Thursday, December 29, 2011

বুদবুদের আমি

বুদবুদের আমি
একবার ভেসে উঠে মিলিয়ে যায়
হাসির মত ভোর বেলা, পোঁচ মত, বৃন্ত মত
বুদবুদের গায়ে যেরকম
বুঝে নিলে অসমাপ্ত গল্পের মোহ
বিড়ালটা লেজ নাড়ছিল
লেজ নাড়ছিল
লক্ষ বছর হলো একটা একটা স্তর
একেকটা ঘুমের দরোজা, মাথার কাছে, পায়ের কাছে শিরায় শেকড়ে
তন্ময়, আগুনের স্মৃতিবাহী লাল বৃন্ত পোঁচ
ঝুর ঝুর ধূলার তিরপলে
আমি তো জমা হই। আলো জ্বেলে পাউরুটি
মাইলের পর মাইল
আলোর নিচে
অন্ধকারে কেরোসিনে জলপাইয়ে উল্টে দেই টুকরা টুকরা পাউরুটি
রঙ আর বোঁটার কথা বলো। তখন থেকে ফিরে দেখো
খুলে রেখে চলে যাও একটা একটা স্তন
বুদবুদের সুরে। হঠাৎ হিংস্র রাগে দরোজা লাগাই
লিপস্টিক
একটা গলিত কালো কশেরুকা
হিঁচড়ে টেনে জ্বালিয়ে দেই পিষ্টনের প্রাণের ভিতর
কতদিন জমা করা ঘুম
হঠাৎ ভেসে ওঠা বিশ্লিষ্ট দেখা, বুদবুদের হাসির মতো
হারিয়ে যাওয়ার মতো, বলো হাইহিল, কখন গিয়েছিলে হ্রদের কিনারে
নষ্ট টিভি পর্দায়
নিজের ছায়া দেখে অল্প অল্প ভয় করে

Wednesday, December 21, 2011

দুইটা লেখা

সম্নিলকি ১৩
----------------

কত দূর থেকে আসে একেকটা বরফের দাগ
মনে হয় মিলে মিশে আছি
ভোতা আর দীর্ঘ প্রস্তুতি
অনেক নিচে মাটির ভিতর, পলক ফেলছি না, সোজা সাপ্টা বলে দিচ্ছি না

একা একা শুয়ে থাকি মেঝের উপর
একটা তন্তু নেমে আসে। জানালা ফেঁপে গেছে পানি জমে জমে

কারো কথা মনে আসে না। ভয়ঙ্কর খেলায় কাঁপতে থাকি আমি
একস্তুপ কাপড় – সব সময় ক্যালেন্ডারে দাগানো যায় না
দশক দিয়ে মাপা যায় না, যুক্তি দেখে হো হো করে হাসে
ঠোঁটের কোণা বেয়ে গড়িয়ে নামে কথার জগতে

একটা লম্বা মোম ছুরি দিয়ে চার ভাগ করি
সূতা জাপটে ঠান্ডা হওয়া উৎসমুকূল
আগুন কত আপেক্ষিক ... ... বা চলে যাই সোজা সাপটার কাছে
আমার যে সাপ আছে, ওকে জাপটে বড় হচ্ছে কাচের বাক্স দিন রাত
বড় হচ্ছে – কত দ্রুত ছায়া সরে গেলো
চকিতে মনে হলো জানালার ফ্রেম

|
|
|
------------------
তিনতলার বারান্দায়
------------------

তিনতলার বারান্দা কিছু খালি বোতল পরে আছে
কাগজের গ্লাস, ছেড়া ফিল্টার

ঠিক তার নিচের বারান্দা দরোজা খুলে মেয়েটি বেরোলো
গোলাপের মতো লাল, শূন্য টব – ঠিক তার নিচতলায় একটা হেলানো শাবল

বোতলগুলির উপর
মেয়েটার পিঠে, শাবলে
ধাক্কা খেয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে চিকন মেয়েলি স্বরের মতো
মেয়েলি স্বরে ডাকছে কে যেন
রেলিং ধরে
ফ্ল্যাটের চাবি ফেলে দিচ্ছে নিচে

