ্লেন,
তুমি লবণদানিতে উড়ে এসেছ?
৪। উজ্জ্বল উৎসাহী মাছি
খুব ভয় হয় উজ্জ্বল উৎসাহী মাছি,
গোবেচারা গুনে গুনে সমবায় ভিত্তিতে
শিক্ষা হয় উত্তরণে বা উত্তরিত মাঝে মাঝে
নতুন
গোবেচারাপনা তোমরা
খৈল খাও, ভুষি, খাবারের চাড়িতে পড়বে
নিমগাছ
মৃদুমন্দ হাওয়া এসে ওড়ানো চুল,
আমি খুব ভয়ে কুঁকড়ে আছি
৫। গ্লাস তুমি কেন সটান?
গ্লাস তুমি কেন সটান
অথবা নিজেকে রেখেছ ধরে
অণুগুলো পরমাণুগুলো
আমাদের চোখে ছুরি চালিয়ে ভিন্ন মাত্রায়
ছড়ানো বাড়িওয়ালাকে টাকা
দেওয়া হয়নি দেওয়া হয়নি সকালে
মহান নজরানা খুব
আটকে রাখতে চাইছি নিজেকে
আমাদের ডাইমেনশনে মাত্রায়
তীরধনুক এসে বিঁধে গেলে
পাঁজরের ফাঁকে
ক্ষত ভঙ্গিমা তখনো ফোকলা দাঁতে হাসে?
৬। পিপড়া
পিপড়া তোমাকে পিপড়ে না বলে পিপড়া বলি?
একটা কম্বল ঝাপটাচ্ছে গায়ের উপরে দুঃখ
তোমায় দুঃখু না বলে দুঃখ বলি?
খনখনে লাল চামড়ায় মুখে আপেল তোমাকে
এ্যাপ্ল্না বলে আপেল বলবকি?
কুঞ্চিত চেহারা তোমায়
কুচকানো না বলে কুচকাওয়াজে
দোহারা গড়ন তোমায়
স্পষ্ট শ্লেটের মত নির্মল চেহারা বলি?
No comments:
Post a Comment