১৭।
নেকড়ে ছিটকে এসেছে লোকালয়ে।
যূথ থেকে আলাদা হয়ে, কাঁধের ঘা নিয়ে, থাবা ও কশের ঘা নিয়ে বাছুরের দলের ভেতর,
পাঁজরের ভেতর, অন্ত্রের ভেতর ভুলে থাকতে চাইছে তার একাকীত্ব, তার হেরে যাওয়ার
গল্পগাছা। গোয়েন্দা জানেন, পদ্ধতি যাই হোক না কেন মানুষ হত্যা বলতে আসলে ফলাফলটুকুই
বোঝে। কনটেক্সট থেকে সময় থেকে হত্যাকে ছাড়িয়ে এনে মানুষ আয়নায় কেবল ভিকটিমকেই দেখতে
পায়। মানুষের রক্তের মধ্যে বুলবুল করে পারিপার্শ্বিকবিহীন ইতিহাস—সে
কব্জি শক্ত করে ফলা সমেত ঢুকে যায় নেকড়ের পেটে, নতুন ইতিহাসে।
খুনী জানেন, মানুষ যাকে
প্রবাহমান ভাবে, সে সময়ের একটা ধারণা মাত্র। সময় আদতে মানুষের চামড়ায়, মগজে,
আধাপ্রবেশ্য এক পাতলা পর্দা হয়ে লেপ্টে আছে...সিলেক্টিভ একটা যোগাযোগ, একটা
বিচ্যুতির মধ্য দিয়ে তাকে সুস্থ, সামাজিক ও ব্যবহারযোগ্য করে রাখার জন্য...
১৮।
ভেড়ার রোমকূপে যিনি রোপণ করছেন
বীজ-পশম, আর যিনি অ্যাপ্রন গায়ে শানিয়ে তুলছেন শীয়ার তাঁদের দুজনের মাঝে একখন্ড
গ্লেসিয়ারে বসে থাকেন গোয়েন্দা। গায়ে সোয়েটার, মাথায় মাঙ্কিক্যাপ। একেকদিন দড়াম
করে ভোর হয়। সচকিত মানুষ কর্নফ্লেক্সের বাটি থেকে মুখ তুলে বোঝে-- সে অসহায়। তার
জেনেটিক কোডের মধ্যে ব্যবহৃত হওয়ার সমস্ত নির্দেশ, দলিল ঢুকে আছে। সে সোয়েটারের
প্যাটার্ন লক্ষ করে আনকোরা চোখে। একঘর একঘর করে ঢুকে যায় ব্যবহারের কোডে, তাকে
ডিকোড করতে করতে ঠোঁটের কোনে হাসি এসে বসে। উপলব্ধির ভেতর দিয়ে সন্ধ্যে গড়ায়।
অবশেষে আত্মপ্রসাদের মধ্যে রাত্রি হয়। মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমায়।
তার নিশ্চিন্তির মধ্যে সামান্য উপদ্রবের মত এসে
বসেন খুনী। মানুষ স্বপ্ন দেখে-- দড়াম করে ভোর হচ্ছে...সচকিত হয়ে কর্নফ্লেক্সের
বাটি থেকে মুখ তুলে বুঝতে পারছে সে...
১৯।
করোটির মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া
একটি সুবর্ণ রেখা। গোয়েন্দা তার একপাড়ে বসে দেখেন মাছরাঙ্গা ঝাঁপিয়ে পড়ছে ফসিল
মাছের ওপর। অপর পাড়ে হেঁটে যাচ্ছেন খুনী। গোয়েন্দা তাঁকে দেখতে পান। গোয়েন্দা
দেখতে পান খুনীর পিঙ্গল চোখ আর গায়ের কালো বুটি এক ঝলক এক ঝলক করে হলুদে ঢুকছে
বেরিয়ে আসছে। খুনীও ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেন গোয়েন্দাকে। গোয়েন্দার অবিচল বসে থাকাকে। খুনী
দেখতে পান, গোয়েন্দাকে ঘিরে রয়েছে এক প্রকান্ড প্যারাসিটামলের বলয়, যার কিনারা
হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপছে, নীল ও ঠান্ডা শিখা হয়ে উঠছে কখনো...
মানুষ জিভ দিয়ে যাচাই করে উঠতে
চায় পুষ্টি ও বিষ। ফুলের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দ্যায়, কাঁটার ভেতর...তারপর একদিন টিফিন
কেরিয়ার জলের বোতল নিয়ে কাতারে দাঁড়িয়ে পড়তে হয় তাকে। তার কানের চোখের মধ্যে দিয়ে
মাথায় নাকে সমস্ত ইন্দ্রিয়ে ঢুকে পড়ে-- ‘’জল
এক স্বাদহীন, বর্ণহীন, গন্ধহীন তরল”...শরীর যখন
বিদ্রোহ করে, সন্দেহ চারিয়ে উঠলে যখন
অটোইমিউন একটা রেস্পন্সে ধুম তার জ্বর বেড়ে যায়... প্যারাসিটামল ভর্তি জলের মধ্যে
ডুবতে ডুবতে সে শুধু ভেবে উঠতে পারে—জলই জীবন...
