Friday, December 14, 2012

ধর্ষিতার মেয়ে

আর্যনীল মুখোপাধ্যায়

অন্তর্দর্শন
সবকিছুর মধ্যেই
এই যে কাপ ধুচ্ছি, অ্যাজেলিয়ার পাপড়িতে হাত বোলালাম
হাওয়াতানকে দেখলাম হাওয়া থেকে তার গীতিপ্রবণতা ছিনিয়ে নিতে

অন্তর্দর্শন
অভূমিষ্ঠ
এক জেগে থাকা চোখ
যোনির প্রেতান্ধ থেকে হাঁ ক’রে তাকিয়ে
বাইরেটা দেখছে দেখছে অমানুষের বারুদমাখা শসা
একটার পর একটা কীরকম ঠেসে আসছে
আর তাদের সাদা জল ঝরিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে
যে যন্ত্রণা দুষ্প্রবেশ্য সে কেমন মিউট হয়ে যায়

অভুমিষ্ঠ
কান্না
সেও তো সাদা জল জলীয়তা হারাতে হারাতে
বুকের টিউকল টিপতে টিপতে
ধর্ষিতাদের শোকগাথা তাদের মেয়েরা
দুধ ভেবে পান করে। ঘন হয়ে ওঠে তাদের অশ্রুত সাদা

কান্না
চোখটাকে
টেনে দীঘল করুণ দীর্ঘায়িত করে
আমি গভীরতা নিয়ে কোনোদিন কিছু বলার চেষ্টা করিনি
আমি মূক ও বধিরদের ভালোবাসি
আমার মা’র নাম সাবমেরিনা বাবা সাবটেরানিয়ান
যে এন জি ও গ্রামে গ্রামে টিউকল বসায়
আমি তাদের হয়ে কাজ করতাম
রচনার প্রগাঢ় অতলতা সেখানে থেকেই শেখা
আমার বৃদ্ধা মা যে রোজ ছাদে উঠে ব্লু-মুন খুঁজতে যায়
সেটাই আমার কবিতা অশনায়ার একমাত্র পরিচয়

চোখটাকে
চোখা
ক’রে তোলে
আর আমি দেখতে পাই রুদ্ধসঙ্গীত
কান বন্ধ চোখ বন্ধ নাক থেকে রঞ্জিতা রুধিরা গড়ায়
তাই সেখানে কাপাসতুলোর দলা
আর ক্যাকটাস গজিয়ে যোনিবন্ধ কাঁটালতা -
কাঁটালতা একটা কাগজের নাম আমাদের বাড়ি থেকে বেরতো
রেজিঃ নম্বর ছিলো তার ছিলো অস্ট্রেলিয়ায় পাঠক
বহুবছর বন্ধ কাঁটালতা যাকে

চোখা
পর ফাবর
চোখা করা চলবেনা কাজের মেয়েকে শুচি হতে হয়
নখ কাটতে হবে ফি-দিন চুল কাটতে হবে
গলা আর বুক নামিয়ে রাখতে হবে
কোনোরকম আসুস্তাদা চলবেনা
অসুস্থতা
কুক্করী তুমি
বেল বাজলে সাড়া দেবে
বাগানিয়া এসেছে বাগান করার লোক
জাগানিয়া এসেছে জাগাতে
তাদের সব খুলে দেবে সবসময়
দরজা পানের বরজ

পর ফাবর
রক্তক
পড়ে পড়ুক
এস্পুয়েলা দেল গাউচো আন্দীস পর্বতমালার সুরা
আমি তোমার শরীরে ছড়িয়ে দিয়েছি আজ
সন্ধ্যাতারার সাথে যাতে রক্তকের অনুভূতি চলে যায়
পান আর পানীয় এক হয়ে যায়
মুখের মধ্যে সুমিষ্টতা আর
যোনির মধ্যে দুষিতা দুটোই

রক্তক
বারান্দা
থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে পিয়ানো
তবু সে সুরাশ্রয়ী যখন
আগুনে জ্বলছে কাঠ ফাটছে
ঠিকরে ঠিকরে উঠছে ব্যবচ্ছিন্ন সুর
ছেলেবেলা থেকে সবসময়েই সেখানে যাবার আমার
এক একাচোরা প্রবণতা
তুমি কখন সবিস্তার শব্দহীনতায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলে
সেখানে
হয়তো গোপন রাঙা হচ্ছে
বন্ধ হয়নি তোমার মায়ের রক্ত
তখনো তোমার ভেতরে পড়ে মিলে যাচ্ছে
আত্মহননপ্রবৃত্তি আর এই ধার ঘেঁষে দাঁড়ানো এই

বারান্দা

2 comments:

  1. adbhut ! apurbo !kothaao mone hochche tomaar swabhaabik bhaShaar theke onekTaa dUre...

    drishyo theke jege oThaa emotions nijer moto kore ekTaa drishyo toiri korchhe... bhaaShaa toiri korchhe... ei mone holo...

    Tupi khullam !

    Sabya

    ReplyDelete
  2. Adbhut , tumi 14 tarikhe likhechhile ar 16 tarikhe Delhi te ghotlo sei ghotona ja niye aaj uttal desh.... Dhorshitar meye...onyorokom laglo sotti, hoito onek sabolil bhasha bole onekta golper moto mone holo...."bel bajle saRa debe...bagania eseche bagan korar lok ..jagania esechhe jagate ...tader sob khule debe sob samay...dorja paner boroj"...progaRho ortho bohon kore...bahudin pore abar edike mon dilam, mane chokher daktar diechhe humki, je kaaj ke byabsa korechhilam take kichhuduner jonyo biday janate badhyo holam, tai mon cholo nijo niketone , abar bhalo lagar bishoye phirlam...

    ReplyDelete