সোমনাথ সেন
ঠিক এভাবে জমে
ওঠা স্বাভাবিক
মাটির আনাচে কানাচে - সামান্য প্রবাহের জলকণা, অথবা বৃষ্টিপাতের
সামান্য ধারনায়
ভেসে থাকছে রেশম, গুটির ভিতর অন্ধকার নিয়ে এতদিনের
সূর্যাস্ত, প্রত্যেকের জানা ছিল -
তবুও শুধুমাত্র ধারনাটুকু কামানের গোলার
মতো
হাতড়ে
বেড়াচ্ছে ধ্বংসস্তূপ
এইমাত্র মাটির রঙ পরিবর্তন হয়
হাওয়ারও- দীর্ঘদিনের লিপি হাতড়ে
কাঠের ঘোড়া থেকে বেরিয়ে আসে উত্থিত লিঙ্গ
অথচ এই সবকিছুই খুব স্বাভাবিক ছিল
ছিলার
মত সামান্য হেরফের – আর তুমিও হরফ পালটে
উন্মুক্ত
শরীর দেখালে সারাদিন
পৃথিবীতে
কোথাও কি জলছাপের প্রয়োজন ছিল তাহলে?
অপর্যাপ্ত
খনির ভিতর এই যে
ভুল
ঠিকানা, সামান্য ব্যস্ততার এজলাসে এতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ল শহর –
অথচ
আমাদের কারও জানা ছিল না
খুব সামান্য আড়াল নিয়েও ধিকধিক
করছে ক্যামোফ্লাজ
বাতিল
দস্তাবেজ
আর এক
এক করে খসে পড়ছে ছুটন্ত বোতাম
দূর
থেকে বিস্তৃত জ্যা – শুধুমাত্র স্মৃতির ধারণা দেয়
নিলামের
চেয়েও পর্যাপ্ত হয়ে ওঠা আরামকেদারার ঘাম – ঘুমন্ত
মানুষের
চুলে
ভেসে
যাচ্ছে বালিশ, বিছানা – এমনকি একটা গোটা শহর
রক্তপাতের
মত পিচ্ছিল আর কিছুই নেই
এই যা
একটা বাতিদান
স্টেপ
বাই স্টেপ – মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আঘাতের দিকে
অবশিষ্ট
সবকিছুই ফাঁকা থেকে যায়
দু-একটা
লিরিক পশুদের ধারণা দেয়, অসমান বাক্সের ভিতর
জমে
থাকে লিপ্তপদ পিয়ানোর রিবনে রিবনে
শহরের
শীত কমে এলে যৌনতা বাড়তে থাকে
ঘুম-জ্বরের
দিক কাঁপানো আয়নায়
কবিতা অদ্ভুত। আরো অনেকবার পড়তে হবে। কিন্তু, এই কবিতা কেন ও কিভাবে 'পরিবিষয়ী' এটা নিয়ে একটা আলোচনা শুরু হলে ভালো হয়। আমি পরে আবার লিখছি।
ReplyDeleteকবিতাটা পড়তে পড়তে একটা অদ্ভুত দৃশ্যের কথা মাথায় ভেসে এল, যেন একটা পাখি, অনেক ওপর থেকে, যেমন চিল, স্পাইরাল কার্ভে নেমে আসছে অনেক হাওয়া নানান ধুলিকনা নানান শৈত্য ও তাপাঙ্ক ডানায় নিতে নিতে, শেষমেষ এক প্রনালীই তৈরী করে নয় কি? বাকিরা আরো মূল্যবান মতামত দেবেন।
ReplyDeleteক্যাপ্টেন, আমার মতে কবিতাটা পরিবিষয়ী কারণ এর জটিল ও ঠাসবুনোট বিন্যাসের মধ্যে রয়েছে এর বহুবিষয়ের বীজ। শান্তনুদা একদম ঠিক বলেছো। ওই নানা তাপাঙ্ক অর্থাৎ নানা স্তর নানা পরিবেশ ও প্রতিবেশ। এখানে স্তরবিন্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।
ReplyDeletebhaalo lekhaa... "bahubishhay-er beej" byapaar-Taa gurutwopurNo. kichhu assadhaaroN line... aarekTu baro hote paarto lekhaaTaa... chhuNye aasto ekTaa-duTo gyan shaakhaar kaarukaaj...
ReplyDelete--- Nilabja
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ... আরও মূল্যবান মতামত-এর অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteএই কবিতাটা যতোবার পড়ি ততোবারই দুটো স্পষ্ট অনুভূতি হয়। এক, কবিতায় ভাষার গুণ, বাঁধন, পিয়ানোর রীড বদলের মতো পাশাপাশি পঙক্তির দ্রুত অর্থান্তর, গোটা কবিতায় ঘনতার বহুস্তর, এগুলো প্রচন্ডভাবে টানতে থাকে; দ্বিতীয়ত কবিতার "ওপেসিটি" দেখবার মতো, সে কিছুই ভালো ক'রে বোঝার অবকাশ দেয়না। শুভ্র ঠিকই বলছে, শুধু বহুবিষয়ী নয়, বরং ভাবনার জোড়গুলো ধোঁয়াটে, অথচ ভাষার ব্যবহারে কোথাও ধোঁয়া নেই। এই কবিতাটা নিজের মতো করে পড়তে পারা এক চ্যালেঞ্জ। সেটা নিলাম। কবিতাটা নিয়ে কোথাও লেখার ইচ্ছে রইলো।
ReplyDeleteএটা কি কোথাও বেরিয়েছে ইতিমধ্যে?
না আর্যনীল দা, এটা এখনো অপ্রকাশিত। আমার বইতে থাকছে, আর কোথাও প্রকাশ করছি না...
ReplyDelete