দোলন কে ধন্যবাদ, অর্ঘ্যর কবিতাগুলো ও সেই নিয়ে দূর্দান্ত আলোচনাগুলো তুলে আনা, আর বাকী সবাইকে ধন্যবাদ, জমিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য । মানসিকভাবে, কবিতার থেকে খুব দূরে আছি, কিন্তু আলোচনা গুলো অসম্ভব ভালো লাগছে । অর্ঘ্যর কাঠের নিয়তি খুব মুশকিলে ফেলে দিল । পড়ে থেকে একটা লেখা নিয়ে ঘষ্টে যাচ্ছি, হচ্ছে না -- তাই শেয়ার করলাম -- যদি এটা বন্ধ করে দিতে পারি, অনেক সুরাহা হয় ।
--------------------------------------------------------------------------------------
কালো ঘর, সবুজ মগের পাশে টেরাকোটা ফুলদানি, ঊণর্নাভ ফুলদানি থেকে দেয়ালে, বিশাল, বিস্তৃত। চায়ের গ্লাস, ভাঁড়, নীচু সেন্টার টেবিলে, খাতা, সস্তার ডটপেন, দাবাবোর্ড-আধসাজা, টেবিল ল্যাম্প (জ্বলন্ত) কাচের জানলা—গ্রীল দেয়া, বাইরে দিন, আলো আসে, ঝাপসা হলুদ আলো – গান (দূর থেকে, ক্রমে আওয়াজ কাছের হয়) – “বঁধু কোন আলো লাগলো চোখে” । মাকড়সার জালে ক্যামেরা ফোকাস করে, জালটি আলতো আলতো দোলে, জালটি আবছা হয়, স্পষ্ট হয় ।
হেঁড়ে গলার চিৎকার ঃ ফোকাস! বাঞ্চোত, ফোকাস !
ক্যামেরায় চোখের মণি, ধীরে ধীরে এক ঘোলাটে চোখ ফুটে ওঠে, হলুদ, ব্ল্যাক ও হোয়াইট হয় ও ধীরে ধীরে বয়স্ক দাড়িওলা কুঞ্চিত মুখ ধরা পড়ে । মুখ হাঁ, যেন হাসি । ক্যামেরা সোজা হয়, বোঝা যায় মুখ ছাদের দিকে । ঘোড়ার পায়ের আওয়াজ হয় । একটা নীল প্রজাপতি মুখ থেকে ছিটকে বেরোয়, ক্যামেরা ফলো করে, প্রজাপতি মাকড়সার জালে আটকায় । ঘোড়ার পায়ের আওয়াজ ধীরে ধীরে কমে আসে । প্রজাপতি ছটফট করে । ভাঙ্গা গলার আওয়াজ শোনা যায়,-- চা খাবেন তো ? ওই ন্যাপলা, তিন ভাঁড় চা নিয়ায় ! ক্যামেরা মুখের ওপর পড়ে, বয়স্ক দাড়িওলা মুখে, উঠে বসা মুখ, চোখ এখন শার্প, কগনিটিভ । দরজার ওপর শেকল আছড়ে পড়ার শব্দ হয় । তিন ভাঁড় চা এখন টেবিলের ওপর । দাড়িওলার চেহারা স্পষ্ট হয় । সাদা আধময়লা গেঞ্জি, পাজামা । হাতে এক ভাঁড় চা । দাড়িওলা বলে – দৃশ্যই দৃশ্যের জন্ম দেয়, তবে ওনলি ইন হাইন্ডসাইট – রিয়েলটাইমে, সে তোমাকে শুধু গল্পের মধ্যে ঠেলে দ্যায় ! আর গল্প হল গিয়ে গরু, না দোয়ালে দুধও পাবে না, চাঁটও খাবে না । কেস হল, যখন ৩৬টাকা লিটার দুধ পাওয়াই যায়, গরু কেনে কোন শালা ? সো হোয়াই ন্যারেটিভ ? প্রথম ভাঁড়ের চা শেষ করে, ঠক করে ভাঁড় ভাঙ্গে টেবিলে, অপর ভাঁড় তুলে নেয় । ন্যারেটিভ হল গিয়ে গৃহবধূ, আই অ্যাম লঙ্গিং ফর আ হোর ।
যা ছিল ভালো লাগার তাও একটা বন্দোবস্ত হয়ে উঠলো—যেমন তরমুজ –তরমুজের শাঁসের মধ্যে দাঁত বসিয়ে ঠোঁট চেপে ধরার আগে সিঁড়ির দিকে তাকানো – ঘোরানো সিঁড়ি সবুজ আলোয় বইতাক থেকে নেমে গেছে, অন্ধকারও আর দেখা যাচ্ছে না ।
A darkness is a situation
Where hugging ourselves is a distinct possibility
Distinct from the nature of being held
Back from consequences
From forms
Mind you every form is a consequence detached from its past
Or every consequence is a form attached to a past
And why the fuck are we talking about this?