২০।
বিষয় তাঁকে স্থির করে। আর তাঁর হাতে
তুলে দেয় তামার ছাতা। বজ্রবিদ্যুত সমেত পানের বরোজে নির্বিকার ঢুকে যান তিনি।
তিনিই খুনী।মানুষের দেরী হয়, ২৭ লক্ষ লোনের ভেতর, সুদের ভেতর, নকল একটা ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে সে বুঝতে পারে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে জলে, সমতলে, অসীমে। হাতে দাঁত বসিয়ে সে স্বপ্ন থেকে ছিটকে উঠতে চায়। অথচ তার দাঁত আর হাতের মধ্যে যোগাযোগ হয়ে ওঠে না কখনো।
বিমূর্ত হওয়ার পরেও মাংস, মাংসই থাকে গোয়েন্দা জানেন এ কথা। গোয়েন্দা মাংস খেতে খেতে বুঝতে পারেন প্রোটিনের কাঠামোয় আলফা হেলিক্সের নমনীয়তা্র মাঝে কখনো সখনো বিটা শীটের একটা প্রতিরোধ লুকিয়ে থাকে যা আগুনের সংস্পর্শে এসে সংহত হয়-- ক্ষোভে দুঃখে ভেঙ্গে পড়তে চায় না।
ডিনার টেবিলে খুনী বা মানুষের সাথে গোয়েন্দার দেখা হয় না। মানুষও অভিযোগ জানাতে বা খুন হয়ে উঠতে ভুলে যায়।
২১।
ক্ষমতা যদি একটা কনসেপ্ট হয় আর কনসেপ্ট যদি জমি—তবে তার মধ্যে গোলাপ চাষ করা চলতে পারে—যদি আদা ফলানো সম্ভব না হয়। পরিমিতি বলতে খুনী এটুকুই বোঝেন। বিকেল পড়ে আসছে ভ্যালি জুড়ে… একটা সন্ধ্যা মত…। গাড়ির স্ক্রীচের মধ্যে ফিরতে থাকা পাখি সমেত আকাশ থমকে গেল। গোলাপ বাগান জুড়ে শুধু ধুলো আর ধুলো—যাকে মানুষ যৌনতার ওপর ফেলে রেখে, বেল্ট আঁটতে আঁটতে রেপ করতে বেরোয়। নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তার সমস্ত কৌতুহল চরিতার্থ করতে বেরোয়।
ভেঙ্গে না গেলে গানের থেকে কথা আর সুর আলাদা করা যায় না—একথা গোয়েন্দা বোঝেন। গোয়েন্দা জানেন নিয়ন্ত্রণ মানে সব কিছু অটুট রেখে তাকে বার বার ব্যবহার করার একটা কামনা… প্রত্যেকদিন সমস্ত সন্ধ্যা একটাই গান পিনের মধ্যে দিয়ে চলে যায়…রাত্রির মধ্যে চলে যায়…
২২।
অসুস্থ মানুষেরা জুতো পালিশ করছে। আবর্জনার গাড়ি রাস্তা কাঁপিয়ে চলে যাচ্ছে। ঘুমের ওষুধের পাশে জল কেঁপে উঠছে গেলাসে। খুনীর ভেতরে একটা সাদা গান, হলুদ ফিতের ও’পারে ক্ষত থেকে বেরিয়ে আসা এক নালির জন্য যে অপেক্ষা করেই যায় সারাজীবন। যেন সারাজীবন মানে শুধু ঘুমের ওষুধের পাশে রেখে দেয়া জলের গেলাস।
খুনী দেখেন জলের ভেতর চকচক করে উঠছে সময়। জলের ভেতর পচে উঠছে ধৈর্য। খুনী জানেন এইবার মানুষ ভ্রমণে বেরোবে। খুনী বোঝেন, ভ্রমণ কোন গন্তব্যের জন্য নয়। ভ্রমণ মানুষকে বুঝতে সাহায্য করে তার অবস্থানের সার্বভৌম একাকীত্ব। খুনী বোঝেন, ভ্রমণ মানে অন্ধকারে একটা বুকপকেটের খোঁজে হাতড়ে বেড়ানো--মরে যাওয়ার আগে, যেখানে মানুষ তার আইডেন্টিটি কার্ড রেখে যেতে পারে।
হলুদ টেপের এপার থেকে গোয়েন্দা দেখতে পান অঘটনের অব্যবহিত পরে মানুষের হাঁটার স্টাইল কী-ভাবে বদলে যায়, কীভাবে খানিকক্ষণের এলোমেলো সে হঠাৎ নীচু হয়ে বালির ওপর থেকে কুড়িয়ে নেয় নতুন পরিচয়পত্র…ইনশিওরেন্সের দলিল…
২৩।
টোস্টের গন্ধে আবছা হয়ে উঠেছে
আকাশ। কুড়ুল হাতে বিষাদগ্রস্ত মানুষেরা বেরিয়ে পড়েছে। চায়ের জল লাল হয়ে ওঠে।
গোয়েন্দা বসে থাকেন টেবিলে। কাঁপা কাঁপা হাতে কলম তুলে নেন। খুনীর প্রোফাইলিং করতে
করতে গোয়েন্দা বুঝতে পারেন-- যে কোন সংজ্ঞাই আদতে সংজ্ঞাকারের সীমাবদ্ধতা দিয়ে
তৈরী। তিনি নিজের সীমাবদ্ধতার মধ্যে বসে থাকেন। দেখতে পান, কোল কুঁজো হয়ে বরফ
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এগিয়ে যাচ্ছেন খুনী। সীমা পার করে, অসীম পার করে...