Sunday, December 18, 2011

এখনো সর্বনাম

খসড়া

নিউট্রিনো

অপ্রয়োজনীয় শিষ্টাচারে জড়িয়ে আছে
অবতল স্মৃতি। চয়িতের সত্য চিতের
ভিজে ছাদের ওপর ছোট্ট পায়ের ছাপ
গুটি গুটি... কয়েক।
মাটির ঠিক ওপর দেবে যাওয়া পাঁচ আঙুল।
বন্ধুত্বের সংজ্ঞার মতো পারমাণবিক। ছাপওয়ালা
ছোট গর্ত, চিতের ছাদে... মুঠো দেড়েক।
আণুবীক্ষণিক। আশ্চর্য্য আশঙ্কায় ভর্তি হয়ে আছে।

বৃষ্টিজল জমা হয় ওতে বেশ, দেখা যায়...

নিউট্রিনো যদি

বিধাতার মত সে উত্তিষ্ঠত বৃদ্ধের কি নিরাময় প্রার্থনা করা যায়?
চিত্রার্তের প্রাপ্য জলজ, চিতের ছাদের আঙুল
জলে ভুল, (আরে না না, ফুল ওটা ফুল হবে)
বেশ ভাসে দেখা যায়।
ভাসছে ফুল। মা এর মত লাল ফুল।
সদ্য অ-সিজারীয় শিশুর আওয়াজের
ধূসর জলে, ফলে।

একেবারে শেষ ঘাটের পিছল জল থই থই
লাল জল।

নিউট্রিনো যদি আলোর

আশ্রয়হীন সে বট দাঁড়িয়ে।
দাঁড়, দাঁড়ি।
অসমাপ্ত বাক্যালাপ হেতু মুখ নাড়ে।আবহাওয়া খোঁজে।
অনুকূল/প্রতিকূল।
পুরাণ, বেদসমূহ, শাশ্বত, স্বল্পাধিক।

নিউট্রিনো যদি আলোর চেয়ে

নীরব সোচ্চারে
ছায়াহীন অন্ধকারে কঠিন কিছু মুখ বলছে।
and the quote begins,
"ক র তে হ বে ক র তে হ বে, হ বেই..."
হ্রস্ব ই এর এ দীর্ঘতায়
প্রদোষগ্রস্তের ঈশ্বরেচ্ছার জলছাপ উঠে আসে, আশেপাশে
মুঠোদেড়েক।

নিউট্রিনো যদি আলোর চেয়ে
বেশি গতিশীল কণা হয়। তাহলেও
স্ফটিক করোটি মিথ্যাবাচন কবে?
উগাণ্ডা বা মেরুগর্তে
...
হবে হবে, এও হবে, টবে।আহা গাছ যেরকম
বট বা গাঁদা, ল্যাডিল্যাস, নিদেন,
শী্তকালীন।

পুনশ্চঃ পাঁচিলের এপ্রান্ত থেকে দেখা
ওপ্রান্তের কেবল ঝুলে থাকা পাঁচটি আঙুল।

ওইখানে
গাছগুলি দাঁড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখানে এখনো প্রবল
তীব্র উহাদের ছায়া পড়ে,
কম্পমান, প্রলম্বিত।
উহারা মাটির নিম্নে তাহার চেয়ে বেশি,
যত উপড়ে, ওপরে।।

Sunday, December 11, 2011

মর্গ থেকে







aajanma pratibeshi alok kaku, sri alok chaudhuri amri hospital theke chole gelen. taarpar aami saaraadin pg hospital-er morgue-er saamne daaNrhiye... ei pratham...beshi kichu balaar nei... paribishhayee holo naa... bodhoy kabitaa-o holo naa... emanki dhikkaar-o dite paaren ei niye kabitaa lekhaar cheshhTaa naamak dhrishhTataay.