Let’s talk about reality
A reality that knows no consequence
No justification
Doesn’t want to communicate
But wants to be appreciated none the less
দৃশ্য কেবলই দৃশ্যের জন্ম দেয়—আর ইমোশান । ইমোশান ইজ দ্য আম্বেলিকাল কর্ড – যা এক দৃশ্য থেকে অন্য দৃশ্যের সম্পর্কটুকু ধরে রাখে, কেটে ফেলার পর সম্পর্ক না রাখলেও চলে । আর ইমোশান কোথায় যায় ? মা কুকুর খেয়ে ফেলে, পুষ্টির তাগিদে, ইমোশান অ্যাসিমিলেটেড হয় জননী দৃশ্যে – এভাবে ভাবলেও কি চলে ? ন্যারেটিভ ! শুয়োরের বাচ্চা ন্যারেটিভ । ন্যারেটিভ ছাড়া কোন কিছুর সামাজিক রেলিভেন্স থাকে ? হ্যাং ইয়োর ব্লাডি ন্যারেটিভ । ফাক ন্যারেটিভ । কবি এক অসামাজিক রিয়ালিটি । সমাজ চশমা ছাড়া অচল । পরিষ্কার যে দেখে, সে দেখতে পায়, সম্পর্ক বলে কোথাও কিছু নেই – সম্পর্ক একটা তৈরী করা প্রক্রিয়া, সিন্থেসাইজড, যার পোষাক ন্যারেটিভ । ভাষা ! ভাষা কী তবে? সম্পর্কের ফসল না সম্পর্কের আদত । ন্যারেটিভ আর ভাষার গাঁঠ কোথায় জোড়া হয়, কোথা থেকে শুরু ? ফাক ভাষা ! পোয়েট্রি হ্যাস নাথিং টু ডু উইথ ভাষা, নাথিং টু ডু উইথ কনসিকোয়েন্স । কবিতা সূর্য ওঠার মত, বৃষ্টি পড়ার মত একটা রিয়েলিটি, বৃষ্টি কোন বালের সাথে কমিউনিকেট করতে চায় না । কিন্তু তাকে নিয়ে তোমায় ভাবতেই হবে, ভালো লাগুক, না লাগুক, তাকে ভালো লাগাকে অ্যাপ্রিসিয়েট করতে হবে, তাকে খারাপ লাগাকে অ্যাপ্রিসিয়েট করতে হবে—অ্যাপ্রিসিয়েট, মানে মর্যাদা একটা না একটা দিতেই হবে—শান্তিনিকেতন, দেঁতো নিশ্চেতন সর্বখানে, সর্বদায় । ন্যারেটিভের প্রতি তোমার আকর্ষণ জাস্টিফিকেশানের তাগিদে । জাস্টিফিকেশান ছাড়া তোমার পৃথিবী অচল, সমাজ অচল ।
আত্মন শব্দের কাছে আসি
মাস্টারবেট করি
শব্দ ও দৃশ্য দু’ই তৈরী হয় ---
দূর থেকে কোলাহল আসে, চিন্তনের ন্যায় তার ভাষা—জমাট অর্থহীন, কোলাহল কাছে বয়ে আসে, চিন্তনের ন্যায় তার ভাষা—আলগা, অবয়বহীন ।
যেন তুমি
যেন এক প্রকারের ছায়া
থেমে গেছে সুগম্য পথে
ভাবনার কাছে এসে পড়ে আছে কাঠের আবেগ
তোমাকে চুমু খেতে খেতে আমি তোমার
জিভের কথা ভাবি, তার গ্রহণক্ষমতা-- স্বাদের, খাদের
স্পর্শকাতরতার মাত্রা, থ্রেশহোল্ড
চুমু খাবো আর তোমাকে জানতে চাইব না ?