২৪।
আয়না নয় পরিপার্শ্ব থেকেই
মানুষ নিজেকে চিনতে পারে। সে দেখতে পায় দূর জঙ্গল ফাটিয়ে চলে যাচ্ছে স্টীমার আর
তার পায়ের মাটি থেকে ধোঁয়া ধোঁয়া ছায়ারা উঠে আসছে। ছুঁয়ে দেখা যাক বা না যাক, বস্তুর অস্তিত্ব নিয়ে মানুষ মাথা ঘামাবেই—এটা
গোয়েন্দা বোঝেন। গোয়েন্দা জানেন, কখন সে সন্দিহান হয় আর কখন প্রত্যয় তার শার্টের
কলার তুলে দেয়।
খুনী খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন
খনিজ সত্যের মধ্যে কীভাবে অকেজো হয়ে উঠছে পরিবহণ ব্যবস্থা । খুনী দেখতে পান
গোয়েন্দার স্বপ্নের ভেতর দিয়ে কাতারে কাতারে পা আলো ফুঁড়ে চলে যাচ্ছে—অথচ
পায়ের দাগ ফুটে উঠছে না কোথাও।
ডকের খালাসি নামিয়ে রাখছে ঊর্ধাঙ্গের বাক্স। নিম্নাঙ্গ এসে পৌঁছবে পরের জাহাজে। সম্পূর্ণ একটা প্রতিশ্রুতির মধ্যে উড়ে যাচ্ছে হলুদ শিশুফ্রক। মানুষ ডুকরে উঠছে ভোরের বালিশে।
ভোর যে একটা ধারণা মাত্র, গোয়েন্দা জানেন। গোয়েন্দা জানেন,মানুষ দেখতে চায় আলোর মধ্যে আলোর ঠিকরে উঠে লাল হয়ে ওঠা, সে টোম্যাটোর থেকে ছেঁকে নিতে চায় লাইকোপিন,অথচ সেখানে তাপ ও আলো বলে কিছু নেই-- শুধু ডোরাকাটা পোষাকে কয়েকঘর কয়েদি জেগে উঠছে আর শুয়ে পড়ছে ফিলামেন্টের মধ্যে, মানুষের অন্ত্রের ভিতরতলের একটা অনুভূতির মধ্যে।
পারদস্তম্ভের ভেতরে খুনী বসে থাকেন। তিনি দেখতে পান,শ্বাস থেকে একটা সেতুর বনেদ বেরিয়ে আসছে আশ্বাসের দিকে…
২৬।
যাকে ছেড়ে চারশো মাইল মানুষ ড্রাইভ করে ফিরেছে, সে’ই বোঝা খাটের পায়ার কাছে দৃশ্যমান হয়। আলগোছে বানানো মুর্তির ঘাড়ও ঈষৎ অবনত হয়ে পড়ে ঘুমে,জেগে থাকায়। গোয়েন্দা দেখেন বীমের ওপর পায়রা বসে আছে, পায়রাদের হোমিং বসে আছে, এমনকী বেড়ালের স্বপ্নের ভেতরে বসে আছে… আর মানুষ বিপন্ন হয়ে ফোন করছে অপরিজনকে, সম্পর্কের তোয়াক্কা না করেই…
কোথাও সম্পর্কগুলো রেখে দেয়া থাকে,গির্জার টারেটে,ঘণ্টাধ্বনির নীচে—মানুষ ভাবে,সেসব শুকিয়ে উঠবে একদিন, ছত্রাকের থেকে সংক্রমণের প্রতিশ্রুতি থেকে দূরে। দরকার মত তাকে বয়াম থেকে বের করে ডিনার টেবিলে ভোঁতা আলোয় দেখা যাবে। অন্তত কিছুক্ষণের জন্য স্পষ্ট দেখা যাবে।
খুনী দেখেন গরম বাতাস তাকে চারিয়ে তুলছে, মুখের মধ্যে মিলিয়ে দিচ্ছে,সম্পর্কগুলো জমাট বাঁধতে বাঁধতে বোঝা হয়ে উঠছে। বোঝাগুলো আড়মোড়া ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সম্পর্ক হয়ে উঠছে…
