Sunday, June 3, 2012

kobirer golpo (aro ekTu)

এক সুস্থতা আছে, কবির যাকে ঘৃণা করে।
পরিপূর্ণ ঘর। পরিপূর্ণ লবি। পিপহোল। গোল গোল লাগে তাকালে সব কিছু

আজকে আকাশ গোল। এক ফোঁটা মেঘ নেই। নতুন পাতা ঝিলমিল করছে। এই কিম্ভুত নীল আর সবুজ। এছাড়া তেমন করে ভাল লাগার কিছু নাই।

টিউলিপ বাগান, যেদিকে সাবধানে প্রমাণ স্থির হবে আরো

আয়নার উপর বাষ্পগুলি একটা মুখের দিন গোনে

উত্তর দিকে ছেড়া ছেড়া অচেনা ভাষার সংলাপ। বাতাস নাই। গুমোট গরম। মে মাসের গরম। তিনটি কিশোর নিজেদের মধ্যে বল পাস করছে। ওদের সাথে কথা বলতে ইচ্ছা হয় কবিরের। কিন্তু বলা হয় না। গজাল দিয়ে পিপহোল ভাঙতে ইচ্ছা করে।


মিমাংসা এবং মিমাংসা
নিষ্পত্তি, এবং নিষ্পত্তি
সুরাহা, এবং সুরাহা

বৃষ্টির মতো, বৃষ্টির থেমে যাওয়া
অনেক উপর থেকে নেমে আসে

টিউলিপ চলে যায় বাষ্পঢাকা আয়নার দিকে। একটা বিখ্যাত স্নান।
অনস্বীকার্য ঘ্রানবিনিময়।  কবির গজাল খোঁজে, খুঁজতে খুঁজতে টের পায় ছড়িয়ে পড়ছে

মেনে নাও যে ছড়িয়ে পড়ছে। তাদের নতুন নতুন কান্ড পল্লব
মেনে নিতে শেখো,
গভীরতম সত্য কখনো বস্তু হয়ে উঠতে পারে না। গভীরতম কান্না
কখনো অশ্রু হয়ে উঠতে পারে না।
সব কিছু ডুবে যেতে দিয়ে নিজের ভিতর

তাকিয়ে থাকে ব্যাধি। সব কিছু ভেসে উঠছে...
অনেক পতন দূরে
অনেক পতন দূরে
অল্প নিষ্পাপহালকা কথায় বলে ফেলা

ধাতু ডুবে গেলো

নতুন পাতা আসেসীসার খোপে নেমে যায় রেণু মুকূল আরো ভাল হতে পারতো

++++

ধারণার মতো হাস্যকর
সম্পূর্ণতা চোখ লাগে পীড়া দিয়ে যায়...

দ্বীপ, বা একটা ঘটনা
এমন তো নাও হতে পারতোকবির সব বোঝে
কিন্তু যোগাযোগ করে উঠতে পারে নাতার বিচ্ছিন্নতা ব্যাধির মতো সহজাত
অপারগ

সাইকেল তুলে চলন্ত গাড়ির দিকে ছুঁড়ে মারে একটি কিশোর
সব কিছু নিজের ভিতর ডুবে যেতে দিয়ে
অসহায় সেতারের সুরঅসহায় আপন করে নেয়া
একটা ছিপি আঁটা সোডার বোতল আস্তে আস্তে ঝাঁকাতে থাকে

+++++

কবির ফিরে এসে পাউরুটি খায়। যেমন করে এক একটা ছন্দমিল তৈরি হতো কৈশোরের কবিতায়। বিষন্ন সন্ধ্যার প্রতি, বৃষ্টির দুপুরের প্রতি। সবই তো বাস্তব। তবু শব্দের মধ্যে জলজ্যান্ত ছবি
রংতুলির মধ্যে জলজ্যান্ত শব্দ।

কারো মনরঞ্জনের ক্ষমতা কবিরের নেই। বাগানগুলো তছনচ করে ফেলতে চায়। কিম্ভুত নীল আর সবুজ ভাল লাগে। জ্ঞানত। কেউ বোঝে না, আবার সবাই বোঝে।

জ্ঞানত, মানে কারো কাছে...
কবির যখন খুঁজছে, কবির যখন একটা তালিকা দিয়ে আরেকটা তালিকা বানায়
বুদ্ধি আর ছলনা
ম্যাজিকের নির্দোষ ধোকাবাজি...
একটা পাথর ফেলেছিল দুপুরবেলা পুকুরের স্বচ্ছ পানিত

ফিরেও দেখো না
ফিরেও দেখো না

পাথরটা ডুবে যাচ্ছিল। সেই দৃশ্য ভাসে চোখের সামনে।
যেন সত্যি ডুবে গেলো...

কবির আয়নায় চোয়াল হাতড়ায়। নাকের ফুঁটার দিকে তাকিয়ে থাকে হা করে। যে দাঁতগুলো তুলে ফেলেছে সেখানে সেখানে গর্ত। দুই পাশের ভাল দাঁতগুলি দিন দিন আলগা হচ্ছে। গর্ত বুজিয়ে তুলতে চাইছে