যেন তুমি
যেন চোখে পড়া ধুলো
এত চোখে ছিলে
তবু চোখে পড়লে না
What is “Language”? A cipher, a rather inexpert one. You can’t decipher anything using language. Everything seems to have a language but no language can fully describe anything. I am hard done by the existentialist obsessions with language, Oh I am, Language is way overrated, and so is justification for this fucking existence. What language did the spilled blood speak?
কত স্পীড ছিল, ৫০-৫৫? ডিভাইডার থেকে কুকুর লাফিয়ে নামছে ৭-৮ ফিট দূরে, আমি কুকুরের স্পীড আন্দাজ করে বাইক তার পিছন দিয়ে বার করার চেষ্টা করতে যাচ্ছি, কুকুর হঠাত পিছিয়ে আসছে, একটা ধাক্কা লাগছে, কুকুরের রানের সাথে বাইকের, বাইক ছিটকে যাচ্ছে, আমি পড়ে যাচ্ছি, ঘষটাচ্ছি, মাথার সামনে এগিয়ে আসছে ডিভাইডার... আকাশ মেঘলা ছিল, এখন আলোক –
যেন তুমি
যেন এক প্রকারান্তর
লাফিয়ে নামছে প্রথা থেকে
প্রথাকে ভুলিয়ে দিয়ে
মিশে যাচ্ছে অন্য প্রথায়
কিছু পৃথিবীতে শব্দ জরুরী ছিল
কোথাও ভাষ্য থেকে
নেমে গেছে শব্দবহর
যত তুমি ভাষার ভেতর থেকে দেখা দাও
তত ভাষাহীন হয়ে পড়ে
ব্যাথার নিয়তি
ট্রিকি মামু, ইট গেটস রিয়েলি রিয়েলি ট্রিকি !
ট্রিকি দুঃখ, ট্রিকি সুখ
ট্রিকি ট্রিকি হাসি মুখ
ট্রিকি আলো, ট্রিকি অন্ধকার
আলো আর অন্ধকার, এই নিয়ে ভিস্যুয়াল, আর কিছু শব্দ মাত্রা’র প্রয়োজনে – এই মাত্র, এই সব, একটা স্টোরিলাইন—যা অর্থত স্নায়ব । স্নায়বীয় । চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে, হাতের পপকর্ণ মেঝেতে – Oh it’s so easy to spill blood over one.
Come on ! I’ll communicate with you
over a cup of blood
we’ll speak about what it takes
to communicate and it will cover
the issue of exploitation as quite an academic discourse
we have mastered the sense of jurisdiction
of territories that languages bridge
or
break
between people
between teardrops
where the hollow speaks for the hale
see how hearty we laugh
in our happy qualitative terms
যেন তুমি, যেন আত্মপ্রকার
যেন ভেতরের আলো লেগে আছে সহসা তোমার
সহসায়
চলে যায় সর্বপ্রকার ছায়া
কায়ার বিপ্রতীপে
কার গাড়ি খালি গাড়ি যায়
তবু চলে যাও, ঘোলা ঘাসে মাশরুম ওঠে
অদম্য হয়ে ওঠে করুণা তোমার
ঠোঁটের আকার
চুমু খাব আর তোমাকে জানবো না?
শুরু করেছি পড়তে। চিত্রনাট্যের মুখোশ পরা কবিতা এসেছে। গৃহবধু নাম্নী "কথকতা" কে চিনিয়ে দিয়ে, তাকে দুপুরে বালিশে ক্রন্দনরতা রেখে, "কবিতা" নামের call-girl না whore - তার সন্ধানে বেরিয়ে গেছে। এই পর্যন্ত আমি এসেছি...