২৭।
এ’ভাবেই সত্তা কথা বলে, শুকনো, খসখসে, ব্লীচড হাড়ের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসের মত, কথা বলে আর, অভেদ্য দৃশ্যের মত রেখা বাড়িয়ে দেয় মানুষের চোখের, নাকের দু’পাশে।
মানুষের জগতটুকুই যে মানুষ নয়, এতটা গোয়েন্দা বোঝেন। গোয়েন্দা বোঝেন পালাতে চেয়েও শেষমেষ যার মুখোমুখি দাঁড়াতে মানুষ বাধ্য হয়—সে’ই মানুষ।
শহর চিরে একটা ঢল চলে যায়, ফিরে আসে, ছিটকে বেরিয়ে গিয়ে মুখের রেখায় ঢুকে যায়। গোয়েন্দা জানেন, কারো কোনো অ্যালিবাই নেই, ক্রমে জমাট বেঁধে ওঠা হত্যাদৃশ্যে প্রত্যেকের অণু ও আপোষ গেঁথে আছে।
২৮।
বড়জোর পেরিফেরাল ভিশানে হঠাৎ ধরা পড়া এক সত্তা—আঙুল কাটার আগে কিনারা বলতে মানুষ এতটুকুই ধরতে পারে। সে জানে না, ডুবতে ডুবতেও যে কিনারা’র কথা সে ভেবে ওঠে, তা কূল মাত্র—মাথায় না হোক, ফুসফুসের ভেতর তার প্রান্তিকতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়...
সন্দেহ বলতে গোয়েন্দা বোঝেন ঘটনার কথা, যা অসীমের এক অংশ অথচ সে ট্রেনের কামরার মত প্রবাহমান—আর তার তেলহীন চাকার কাতরানি মানুষের অজান্তেই তার সমস্ত গল্পের ভেতর নীতিকথার ভেতর ঢুকে পড়ে...
ভাঙা ও ধ্বস্ত জানলার ফ্রেমে চোখ রাখেন গোয়েন্দা, যদিও ছাদ নেই, দেয়াল সেরকম নেই, তবু ফ্রেমটুকু দেখার মধ্যে পারস্পেকটিভ এনে দেয়—যে দেখার মধ্যে কিনারা শুধু প্রতীক মাত্র হয়ে থাকে। দৃশ্যের অংশ হয়েও দৃষ্টির আড়াল হয়ে থাকে...
আকিনারা এক সরলরেখা ধরে হেঁটে
যান খুনী, কখনো থেমে, ঝুঁকে ডুবন্ত মানুষের দিকে ছদ্মহাতও বাড়িয়ে দেন...
২৯।
ছ্যাঁকার মুহূর্তটুকুই আগুন,
বাকীটুকু সম্বিত ও ধারণা। যদিও মানুষ প্রমাণের কথা, তার লুপ্তির কথা বলতেও আগুনের
কথা ভেবে ওঠে-- গোয়েন্দা জানেন, যা স্পষ্ট যা শিখা, উৎস থেকে রং বদলাতে বদলাতে যা
অবলোহিতের দিকে চলে যায়—সে শুধু
ধারণার ভিনিয়েট—বস্তু ও তার দাহ্যতা সংজ্ঞার
বাইরেই থেকে যায়, এমনকী ক্রিয়ার বাড়বাড়ন্তও তাকে আর ফাঁদে পা দিতে প্রলুব্ধ করে না।
সাদা ঘাসের মধ্যে দিয়ে ঢালু
একটা পথ নেমে গেছে আলোর ভেতরে। সাদা নুড়ি কুড়াতে কুড়াতে খুনী সেই পথে নেমে যান। তার
চামড়া স্বচ্ছ হয়ে ওঠে পোষাক পার করে। প্রমাণের ছায়াও তার পদক্ষেপের পাশে জেগে উঠতে
ভুলে যায়।
No comments:
Post a Comment