ReplyDeleteএইরকম লেখা সব্যসাচীর হাতে প্রথম। আরেকটু এগোই। লিপির অক্ষরছাঁচ (ফন্ট) এক এক জায়গায় এক এক রকম কেন? এটা কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ?
বাঃ, অনেক দিন পর সব্যদা - এমন লেখা আরো আসতে থাকুক।
ReplyDelete"KaTher abeg" -- :-]] --
ReplyDeleteshudhu ei porjonto poRlam. ghure aschi. orthat, ami ekhon dourer upor.... so good to see you back. I was hoping that the poet is recovering along with his bike.
বেশ কিছু অদ্ভূত ভাবনা রয়েছে, সব্য দা।
ReplyDelete১) দৃশ্য কেবলই দৃশ্যের জন্ম দেয় - —আর ইমোশান । ইমোশান ইজ দ্য আম্বেলিকাল কর্ড -– যা এক দৃশ্য থেকে অন্য দৃশ্যের সম্পর্কটুকু ধরে রাখে, কেটে ফেলার পর সম্পর্ক না রাখলেও চলে ।
- ভাবছিলাম, আম্বেলিক্যাল কর্ডের ভিতরে থাকা রক্তটা অনেকে preserve করে রাখে। খুব দামী প্রক্রিয়া। ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু চিকিৎসাগত ভাবে কারণ হল যে, এই রক্ত দিয়ে ভবিষ্যতের যে কোন রোগ সারিয়ে দেয়া যায়। ইমোশানকে কেটে ধরো, বাদ দিয়ে দিলাম। ক্রমশ বয়স বাড়ছে দৃশ্যের। সম্পর্ক জটিল হচ্ছে পরস্পরের। সেই টানাপোড়েন আর কখনো সারিয়ে তোলা যাবেনা তো পুরোপুরি? নাকি পুরোপুরি সারিয়ে দেয়াটা উদ্দেশ্য থাকে না আসলেই... জটিল, দ্বন্দমূলক ও চূড়ান্ত ভাবে harsh বাস্তবই পেতে চাই আমরা ? -- এর উত্তর না দিলেও চলবে তোমার... আবোলতাবোল একটু আসেই আমার মাথায়...
২) আলো আর অন্ধকার, এই নিয়ে ভিস্যুয়াল, আর কিছু শব্দ মাত্রা’র প্রয়োজনে – এই মাত্র, এই সব, একটা স্টোরিলাইন - —যা অর্থত স্নায়ব । স্নায়বীয় । চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে, হাতের পপকর্ণ মেঝেতে – Oh it’s so easy to spill blood over one.
..................
we have mastered the sense of jurisdiction
of territories that languages bridge
or
break
between people
between teardrops
where the hollow speaks for the hale - দারুণ ! 'hale speaks for the hollow' খুব mundane হয়ে যেত।
শেষ বাংলা কবিতাটাও ভাল লাগল।
"What is “Language”? A cipher, a rather inexpert one. You can’t decipher anything using language. Everything seems to have a language but no language can fully describe anything. I am hard done by the existentialist obsessions with language, Oh I am, Language is way overrated, and so is justification for this fucking existence. What language did the spilled blood speak?" - এই অংশটা আমি ভাষা সংক্রান্ত আলোচনায় তুলে দেব - তুমি কিন্তু কিছু বলতে পারবেনা।
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteযেন তুমি
ReplyDeleteযেন চোখে পড়া ধুলো
এত চোখে ছিলে
তবু চোখে পড়লে না... সেরকমই তো হওয়ার কথা। ভাল লাগছে। লেখাটা শেষ কর।
ekTaa aalgaa reading diye elaam... cinema, Kabir Suman, Swadesh Sen... Sabya daa, daaruN hachchhe...
ReplyDelete"What is “Language”? A cipher, a rather inexpert one. You can’t decipher anything using language. Everything seems to have a language but no language can fully describe anything. I am hard done by the existentialist obsessions with language, Oh I am, Language is way overrated, and so is justification for this fucking existence. What language did the spilled blood speak?"
ReplyDelete- Don't mean to quote, but then again I do , but really I don't - what I mean is what I don't ...
Oh the lack of narrative -
ReplyDelete